পোলিও মুক্ত বাংলাদেশ রচনা - সম্পর্কে জেনে নিন
পোলিও মুক্ত বাংলাদেশ রচনা
ভূমিকা
পোলিও রোগের নাম শুনে ভয় কেন পাও ভাই
পোলিও মুক্ত বাংলাদেশে পোলিও যে নাই।
পোলিও হলো ভাইরাস জনিত রোগ। ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশ পোলিও রোগ নির্মূলের জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে টিকাদান কর্মসূচি পালন করে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ১১ টি দেশকে পোলিও মুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পরপর তিন বছর যে দেশে পোলিও রোগী সনাক্ত করা হয় না সেই দেশ হলো পোলিও মুক্ত দেশ। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছে।
পোলিও কি
মাইলেটিস রোগ যখন কোন শিশুর হয়,
জেনে রেখো, তোমরা সবাই পোলিও রোগ কিন্তু তারেই কয়।
পোলিও রোগ হলো সাধারণত মাইলেটিস রোগের সচরাচর ব্যবহৃত নাম। পোলিও সাধারণত এক ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ আর এই রোগ আন্ত্রিক ভাইরাস দলেরই অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে কারন এটি শরীরের আন্ত্রিক পথেই মানুষের দেহে প্রবেশ করে। পোলিও রোগ সাধারণত রোগীর নার্ভ সিস্টেম কে ক্ষতিগ্রস্ত করে যার কারণে এই রোগে আক্রান্ত হলে এক সময় রোগী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পঙ্গু হয়ে পড়ে। যদিও সব বয়সেই এই রোগ হতে পারে তবে পাঁচ ৫ বছরের নিচের শিশুদের জন্য এই রোগ বেশি মারাত্মক হয়ে থাকে।
পোলিও শব্দের অর্থ কি
পোলিও শব্দের অর্থ হলো পোলিওমাইলাইটিস। পোলিও রোগ সাধারণত ভাইরাস জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ যা শিশুদের বেশি আক্রমণ করে থাকে।
পোলিও রোগ কে আবিষ্কার করেন
১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম জ্যাকোবেহের নামক একজন জার্মান অর্থপেডিক সার্জন পোলিওমাইলিটিজ আবিষ্কার করেন। তবে পোলিও রোগ যে ভাইরাস জীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে এর উপস্থিতি সর্বপ্রথম চিহ্নিত করেন কার্ল ল্যান্ড ইস্ট্রেনার। হাজার হাজার বছর পূর্বেও এই পোলিও রোগের জীবাণু বিরাজমান ছিল।
পোলিও রোগের কারণ
পোলিও রোগের প্রধান কারণ হলো পোলিওমাইলাইটিস নামক এক ধরনের ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত পোলিও রোগ হয়। আর এই রোগ দূষিত খাদ্য এবং পানির সাথে মিশে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে এবং রক্ত কোষের মাধ্যমে দ্রুত শরীরে সংক্রামিত হয়ে থাকে এবং বংশবৃদ্ধি ঘটায়। পরবর্তীতে এই জীবাণু প্রান্তীয় স্নায়ু নিউরনের উদ্দীপনার পথ ধরে মানুষের শরীরের ছড়িয়ে পড়ে এবং মাইলেনিয়নসমূহকে ধ্বংস করে ফেলে আর এই মাইলোনিয়ারে মাধ্যমে স্নেহ পদার্থসমূহ সাহায়ক স্নায়ুতন্ত্র আবৃত করে যাতে করে স্নায় উদ্দীপনা সমূহ সহজে সঞ্চালিত হতে পারে।
পোলিও রোগের লক্ষণ
পোলিও রোগের অনেক ধরনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পোলিও রোগের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার পর সাত ৭ থেকে চৌদ্দ ১৪ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে সবচেয়ে হালকা যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হল-
শরীরে হালকা জ্বর থাকে বা কখনো ভারী জ্বর হতে পারে।
সর্দি কাশি থাকে।
মাথা ব্যথা হয়।
সারা শরীরে ব্যথা হয়।
গলা ব্যথা হয়।
বমি বমি ভাব হয়।
ঘাড় ও পিঠ শক্ত হয়ে যায়।
হাত ও পা অবশ হয়ে যায়।
মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে।
মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেয়।
ঢোক গিলতে সমস্যা হয়।
শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
আক্রান্ত ব্যক্তির হাত ও পা চিকন হয়ে যায়।
পোলিও মুক্ত দেশ নিয়ে কবিতা
বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে ও জাতীয় টিকা দিব সফলভাবে পালন করার ফলে ২০০৬ সালের ২২ নভেম্বরের পর থেকে আজ পর্যন্ত এই সাত ৭ বছরের অধিক সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ পোলিও মুক্ত আছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url