জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক - পলিসি বোনাস ২০২৪

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক - পলিসি বোনাস ২০২৪

জীবন বীমা কর্পোরেশন আমাদের অনেকের কাছে একটি পরিচিত নাম হলেও এই জীবন বীমার পলিসি সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান আর আমি আপনাদের জানানোর জন্যই আমার আর্টিকালের মাধ্যমে  জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক - পলিসি বোনাস ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল পড়ে  জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক - পলিসি বোনাস ২০২৪ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন এবং আপনারা অনেক উপকৃত হবেন।

Image

ভূমিকা

১৯৭৩ সাল থেকে জীবন বীমা বা বীমা পলিসি বাংলাদেশের নাগরিকদের ভবিষ্যৎ নিরূপণের লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। আর এই জীবন বীমা হল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা দেশের জনগণের সঞ্চিত অর্থ বা প্রিমিয়াম জমা রাখে এবং তার বিনিময়ে তারা গ্রাহককে বিপদকালীন সময়ে নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তী সময়ে এই জীবন বীমা বা বীমা শিল্প জাতীয়করণ করা হয়।

এবং এই জাতীয়করণের পর কোম্পানি মানুষের সম্পদ গুলো যেগুলো ব্যবসা নিয়োজিত রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন রকম দায়ী দানা নিয়ে সুরমা ও রুপসা নামে পলিসি গঠন করে। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের নাগরিকদের বিভিন্ন বীমা পলিসির আওতায় নিয়ে আসা হয় আর এর প্রধান কারণ হলো একজন ব্যক্তি যেন তার জীবনের সঞ্চিত অর্থ জমা রেখে পরবর্তী সময়ে উপকার পান এবং পরবর্তী সময়ে বীমা করতে উদ্বুদ্ধ হন।

বীমা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বিভিন্ন সময়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে ও কাজ পরিচালনা করেছেন। তবে একজন ব্যক্তি তার কষ্ট অর্জিত সঞ্চয় বীমার মাধ্যমে জমা করে কিন্তু বীমা কর্পোরেশন পলিসি গুলো কিভাবে এটি চেক করবে এটা জানাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক এবং পলিসি বোনাস।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি চেক

আপনারা যারা জীবন বীমা পলিসি করবেন অর্থাৎ আপনার কষ্টে অর্জিত টাকা যখন জীবন বীমা পলিসির মাধ্যমে জমা করবেন তখন আপনার কত টাকা জমা হয়েছে বা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কিনা তা মাঝেমধ্যে আপনার চেক করা উচিত। আবার অনেক সময় এমন হয়ে থাকে যে আপনি একটি জেলার আওতাধীন জীবন বীমা কর্পোরেশন এ একটি বীমা পলিসি করেছেন কিন্তু কোন কারণবশত হঠাৎ করে আপনি আপনার নথিপত্র হারিয়ে ফেলেছেন।

তাহলে এখন আপনি অবশ্যই চিন্তিত হয়ে পড়বেন যে আপনি কিভাবে জীবন বীমা কর্পোরেশনের এই পলিসি চেক করবেন তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক যে আপনার এই বিষয়ে কোন চিন্তার কারণ নেই। কারণ আপনি যদি কোন কারণবশত আপনার নথি হারিয়ে ফেলেন তাহলে এই বিষয়টি জানার জন্য আপনি বীমা পলিসি অফিসে যাবেন অর্থাৎ আপনি যে জেলার অন্তর্ভুক্ত অফিসে আপনার জীবন বীমা প্রিমিয়াম ক্রয় করেছেন সেই অফিসে যাবেন

এবং প্রথমত আপনি যে কাজটি করবেন তা হলো- আপনি কর্তব্যরত অফিসার কে জীবন বীমা পলিসের বিবরণ সম্পর্কে জানতে চাইবেন। এক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি আপনাকে জীবন বীমা পলিসি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানিয়ে দিবেন। মনে রাখবেন, জীবন বীমা কোম্পানিতে কর্মরত ব্যক্তির সাথে যদি আপনি আপনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন তাহলে অবশ্যই কর্তব্যরত ব্যক্তি আপনাকে আপনার সমস্ত কিছু তথ্য বের করে দিবেন।

আর জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরক্ত ব্যক্তি আপনাকে প্রিমিয়াম চেক করার জন্য ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ আনকেলই প্রপারটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এর  মাধ্যমে আপনার সমস্ত ডাটা খুজে দিতে পারবেন এবং আপনি জেনে খুশি হবেন যে, শুধু আপনি এই ডাটাবেইজ জানতে পারবে না এর সাথে আপনার বোনাস সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় আপনি কর্তব্যরত অফিসারের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কারণ আপনি যে জীবন বীমা পলিসি করেছেন সেখানে অবশ্যই আপনার একটি পলিসি নাম্বার রয়েছে যেখানে আপনার নাম সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া রয়েছে

এবং এই তথ্যের মাধ্যমে খুঁজে বের করে দিতে পারবেন। মনে রাখবেন, আপনি যখন কোন বীমা করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে একটি বই দেওয়া হবে এবং তার ওপরে একটি নম্বর থাকবে সেই নম্বরটি হল আপনার কোড বা পলিসি নম্বর। আর বীমা কোম্পানিগুলো বিভিন্ন রকম খরচ এবং প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করার জন্য এই পলিসি নম্বর গুলো ব্যবহার করে থাকে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি অনলাইন চেক

জীবন বীমা কর্পোরেশনের কোন গ্রাহক যদি মনে করে তার বীমা সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে জানা প্রয়োজন তাহলে সে যেমন সরাসরি অফিসে গিয়ে তার পলিসি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে পারে ঠিক তেমনি অফিসে না গিয়েও তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে অনলাইনে তার সকল তথ্য সে যাচাই করে নিতে পারে বা চেক করতে পারে। বর্তমানে প্রায় সকল বীমা অনলাইনে রয়েছে এবং অনলাইনে এই বীমা খুঁজে পাওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট ডাটাবেজ রয়েছে এবং সেই ডেটাবেজ থেকে উক্ত ব্যক্তির যাবতীয় সকল তথ্য সে নির্দিষ্ট টুলস ব্যবহার করে জানতে পারবে।

বীমা পলিসি চেক করার জন্য সাধারণত যে টুলস ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা এনএআইসি NAIC কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণ হয়ে থাকে। তবে বীমা চেক করার পাশাপাশি বীমা গ্রহীতার বিষয়টি যেন নিরাপদ এবং গোপন থাকে তাই বীমাতে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির পলিসি অনলাইনে চেক করার জন্য NAIC Life policy Locator এর মাধ্যমে পলিসি নথিতে অন্তর্ভুক্ত পলিসি নম্বর দিয়ে বীমা সংস্থাকে রিপোর্ট করা হয়ে থাকে। এবং সেই অনুযায়ী বীমাকৃত ব্যক্তির পলিসি বিষয়ক সকল তথ্য এসে এই ডাটাবেজে জমা হয় এবং সেই তথ্য অনুযায়ী তার পলিসি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় জানতে পারে।

জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস

আপনি যদি জীবন বীমা পলিসি করে থাকেন তাহলে আপনি যে প্রিমিয়াম জমা করবেন তার সাথে অতিরিক্ত টাকা বীমা কোম্পানি দিবে এবং তাদের নিয়ম অনুযায়ী হয়তো বছরে আপনাকে কিছু টাকা বাড়তি দিবে যাকে বোনাস বলা হয়। আমরা সাধারণত বোনাস বলতে বুঝি মোট পরিমাণ টাকার সাথে অতিরিক্ত কিছু টাকা যোগ হওয়া। তেমনি জীবন বীমার পলিসি বোনাস ও ঠিক এমনি ভাবেই হয়ে থাকে। আপনি যে প্রিমিয়াম বা অর্থ জমা করবেন সেই টাকার পরিমানের সাথে অতিরিক্ত কিছু টাকা যোগ হবে।

মনে করুন, আপনি যে পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে জমা করবেন এবং একটি সময় পর যখন আপনার প্রিমিয়ামের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাবে তারপর যখন আপনি এই টাকা উঠাতে যাবেন তখন আপনাকে জীবন বীমা কর্পোরেশন পলিসি বোনাস দিয়ে আপনার মূল টাকার সঙ্গে কিছু টাকা যোগ হবে এবং আপনি অবশ্যই আপনার প্রিমিয়ামের সঙ্গে এই অতিরিক্ত অর্থ পেয়ে যাবেন। তবে মনে রাখবেন, আপনি বীমা করার সময় যদি বীমা কৃত ব্যক্তির মৃত্যু কোন সারেন্ডার বা 

পলিসি মেয়াদ পড়তে সময় হয় তাহলে আপনি সেই মোতাবেক টাকা পাবেন। কিন্তু যদি কেউ আত্মহত্যা করে বা কোন যুদ্ধ ঘটিত কারণে মারা যায় তাহলে আপনি এই টাকা থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে আপনি কি পরিমান বোনাস পাবেন তা নির্ভর করবে আপনার জীবন বীমা পলিসির দেওয়া শর্ত মোতাবেক। এখানে আবার আপনাকে আরেকটি কথা মনে রাখতে হবে যে, যে সকল জীবন বীমা পলিসি বোনাসের পরিমাণ পাওয়ার অংশীদারিত্ব বহন করে না 

কেবলমাত্র তারা পলিসি বোনাসের জন্য মুনাফা গত যোগ্যতা অর্জন করে থাকে। আবার যারা বীমা করে অর্থাৎ জীবন বীমা পলিসির ধারকরা শুধু বোনাস প্রদানের যোগ্যতা অর্জন করে। তবে সাধারণত যে সকল পলিসি মুনাফা ভিত্তিক কোম্পানির তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে লভ্যাংশ পেয়ে থাকে তা তার গ্রাহকদের মধ্যে বোনাস আকারে পলিসি গ্রহীতার সাথে ভাগাভাগি করে। যখন কোন গ্রহীতা তার বোনাস পাবেন তখন তিনি একটি পলিসির চেক বীমা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পেয়ে যাবেন এবং এই চেকের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বীমা কোম্পানি থেকে আপনি কত টাকা বোনাস পাবেন।

তবে এখানে বীমা কোম্পানিগুলো যে প্রফিট গ্রহণ করে তার মধ্য থেকে তারা শতকরা ৯০ ভাগ রেখে দেয় এবং শতকরা ১০ ভাগ শেয়ারকৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থাৎ গ্রহীতার মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়। তবে পলিসি বোনাস বীমাকৃত অর্থের পরিমাণের শতাংশ প্রত্যেকটি আর্থিক বছরের শেষে হিসাব করে ঘোষণা করা হয় অর্থাৎ প্রতি বছরের জুন মাস অর্থবছর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জীবন বীমা পলিশের মধ্যে অনেক পরিকল্পনাকারী বা উত্তম অনেক বীমা রয়েছে সেগুলো হল - সঞ্চয়ী বীমা, মেয়াদী বীমা, শিশু বী মা, দেনমোহর বীমা, শিক্ষা বীমা ,হজ বীমা ইত্যাদি।

আজীবন বীমা 

আজীবন বীমা নাম শুনলে হয়তো অনেকেই মনে করতে পারেন আপনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন আপনাকে বীমার টাকা বা প্রিমিয়াম জমা করতে হবে কিন্তু আসলে তা নয়। আজীবন বীমা মানে আপনাকে আজীবন প্রিমিয়াম জমা করতে হবে না। আজীবন বীমা সর্বনিম্ন ২০ বছর বয়স থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ বছর বয়সী মানুষ করতে পারবেন এবং আপনাকে সর্বোচ্চ ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত এই প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বয়স যখন ৮০ বছর পার হয়ে যাবে তখন আপনি যদি বেঁচে থাকেন তাহলে এই প্রিমিয়াম আপনি নিজেই পেয়ে যাবেন এবং আপনি যে টাকা বা প্রিমিয়াম জমা করবেন তার লাভসহ আপনি পেয়ে যাবেন।

আজীবন বীমা যাদের জন্য উপযোগী

আপনি যখন বার্ধক্যে উপনীত হবেন তখন বুঝবেন  টাকার প্রয়োজনীয়তা। যখন আপনি টাকা উপার্জন করবেন তখন হয়তো এর মর্ম বুঝতে পারবেন না কিন্তু যখন আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে বার্ধক্যে উপনীত হবেন তখন আপনার টাকার প্রয়োজন বেশি হবে কিন্তু ইনকাম থাকবে না আর এজন্যই প্রত্যেকের উচিত আজীবন বীমা করা। আপনি যদি বীমা করেন তাহলে আপনার অর্জিত অর্থ নির্দিষ্ট একটি শর্ত মোতাবেক একটি বীমা কোম্পানির নিকট জমা করবেন এবং আপনি যেকোন বিপদের সম্মুখীন হলে আপনি এই টাকা দিয়ে আপনার বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন। তবে বীমা করার আগে আপনাকে জানতে হবে কোন বীমা কাদের জন্য প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে আজীবন বীমা যাদের জন্য প্রযোজ্য তারা হলেন -

  • বিভিন্ন পদে কর্মরত ব্যক্তিবর্গ
  • ব্যবসায়ীগণ
  • প্রবাসী গন
  • অন্যান্য পেশাজীবী যারা স্বল্প আয় করেন।

এছাড়াও যারা স্বল্প আয় করেন এবং দীর্ঘসময়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি গ্রহণ করতে চান তারা এই আজীবন বীমা করতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার আজকের দিনের স্বল্প পুঁজি ভবিষ্যতের বড় সম্বল। তাই বীমা করুন এবং নিজের জীবন এবং পরিবারকে সুরক্ষিত করুন।

আজীবন বীমার সুবিধা

আজীবন বীমা হল একটি দীর্ঘমেয়াদী বীমা। আর এই বীমা করার কিছু সুবিধা রয়েছে যেগুলো আপনার জন্য জানা অবশ্যই জরুরী। নিচে এগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হলো -

আজীবন বীমা আপনি আপনার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ বীমা টাকা জমা করতে পারবেন।

আজীবন বীমা করতে হলে সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২০ বছর।

৫৫ বছর এর বেশি বয়স হলে আপনি এই বীমা করতে পারবেন না।

আজীবন বীমা আপনাকে সর্বোচ্চ ৮0 বছর প্রিমিয়াম জমা করতে হবে।

আজীবন বীমায় আপনি বোনাস সহ টাকা পাবেন তবে এক্ষেত্রে আপনার বীমার মেয়াদ পূর্তি হওয়ার পর অর্থাৎ আপনাকে ৮0 বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিতে হবে এবং ৮0 বছর পার হওয়ার পর আপনি মূল টাকা এবং বোনাস সহ ফেরত পাবেন।

আপনি প্রিমিয়াম নিতে পারেন সন্ন্যাসিক অথবা বার্ষিক পদ্ধতিতে।

আপনি যদি বার্ষিক হারে প্রিমিয়াম জমা করেন তাহলে আপনাকে সর্বোচ্চ ৫০০০ টাকা জমা করতে পারবেন।

আপনি যদি ৫000 টাকার বেশি কিন্তু ১০ হাজার টাকার কম প্রিমিয়াম জমা করেন তাহলে আপনাকে সন্ন্যাসিক কিস্তি দিতে তা প্রদান করতে হবে।

আজীবন বীমা পলিসিতে প্রিমিয়াম জমার হার কম এবং বোনাস রেট সবচেয়ে বেশি পাবেন।

আজীবন বীমা করার পর যদি আপনি দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন অথবা আপনার কোন অঙ্গ হানি হয় সেক্ষেত্রে আপনি সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনার বয়স ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হয় তাহলে আপনার এই অতিরিক্ত সুবিধা বাতিল হয়ে যেতে পারে।

যদি আপনি পারিবারিক নিরাপত্তার সুবিধা ভোগ করতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বোচ্চ মেয়াদ ২০ বছর হবে এর চেয়ে বেশি মেয়াদ আপনি করতে পারবেন না।

আপনি যে প্রিমিয়াম জমা করবেন তার ওপর আয়কর রিয়াদ পেয়ে যাবেন।

আপনি যদি বীমা থেকে ঋণ গ্রহণ করতে চান তাহলে বীমা স্কিম দুই ২ বছর বা তার অধিক সময় সচল থাকার পর ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।

আজীবন বীমা করার পর কেউ মারা গেলে মরণোত্তর দাবির টাকা আয়কর মুক্তভাবে উত্তোলন করা যাবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url