একটি চন্দ্রালোকিত রাতের অভিজ্ঞতা - রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা রচনা হলো বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি অবিচ্ছেদ অংশ। তৃতীয় শ্রেণী থেকে শুরু করে প্রায় সকল ক্লাসের রচনা লেখার প্রয়োজন হয়। একটি চন্দ্রালোকিত রাতের অভিজ্ঞতা - রচনা তোমাদের জন্য যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি তোমরা এই রচনা পড়তে পারো।

Image

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা যারা নিম্ন ক্লাসে পড়ো তারা আমার রচনায় দুইটি বা তিনটি করে প্যারা আছে তোমরা প্রয়োজন অনুপাতে একটি দুইটি পেয়ারা স্কিপ করে পড়তে পারো। তাহলে বন্ধুরা,  একটি চন্দ্রালোকিত রাতের অভিজ্ঞতা - রচনা তোমাদের জন্য লেখা হলো -

 একটি চন্দ্রালোকিত রাতের অভিজ্ঞতা - রচনা 

ভূমিকা 

একলা আমি জ্যোৎস্না রাতে 

দাঁড়িয়ে ছিলাম আলোকপাতে 

দেখব তোমায় ভেবে।

জ্যোৎস্না রাত এই পৃথিবীর জন্য প্রকৃতির একটি অপূর্ব উপহার। যখন পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে দেখা যায় তখন তার আলোয় পুরো পৃথিবী যেন সৌন্দর্যে আলোকিত হয়ে ওঠে। সারা পৃথিবী জুড়ে অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। সেই জ্যোৎস্না রাতের আলোক ছটা রাত শুধু প্রকৃতিকেই সৌন্দর্যমন্ডিত করে না, সেইসাথে মানুষের মনে ও এনে দেয় এক অনাবিল প্রশান্তি ও আনন্দ। জ্যোৎস্না রাতের আলোক ছটা যেন আমাদের পৃথিবীকে নিয়ে যায় অন্য এক জগতে।

চন্দ্রালোকিত রাতের আবির্ভাব

শুক্লপক্ষের প্রতিপদ থেকে শুরু হয় জ্যোৎস্না রাত্রের আগমন বার্তা এবং পঞ্চমীতে এসে জ্যোৎস্না রাতের চাদরে পৃথিবীকে মুড়িয়ে দেয়। পৃথিবীকে করে তোলে আলোক ময় ঝলমল। অন্ধকার রাতের আধার কেটে নদ - নদী, প্রকৃতি, বৃক্ষরাজি সবকিছুকে ছাড়িয়ে উজ্জ্বল স্নিগ্ধ আলোয় ছড়িয়ে দেয় পৃথিবীর বুকে। জ্যোস্নার হাসি সারারাত ধরে বাঁধভাঙ্গা আলোর আসর জমায় আমাদের এই বসুন্ধরায়। জ্যোৎস্নার আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। পুরো প্রকৃতিকে যেন মনে হয় আলোর এক বিমূর্ত ছটা। তাইতো কবি বলেছেন -

চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে উছলে পড়ে আলো,

ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধ সুধা ঢালো।

জ্যোস্না রাতের প্রকৃতি

জোসনা রাতে আকাশে দেখা যায় বিশাল আকৃতির এক চাঁদ যার আলোতে আলোকিত হয়ে যায় পুরো পৃথিবী রাতের আকাশে তারার ঝিকিমিকি চাঁদের আলোকে আরো এতটাই উজ্জ্বল করে যে সেই আলোর নিচে লুকিয়ে থাকা যে কোন কিছু দেখা সম্ভব জোসনা রাতের আলো পৃথিবীকে এতটাই আলোকিত করে যে সবকিছুই রূপালী ঝলমল করে ওঠে পৃথিবী যেন এক মায়াবী আলোয় ভরে ওঠে যা দিনের আলোর মতই দেখায় তাইতো কবি বলেছেন

জোৎস্না রাতে চাঁদকে রুপার থালার মতো দেখায়।

আরো পড়ুনঃ একটি বৃষ্টির দিনের অভিজ্ঞতা - রচনা (৬ - ১২) সম্পর্কে জেনে নিন

বৈশাখী পূর্ণিমার মেঘহীন আকাশ হোক আর শরতের মেঘ হীন আকাশই হোক! জ্যোৎস্না রাতে যেন আকাশে তারার ফুল ঝুরি ফোটে। নদীর ধারে কাশবন দূর থেকে দেখলে মনে হয় সাদা কাশফুলের চাদরে যেন রূপালী আলোর মিতালী ঘটেছে। পুরো প্রকৃতিজুড়ে বনে, বাগানে, পথে,- পান্তরে, আকাশে - বাতাসে জ্যোৎস্নার সৌন্দর্য ,আনন্দ ও স্থলতা ছড়িয়ে পড়ে। চারিদিকেই শুধু আলোর শিহরণ, প্রাণের সঞ্চল বিরাজ করে জ্যোৎস্নার আলোতে। কবির ভাষায় বলতে হয়-

চাঁদ আজ মাটি ছুঁয়ে দিল

ভিজে গেল সব গাছের পাতা 

কে এমন জ্যোৎস্না ছড়ালো 

এই বুঝি নীল পূর্ণিমা!

মানব মনে জ্যোৎস্না রাতের প্রভাব

জ্যোৎস্না রাতের অপরূপ সৌন্দর্য প্রতিটি মানুষের মনেই যেন নতুন রঙ ধরায় জোসনার আলোতে সুখ শয্যায় মানুষের চোখে নিদ্রা আসে না অথচ কোন ক্লান্তি ও অনুভূত হয় না মনের এক অসম্ভব অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না মূলত জোৎস্নার মায়াবি রূপ মানুষের মন রঙে রাঙিয়ে তোলে সৌন্দর্য পিপাসে মানুষ জোসনায় ঘরে থাকতে পারেনা তাইতো তারা বের হয় অবগাহনে আর তাইতো কবি বলেছেন

আজ যাব না যাব না ঘরে,

বাহির পাগল করেছে মোরে।

বনে বিজনে মৃদুল বায়,

ফুলগুলো দুলে দুলে বলে আমায়,

ঘরের বাহিরে ছুটে আয় পুলক ভরে।

জ্যোৎস্না রাতের কাব্যিকতা

পূর্ণিমার রাত প্রতিটি মানুষের মনে একটি বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে। কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী সহ যারা সৃষ্টির সঙ্গে জড়িত তারা পূর্ণিমার রাতের সৌন্দর্য তারা তুলে ধরতে পারেন। বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম সহ অনেক কবি তার কবিতার মাধ্যমে জ্যোৎস্না রাতের বিশেষত্ব তুলে ধরেছেন। কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতা "পূর্ণিমা চাঁদে" কবিতার মাধ্যমে তার আবেগময় পরিবেশকে রোমান্টিকতার সাথে অসাধারণ ভাবে তুলে ধরেছেন।

আজি জ্যোৎস্নার পরশনে

কার কথা মনে পড়ে।

জ্যোৎস্না রাত শুধু যে মানুষের মনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তা নয়, এটি মানুষের মনে গভীরে চিন্তা এবং ভাবনার জন্ম দেয়। জ্যোৎস্না রাতের আলো মানুষকে তার অন্তরের গভীরে নিয়ে যায় এবং নিজের চিন্তা ভাবনা এবং অনুভূতিকে ফুটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করে। রাতের নিস্তব্ধতা যেন জ্যোৎস্নার আলোতে মুহূর্তেই নির্জনতা হারিয়ে অনুভূতির ছোঁয়া জাগিয়ে দেয়। মানুষ নিজেকে নতুন ভাবে আবিষ্কার করতে পারে।

 জ্যোৎস্না রাতের রোমান্টিকতা

জ্যোৎস্না রাতে সব সময় রোমান্টিকতার মুর্ত প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। যুগ যুগ ধরে প্রেমিক প্রেমিকার মিলনের সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হয়ে থাকে এই জ্যোৎস্না রাত। জ্যোৎস্না রাতের পূর্ণিমার আলো পরিবেশের নির্জনতা এবং প্রকৃতির নীরবতাকে যেন প্রেমের অনুভূতিকে আরো গভীর করে তোলে। চাঁদের আলোতে ভিজে যাওয়া পৃথিবীতে যেন প্রেমের এক নিঃশব্দ সাক্ষী হয়ে জেগে থাকে। পূর্ণিমার আলোতে হাতে হাত রেখে হেঁটে বেড়ানো, 

আরো পড়ুনঃ  পদ্মা সেতু-পদ্মা বহুমুখী সেতু রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

নদীর তীরে বসে থেকে চাঁদ দেখা অথবা গাছের নিচে বসে নির্জনতায় ডুবে রোমান্টিক মুহূর্তগুলোর স্মৃতিচারণ করা এক অপূর্ব অভিজ্ঞতার অনুভূতি জাগিয়ে দেয়। জ্যোৎস্না রাতে যেন সবকিছুই আরো সুন্দর, আরো রহস্যময় এবং আবেগপূর্ণ হয়ে ওঠে তাই জ্যোৎস্না রাতকে প্রেমিকদের রাত হিসেবেও অভিহিত করা হয়। আর এজন্যই হয়তো মনের অজান্তেই বলে ওঠে -

কতদিন দেখিনি তোমায়

তবু মনে পড়ে তব মুখখানি।

জ্যোৎস্না রাত গানের রাত

জ্যোৎস্না রাতের উপভোগ্য দৃশ্য বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে একাকার হয়ে আছে তাইতো আমাদের অনেক কবিতায় গল্পের বারবার চাঁদের প্রসঙ্গ আসে কবি সাহিত্যিকগণ এই রাতে তাদের কবিতার উপকরণ খুঁজে পান গানের সুর ফুটিয়ে তোলার জন্য জোসনা রাত বড় ময়মন্ত চন্দ্র আলোকিত রাত্রে সবার প্রাণে গানের সুর বেজে ওঠে তাইতো প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম জ্যোৎস্না রাত নিয়ে গেয়েছেন

প্রিয় এমন রাত যেন যায় না বৃথায়

মালা - চন্দন ফুলে ওই বাসর সাজায়।

জ্যোৎস্না রাতের ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট

জ্যোৎস্না রাত শুধু কবি সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, এটি বিভিন্ন ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ও বিশেষ অর্থ বহন করে বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে জ্যোৎস্না রাত বিশেষ পবিত্র রাত হিসেবে পরিচিত। বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয় এই পূর্ণিমা রাতকে কেন্দ্র করে। তাদের বিশ্বাস এই দিনে বুদ্ধের জন্ম, বোধিপ্রাপ্তি এবং মহাপরি নির্বাসনের স্মরণেও পালিত হয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতীয় সংস্কৃতিতেও পূর্ণিমার রাত্রে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ পদ্মা নদী - রচনা সম্পর্কে জানুন

তারা শরৎ পূর্ণিমা বা কোজাগরি পূর্ণিমা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যেখানে চাঁদের আলোকে শুভ এবং পবিত্র মনে করা হয়। তারা এই রাতে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করেন কারণ তাদের ধারণা দেবী লক্ষী এই রাতে অবতীর্ণ হন এবং মানুষের মঙ্গল কামনা করেন। এছাড়াও হিন্দু ধর্মে রক্ষাবন্ধন, হোলি এবং শারদীয়ার মত বিভিন্ন উৎসব পালন করা হয়।

চাঁদের আলোয় হারিয়ে গেল রাতের অভিমান

আদর করে জ্যোৎস্না নামে জমির সীমানায়।

 একটি চন্দ্রালোকিত রাতের অভিজ্ঞতা

এমন চাঁদের আলো

দেখে যদি মরি সেও অনেক ভালো

সে মরন হবে আমার স্বর্গের সমান।

সন্ধ্যায় যে চাঁদ দেখা যায় তা পূর্ব আকাশে থেকে পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে। তারপর রাতের অন্ধকার নেমে আসে। অন্ধকার মানুষের মনের বেদনাকে যেন জাগিয়ে তুলে। আনন্দ-বেদনায় সকল স্মৃতি যেন রমন্থন করে আমার ভেতরে একটা গুরু গম্ভীর ভাব অবরুদ্ধ আবেগে কান্নাকাটি বেরোতে চায় আবার জ্যোৎস্না রাতের পড়তে নিবিড় শান্তি বিরাজ করে। রাত যত গভীর হয় জোছনার আলো যেন আরো স্পষ্ট হতে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ গ্রাম্য বাজার - রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

কুয়াচ্ছন্ন চন্দ্রালােকিত রাত চারিদিকে কোন সাড়া শব্দ নেই শুধু আমি একা জেগে আছি। রূপালী জোসনায় কোয়াশার সাদা বসন পড়ে কোন এক নারী দাঁড়িয়ে আছে দূর আকাশে। রাত্রির নিস্তব্ধতা যতই বেড়ে যায় দূরের শব্দগুলো যেন স্পষ্ট হতে থাকে আমার কাছে। আমি উপলব্ধি করতে থাকি আকাশে যেন অনন্তকাল ধরে চাঁদ তার আলো ছড়াচ্ছে শুধু আমি একা চাঁদের সাক্ষী হয়ে জেগে আছি। হয়তো আসবে এমন এক সময় এই চাঁদনী রাত।

পৃথিবীর সবকিছু থাকবে আর আমি চিরতরেই বিগত হয়ে যাব এ কথা ভাবতেই যেন আমার মনে শিহরণ জেগে ওঠে, কি যেন এমন এক ভাবনা যেখানে নেই কোন সাংসারিক চিন্তা, আছে শুধু অনাবিল শান্তি আর আনন্দ ভুবনে মহাদিপ্ত জ্যোৎস্না স্নিগ্ধ প্রকৃতির সঙ্গে মনের আনন্দ।

আধুনিক জীবনের জ্যোৎস্না রাতের প্রভাব

বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আর এই প্রযুক্তির যুগে মানুষ এতটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে যে প্রকৃতির সাথে আর তেমন কোন যোগাযোগই ঘটে না। কিন্তু এখনো জ্যোৎস্না রাত আমাদের মন কে আকর্ষণ করে বিশেষ করে যখন শহরের কোলাহল থেকে আমরা দূরে কোন নির্জন স্থানে পূর্ণিমার রাত দেখতে আসি তখন আমরা যেন সেই পুরনো পৃথিবীতেই ফিরে যায় যেখানে আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল।

আরো পড়ুনঃ কৃষি কাজে বিজ্ঞান - রচনা সম্পর্কে জানুন

কিন্তু জ্যোৎস্না রাতকে মলিন করে দেয় শহরের কৃত্রিম আলো গুলো। পূর্ণিমার রাতের সৌন্দর্য আর তেমনভাবে উপভোগ করতে পারা যায় না তবুও কিছুক্ষণ যদি আনমনা ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে চাঁদের আলো অনুভব করা যায় তাহলে মনের ভিতর এক অসাধারণ প্রশান্তি আসে। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততার মাঝেও আমাদের মনের প্রকৃতির ভালোবাসা এবং প্রশান্তি ফিরিয়ে আনে।

উপসংহার

চন্দ্রালোকিত রাত আমাদের জন্য প্রকৃতির একটি বিশেষ উপহার। এই রাতে যেন পৃথিবী এক নতুন রূপে ধরা দেয় আমাদের মাঝে। সবকিছুই শান্ত, সুন্দর এবং রহস্যময় হয়ে ওঠে। জ্যোৎস্নার আলোতে আমাদের মনকে প্রশান্তি দেয়, আমাদের চিন্তা, ভাবনা, গভীরতা এবং আমাদের আত্মাকে জাগ্রত করে। জ্যোৎস্না রাতের সৌন্দর্য শুধু আমাদের চোখেই ধরা পড়ে তা নয় আমাদের অন্তর আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যায়। তাই পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে পৃথিবীর সমাপ্তি পর্যন্ত জ্যোৎস্না রাত মানুষের মনের কল্পনা, অনুভূতি এবং সৃষ্টির অন্যতম প্রেরণা হয়ে আছে এবং থাকবে আর এজন্যই হয়তো কবি জন কিটস বলেছেন -

তোমার পদে এ মিনতি করি দয়াময়

আমার মরন যেন চাঁদনী রাতে হয়।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url