স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় এগুলো সম্পর্কে আমাদের অনেকের জানতে ইচ্ছে করে কারণ মানুষ সবাই সৌন্দর্য পিয়াসী। সুন্দর ভাবে থাকতে সবাই পছন্দ করে। আবার একটু উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবার ভেতরেই কাজ করে মানুষ যতই জন্মগতভাবে ফর্সা হোক না কেন তার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে হলে তাকে অবশ্যই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো জানতে হবে।
আমি আপনাদের জন্য স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় হিসেবে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেমন - স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়,কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়,লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়,তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়,১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়,প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় এবং ত্বক ফর্সা করার খাবার সহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি আশা করি আপনারা উপকার পাবেন।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
প্রতিটি মানুষের মধ্যেই সুন্দর হওয়ার একটা পিপাসা রয়েছে সে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক প্রত্যেকেই সুন্দর হতে চায়। তাই প্রতিটি ব্যক্তিই চায় প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর এবং উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক পেতে। প্রতিটি মানুষই জন্মগতভাবে একজন একেক ধরনের গায়ের রং পেয়ে থাকে। কেউ ফর্সা হয়, কেউ কালো হয় কেউবা শ্যামলা হয় কিন্তু গায়ের রং চাপা হলে তা নিয়ে মন খারাপ অনেকেই করে থাকেন কারণ এখন সবাই সৌন্দর্যের পিয়াসি।
অনেকেই আবার জনগতভাবেই ফর্সা এবং উজ্জ্বল পেয়ে থাকেন কিন্তু যত্ন করার অভাবে বা রৌদ্রেপুড়ে তারা সেই উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারেনা। যার কারণে তারা বাজারে তৈরি বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে। বাজারে তৈরি কৃত্রিম ক্রিম গুলো কেমিক্যাল যুক্ত হওয়ার কারণে তা ত্বকের জন্য সব সময় উপকারী নাও হতে পারে। আবার এই সকল ক্রিমগুলো আসল নাকি নকল এ বিষয়ে অনেকেরই জ্ঞান না থাকার কারণে তারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরো পড়ুনঃ মেয়েদের চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ক্রিম
এজন্য আমি আপনাদের সামনে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় উপায়গুলো হিসেবে লেবুর রস, টক দই, চিনি, টমেটোর রস, এলোভেরা জেল, মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, শসা, কাঁচা হলুদ, বেসন, বিটরুট, ফিটকিরি, কাঁচা দুধ, টক দই বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের সবারই হাতের কাছে এই উপাদান গুলো থাকে কিন্তু আমরা জানি না কোনটার সাথে সঠিকভাবে কোনটা মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়া যায়।
তাই আমি আজকে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আপনার ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে। আপনি যদি এই টিপসগুলো সঠিকভাবে ফলো করতে পারেন এবং ধৈর্য ধরে এগুলো আপনার ত্বকে অ্যাপ্লাই করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ও ব্রাইটনেস ফিরিয়ে আনতে পারবেন খুব সহজে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো-
বিশুদ্ধ পানি পান করা
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় ওগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান উপায় হল প্রতিদিন বিশুদ্ধ পানি পান করা কারণ পানি মানুষের শরীর থেকে ঘাম এবং প্রসাবের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ গুলো বের করে দেয়। তাই প্রতিদিন একটি মানুষকে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য কমপক্ষে ছয় ৬ থেকে আট ৮ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এই পানি আপনার উজ্জ্বলতা এবং আদ্রতা বজায় রেখে আপনার ত্বককে করবে স্থায়ীভাবে ফর্সা।
ঘুম
আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হতে চান এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই। যদিও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে বলা হয়ে থাকে একটি মানুষ সুস্থ থাকতে হলে দিনে আট ৮ ঘন্টা ঘুমই যথেষ্ট কিন্তু আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে কমপক্ষে নয় ৯ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে কারণ ঘুম একটি মানুষের ত্বকে নতুন ভাবে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে এবং ঘুমের মধ্যে মানুষের কোষ গুলো পুর্ন গঠন হয়। তাই আপনি অবশ্যই চিন্তা মুক্ত ভাবে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
সঠিক খাদ্যাভ্যাস
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সঠিক উপায় হল নির্দিষ্ট সময়ে খাদ্য গ্রহণ করা। আপনাকে প্রতিদিন সঠিকভাবে খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে আর এর মধ্যে আপনাকে রাখতে হবে ফলমূল, সবুজ শাকসবজি, প্রোটিন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও আপনি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে রাখতে পারেন বাদাম, আমলকি, লেবু, কমলা, সূর্য মুখের বীজ যা আপনার ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
সানস্ক্রিন
আমাদের ত্বকের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় রোদ্রের তাপে পুড়ে কারণ রৌদ্রের তাপে আমাদের ত্বকে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনি যখন ঘর থেকে বের হবেন তখন অবশ্যই আপনার স্কিনে সহনশীল একটি সানস্ক্রিম ব্যবহার করবেন এবং সূর্যের তাপ থেকে নিজেকে একটু দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনি ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যায়াম
প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর হতে চাইলে এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান উপাদান হলো প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা। কারণ ব্যায়াম শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে যাতে আপনার ত্বকের কোষ গুলো পুষ্টি যোগায় এবং এতে আপনার ত্বক হয়ে ওঠে স্থায়ীভাবে ফর্সা এবং কোমল।
মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক জিনিস সবসময়ই বেস্ট। আপনি যত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ থেকে আপনার ত্বককে দূরে রাখবেন আপনার ত্বকের সৌন্দর্য ততটাই স্থায়িত্ব পাবে এবং আপনি আপনার সৌন্দর্য অনেকদিন ধরে রাখতে পারবেন।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
এমন মানুষ নেই যে ফর্সা এবং সুন্দর হতে চান না কিন্তু কৃত্রিমভাবে আপনি যদি কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ফর্সা হয়ে থাকেন তাহলে সেই ত্বক আপনার স্থায়ী হবে না তাই অনেকেই জানতে চান ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়। এক্ষেত্রে আমি আপনাদের জনক কিছু টিপস শেয়ার করছি যে কোন অনুসরণ করলে আপনি ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো পেয়ে যাবেন এবং আপনার ত্বকে ফর্সা করতে পারবেন এগুলো হলো-
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান উপাদান হল নিয়মিত দুধ পান করা কারণ দুধের মধ্যে রয়েছে সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান যাকে বলা হয় খাদ্য প্রাণ আর এগুলো ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়। তাই আপনি অবশ্যই প্রতিদিন দুধ পান করার চেষ্টা করুন।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় উপায় গুলোর মধ্যে আপনি কাঁচা হলুদ বেছে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, কাঁচা হলুদের দুধকে বলা হয়ে থাকে গোল্ডেন মিল্ক কারণ কাঁচা হলুদের রসে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি যা আপনার ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দিয়ে ভেতর থেকে ত্বকে উজ্জ্বল করে। আবার আপনি প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধের সাথে এক চামচ হলুদ মিশে খেতে পারেন এতেও আপনি উপকার পাবেন।
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত কলা খাওয়ার উপকারিতা - কলা খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
আপনি আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করার জন্য বিটরুটের জুস করে খেতে পারেন বা বিট রুট আপনারা সালাদ হিসাবে ও খেতে পারেন। কারণ বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি আপনার ত্বকের টক্সিন দূর করবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিবে।
আপনি আপনার ত্বককে স্থায়ীভাবে ভেতর থেকে ফর্সা করতে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন কারণ ডার্ক চকলেট এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক উপাদান যা আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখবে এবং ত্বক করবে ভেতর থেকে ফর্সা। তাই আপনি যদি সম্ভব হয় প্রতিদিন একটি করে ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
আপনি আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা করতে পিরুলীনা সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও প্রোটিন যা আপনার ত্বক ভেতর থেকে ফর্সা করতে অনেক উপকারী। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন এক চামচ স্পিরুলিনা পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে ভেতর থেকে ফর্সা এবং কোমল।
ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আপনি গ্রিন টি খেতে পারেন। কিন্তু এখনো আমাদের সমাজে এই গ্রিন টি খুব বেশি প্রচলিত না কারণ অনেকেই জানেন না গ্রিনটিতে রয়েছে পলিফেনাল নামক একটি উপাদান যা আপনার ত্বকের টক্সিন দূর করে এবং ত্বককে করে ভেতর থেকে ফর্সা এবং টানটান।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
মানুষ জন্মগতভাবে কেউ কালো হয়, কেউ ফর্সা হয় আবার কেউ শ্যামলা বর্ণের হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের সমাজে মানুষ যেন কালোর কোন কদর করতে জানে না, কালো মানুষ দেখলেই তাদের কি যে হয় তারা নাক সিটকাতে শুরু করে! কিন্তু আমাদের মনে রাখা দরকার, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ডায়মন্ড কোহিনূরের রং কিন্তু কালো যা আমরা কেউ বাঁকা চোখে দেখি না। আবার অনেকেই এমন আছেন যারা রৌদ্রে পুড়ে তাদের ফর্সা ত্বক গুলো কালো করে ফেলেছেন যার কারণে তারা মানুষের মধ্যে নিজেকে অনেক ছোট মনে করেন। তাই আমি তাদের জন্য নিয়ে এলাম কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো।
আপনারা যারা আপনার কালো ত্বক ফর্সা করতে চান অর্থাৎ স্থায়ীভাবে ফর্সা করতে চান তারা স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। কারণ এগুলো আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এছাড়াও আপনাকে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী ত্বকের যত্ন করতে হবে। মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে আপনি আপনার ত্বকের যত্নে সিরাম, ময়শ্চারাইজ, টোনার ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার ত্বক পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখার জন্য জরুরী।
এছাড়া আপনি আপনার ত্বকে নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য ভালো মানের একটি ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকে কখনো ক্ষার জাতীয় কোন পদার্থ দেবেন না। মনে রাখবেন, ক্ষার ত্বকের ক্ষতি করে, কোন উপকার করে না এজন্য আপনি প্রতি বেলায় এই প্রোডাক্টগুলো যত্ন সহকারে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন যা হতে পারে আপনার ত্বকের জন্য কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়।
আপনার ত্বক কালো থেকে ফর্সা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সপ্তাহে একবার স্কিন স্কার্ব করতে হবে কারণ স্কার্ব ত্বকের স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান উপায়। ইস্কাবিং এর ফলে আপনার ত্বকের মৃত কোষ গুলো দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও কোমল।
আরো পড়ুনঃ ডাবের পানির -১৫ টি - উপকারিতা জেনে নিন
আপনি আপনার ত্বক ঘরোয়াভাবে ইস্কাবিং করতে চিনি এবং লেবু ব্যবহার করতে পারেন কারণ আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই এই দুইটি উপাদান থাকে। লেবু এবং চিনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।
আপনি যদি কালো থেকে ফর্সা হতে চান এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ মানসিক চাপ স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। মানুষের চেহারা সবচেয়ে বেশি খারাপ হয় এবং চেহারায় ডার্ক সার্কেল পড়ে মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে। তাই আপনি অবশ্যই মানসিক চিন্তা থেকে দূরে থাকবেন।
কালো ত্বক ফর্সা করতে এবং আপনার ত্বকের গ্লো স্থায়ীভাবে ধরে রাখতে আপনি কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম, মেডিটেশন এবং আপনি যোগব্যায়াম করতে পারেন। এর পাশাপাশি যদি আপনি পারেন তাহলে অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন কারণ এগুলো আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়।
লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যতগুলো উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম উপায় হল লেবু দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় যার কারনে লেবুকে বলা হয় প্রাকৃতিক ক্লিনজার। কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের জন্য খুব বেশি উপকারী। আর লেবু হল এমন একটি ফল বা ফর্সা হওয়ার উপাদান যা আপনি সারা বছর আপনার হাতের কাছে পেয়ে যাবেন এবং এটি সহজলভ্য। যার কারণে আপনি খুব সহজেই এই উপাদানটি ব্যবহার করে আপনি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
লেবুর রস ও টক দই
লেবুর রস এবং টক দই আপনার ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করতে অনেক কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে কারণ এই দুইটি উপাদানই আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে। এ ক্ষেত্রে আপনি এক চামচ লেবুর রস ও এক চামচ টক দই মিশিয়ে নিন এবং এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২0 মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানি অথবা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এই উপাদানটি আপনি আপনার ত্বকে সপ্তাহে তিন ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
টক দইয়ের কথা শুনলে অনেকেই মনে করতে পারেন আপনার ঘরে তো টক দই নেই তাহলে আপনি কি করবেন! এক্ষেত্রে আপনাকে মনে রাখতে হবে, আমাদের এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে দুধ পাওয়া যায় না। তাই আপনি যদি দুধ লেবুর রসের মধ্যে মিশিয়ে নেন তাহলে এটি আপনার টক দইয়ের কাজ করবে এবং আপনি এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
লেবুর রস ও টমেটোর রস
লেবুর রস এবং টমেটোর রস দুটোই ত্বক পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে খুব বেশি কার্যকরী। তাই আপনি এক ১ চামচ লেবুর রস ও এক ১ চামচ টমেটো রস একসঙ্গে মিশিয়ে আলতো ভাবে ত্বকে লাগাতে পারেন এবং ত্বক টানটান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন অর্থাৎ ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। তারপর যখন দেখবেন আপনার ত্বকে টান ধরেছে তখন আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন। আপনি এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস ও মধু
লেবুর রস এক ১ চামচ ও এক ১ চামচ মধু একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপরে এটি আপনার ত্বকে আলতোভাবে মেসেজ করুন এবং ১৫ থেকে ২0 মিনিট রেখে দিন এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনি সপ্তাহে দুই ২ থেকে তিন ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
লেবুর রস ও মুলতানি মাটি
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে আপনি মুলতানি মাটি বেছে নিতে পারেন কারণ মুলতানি মাটিতে রয়েছে খুব উপকারী উপাদান যা আপনার ত্বককে স্থায়ীভাবে ফর্সা করবে। এক্ষেত্রে আপনি লেবুর রস ও মুলতানি মাটির একটি প্যাক তৈরি করতে পারেন এবং এই মিশ্রণটি আপনি আপনার ত্বকে লাগিয়ে পাঁচ ৫ থেকে দশ ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। মুলতানি মাটি মুখে মাখলে খুব সহজে শুকিয়ে যায় তাই এক্ষেত্রে আপনি পাঁচ ৫ থেকে দশ ১০ মিনিট অপেক্ষা করলে হয়ে যাবে। এরপর আপনি ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
এমন অনেকেই আছেন যারা খুব তাড়াতাড়ি ত্বক ফর্সা করতে চান কিন্তু এই ভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় গুলো অনুসরণ করে ফর্সা হতে গেলে আপনাকে একটু সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তবে অনেকের হঠাৎ করে কোন অনুষ্ঠান আসে যা আপনার স্থায়ীভাবে অপেক্ষা করার সময় থাকে না। এ ক্ষেত্রে আপনাদের মাথায় চিন্তা কাজ করে কিভাবে অতি দ্রুত ফর্সা হওয়া যায়! আর এক্ষেত্রে আপনারা তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো খুঁজতে থাকেন। আর আমি আপনাদের এই সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য কিছু টিপস শেয়ার করলাম -
কাঁচা দুধ
আপনি খুব অল্প সময়ে অর্থাৎ তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে কাঁচা দুধ এক নম্বরে বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন রাত্রে ঘুমানোর আগে কাঁচা দুধ মুখ এবং হাত - পা পাঁচ ৫ মিনিট ধরে আলতো হাতে মেসেজ করুন। মনে রাখবেন, দুধের মধ্যে যেন পানি মিক্সড না থাকে এবং আলতো হাতে মেসেজ করতে করতে যখন আপনার মুখে মনে হবে তেল উঠছে তখন আপনি মেসেজ করা বন্ধ করবেন এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে ঠান্ডা পানি দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিবেন। এভাবে আপনি তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো পেয়ে যাবেন।
কাঁচা দুধ ও লেবুর রস
কাঁচা দুধ ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশ্রন করলে আপনার টক দই হয়ে যাবে যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী এবং আপনি তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এই উপাদান দুটি এক সঙ্গে মিশ্রণ করে আপনার হাতের আঙ্গুল দিয়ে অথবা তুলার সাহায্যে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন। এরপর আপনি ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। তবে আপনি এই ফেসপ্যাকটি দিনে দুইবার লাগাতে পারেন তাহলে বেশি উপকার পাবেন।
বেসন ও ফিটকিরি
আপনার ত্বক দ্রুত ফর্সা করতে আপনি ফিটকারিযুক্ত পানির সাথে বেসন মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার ত্বক খুব সহজে উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখাবে। এক্ষেত্রে একটু ফিটকিরি নিয়ে পানিতে গুলিয়ে নিন এবং এর মধ্যে বেসন মিক্স করুন। দেখবেন, বেসনের কালার চেঞ্জ হয়ে যাবে এবার এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করে যখন শুকিয়ে যাবে তখন ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, ফিটকিরি আপনার ত্বকের লোম কূপের ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে এবং ত্বক হয়ে উঠবে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর।
আলুর রস ও মধু
আপনি তিন ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আলুর রস ও মধু বেছে নিতে পারেন কারণ আলুর রসে আপনার মুখের কালো ছোপ দাগ দূর হবে এবং মধু আপনার ত্বকের ভেতর থেকে ত্বক গ্লো করবে। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে মুখটি ভালোভাবে আপনার পছন্দের ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং মুখ ভালোভাবে মুছে তারপরে এই ফেসপ্যাকটিন লাগাতে হবে এবং ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর যখন আপনার ত্বক শুকিয়ে যাবে তখন মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন। এই ফেসপ্যাকটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল ও লেবুর রস
আপনি আপনার ত্বকে স্থায়ীভাবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফর্সা করতে এলোভেরা জেল ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি এই দুইটি উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করবেন। আপনি যদি মনে করেন তাহলে এলোভেরা জেল শুধু লেবু ছাড়াও ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরা জেল ত্বকের জন্য খুব বেশি উপকারী। আপনি যদি শুধু এলোভেরা জেল লাগান তাহলে রাত্রে ঘুমানোর আগেও লাগাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মুখে মাখার ট্যালকম পাউডার সম্পর্কে জেনে নিন
তবে যাদের ত্বকে এলার্জি রয়েছে এলোভেরা জেল শুধু ব্যবহার করলে তাদের মুখ একটু চুলকাতে পারে তবে চিন্তার কিছু নেই এক্ষেত্রে যখন আপনার মুখে এলোভেরা জেল শুকিয়ে যাবে তখন আপনার ত্বক চুলকানো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ভয় না পেয়ে আপনি এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করে ৩0 মিনিট অপেক্ষা করতে হবে এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
টমেটোর রস ও বেসন
বেসন ত্বক পরিষ্কার করতে অনেক উপকারী। আপনি শুধু বেসন দিয়েও ত্বক পরিষ্কার রাখতে পারেন। বেসন ব্যবহারে আপনার ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা এবং উজ্জ্বল হবে। এক্ষেত্রে আপনি টমেটোর রস ও বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিবেন এবং আপনার ত্বকে আলতোভাবে লাগিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এরপর যখন দেখবেন আপনার ত্বক শুকিয়ে গেছে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন এবং ধোয়ার সময় আপনার মুখ অবশ্যই আপনি একটু মেসেজ করে আলতো ভাবে ধুয়ে ফেলবেন। তবে বেসন ব্যবহার করার পরে অবশ্যই আপনার মুখে কোন ফেসওয়াশ বা ক্ষার জাতীয় কোন কিছু দিবেন না কারন আপনার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য বেসনই যথেষ্ট।
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায়
ফর্সা এবং সুন্দর হতে সবাই চান তাই অনেকেই ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। এমন অনেক সময় আসে যখন আপনাকে সুন্দর এবং ফর্সা হওয়ার প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ের আগে বা কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে তাদের ত্বকের প্রতি বেশি যত্নশীল হতে হয়। যদিও ত্বক মানুষের শরীরের এমন একটি উপাদান যা যত্ন করে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে আপনি ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলো জানতে চাইলে কিছু ফেসপ্যাক আছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো হলো -
শসার রস ও টক দই
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে আপনি শসার রস ও টক দই বেছে নিতে পারেন এক্ষেত্রে আপনাকে শসার রস ও টক দই দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে হবে। প্রথমে আপনি একটি শসা টুকরা করে কেটে নিন এবং শসা গুলো একটি ব্লেন্ডার দিয়ে পেস্ট করে নিন। এরপর শশার সাথে দুই ২ চামচ টক দই মিশ্রণ করে মিশ্রণটিকে লাগিয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং ত্বক শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
চন্দন গুড়া ও মধু
১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে চন্দনের গুড়া ও মধু অনেক কার্যকরী। বাজারে আপনি খুব সহজেই চন্দন কাঠের গুঁড়ো কিনতে পাবেন তাই এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করতে আপনার কেমন ঝামেলা হবে না। আপনি এক ১ চামচ চন্দনের গুড়া ও প্রয়োজনমতো মধু মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই ফেসপ্যাকটি আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২0 মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর যখন দেখবেন আপনার ত্বক শুকিয়ে গেছে তখন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গোলাপজল এবং বেসন
আপনি আপনার ত্বক পরিষ্কার করতে যে কোন ক্ষার জাতীয় সাবান বা ফ্রেশ ওয়াশের চাইতে গোলাপজল এবং বেসন ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা গোসলের আগে গোলাপজল এবং বেসন দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করুন এবং এই ফেসপ্যাকটি মুখে এপ্লাই করে ২0 থেকে ৩0 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি এই ফেসপ্যাকটি আপনার গলায় এবং হাতে-পায়েও ব্যবহার করতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।
বাদাম এবং দুধ
আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা এবং সুন্দর করতে বাদাম এবং দুধ দিয়ে তৈরি একটি ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনি বেশ উপকার পাবেন। এক্ষেত্রে আপনি যতটুকু বাদাম দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করবেন রাত্রে ঘুমানোর আগে এই পরিমাণ বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন অথবা আপনার ব্যবহার করার আধাঘন্টা আগে ভিজিয়ে রাখলেও আপনি এই ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারবেন। যখন দেখবেন আপনার বাদাম ফেসপ্যাকের জন্য রেডি হয়েছে তখন এই বাদাম গুলো আপনি একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন অথবা শিল পাটাতেও বেটে নিতে পারেন।
যখন আপনার এই ফেসপ্যাকটি তৈরি হয়ে যাবে তখন এগুলো আপনার মুখে এপ্লাই করুন এবং ২0 থেকে ৩0 মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর যখন এগুলো আপনার মুখে শুকিয়ে যাবে তখন আলতো হাতে মেসেজ করে এগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন আর আপনি যদি এই ফেসপ্যাক গুলো ব্যবহার করেন তাহলে ১ মাসে ফর্সা হওয়ার উপায় পেয়ে যাবেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায়
ফর্সা এবং সুন্দর হতে সবার ইচ্ছে করে কিন্তু নিয়মিত পার্লারে গিয়ে টাকা খরচ করার মতো সামর্থ্য সবার থাকে না তাই প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় এ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। আপনারা যারা প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় জানতে চান আমি তাদের জন্য কিছু টিপস তুলে ধরলাম। আমি আশা করি আপনারা যদি এই টিপস গুলো এপ্লাই করেন তাহলে আপনার ত্বকের অনেক উপকার পাবেন।
- নিয়মিত আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখুন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ত্বকের সাথে মানানসই যে কোন ফেসওয়াশ, বেসন এমনকি গমের আটাও ব্যবহার করতে পারেন।
- প্রাকৃতিকভাবে ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল করতে কাঁচা দুধের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি উপকারী কারণ কাঁচা দুধ ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে তাই আপনি নিয়মিত কাঁচা দুধ ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
- লেবুর রস ত্বক পরিষ্কার করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তবে মনে রাখবেন, শুধু লেবুর রস কখনোই আপনার ত্বকে লাগাবেন না, এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি লেবুর রসের সঙ্গে অন্য উপাদান মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন।
- আপনি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হতে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনার ঘরে টক দই না থাকে তাহলে একটু দুধের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে টক দই তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে লেবুর রস বা টমেটোর রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এতে ত্বকের অনেক উপকার পাবেন। আপনার ত্বক হয়ে উঠবে টানটান এবং কমল।
- ত্বক প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে আপনি গরম পানির ভাপ নিতে পারেন।
- ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে এবং ডার্ক সাইকেল দূর করতে আপনাকে চিন্তামুক্ত থাকতে হবে অর্থাৎ সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।
- ত্বক ভালো রাখার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হল পরিমিত ঘুম পাড়া। একটা মানুষের সুস্থ থাকতে ৮ ঘণ্টা ঘুমের কথা বলা হয়ে থাকে আর যদি আপনি আপনার ত্বক ভালো রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নয় ৯ থেকে ১0 ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
ত্বক ফর্সা করার খাবার
ত্বক ফর্সা বা কালো এটা আসলেই আল্লাহ প্রদত্ত একটি চিরন্তন সত্য। মানুষ জন্মগতভাবে কেউ কালো হয়, কেউ ফর্সা হয় কেউবা শ্যামলা হয়ে থাকে। তবে আপনার ত্বক যেমনই হোক না কেন আপনার ত্বকের গ্লো ধরে রাখাটাই আসল কথা। আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে আপনার ডায়েটে যে খাবার গুলো রাখতে পারেন তা হল - ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কারণ ভিটামিন সি তে থাকে এমন সব উপাদান যা আপনার ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের ঘরোয়া পরিরচর্চার ১৫ টি টিপস জেনে নিন
যেমন - কমলা এবং লেবুর রস এ রয়েছে সাইট্রাস, এন্টিঅক্সিডেন্ট এর জন্য আপনি গ্রিন টি এবং বেরি খেতে পারেন। আবার আপনি টমেটো থেকে লাইকোপিন নামক একপ্রকার উপাদান পাবেন যা আপনার ত্বক ফর্সা করতে অনেক উপকারী। এছাড়াও আপনি বিট এবং গাজরে পাবেন ক্যারোটিন। আবার আপনি টক দই খেতে পারেন এতে পাবেন ল্যাকটিক এসিড যা আপনার শরীরের কালো দাগ দূর করবে এবং আপনাকে করবে ফর্সা। এছাড়াও আপনি বাদাম এবং বিভিন্ন প্রকার বীজ, ভিটামিন ই এবং ওমেগা থ্রি 3 জাতীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন।
শেষ কথা
প্রিয় সুধী বৃন্দ, আমি আপনাদের জন্য স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আপনারা যদি এই টিপস গুলো ফলো করেন এবং তা ধৈর্য সহকারে ব্যবহার করেন তাহলে অনেক উপকার পাবেন। তবে আপনাকে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি আপনার ত্বক একমাত্র যত্নের মাধ্যমেই ভালো রাখতে পারবেন। তাই ত্বকের যত্ন করুন এবং সুস্থ ও ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url