গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন বিস্তারিত

বর্তমান অনলাইন প্লাটফর্মে গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি অভাবনীয় বিপ্লবের নাম। তাই আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাদের সবারই গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন জানা উচিত। আপনারা যদি সঠিকভাবে না জানেন গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন তাহলে নিজেকে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন না।

Image


প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনারা নিজেকে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনের হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে গ্রাফিক্স ডিজাইন কি এবং কেন শিখবেন কিভাবে শিখবেন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

গ্রাফিক্স কি

গ্রাফিক্স শব্দের অর্থ হল নকশা বা আঁকা। গ্রিক শব্দ গ্রাফিক্স যাকে আমরা অঙ্কন বিষয়ক বিজ্ঞান হিসেবে অভিহিত করে থাকি এবং এই গ্রাফিক্সের সাহায্যে যেকোনো কিছুর ওপর যেমন কোন পৃষ্ঠার ওপর বা কোন ওয়ালের ওপর অথবা কোন ক্যানভাস এর উপর বা একটি পর্দার ওপর বা কোন একটি কাগজের ওপর অর্থাৎ যে কোন একটি বস্তুর ওপরে কোন কিছুর ডিজাইন বা ছবি আঁকা কে বলা হয় গ্রাফিক্স। গ্রাফিক্স মূলত কম্পিউটার বিষয়ক নকশা বা শিল্পজাতকরণের জন্য যে কোন বিষয়ে আর্ট এবং এটা একটি বিনোদনমূলক সফটওয়্যার এর মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়ে থাকে।

এক কথায় গ্রাফিক্স হল একটি দৃশ্যমান ছবি যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আর গ্রাফিক্স বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে রয়েছে - লেগো, ডিজিটাল প্রেন্টিং, ফটো এডিটিং, এনিমেশন, ভিডিওগ্রাফিক্স, আইকন, পিকটোগ্রাম. ফটো এডিটিং ইত্যাদি। আর যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনার তারা সাধারণত তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের বস্তুর ওপরে যে কোন পণ্যের চিত্র অঙ্কন করে যেমন - বিনোদন, শিক্ষা, মার্কেটিং, যোগাযোগ, ব্র্যান্ড, প্রমোশন এসব ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে থাকে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি 

গ্রাফিক্স ডিজাইন মূলত কম্পিউটার বিষয়ক নকশা যা শিল্পজাতকরণে এই গ্রাফিক্স আর্ট বা ছাপাখানার অক্ষর বিন্যাসে অথবা যে কোন শিক্ষামূলক, বিনোদনমূলক, সফটওয়্যার নির্মাণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যখন কোন নকশা কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজাইন করা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন। এছাড়াও গ্রাফিক ডিজাইন মূলত একটি বিশেষ টুলস বা প্রোগ্রামিং সিস্টেম ছাড়াই যখন একটি দৃশ্যমান টুলস ব্যবহার করে নকশাকে আরো উন্নত করা হয় তখন তাকে বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন।

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় জানুন

এককথায় গ্রাফিক্স ডিজাইন হল কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছা মত ডিজাইন, নতুনত্ব আনয়নে বিভিন্ন অক্ষরের সু সন্নিবেশিত রূপ প্রদান করা। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ব্যক্তি তার ইচ্ছা অনুযায়ী লেগো, টি-শার্ট, ফ্লাইয়ার, পোস্টার, ব্রাউচার, বিজনেস কার্ড, ওয়েবসাইট, বইয়ের প্রচ্ছদ বা ওপরের পেজ বিভিন্ন ডিজাইন করে থাকে। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন হল কোন ব্যক্তি বা কোম্পানি তাদের নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী কম্পিউটার দ্বারা কোন নকশা বা ডিজাইন করার একটি প্রক্রিয়া যাকে বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের ইতিহাস

গ্রাফিক্সের ব্যবহার ঠিক কবে শুরু হয়েছিল তা বলা মুশকিল। তবে ধারণা করা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন শুরু হয়েছিল আজ থেকে ৪ হাজার বছর পূর্বে প্রাচীন সুমেরীয় দ্বীপপুঞ্জে। ধারণা করা হয় প্রত্নতাত্ত্বিক যুগে গুহা বাসিরা যেমন বিভিন্ন চিত্র অঙ্কন করে সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল ঠিক একইভাবে তারা বিভিন্ন বস্তু চিহ্নিত করার জন্য নুড়িপাথর, হাতির দাঁত, হরিণের শিং প্রভৃতি দিয়ে গুহায় তৈরি করত বিভিন্ন নকশা। কালক্রমে এই নকশাগুলোই চিত্রকর্ম হিসেবে রয়ে গেছে।

আজ থেকে প্রায় ছয় ৬ হাজার বছর পূর্বে যে নকশাগুলো বা চিত্রকর্ম ছিল তাতে আধুনিকতার প্রদর্শন করা হয়। সে হিসাব অনুযায়ী মানুষ গ্রাফিক্স আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে পাথরের ফলক, সিরামিক, সিলিন্ডার ইত্যাদিতে মুদ্রণ করে রাখতো। এছাড়াও মিশরীয়রা মিশরীয় পিরামিড তৈরি করতে মুদ্রাক্ষরণে পেপিরাস নামক এক ধরনের কাগজের মত জিনিস ব্যবহার করত। এর সঙ্গে তারা কাঠ এবং চুনা পাথর ব্যবহার করত। পরবর্তীতে বিভিন্ন গণিতবিদ তাদের এই চিত্রকর্মকে জ্যামিতিক চিত্রকর্মের ক্ষেত্রে ব্যবহার শুরু করেন এবং এরই সূত্র ধরে বর্তমানের এই গ্রাফিক্স ডিজাইন।

১৯৭০ সালের শেষের দিকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম গ্রাফিক্স শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ইতিপূর্বে গ্রাফিক্স ডিজাইন সাধারণত একটি আর্থিক চার্ট বা সারণী যা গণিত, অর্থনীতি এবং ব্যবসায় শাখায় ব্যবহার করা হতো। পরবর্তীতে এটি যখন ব্যক্তিগত কম্পিউটার সারণী গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন বিন্যাস যেমন গ্রাফিক্স, আর্ট আসতে সক্ষম হয় আর ব্যবসার ক্ষেত্রে এই আর্টগুলিকে পরিবর্তন করে হাইলাইট করে ব্যবহার শুরু করা হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার

বর্তমানে সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজের একটি অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার এগুলো সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ধরন এবং ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে ১০ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যেমন -

  • লোগো ডিজাইন
  • কার্টুন ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েবসাইট ডিজাইন
  • প্রোডাক্ট ডিজাইন বা পণ্যের ডিজাইন
  • প্রিন্ট ডিজাইন
  • ব্র্যান্ডিং ডিজাইন
  • মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন
  • অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক ডিজাইন
  • পাবলিশিং ডিজাইন বা পাবলিকেশন ডিজাইন
  • ইউ আই  (UI)  - ইউ এক্স  (UX) ডিজাইন

নিচে গ্রাফিক ডিজাইনের এই প্রকারভেদ গুলো বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো -

লোগো ডিজাইন

লোগো শব্দটি আমাদের অনেকের কাছে একটি পরিচিত নাম আর লোগো ডিজাইন হচ্ছে গ্রাফিক্সের সাহায্যে তৈরি কোন প্রতিকী বা কোন চিহ্ন যার সাহায্যে যেকোন ব্র্যান্ডের, পণ্যের, প্রতিষ্ঠানের বা বিভিন্ন কোম্পানি শুরুতেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা এই ব্র্যান্ডের, পণ্যের, কোম্পানির এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সবার মাঝে তুলে ধরে। যেমন ধরেন, আপনার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেই প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট লেগো রয়েছে যা আপনি ডিজাইন করে আপনার প্রতিষ্ঠান যখন তুলে ধরবেন তখন আপনার এই লোগো দেখে সবাই বুঝবে এটা আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগো।

আরো পড়ুনঃ  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

তবে লোগো ডিজাইন করার পূর্বে আপনি যে প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের লোগো তৈরি করবেন আপনাকে তার ইতিহাস, টার্গেট, অডিয়েন্স এবং তাদের যা প্রতিযোগী রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। এরপর আপনি স্কেচিং এবং কনসেপ্ট ডেভেলপমেন্টের কাজ শুরু করতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনার সাধারণত বিভিন্ন টাইপের কনসেপ্ট রেডি করেন এবং তারপরে ডিজাইনগুলো কনফার্ম করে তাদের লোগো ডিজাইন করা শুরু করেন। তবে লোগো ডিজাইন করার পূর্বে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যেন এই ডিজাইনটি সহজ এবং সহজবোধ্য হয়।

কার্টুন ডিজাইন

কার্টুন শব্দটি বর্তমান প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে পরিচিত একটি নাম। আর এই কার্টুন ডিজাইন করা হয় স্কেচ থেকে অ্যানিমেশন তৈরি করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। আর এই প্রক্রিয়া হল কোন স্কেচ বা স্থির চিত্র কে চলমান চিত্রে রূপান্তর করা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অথবা ইউটিউবে কার্টুন ডিজাইন বা বিভিন্ন ভিডিও তৈরি খুবই জনপ্রিয় এবং আকর্ষণীয় একটি কাজ।

ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েবসাইট ডিজাইন

ওয়েব ডিজাইন হল গ্রাফিক্সের সাহায্যে একটি ওয়েবসাইট কে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রতিটি ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয় আর এই ওয়েবসাইট ডিজাইন হচ্ছে এমন এক ধরনের ডিজাইন যার মাধ্যমে যে কোন ওয়েবসাইটের ইউজার, ইন্টারফেস, লেআউট, ভিজুয়াল, স্টাইল ইত্যাদি ডিজাইন করা হয়। আর ওয়েব ডেভলপমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ওয়েব ডিজাইন। তবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার পূর্বে ওয়েবসাইটের লক্ষ্য, অডিয়েন্স, কনটেন্ট, স্ট্রাকচার, টার্গেট প্রকৃতি বিষয় গবেষণা করে 

তারপরে ওয়ার ফিল্ম এবং মকআপ তৈরি করতে হবে যা ওয়েবসাইটের ভিজুয়াল, স্টাইল, লেআউট প্রভৃতি নির্ধারণ করে থাকে। একটি ওয়েবসাইটকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ওয়েব ডিজাইনাররা ইমেজ, ভিজুয়াল, এলিমেন্ট, পেইজে বিভিন্ন ধরনের রং, টাইপোগ্রাফি এবং অন্যান্য ভিজুয়াল এলিমেন্ট ব্যবহার করে থাকে আর এর ডিজাইন দেখে ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটের প্রতি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

প্রোডাক্ট ডিজাইন বা পণ্যের ডিজাইন

প্রোডাক্ট ডিজাইন হল ইউজারের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসার সাথে মিল রেখে ডিজাইন তৈরি করা। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকি এগুলোর উপরে গ্রাফিক ডিজাইনারদের অবদান রয়েছে অনেক। যেমন আমরা বিভিন্ন বিস্কুট বা চানাচুর প্যাকেটের ওপরে রং বেরঙের ডিজাইন দেখতে পায় এগুলো হলো গ্রাফিক ডিজাইন। তবে এই ডিজাইন করার পূর্বে গ্রাফিক ডিজাইনারদের প্রোডাক্ট বা পণ্যের আকার, কার্যকারিতা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে।

এছাড়াও ব্যবহারকারীর সেই প্রোডাক্টের প্রতি কতটুকু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তাকে সেই বিষয়গুলোও খেয়াল রাখতে হবে। আর ডিজাইন করার পূর্বে অবশ্যই একজন ডিজাইনার কে মনে রাখতে হবে ডিজাইনটি যেন গবেষণামূলক এবং সুপরিকল্পিত হয়।

প্রিন্ট ডিজাইন

প্রিন্ট ডিজাইন হলো বর্তমানে সময়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্যতম একটি চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর। আর প্রিন্ট ডিজাইন হল এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টেড, মেটেরিয়াল যেমন লিফলেট, ক্যালেন্ডার, ম্যাগাজিন, পোস্টার কার্ড এগুলো বিভিন্ন ফরমেটে ডিজাইন করা হয়। আর প্রিন্ট ডিজাইন হল ভিজুয়াল বেসিকের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম যেখানে ডিজাইনাররা বিভিন্ন ইমেজ, টেক্সট ও অন্যান্য ভিজুয়াল এলিমেন্ট ব্যবহার করে গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন

তবে যারা প্রিন্ট ডিজাইন করেন তাদের প্রথম কাজ হল কনসেপ্ট ডেভেলপমেন্ট করা আর একজন ডিজাইনার কে অবশ্যই প্রিন্ট ম্যাটেরিয়াল গুলোর টার্গেট, অডিয়েন্স, লক্ষ্য ও কনটেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে এবং এই অনুযায়ী লেআউট ডিজাইন করতে হবে। আর যারা প্রিন্ট ডিজাইন করেন তারা যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তা হল - এডোবি ইন ডিজাইন, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর। এছাড়াও একজন প্রিন্ট ডিজাইনার কে তার কাজের মাধ্যমে রাঙিয়ে তুলতে হয় ইমেজ, টাইপোগ্রাফি এবং বিভিন্ন ধরনের রং।

ব্র্যান্ডিং ডিজাইন

ব্র্যান্ডিং ডিজাইন সাধারণত কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর পরিচয় তুলে ধরতে ব্যবহার করা হয়। যেমন comedity with আইডেন্টিটি যাকে বলা হয় ব্র্যান্ডিং অর্থাৎ এই ব্র্যান্ডিং ও ডিজাইন হল বিভিন্ন কোম্পানির কাস্টমাররা তাদেরকে ক্রেতার কাছে পণ্য বা সেবা পরিচিতি করানো অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্যের পরিচিতি তুলে ধরাই হল ব্যান্ডিং ডিজাইন। তবে একজন ব্যান্ডিং ডিজাইন যাদের বিভিন্ন বিষয় ডিজাইনের ক্ষেত্রে যে সকল বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হয় সেগুলো হল - রং, টাইকোগ্রাফি, আইকনোগ্রাফি, পেলেট ও ভিজুয়াল এলিমেন্ট। 

আর ব্যান্ডিং ডিজাইনের মূল লক্ষ্য হলো কোন ব্যান্ডের পরিচিতি এবং পণ্যের মান বৃদ্ধি করা যার মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডের মিশন, ভিশন, ইতিহাস ও মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা যায়। আর একজন সফল ব্রান্ডের ডিজাইনার যাবতীয় বিষয় খেয়াল রেখে ডিজাইন করে থাকেন।

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন হচ্ছে একটি সর্বোচ্চ পরিচিত, আকর্ষণীয় এবং পছন্দের ডিভাইস। আর এই স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডিজাইন করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন। মোবাইল ফোনের সেটিং থেকে শুরু করে ফোনের বিভিন্ন এপ্লিকেশন, বিভিন্ন অপশন এবং লেআউট সবকিছুই করা হয় মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইনের মাধ্যমে।

অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক ডিজাইন

অ্যানিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন হল বর্তমান সময়ের কনটেন্ট গুলোতে একটি জনপ্রিয় কাজ। আমরা যেসব কনটেন্ট গুলো দেখি তা জীবন্ত বা প্রাণবন্ত করে তোলার কাজই হল এনিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন। যেমন ধরুন, আপনি টিভিতে একটি অনুষ্ঠান দেখছেন যখন কোন নাটক বা সিনেমা দেখবেন তখন একের পর এক নাম চলে আসে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন আকারে আর এগুলোই হল এনিমেশন বা মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন।

পাবলিশিং ডিজাইন বা পাবলিকেশন ডিজাইন

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা ই-বুক সম্পর্কে সবাই জানি। ই বুক হল এমন একটি বই যা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়া হয়। আর পাবলিশিং ডিজাইন হল এমন একটি ডিজাইন প্রক্রিয়া যেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন বই, ম্যাগাজিন, নিউজ, লেটার, ডিজিটাল পাবলিকেশন ইত্যাদি ডিজাইন করা হয়। আর এই পাবলিশিং ডিজাইনের মাধ্যমে বইগুলো বা ম্যাগাজিন গুলোকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয় যাতে পাঠকেরা এগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে।

তবে পাবলিশিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে ডিজাইনারদের যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হয় তা হল কনসেপ্ট, ডেভেলপমেন্ট ও কনটেন্ট সম্পর্কে পরিকল্পনা করা। এ জন্য একজন ডিজাইনার কে সর্বপ্রথম প্রকাশনার বিষয়বস্তু, অডিয়েন্স, স্টাইল, লক্ষ্য এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে এবং ডিজাইনারদের এমন একটি ডিজাইন বা লেআউট তৈরি করতে হবে যাতে করে কাজটি অনেক সুবিধাজনক হয়।

আর এই ডিজাইনাররা পাবলিশিং ডিজাইন করতে বেশ কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন যেমন - work express, এডোবি ইন ডিজাইন ইত্যাদি। আর এই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে ডিজাইনাররা ইমেজ, লেআউট, ট্রাইপোগ্রাফি এর সঠিক ব্যবহার করে পাবলিশিং ডিজাইন কে গ্রাহকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলেন।

ইউ আই  (UI)  - ইউ এক্স  (UX) ডিজাইন

ইউ আই  (UI)  - ইউ এক্স  (UX) ডিজাইন হচ্ছে একটি ইউজার ইন্টারফেস যা বর্তমান গ্রাফিক্স ডিজাইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং প্লেস। এককথায় ইউ আই  (UI)  - ইউ এক্স  (UX) ডিজাইন হল কোন ওয়েবসাইট বা এপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে একজন ইউজার যে ইন্টারফেস ব্যবহার করে থাকেন তার ইচ্ছা মত ডিজাইন। এমনকি আপনি যে ব্লগ পোস্টটি পড়েন তার ইন্টারফেসও এই ইউ আই  (UI)  - ইউ এক্স  (UX) ডিজাইনের মাধ্যমে তৈরি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শিখতে হয়

আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে গ্রাফিক্স ডিজাইনে আপনাকে কি কি বিষয়বস্তু শিখতে হবে। গ্রাফিক্স ডিজাইনের কিছু মৌলিক বিষয় রয়েছে যেগুলো আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনে কাজ করতে হলে অবশ্যই শিখতে হবে। এগুলো হল -

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মৌলিক বিষয়

টাইপোগ্রাফি (Typrography)

কালার থিওরি (Colour Theory)

কম্পোজিশন এন্ড লেআউট (Composition and Layout)

ব্যালেন্স এন্ড প্রিপারেশন (Blance and Proportion)

সৃজনশীল ক্ষমতা

সৃজনশীল চিন্তা (Creative Thinking)

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ( Problem Solving Skills)

সফটওয়্যার স্কিল

এডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop)

এডোবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator)

এডোবি ইন ডিজাইন (Adobe In Disign)

স্কেস বা ফিগমা (Sketch, Figma)

প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট

সময় ব্যবস্থাপনা (Time Management)

ক্লায়েন্ট কমিউনিকেশন (Clint Communication)

পোর্টফোলিও উন্নয়ন (Portfolio Development)

ব্যবহারিক দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম এবং ক্লায়েন্ট ব্যবস্থাপনা (Freelancing Platforms and client management)

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহারের প্রাথমিক ধারণা (Basic Understanding of using Social Media Marketing)।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব

বর্তমান সময়ে ভিজুয়াল কন্টেন্টের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে এখন এটি পণ্য সেবা, যোগাযোগ, ব্যবসা, বিপণন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে নেন। বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন কেন শিখবেন বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব  নিচে তুলে ধরা হলো -

লোগো তৈরি

বর্তমানে অনেকে ই - কমার্স কোম্পানি রয়েছে যারা তাদের প্রোডাক্টগুলো কোম্পানির কাছে আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকেন এবং তারা তাদের কোম্পানির বিভিন্ন লোগো তৈরি করে থাকেন যা তারা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে করে থাকেন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি এই সেক্টরে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন । এছাড়া আপনি যদি চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন

যোগাযোগ

বর্তমান সময়ে গ্রাহক এবং কাস্টমারদের সাথে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করতে এবং বিভিন্ন তথ্য বা বার্তাকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করতে প্রেজেন্টেশন ইনফো গ্রাফিক্স এর প্রয়োজন হয় যা একমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব।

আইডেন্টিটি

গ্রাফিক্স ডিজাইন যেকোন ব্র্যান্ডের আইডেন্টিটি গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ যে কোন ব্র্যান্ডের লগো, প্যালেট, কালারফুল, টাইপোগ্রাফি গ্রাহকদের মধ্যে সেই ব্র্যান্ডের প্রতি আলাদা আকর্ষণ জাগাতে সহযোগিতা করে থাকে।

বিপণন বিজ্ঞাপন

যে কোন প্রোডাক্টের বা কোম্পানির সঠিক বিপনন ও বিজ্ঞাপন খুবই জরুরী যার কারণে কোম্পানিগুলো তাদের প্রোডাক্ট, সেবা দ্রুত কয় বিক্রয় বাড়াতে এবং কাস্টমারদের কাছে সেগুলো গ্রহণযোগ্য করে তুলতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে থাকেন। আর গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোডাক্ট গুলোর আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন ও বিপণন তৈরিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

সৃজনশীলতা

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সৃজনশীলতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে সৃজনশীলতাকে আরো বেশি গুরুত্বের সাথে দেখা হয় কারণ ডিজাইনাররা তাদের সৃজনশীল তাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ধারণা উদ্ভাবন করেন এবং বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন 

বর্তমান সময়ের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক ডিজাইনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। আর আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার মনে প্রশ্ন আসবে আমি কিভাবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব! তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেগুলো আপনি শেখার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন -

  • বিনামূল্যে বা নিজের প্রচেষ্টায়
  • পেইড কোর্স করার মাধ্যমে

বিনামূল্যে বা নিজের প্রচেষ্টায়

আপনি যদি বিনামূল্যে বা নিজের প্রচেষ্টায় গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তাহলে ইউটিউবে বর্তমানে অনেক ভিডিও রয়েছে যা দেখে আপনি শিখতে পারেন। এছাড়াও আপনি নিজের দক্ষতা এবং অনুশীলন বাড়ানোর জন্য গুগল থেকে বিভিন্ন রিসোর্স সংগ্রহ করে সেগুলো পড়তে পারেন। তবে বিনামূল্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি খুব ভালোভাবে শিখতে পারবেন না এবং এভাবে শিখে আপনি নিজেকে একজন দক্ষ এবং এক্সপার্ট হিসেবে তৈরি করতে পারবেন না।

পেইড কোর্স করার মাধ্যমে

বর্তমান সময়ে অনলাইন বা অফলাইনে অনেকেই গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর কোর্স করিয়ে থাকেন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপরে এক্সপার্ট হতে চাইলে অবশ্যই পেইড কোর্স করার মাধ্যমে শিখতে পারেন। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করে থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো - Udemy, Coursera এবং Skillshare ইত্যাদি। আর আপনি যদি এই পেইড কোর্সগুলো করেন তাহলে আপনার যেকোনো সমস্যায় অভিজ্ঞ ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সব সময় লাইভ সাপোর্ট পাবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের জনপ্রিয় সফটওয়্যার

অনলাইন প্লাটফর্মে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে সবচেয়ে ভালো এবং জনপ্রিয় কিছু সফটওয়্যার খুঁজেন তাহলে এডোবি ইলাস্ট্রেটর হল আপনার জেনে সবচেয়ে পারফেক্ট সফটওয়্যার এছাড়াও রয়েছে এডোবি ফটোশপ (Adobe Photoshop),এডোবি ইলাস্ট্রেটর (Adobe Illustrator),এডোবি ইন ডিজাইন (Adobe In Disign),স্কেস বা ফিগমা (Sketch, Figma) ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও আপনার ডিজাইনকে স্কেল আরো অনেক গুণ বাড়িয়ে দিতে যেসব সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো হল -

আরো পড়ুনঃ  টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১০টি উপায়

ডিজাইন উইজার্ড (Design Wizard) 

ইনস্কেপ (Inscape) 

রঙ চিনচ (Color cinch)

ভেক্ট্রা (Vectra)

(Visme)

গ্র্যাভিট ডিজাইনার (Gravit Designer)

জিম্প (GIMP)

Coreldraw গ্রাফিক্স স্যুট 2019 (Coreldraw Graphics Suite 2019)

Xara ডিজাইনার প্রো এক্স (Xara Designer Pro X)

তবে আপনাকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে আর তা হল, গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য আপনি যে ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন সেই ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার যথাযথ ধারণা থাকতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং হল একটি অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক আয়ের উৎস আর আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং হল একটি মুক্ত পেশা যা আপনি ঘরে বসে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির কাজ করে দিতে পারবেন আর গ্রাফিক্স ডিজাইন হল বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল কাজ যার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন

আরো পড়ুনঃ  মাসে লাখ টাকা আয় করার ১২টি জনপ্রিয় উপায়

বর্তমানে এমন অনেক প্ল্যানচার রয়েছেন যারা গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছেন এছাড়াও একজন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে তার ক্লায়েন্টদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ পেয়ে থাকেন এবং তিনি তার গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভিস প্রদান করতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা ইচ্ছা করলে তাদের কাজগুলো সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইবার ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার সাইডে শেয়ার করতে পারেন এবং নিজের পরিস্থিতি বৃদ্ধি করতে পারেন যার মাধ্যমে তিনি অনেক কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ আমি আমার পোষ্টের মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইনের যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আপনারা যদি নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান এবং অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কাজ করতে চান তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারেন বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি তাই আপনি গ্রাফিক ডিজাইনের উপর ফ্রিল্যান্সিং করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন এবং আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url