বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

আমি আজকে আমার এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব এবং সেই সাথে আপনারা জানতে পারবেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডডেবল সেক্টর কোনটি! আপনারা আপনাদের পছন্দমত সেক্টর বেছে নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

Image

এছাড়াও আপনারা কিভাবে অনলাইনে কাজ করে ঘরে বসে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন সে বিষয়গুলো ও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাই আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তা জানতে হলে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং নামক শব্দটির সাথে আমরা প্রায় সকলেই কমবেশি পরিচিত। আর যারাই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের কথা ভাবেন তাদের মাথায় প্রথমে একটি প্রশ্ন আসে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪। তাই আমি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজগুলো নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা সকলেই জানেন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা হলো ফ্রিল্যান্সিং পেশা।

একজন ছাত্র হোক বা একজন চাকরিজীবী হোক তার কাজের পাশাপাশি ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে খুব সহজে ভালো মানের আয় করতে পারেন। কিন্তু এই ফ্রিল্যান্সিং করার আগে আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে আর তা হলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ আপনি যখন কষ্ট করে কোন কাজ করবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে কোন কাজের চাহিদা বর্তমান বাজারে সবচেয়ে বেশি। আর আমি এ সম্পর্কে কিছু কাজের নমুনা তুলে ধরব যা অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর স্থায়ী হবে এবং আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় জানুন

অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখেন কিন্তু বর্তমান সময়ের চাহিদা অনুপাতে না শিখলে তাদের মনে হয় আমি কাজ শিখলাম এত কষ্ট করে, কোর্স করলাম কিন্তু আমি মার্কেট প্লেসে কোন কাজ পাচ্ছি না, তাহলে কাজ শিখে আমার কি লাভ হল! তাই সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ না শিখেন তাহলে কাজ শিখে আপনার মোটেও কোন লাভ হবে না। তাই আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের এমন কিছু কাজ শিখতে হবে যার ডিমান্ড মার্কেটে অনেক বেশি।

তাহলে আসুন, এবার আমরা জেনে নিই বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজগুলো রয়েছে অর্থাৎ বর্তমানে সবচেয়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতের ডিমান্ডটেবল কাজগুলো আলোচনা করা যাক।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ। মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং হল একটি মহাসমুদ্রের নাম অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো সেক্টর এক সঙ্গে শিখতে পারবেন। যেখানে আপনাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ অংশ শেখার কোন প্রয়োজনীয়তা নেই।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি নির্দিষ্ট সাইট নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি প্রতি মাসে ঘরে বসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অনেক কিছু সাইট রয়েছে যেখানে আপনি খুব ভালোভাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হয়ে উঠতে পারেন।

এছাড়া আপনি অনেক সময় গুগলে রিচার্জ করে শিখতে পারেন অথবা ইউটিউবে রিচার্জ করেও শিখতে পারেন যে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর কোনটি? তবে আপনি অনলাইনে সার্চ করে সঠিকভাবে শিখতে পারবেন না, এক্ষেত্রে আপনার ভালো হবে যদি আপনি কোন কোর্সে গিয়ে সঠিকভাবে কোর্স করতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং

কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এর মধ্যে যদি আপনি কোন জনপ্রিয় flancing কাজ করতে চান তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং হল আপনার জন্য উপযোগী একটি কাজ। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং করেও ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশ সফল হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বাংলা বা ইংরেজিতে যে কোন ভাষায় কনটেন্ট লিখতে পারেন। অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং জগতে যেমন আপনি যে কাজ করবেন তার বিনিময়ে আপনাকে বায়াররা টাকা দেবে 

কিন্তু কনটেন্ট রাইটিং হল এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনি একটি কনটেন্ট লিখে রাখলে সেই কনটেন্ট যতদিন ক্লিক হবে আপনার ইনকাম ততদিন চলতে থাকবে। তাই আপনি কন্টেন্ট রাইটিং বা ওয়েবসাইট থেকে ব্লগিং করার মাধ্যমে বেশ ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

ভিডিও এডিটিং হলো বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতের একটি জনপ্রিয় এবং ডিমান্ডটেবল সেক্টর যদিও ভিডিও এডিটিং কাজটা বেশ পুরনো এবং পূর্বে ততটা জনপ্রিয় ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এই ভিডিও এডিটিং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আমরা ফেসবুক, ইউটিউব এ বিভিন্ন ধরনের শর্ট ভিডিও গুলো দেখতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি আর এই শর্ট ভিডিও গুলোই আপনি আপনার মনের মতো করে ডিজাইন করে দিতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ  গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন বিস্তারিত

বর্তমান সময়ে যেভাবে শর্ট ভিডিও জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আপনি যদি সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারেন তাহলে আগামী বছরগুলোতেও ভিডিও এডিটিং এর কর্মক্ষেত্রে আপনি বেশ সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। আর আপনি যদি একজন সঠিক ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে আপনি এর মাধ্যমে অনেক ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন 

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টর অর্থাৎ গ্রাফিক ডিজাইনও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মত মার্কেটপ্লেসে একটি বড় জায়গা দখল করে আছে। তাই আপনি যদি একজন ক্রিয়েটিভ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনায়াসে গ্রাফিক ডিজাইন এর মত কাজ করতে পারেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডলার আয় করা যায় গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন হল নিজের চিন্তা ভাবনাগুলোকে এবং নিজের অনুভূতিগুলোকে ডিজাইনের মাধ্যমে প্রকাশ করে তোলা এবং ডিজাইন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ক্রিয়েটিভ সম্পন্ন হতে হবে। আর বর্তমানে লোগো ডিজাইন হল সবচেয়ে ডিমান্ডে একটি কাজ যার মাধ্যমে আপনি প্রতি ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ ডলার চার্জ করতে পারবেন। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপমেন্ট হল ঘরে বসে ভালো পরিমাণে ইনকাম করার জেনারেট। আপনি এটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে ও ঘরে বসে ইনকাম করতে পারবেন। আমরা গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ পেয়ে থাকি আর এই অ্যাপগুলো আপনি আপনার মনের মত অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন এবং সেটাকে প্লে স্টোর মুক্ত করে google এডসেন্সে অ্যাড দেখানোর মাধ্যমে সেখান থেকে আপনি বেশ ভালো মাপের ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

ডাটা এন্ট্রি

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে তার মধ্যে ডাটা এন্ট্রি হল অন্যতম। যদি ও বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রির চাহিদা একটু কমে গিয়েছে কিন্তু আপনি নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং জগত শুরু করতে পারেন। কারণ ডাটা এন্ট্রি হল ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে সহজতর কাজ। এক্ষেত্রে আপনি যদি একটু ভালো টাইপিং করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি মাইক্রোসফট এক্সেল বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা থেকেই আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডাটা এন্টির কাজ করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট ডিজাইন

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ওয়েব ডেভলপারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আর ওয়েব ডিজাইন হল সবচেয়ে ডিমান্ডেবল একটি কাজ। দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন কর্পোরেট কোম্পানি রয়েছে যারা প্রতিটি বিজনেসে এখন নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকে আর এই ওয়েবসাইট গুলো ডিজাইন করে থাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ডিজাইনাররা। আর আপনি যদি একজন সঠিক ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে আপনিও অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পেতে পারেন এবং এর মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে উপরোক্ত আলোচিত ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো ছাড়াও আপনি আরো যে সকল কাজ করে ভালো ইনকাম করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং জগতে যে সকল কাজের বেশ চাহিদা রয়েছে সেগুলো হলো-

  • এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ইউ এক্স বা ইউ আই ডিজাইনার
  • কপিরাইটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
  • ভয়েজ ওভার
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ডাটা এনালাইসিস
  • ট্রান্সলেটিং
  • ট্রান্সক্রাইবিং

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে গেলেই আমাদের মাথায় আসে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি! তাই ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখার আগে আপনাদের জেনে নিতে হবে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কোনটি? মনে রাখবেন, ফ্রিল্যান্সিং পেশা হলো বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মানেই হলো একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি কোথাও না গিয়ে ঘরে বসে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।

আপনি আপনার যখন ইচ্ছা তখন কাজ করতে পারবেন এবং যখন ইচ্ছে করবে না তখন আপনি কাজ করবেন না এই স্বাধীনতাটা আপনি একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং জগতে গিয়ে করতে পারবেন। কারণ আপনি সেখানে পুরো স্বাধীন এবং স্বাধীনভাবে ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি একটু মনোযোগের সাথে কাজ আকড়িয়ে ধরেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনি বেশ ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট - জেনে নিন

এখন আপনি কাজ শেখার আগেই আপনাকে জেনে নিতে হবে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪। আর এই বিষয়টা যদি আপনার জানা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং জগত থেকে কাজ নিতে পারবেন এবং বেশ ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বর্তমান সময়ে কোন কাজগুলো সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডেব।

  • এসই ও কনসালটেন্ট ( SEO Consultant)
  • কার্টুন আর্টিস্ট (Cartoon Artist)
  •  কিওয়ার্ড রিসার্চ (Keyword research )
  • মার্কেট রিসার্চ (Market research)
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (Virtual Assistant)
  • ড্রপ শিপিং (Drop shipping)
  • ই-বুক রাইটার ( E - Book writer)
  • এডিটর (The Editor)
  • লিড জেনারেশন (Lead Generation)
  • ফিকশন রাইটার (Fiction Writer)
  • বুক ডিজাইনার ( Book Designer)
  • ঘোস্ট রাইটার (Ghost Writer)
  • ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট (Wordpress Expert)
  • রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার (Resume and Cover Letter Writter)

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফ্রিল্যান্সিং করার পূর্বেই অনেকেই যারা বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কততম বা ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ২০২৪ এসব প্রশ্ন উপস্থাপন করে থাকেন বা জানতে চান। মনে রাখবেন, বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারেরাও কিন্তু আর পিছিয়ে নেই।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন

 আর এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে অতি অল্প খরচে কাজ করানো সম্ভব হয়। ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত এই বিষয়ে সম্প্রতি একটি জরিপে বলা হয়েছে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের অবস্থান রয়েছে ২৯ তম স্থানে। তাহলে নিশ্চয়ই এবার বুঝতে পেরেছেন ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এবং এই সফল ফ্রিল্যান্সাররা বাংলাদেশ নিয়ে আসছে অনেক রেমিটেন্স। 

আর আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অবশ্যই এই কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।মনে রাখবেন, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অনেক দক্ষতা রয়েছে এবং তারা বায়ারদের কাছ থেকে কাজগুলো নিয়ে সঠিকভাবে কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে যার কারণে মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

অনলাইনে ইনকাম করা বলতে আমরা ফ্রিল্যান্সিং জগতকে বুঝে থাকি। আর আমি বর্তমান সময়ের অনলাইন কাজের অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং কাজের কিছু বিষয় নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি এবং আমি আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? আর আপনি যদি আমার উপরের আর্টিকেলগুলো পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষন জানতে পেরেছেন যে অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি রয়েছে। 

আপনি পড়াশোনা করেন আর চাকরি করেন এর পাশাপাশি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং নিজেই হয়ে উঠতে পারবেন স্বাবলম্বী এবং এর পাশাপাশি আপনি যদি ইচ্ছা করেন তাহলে উদ্যোক্ত হয়ে উঠতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং মন স্থির করে কাজ করার প্রবণতা। আর আপনি যদি দৃঢ় সংকল্প হয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবচেয়ে বেশি কাজের চাহিদা রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আর যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বড় একটি মার্কেট প্লেস তাই এখানে যে কোন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আপনি কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের মধ্যে যেমন ডিমান্ডেবল সেক্টর রয়েছে ঠিক তেমনি একইভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যেও বেশ কিছু জনপ্রিয় সেক্টর রয়েছে যেগুলো শেখার মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে পারবেন 

এবং ঘরে বসেই প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ২০২৪ -

  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ফেসবুক মার্কেটিং
  • ইউটিউব মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • গুগল এডসেন্স
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • ব্লগিং
  • ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • গুগল এডভাইজারমেন্ট
  • লিড জেনারেশন
  • ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা আর এর প্রধান কারণ হলো ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা। যে কাজ আপনি ঘরে বসে অনায়াসে করতে পারবেন তাই ফ্রিল্যান্সিং।ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি এগুলো আপনাকে জেনে সঠিকভাবে কাজ শিখতে হবে এবং আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি কাজ বেছে নিয়ে সেই কাজের ওপর আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 

মনে রাখবেন, বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আর এই যুগে আপনি অবশ্যই নিজেকে সেই ভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করবেন। তো আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর কতগুলো সেক্টর আছে কি কি?

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট
  • এন্ড্রয়েড অ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী পুরুষের অংশগ্রহণের শতকরা হার কত ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিং হল এক এমন একটি পেশা যা একজন মানুষ ইচ্ছে করলে ঘরে বসেই কাজ করতে পারে যার কারণে ফ্রিল্যান্সিং কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই কাজের চাহিদাই শুধু ছেলেরা এগিয়ে আছে তা নয়. মেয়েরাও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের মেয়েরা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো ফ্রিল্যান্সিং জগতে ততটা উন্নতি করতে পারেনি যতটা পুরুষেরা করতে পেরেছে।

আরো পড়ুনঃ  মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় - জেনে নিন

এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং জগতে বাংলাদেশে পুরুষদের সংখ্যা হল ৬৪ ভাগ এবং নারীর দের সংখ্যা রয়েছে মাত্র নয় ৯ শতাংশ। তবে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নারীরা ও ফ্রিল্যান্সিং জগতে বেশ উন্নতি করবে বর্তমান গবেষণা থেকে এমনটি আশা করা যায়। তাহলে নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পারছেন ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে এবং কি কি? ফ্রিল্যান্সিং এর মত জনপ্রিয় একটি সেক্টরে এখন পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা ও এগিয়ে এসেছেন এবং তারা টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছেন।

শেষ কথাঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমি আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪। আপনারা যদি আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন। আর আপনারা যদি আমার আর্টিকেল পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আশা করি একটি কাজের সঙ্গে আপনারা নিজে যুক্ত হবেন এবং নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এ নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর

বাংলাদেশে কত লক্ষ এ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে?

বর্তমানে বাংলাদেশে এ্যাক্টিভ ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা রয়েছে ১০ লক্ষ।

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর কোনটি?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সবচেয়ে জনপ্রিয় সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের হার কত?

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের পুরুষের সংখ্যা হল শতকরা ৪৩ ভাগ এবং নারীর সংখ্যা হল শতকরা ৫৭ ভাগ।

মেয়েরা কি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে?

মেয়েরা অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে। মনে রাখবেন, মেয়েরা ছেলেদের চাইতে সবচেয়ে বেশি ঘরে থাকে আর ফ্রিল্যান্সিং হল এমন একটি কাজ যা বাইরে না বের হয়ে ঘরে বসেই সফলতার সাথে করা যায় তাই একজন নারী যদি ইচ্ছে করেন তাহলে তিনি ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করতে পারেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য আপনার কোন নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা থাকে না আপনি যখন  সংসারের কাজের পাশাপাশি সময় পাবেন তখন আপনার কাজ আপনি করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  ইউটিউব মার্কেটিং কি - ইউটিউব মার্কেটিং করে কিভাবে সফল হবেন জানুন

আর এক্ষেত্রে মেয়েরা যদি ইচ্ছে করে তাহলে তারাই সবচেয়ে সফল ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠতে পারে এক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছা শক্তি এবং ধৈর্যের প্রয়োজন। সারা বিশ্বে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং জগতে এগিয়ে রয়েছে। তাই আপনি একজন বাংলাদেশী মেয়ে হিসেবে নিজেকে অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসাবে তৈরি করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনি যদি শ্রম দেন তাহলে কখনোই আপনার শ্রম বৃথা যাবে না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url