বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশা হলো একটি জনপ্রিয় কর্মসংস্থান যার কারনে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। আর এর প্রধান কারণ হলো একজন লোক যখন কষ্ট করে কাজ শিখবে তখন তাকে অবশ্যই জানতে হবে  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। কারণ অযথা পনেরশ্রম করে কোন লাভ নেই।

Image

আমি আমার আর্টি কালের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি,ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য কি প্রয়োজন,ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়,ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি,ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের হার শতকরা কত ২০২৪ ইত্যাদি আর এসব তথ্য পেতে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা

বর্তমানে সারা বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কারণ এই কাজের চাহিদা এবং পরিধি অনেক বেশি। সাধারণ যে কোন পেশার চেয়ে এই পেশা অনেক জনপ্রিয়। ১৮১৯ সালে ওয়ালটার স্কট  (Walter Scott) নামক একজন লেখক এর বইয়ে সর্বপ্রথম এই ফ্রিল্যান্স নামক শব্দটি ছাপা হয়েছিল।  ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা যার কারণে ঘরে বসে এই কাজ করা যায় আর এজন্যই হয়তো ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা এত বেশি।

বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশের জন্য ফ্রিল্যান্স হল একটি দারুণ কর্মসংস্থান। ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে অবশ্যই যেকোনো একটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। তবে মনে রাখবেন, জন্মের পর থেকে মানুষ দক্ষ হয় না, কাজ করতে করতে সে দক্ষ হয়ে ওঠে। তাই আপনি হতাশ না হয়ে একটা কাজ শিখে চেষ্টা করুন এবং ধৈর্য ধরে কাজের সময় দিন দেখবেন একদিন আপনি দক্ষ হয়ে গেছেন। তবে একটা জিনিস আপনাদের মাথায় রাখতে হবে আর তা হলো ফ্রিল্যান্সিং মানেই মার্কেটপ্লেসে কাজ।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা জেনে আপনাকে কাজ শিখতে হবে কারণ আপনি যখন কষ্ট করে কাজ শিখবে তখন অবশ্যই যে কাজের চাহিদা আছে আপনাকে সেই কাজ শিখতে হবে। আপনি কতটা দক্ষতা অর্জন করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কাজে কতটা সময় দিবেন এবং কতটুকু ভালবেসে সময় দিচ্ছেন তার ওপর। একজন ফ্রিল্যান্সার অল্প সময়ের মধ্যে দক্ষ হতে পারে আবার অনেকে আছে যারা পাঁচ বছর পরেও দক্ষ হতে পারে না।

তবে হতাশ হলে চলবে না কারণ ফ্রিল্যান্স সেক্টর হল এমন একটি কর্মসংস্থান যেখানে আপনাকে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হতে পারে। তবে আমি আজকে আমার আর্টিকালের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো বর্তমানে  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি।

 বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ডিজিটাল মার্কেটিং প্লেসে একটি কমন প্রশ্ন হল  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং এই প্রশ্নটি হল বর্তমানে যারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ শিখতে চান তাদের মধ্যে অন্যতম একটি প্রশ্ন। পণ্য এবং সেবা প্রমোশন করায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে সবগুলোই আপনার কাছে ডিমান্ডটেবল হবে। মনে করুন আপনি আর্টিকেল লেখেন তাহলে এই সেক্টরে আপনার টাকা আসতে একটু সময় লাগবে।

তবে টাকা আসা শুরু করলে আপনি যদি দুইদিন না লিখেন তাহলে ও আপনার সাইটে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে না। হ্যাঁ, সে ক্ষেত্রে হয়তো একটু কম আসতে পারে আবার তা নাও হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি অন্য কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তাহলে আপনাকে কাজের প্রতি একটিভ থাকতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ ডেলিভারি দিতে হবে। আপনি যতক্ষণ কাজ করবেন ততক্ষণ আপনার ইনকাম হবে তবে এই ইনকাম হবে আপনার মোটা অংকের।

আরো পড়ুনঃ  টাকা ছাড়া ব্যবসা করার ১০টি উপায়

তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বা ডিমান্ডটেবল সেক্টর রয়েছে আপনি এগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটির ওপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। নিচে এগুলো দেওয়া হল -

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)

কনটেন্ট মার্কেটিং 

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

ভিডিও মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং

মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং এর সেক্টর হল অনেক বড় একটি সেক্টর যেখান থেকে আপনি ইচ্ছে করলেই মিলেনিয়ার হতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে একটি কোম্পানি অনলাইন মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ। যদি কোন কোম্পানি তাদের প্রচার প্রচারণা বা বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি অনেক ভালো ওয়েবসাইট তৈরি করল কিন্তু সেই ওয়েবসাইট থেকে বিক্রির জন্য কোন মার্কেটার হায়ার করলো না, তাহলে সেই ওয়েবসাইটের আর কোন মূল্য থাকে না।

অনলাইন থেকে এই কোম্পানির আন্ডারে কোন ভালো সেল হওয়া সম্ভব নয় যার কারণে কোম্পানিগুলো একটি ভালো ভ্যালু প্রভাইড করে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সারকে। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর হল ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে আপনি যদি কোন একটি কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে কোন কাজের অভাব হবে না আর এর প্রধান কারণ হলো দিন যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ ততই অনলাইনে প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।

আপনি একটু চিন্তা করলে দেখতে পাবেন মানুষ শহরে বসবাস করেও অনলাইনে কাপড় কিনছে সে আর দোকানে যেতে চাই না। তবে সব ক্ষেত্রেই একটি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে কারণ প্রথম অবস্থায় ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে যে কোন একটি ব্র্যান্ডের ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণা চালানো হয় সে ক্ষেত্রে সেলও অনেক হয়। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে প্রথম অবস্থায় সেল ভালো হয় পরবর্তীতে আবার কমে যায়।

এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কোন ক্লায়েন্টের কাজ হাতে নিলে কাস্টমারদের যদি টার্গেট করতে না পারে তাহলে বিক্রি অনেক কমে যায় যার ফলে আপনার আইডি ও ডাউন হয়ে যাবে এবং পরবর্তী সময়ে কোন ক্লায়েন্ট এসে আর আপনাকে অর্ডার করতে চাইবে না। তাই আপনি শুধু ফ্রিল্যান্সিংয়ের ডিমান্ডেবল সেক্টর খুঁজলেই হবে না সেই সেক্টরে আপনাকে দক্ষ ও হতে হবে তবে আপনি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য কি প্রয়োজন

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হল আপনার ইচ্ছা শক্তি এবং ধৈর্য। তবে এর পাশাপাশি আপনার কিছু উপকরণ প্রয়োজন যেমন -

আপনার এটি ভালো ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকতে হবে। তবে কাজের ধরন অনুযায়ী আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েও করতে পারবেন।

একটি নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস এ একটি প্রোফাইল থাকতে হবে যেখানে আপনার কাজের ধরন, দক্ষতা এবং কাজের উদাহরণ দেওয়া থাকবে।

আপনাকে ইংরেজি ভাষা জানতে হবে কারণ বিদেশী ক্লায়েন্টদের সাথে আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে এবং লিখতে হবে।

ক্লাইন্টের সাথে সঠিকভাবে যোগাযোগ করার জন্য আপনার একটি ভাল হেডফোন, কিবোর্ড ও মাউস থাকতে হবে। এক কথায় একটি ভালো সেটআপ থাকতে হবে।

ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ ও ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করতে আপনার একটি মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

বর্তমানে একজন ভালো ফ্রিল্যান্সার হতে হলে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে ভালো হয়। কারণ সেখানে আপনার পরিচয়, কাজের উদাহরণ, কাজের ধরন, যোগাযোগ করার মাধ্যম ও পোর্টফলিও দেওয়া থাকে।

তবে নতুনদের জন্য এত কিছুর প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টার সংযোগ থাকলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী আপনি আপনার উপকরণ বৃদ্ধি করবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বায়ার কাকে বলা হয়

সাধারণত ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের যারা filancer দের কাজ দিয়ে থাকেন তাদের বলা হয় ক্লায়েন্ট বা বায়ার। ক্লাইন্ট সাধারণত হয়ে থাকেন বিভিন্ন কোম্পানির মালিক বা সেই কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন একজন উদ্যোক্তা। ক্লায়েন্ট বা বায়ার ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন কাজ দিয়ে থাকেন এবং অর্থের বিনিময়ে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন। বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে যে ক্লায়েন্ট বা বায়ার পাওয়া যায় বিষয়টা এমন নয় বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বা ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ও বায়ার খুঁজে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ  মাসে লাখ টাকা আয় করার ১২টি জনপ্রিয় উপায়

তবে ক্লাইন্টদের কাজ দেওয়ার পূর্বে তাদের সাথে বায়ার  সময়সীমা এবং কাজের বিবরণ নির্ধারণ করে থাকেন। পরবর্তী সময়ে যদি আপনার ব্যবহার এবং কাজ তাদের ভালো লাগে তাহলে আপনাকে রেটিং দিতে পারে যার কারণে সঠিকভাবে কাজ ডেলিভারি দেওয়া ও ভালো ব্যবহার করা উচিত। আপনি যদি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মনে রাখবেন কাজ দেয়ার পূর্বে বায়ার বা ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারদের সাথে ভিডিও কলে অথবা সেটিং এর মাধ্যমে কথা বলতে পারেন।

আপনি যদি সঠিকভাবে বায়ার কে বোঝাতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে সেই বায়ারের নিকট থেকে আপনি পার্মানেন্ট ভাবে কাজ পেয়ে যাবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

বাংলাদেশের যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন বা flasher তাদের মনে আগে প্রশ্ন জাগে যে আমি কাজ করে কিভাবে এই টাকা উত্তোলন করব। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সারা যে টাকা আয় করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে পেমেন্ট নিয়ে থাকেন। তবে একজন ফ্রিল্যান্সার যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন সেখানেই তার একটি অ্যাকাউন্ট থাকে। মনে করুন আপনি ফাইবার মার্কেটপ্লেসে গিয়ে ক্লাইন্ট এর কাছ থেকে কাজের অর্ডার পেয়েছেন।

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং - কিভাবে করতে হয় জেনে নিন

আপনি সেই কাজ জমা দেওয়ার পর বায়ার আপনাকে নির্ধারিত পেমেন্ট দিবেন। তাই আপনি যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন সেই সেক্টর থেকে পেমেন্ট পাবেন। তবে এই পেমেন্ট উত্তোলন করতে হলে পেওনিয়ার, পেপাল, নেটেলার বা স্কিল এর মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট মেথড এর সাহায্যে আপনি আপনার পেমেন্ট উঠাতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পেওনিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন প্রেমেন্ট মেথড।

ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস কোনটি

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে upwork হলো সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে ১২  মিলিয়নেরও অধিক নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে পূর্বে ফাইবার কে সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে ধরা হতো। কিন্তু এই সেক্টরে কিছু জটিল নিয়ম কানুন রয়েছে যার কারণে অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা এখানে সাকসেসফুল হতে পারেনি আর এই কারণে ফাইবারের জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলেছে এবং এই ফাঁকে upwork market place তার জায়গা করে নিয়েছে। আর এই হিসাবে বর্তমানে আপ ওয়ার্ক সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস।

কোন ফ্রান্সিং এ কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি

একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার সব সময় গুগলে সার্চ করে থাকেন  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এবং কোন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি। মনে রাখবেন, আপনি যদি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে যে কোন কাজে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর সব কাজেই ডলার থাকলেও বর্তমানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development) এর কাজের পারিশ্রমিক সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যদি একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন তাহলে সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার চার্জ করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণের হার শতকরা কত ২০২৪

বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে শুধু নয় কোন সেক্টরেই মেয়েদের অংশগ্রহণ কম নয়, পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ও নারীরা পিছিয়ে নেই। সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে নারীর সংখ্যা শতকরা ৫৮ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের নারীর সংখ্যা শতকরা নয় ৯ শতাংশ। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অনলাইনে কাজের ক্ষেত্রে অর্থাৎ আউটসোর্সিং এর ক্ষেত্রে কাজের জন্য ১০ শতাংশ নারীকে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

তবে আশা করা যায় শুধু ১০% নয় বাংলাদেশের নারীরা ও ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১৭ শতাংশ লোক ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আর এর মধ্যে নারী রয়েছে নয় ৯ শতাংশ।

শেষ কথা

বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল একটি অন্যতম কর্মসংস্থান। তবে বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ফ্রিল্যান্সিং কিশোরদের কাছে অত্যাধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এর পাশাপাশি বয়স্করা ও থেমে নেই আর এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো ঘরে বসে নিজের ইচ্ছামত সময়ে এই কাজ করা যায় যার কারণে সময় অপচয় কম হয় এবং মানুষের কোন বাহ্যিক খরচেরও প্রয়োজন হয় না। শুধু একটি ল্যাপটপ বা হাতে থাকা স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা সম্ভব।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি এই প্রশ্নটি যেন সবার মধ্যে একটি কমন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ মানুষ এখন অল্প পরিশ্রমে অধিক ইনকাম করতে চায়। আর ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হল এমন একটি সেক্টর যেখানে অল্প পরিশ্রম করে অধিক ইনকাম করা সম্ভব। তাই আসুন, অযথা ঘরে বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করুন এবং জেনে নিন  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি।

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমার আর্টিকেল পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন এবং ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্টস করে জানাবেন। আর হ্যাঁ, বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url