মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জেনে নিন

বর্তমানে সময়ে প্রায় প্রত্যেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন আর আপনারা আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে কিভাবে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম।

Image

আমি আজকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম ছবিসহ বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আপনারা যদি আমার এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম বিস্তারিত জানতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ - ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম

অনলাইনে কাজ করে আয় করার জন্য ফাইবার হচ্ছে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট। বিশ্বের সকল দেশের বায়াররা ফাইবার থেকে কাজ করে নেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন এর প্রধান কারণ হলো ফাইবারে স্বল্প মূল্যে কাজ করানো যায়। আবার যদি মোবাইলে ফাইবার অ্যাপস থাকে তাহলে খুব সহজে নিজস্ব মোবাইল দিয়ে ও ফাইভারে কাজ করা যায়। আর আপনি যদি ফাইবারে কাজ করতে চান তাহলে আপনি আপনার মোবাইলের মাধ্যমে এই কাজ করতে পারবেন।

শুধু যে অনলাইনে কাজ করতে হলে কম্পিউটারের দরকার হয় তা নয়, আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েও অনায়াসে কাজ করতে পারবেন। আজকাল ফাইবারে অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে কাজ করে অনেক অর্থ উপার্জন করছে আর এর জন্য প্রয়োজন শুধু সঠিক দিকনির্দেশনা এবং দক্ষতা। ফাইবারে কাজ করতে হলে আপনাকে ফাইবার অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে অর্থাৎ একজন বেসিক লেভেলের ফ্রিল্যান্সার বা বিগিনার ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে অতটাও অবগত নয়। 

আরো পড়ুনঃ  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

তাই আজকে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম সংক্রান্ত সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে আপনি ফাইবার থেকে কাজ পেতে পারেন কারণ ফাইবার হলো এমন একটি মার্কেটপ্লেস এখানে কাজ পাওয়া খুব সহজ। আর এখানে কাজের জন্য আপনাকে খুঁজতে হবে না বায়াররা আপনাকে খুঁজে কাজ দিবেন। এখানে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো আপনি কি কি কাজ করতে পারেন তা আপনাকে ফাইবার একাউন্টের প্রোফাইলে সাজিয়ে রাখতে হবে। 

যেভাবে আপনার কাজের নমুনা সাজিয়ে রাখবেন সেটিকে বলা হবে ফাইবার গিগ। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার তারা নতুন অবস্থায় একটি ফাইবার একাউন্ট থেকে সাত ৭ টি গিগ খুলতে পারবেন। আপনি যে কাজ পারেন তার ছবি ও বর্ণনা সহ গিগে প্রদর্শন করবেন। গিগ তৈরি কমপ্লিট হলে আপনার কাজ হল অনলাইনে থাকা। ফাইবারে নিজস্ব মোবাইল অ্যাপ থাকার কারণে অনলাইনে আপনি অনেকক্ষণ থাকতে পারবেন আপনাকে মোবাইল ডাটা কানেকশন অন করে রাখতে হবে এবং ফাইবার অ্যাপটিও ওপেন করে রাখলেই হবে। 

যখন কোন বায়ারের আপনার গিগ পছন্দ হবে তখন বায়াররা আপনাকে মেসেজ করবে আপনি যত তাড়াতাড়ি সেই মেসেজের উত্তর দিতে পারবেন ততই কাজ করা সম্ভব না বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে সবসময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে জানতে হবে ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি এবং ইনকাম আপনি বেশি করতে পারবেন। তাই কাজের পাশাপাশি ফাইবারের কাজের নিয়মগুলো ও আপনাকে জেনে রাখতে হবে। 

কারণ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে ও কাজ করার কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে যে নিয়মগুলো মেনে সকল ফ্রিল্যান্সারকে কাজ করতে হয়। তাই মোবাইল দিয়ে কাজ করার পাশাপাশি যে বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি আমি সবগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ফাইবার কি

ফাইবার (fiverr) হল ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস আর এই ফাইবার হচ্ছে এমন একটি মার্কেট প্লেস যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ করিয়ে নেওয়া হয় এবং তার বিনিময়ে অর্থ প্রদান করা হয়। সারা পৃথিবীতে যত বড় বড় অনলাইন প্লাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস রয়েছে তার মধ্যে ফাইবার হচ্ছে অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম। এখান থেকে ক্লাইন্টরা খুব সহজেই বায়ারের কাছ থেকে কাজ করিয়ে নেন আর এই কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সাররা তাদের স্কিল অনুযায়ী ফাইবার মার্কেটপ্লেসে একটি পোর্টফোলিও সহকারে প্রফেশনাল মানের একাউন্ট তৈরি করে থাকে। 

পরবর্তীতে সেই অ্যাকাউন্টটি ভিজিট করে বিভিন্ন দেশের বায়াররা তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। ফাইবার একটি মার্কেটপ্লেস এবং এই মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বায়াররা এবং সেলার এর মধ্যে একটি চুক্তি সংঘটিত হয় এবং এই  চুক্তির মাধ্যমে একজন বায়ার তার ফ্রিল্যান্সারকে কাজের অর্ডার দিয়ে থাকেন। ফ্রিল্যান্সাররা কাজটি সম্পূর্ণভাবে করার পর সেলার ফাইবারের মাধ্যমে কাজটি বায়ারের কাছে জমা দিয়ে থাকেন তবে এক্ষেত্রে ফাইবার কমিউনিটি মধ্যস্থল থেকে একটি কমিশন নিয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় জানুন

ফাইবার (fiverr) ১৯১০ সালে যাত্রা শুরু করেছিল ইজরাইলের একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে ৩০ লক্ষ সেবা নথিবদ্ধ হয়েছিল আর এই ফাইবারের প্রতিষ্ঠাতা হলেন দুইজন এবং তারা হলেন মিকা কাফম্যান এবং সিই উইনারার। ফাইবার (fiverr) মার্কেটপ্লেস এ ফ্রিল্যান্সাররা অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে গিগ গুলো সাজিয়ে রাখেন এবং সেই গিগগুলো একজন বাইরে চোখে পড়লে যদি তার কাজগুলো পছন্দ হয় সেক্ষেত্রে তিনি বায়ার সেলার এর সাথে কমিউনিকেশনের মাধ্যমে কাজের অর্ডার দিয়ে থাকেন। 

আর এজন্যই একজন ফ্রিল্যান্সার কে অবশ্যই ফাইভারে একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে হবে এবং মোবাইল দিয়ে যদি ফাইবারে কাজ করতে চান তাহলে কি কি ধরনের কাজ মোবাইল দিয়ে ফাইবারের আওতায় করা সম্ভব সে সম্পর্কেও আপনাকে জানতে হবে। তাই আপনি যদি ঘরে বসেই ফাইবারে অ্যাকাউন্ট করে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কাজের ক্যাটাগরি সঠিকভাবে শিখে নিন।

ফাইবার এর কাজ কি

আমি আপনাদের সামনে ফাইবার সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আশা করি এতক্ষণে আপনারা ফাইবার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পেরেছেন। তাহলে আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক ফাইবারের কাজকি! ফাইবার হল বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে একটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং এই মার্কেটপ্লেসে ফ্ল্যান্সার এবং বায়ারদের মার্কেটপ্লেস হিসাবেও পরিচিত। কারণ এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার বায়ারের নিকট থেকে কাজ নিয়ে থাকেন। 

মনে করুন, একজন ফ্রিল্যান্সার সর্বপ্রথম ফাইবারে একাউন্ট ক্রিয়েট করে সেখানে তার সার্ভিস অনুযায়ী একটি গিগ পাবলিশ করল এক্ষেত্রে ফাইবারের বায়ারগণ বিভিন্ন কাজ করে নেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সাররা ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে তাদের গিগ গুলো পাবলিশ করে থাকে। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের গিগ গুলো যদি বায়ারদের পছন্দ হয় তাহলে বায়ারগণ তাদের কাজগুলো ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে থাকেন এবং এর মাধ্যমে তারা ফ্রিল্যান্সারদের একটি অর্থ প্রদান করেন।

আর এভাবেই একজন ফ্রিল্যান্সার ফাইবার একাউন্ট থেকে বায়ারের নিকট থেকে বিভিন্ন কাজের অর্ডার নিয়ে থাকেন এবং কাজগুলো শেষ হওয়ার পরে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দেন এবং তার বিনিময়ে তারা যে অর্থ পান তারা নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরে সেই টাকাগুলো উইথড্র করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে স্মার্টফোন হাতে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে আপনারা শুনে খুশি হবেন যে এই মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি ঘরে বসেই মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ফাইবার সেক্টরে এমন অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার শুধু প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট। 

আরো পড়ুনঃ  গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন বিস্তারিত

মোবাইলের মাধ্যমে ফাইবারে কাজ করে আজ অনেকেই ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছে এক্ষেত্রে আপনার হাতেও যদি একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলে মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন এবং মাসে কমপক্ষে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ইনশাল্লাহ। তবে সেই কাজগুলো করার জন্য আপনার দক্ষতার প্রয়োজন হবে এবং এই কাজ সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে 

যাতে করে আপনি যথাযথভাবে এই কাজগুলো করতে পারেন। তাহলে আসুন আর দেরি নয় এখনি জেনে নেওয়া যাক কিভাবে মোবাইল ফোন দিয়ে ফাইবারে কাজ করা যায় -

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
  • মিডিয়া মার্কেটিং
  • লোগো ডিজাইন
  • ফটো এডিটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ভয়েস ওভার over
  • ভাষা ট্রান্সলেট করে আয়
  • ইউটিউব থাম্বেল ডিজাইন

ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম 

আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনাল ভাবে একটি ফাইবার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। কারণ ফাইবার মার্কেটপ্লেসে লগইন করলে দেখবেন সেখানে যে সকল টপ লেভেলের ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন তাদের প্রোফাইল এবং গিগগুলো কতটা প্রফেশনাল মানের। সুতরাং একজন ফ্রিল্যান্সার যদি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেন এবং আপনার একটি প্রফেশনাল মানের ফাইবার একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনি কাজ শিখেও মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ পাবেন এর নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল।

তাই ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই মানসম্মত একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে এবং সেখানে গিগ পাবলিশ করতে হবে। আর এজন্যই আজকে আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়মটি জানানোর চেষ্টা করব। আশা করি আমার এই আজকের আর্টিকেল পড়ার পর আপনারা নিজেরাই নিজেদের ফাইবার একাউন্টে একটি মানসম্মত অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন এবং পাবলিশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাদের যা প্রয়োজন হবে তা হল -

  • প্রফেশনাল ইমেইল (Professional Email)
  • প্রফেশনাল প্রোফাইল ফটো (Professional Profile Photo)
  • লিংকডিন অ্যাকাউন্ট (Linkedin Aaccount)
  • ফোন নাম্বার (Phone Numbear)
  • পারফেক্ট পোর্টফোলিও (Perfect Portfolio)

ফাইবার একাউন্ট খোলার প্রথম ধাপ

সর্ব প্রথমে আপনাকে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোনের গুগল সার্চ বারে গিয়ে লিখতে হবে fiverr.com এবং সার্চ করার সাথে সাথে আপনার সামনে এটি ওয়েবসাইট শো করবে এবং সেখানে আপনি যদি ক্লিক করেন তাহলে আপনার সামনে একটি নিচে দেওয়া ছবির মত ইন্টারফেস আসবে। নিচের ছবিতে লক্ষ্য করুন ছবির ঠিক ওপরের ডান কর্নারে একটি "Join" নামক বাটন আছে উক্ত বাটনটিতে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। ছবির গান কর্নারে তির চিহ্ন দিয়ে "Join" নামক বাটন টি দেখানো হয়েছে।

(আমি আমার আর্টিকেলের প্রত্যেকটা ছবি ফাইবার একাউন্ট থেকে নিয়েছি। আমি একাউন্ট খুলতে গিয়ে যে ছবিগুলো আমার সামনে প্রদর্শিত হয়েছে আমি সেই ছবিগুলোরই স্ক্রিনশট আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আপনারাও যদি ফাইবারে অ্যাকাউন্ট করতে চান তাহলে আপনাদের সামনেও এই ছবিগুলোই প্রদর্শিত হবে)।

Image


ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার দ্বিতীয় ধাপ

আপনি "Join" বাটনে ক্লিক করলে আপনার সামনে আরো একটি নতুন ড্যাশবোর্ড আসবে এই ড্যাশবোর্ডে ওপরের অংশে লেখা থাকবে কন্টিনিউ উইথ গুগল () এবং নিচের অংশে লেখা থাকবে কন্টেনিউ উইথ email । আপনাকে কন্টিনিউ উইথ ইমেইলে ক্লিক করতে হবে।


ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় ধাপ

"Continue with email" নামক বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে নিজের নিচে প্রদর্শিত একটি ইন্টারফেস আসবে। এখানে আপনাকে আপনার ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিতে হবে পাসওয়ার্ডটি দেওয়ার সময় আপনাকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে এবং ইমেইল যখন দিবেন তখন আপনি যে ইমেইলটি বেশি ব্যবহার করেন অর্থাৎ ভেরিফাই ইমেইল আপনাকে দিতে হবে। মনে রাখবেন, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় অবশ্যই ৮ ক্যারেক্টার হতে হবে। এখানে আপনার পাসওয়ার্ডের নিচে একটি বক্স থাকবে এই বক্সের চারটি অপশন থাকবে এখানে নির্দেশনা রয়েছে আপনাকে কিভাবে পাসওয়ার্ড দিতে হবে।


ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খোলার চতুর্থ ধাপ

কন্টিনিউ (Continue) এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে নতুন আরেকটি ইন্টারফেস আসবে এখানে আপনাকে ফাইবারের নিয়ম অনুযায়ী একাউন্টের একটি ইউনিক এবং ছোট নাম রাখতে হবে এবং এখানে আপনাকে আপনার পছন্দ এবং প্রফেশনাল মানের একটি ফাইবার একাউন্টের নাম অবশ্যই দিতে হবে।

Image

আপনি যখন আপনার পছন্দের নামটি চয়েজ ইউজার নেম (Choose a username) এখানে লিখবেন তখন নিচে দেখবেন ক্রিয়েট মাই একাউন্ট এই অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে আর এই অপশনে ক্লিক করার পর আপনার অ্যাকাউন্টটি সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যাবে। তবে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে তা হল - আপনি ফাইবারে কম্পিউটার বা মোবাইল যে ডিভাইস দিয়ে কাজ করেন না কেন আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনাল মানের একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে এবং একাউন্টগুলো অবশ্যই ভেরিফাই করে নিতে হবে। আপনি যদি আপনার একাউন্ট ভেরিফাই করে না নেন তাহলে উইথআউট ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ফাইবার আকাউন্ট ভেরিফাই করার নিয়ম

আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান এবং ফাইবারে একাউন্ট খুলেন তাহলে শুধু একাউন্ট খুলে বসে থাকলেই হবে না আপনাকে আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই করতে হবে। আর আপনি যদি আপনার একাউন্ট ভেরিফাই না করেন তাহলে যেকোনো সময় আপনার অ্যাকাউন্টটি ডিজেবল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ফাইবার একাউন্ট আগে খুব সহজেই ভেরিফাই করা যেত কিন্তু বর্তমানে একাউন্ট ভেরিফাই এবং এপ্রুভ করাটা একটু কঠিন হয়েছে। তাই আপনি অবশ্যই একাউন্ট খোলার পর ভেরিফাই করবেন। আর এই নিয়মগুলো আমি পর্যায়ক্রমে আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে আলোচনা করলাম।

ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার প্রথম ধাপ

আপনি যদি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খোলেন তাহলে অ্যাকাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টটি ক্রিয়েট হয়ে যাবে এবং আপনি নিচে দেওয়া ফাইবার একাউন্টে একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট খোলার সময় যে ছবি দিবেন আপনার অ্যাকাউন্টটি দেখতে পাবেন। আপনার ছবির একটু নিচে প্রোফাইল "Profile" নামক একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন এখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।


ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার দ্বিতীয় ধাপ

"Profile"  এ ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরো একটি নতুন ইন্টারফেস আসবে এখানে আপনাকে প্রফেশনাল কোন ছবি বা কোন লোগো দিতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনি কোন লোগো ব্যবহার করবেন তাহলে সেটাও ওখানে দিয়ে দিতে পারেন। এরপর আপনার ডিসপ্লে নেম দিতে হবে এবং নিচে দেখবেন আপডেট Update বাটন আছে ওখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে।


ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার তৃতীয় ধাপ

আপনি যখন Update বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে একটি নতুন পেজ আসবে বা ইন্টারফেস আসবে। সেখানে আপনি আপনার যে ছবি বা লোগো ব্যবহার করেছিলেন সেই ছবিসহ একটি প্রোফাইল তৈরি হয়ে গেছে এমন পেজ দেখতে পাবেন। এখন আপনার কাজ হবে উক্ত পেজের নিচের দিকে Description নামক অপশনটি দেখুন বা খুঁজে বের করুন।

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার চতুর্থ ধাপ

মনে রাখবেন, ফাইবার প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে Description একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখানে আপনি যে বিষয়ে কাজ করবেন তা বিস্তারিত লেখা থাকবে। যদি ভালো মানের ডেসক্রিপশন লিখতে পারেন তাহলে বায়ার সেটি পড়ে আপনাকে হায়ার করবে। মনে রাখবেন, আপনি কারো কাছ থেকে কপি করে কোন ডেসক্রিপশন লিখবেন না সে ক্ষেত্রে আপনি কখনোই কোন কাজের অর্ডার পাবেন না। আপনি অবশ্যই যে কাজে দক্ষ সেই কাজের উপর ভিত্তি করে ডেসক্রিপশন Description লিখবেন।


ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার পঞ্চম ধাপ

পঞ্চম ধাপে এসে আপনাকে এড নাও "Add Now" বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং এখানে আপনি বাম পাশে স্কিলস Skills এবং ডান পাশে এড নাও "Add Now" অপশন দেখতে পাবেন। এখানে বাম পাশে থাকা স্ক্রিল Skills বাটনে ক্লিক করে আপনি কি সম্পর্কে কাজ করতে চান সেগুলো লিখতে হবে। মনে করুন আপনি ভিডিও এডিটিং নিয়ে কাজ করতে পারেন বা লোগো ডিজাইন করতে পারেন তাহলে সেই বিষয়টি আপনাকে তুলে ধরতে হবে।


ফাইবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করার ষষ্ঠ ধাপ

আপনি যখন প্রোফাইলে ছবি বা লোগো আপলোড করেছেন তখন ড্যাশবোর্ডে একটি অপশন অবশ্যই দেখেছেন যেখানে লিখা ছিল "Become a seller" আপনি এই ষষ্ঠ ধাপে ও এই "Become a seller" নামক অপশনটি দেখতে পাবেন। এবং এখানে আপনাকে ক্লিক করতে হবে এবং এখানে ক্লিক করার পর আপনাকে "Continue" বাটনে ক্লিক করতে হবে এবং আপনি যখন "Continue" বাটনে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে আরো একটি নতুন ইন্টারফেস আসবে যা নিচের দেয়া ছবির মত প্রদর্শিত হবে।


ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার সপ্তম ধাপ

ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার সপ্তম পর্যায়ে এসে আপনাকে "Seller on boarding dashboard" আসবে এবং এই অপশনটি আসার পর নিচে "Completion rate" দেখতে পাবেন। এখানে আপনাকে রেটিং এর অনুসারে কমপক্ষে শতকরা ৭০ থেকে ৮০ পার্সেন্ট ক্রেডিট নিয়ে আসতে হবে। আপনার যে নিড রয়েছে এখানে যেভাবে ইনফরমেশন রয়েছে অর্থাৎ আপনি আপনার যে ফার্স্ট নেম এবং লাস্ট নেম টি দিয়েছেন সে অনুযায়ী দিতে হবে। যদি সে ক্ষেত্রে এনআইডির NID র সাথে আপনার নামের মিল না থাকে তাহলে কিন্তু পরবর্তীতে ভেরিফিকেশন হবে না। তাই আপনি অবশ্যই আপনার এনআইডি কার্ডে যেভাবে নাম দেওয়া আছে ঠিক সেভাবেই দিবেন।


ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করার অষ্টম বা শেষ ধাপ

আপনি যখন Professional info এই পেজে আসবেন তখন আপনি Certification এবং আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চান সেই বিষয়ে আপনি কত সালে কাজ করেছেন এবং এই কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করেছেন সে অনুযায়ী আপনাকে কাজের বছর সিলেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনার কাজ শুরু করার সাল এবং কত সালে আপনি কাজ শেষ করেছেন সেই সাল সিলেক্ট করে দিতে হবে এবং এর সাথে আপনাকে অবশ্যই কমপক্ষে দুই একটা কাজের ডেমো সিলেক্ট করে দিতে হবে যেগুলো দেখলে বায়ার আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করবেন এবং সেই অনুপাতে বায়ার আপনাকে কাজ দিবেন।


আপনার যখন সবকিছু লিখা কমপ্লিট হয়ে যাবে তখন আপনি "Continue" বাটনে ক্লিক করবেন তাহলে পরবর্তী পেজে চলে যেতে পারবেন। এভাবে আপনি আপনার ফাইবার একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে পারবেন তাহলে আর আপনার অ্যাকাউন্ট ডিজেবল হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না।

ফাইবার একাউন্টে মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশন

ফাইবার অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর যেমন ইমেইল একাউন্ট ভেরিফাই করে নিতে হয় ঠিক তেমনি আপনাকে মোবাইল নাম্বার ও ভেরিফাই করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ফাইবার একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে এবং এই একাউন্টে প্রবেশ করলে আপনি "Account security" নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। উক্ত অপশনে ক্লিক করলে আপনি "Add Phone Number" নামক অপশন দেখতে পাবেন  "Add Phone Number" নামক এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার সামনে নিচে প্রদত্ত ইন্টারফেসটি চলে আসবে। 


এবং এখানে আপনার একটি সচল নাম্বার প্রদান করতে হবে এবং আপনার এই সচল নাম্বারটি দেওয়ার পরে এসএমএস এর মাধ্যমে আপনার একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে এবং এই ভেরিফিকেশন কোড আপনাকে বসাতে হবে। এবং যখন এই কোড বসানো হয়ে যাবে তখন "submit" নামক অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। এরপর ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর আপনার মোবাইলে সাকসেসফুল নামক একটি নোটিফিকেশন আসবে।



ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হয়ে যাওয়ার পর ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম অনুযায়ী ভেরিফিকেশন কমপ্লিট এই লেখাটির নিচে একটি অপশন থাকবে সেই অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। এখানে আপনাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এগুলো হলো আপনি যদি কখনো আপনার পাসওয়ার্ড ভুলে যান সে ক্ষেত্রে আপনার একাউন্টের সিকিউরিটির জন্য আপনাকে এই প্রশ্নগুলো করা হবে এবং পরবর্তীতে যেন আপনার একাউন্টের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে আপনি আপনার একাউন্ট ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। 

সবকিছু যখন সঠিকভাবে করা হয়ে যাবে তখন ক্রিয়েট গিগ অপশনে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হবে এবং আপনার একাউন্টে কোনরকম ভুল থাকলে আপনি গিগ পাবলিশ করতে পারবেন না। তাই অ্যাকাউন্ট করার সময় অবশ্যই সতর্কতার সঙ্গে আপনি একাউন্ট করবেন এবং ইমেইল ও মোবাইল নাম্বার ভেরিফাই করবেন।

ফাইবারে কাজ করার নিয়ম

ফাইবার হল বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মে কাজ করতে হলে আপনাকে মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে ধারণা রাখতে হবে। এখানে কাজ করার কিছু নিয়ম রয়েছে যে নিয়মগুলো অনুসরণ করা প্রত্যেকটি ফ্ল্যান্সারের কাজের গতিকে আরো বাড়িয়ে দিবে। তাই শুধু ফাইবার মার্কেটপ্লেসে নয়, যে কোন অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে হলে আপনার সঠিক জ্ঞান থাকতে হবে তো ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মনিটাইজেশন আপডেট - জেনে নিন

  • আপনাকে একটি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
  • একাউন্ট খোলার সময় যাবতীয় তথ্য এবং উপাত্ত সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • আপনার প্রোফাইলে খুব সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে।
  • আপনি যে কাজ জানেন শুধু মাত্র সেই কাজের পোর্টফোলিও দিতে হবে।
  • আপনি কখনো অন্যের গিট নিজের বলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না সবসময় নিজের তথ্য দিবেন।
  • আপনি আপনার যেকোন ম্যানুয়াল রিফ্রেস করার সময় পাঁচ মিনিটের মধ্যে করার চেষ্টা করবেন অটো রিফ্রেশ কখনো ব্যবহার করবেন না।
  • আপনি যখন ফাইবার মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলবেন তখন অবশ্যই নিজের ছবি বা নিজের   ডিজাইনকৃত লোগো ব্যবহার করবেন।
  • ফাইবার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য ডেসক্রিপশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই অন্যের ডেসক্রিপশন নিজের বলে চালিয়ে দিবেন না অর্থাৎ কপি করবেন না নিজে থেকে একটি ডেসক্রিপশন তৈরি করবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমরা সবাই টাকা উপার্জন করতে চাই কারণ টাকা উপার্জন করার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজের চাহিদা পূরণ করতে পারি এবং পরিবারের চাহিদা ও মেটাতে পারি। তাই আপনি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও টাকা ইনকাম করতে পারেন আর এক্ষেত্রে প্রয়োজন শুধু আপনার আগ্রহ এবং সদিচ্ছা। আপনি অন্যের তৈরি ভিডিও দেখে যে সময়টুকু নষ্ট করেন সেই সময়টুকু যদি আপনার নিজের কাজে ব্যয় করেন তাহলে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনের যেকোন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে পারবেন এর মধ্যে ফাইবার হল অন্যতম একটি মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনি একটি একাউন্ট করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আসুন আর সময় নষ্ট না করে হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়েই এবং ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url