ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় কাজ তবে এই ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আমাদের জানা প্রয়োজন। আর আমরা যদি ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি না জেনে কাজ শুরু করি তাহলে সকল ফ্রিল্যান্সার হতে পারব না। তাই আপনারা যারা সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তারা জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি।

Image

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আপনারা যারা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান আমি তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি এ বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি আপনারা তা জানতে পারবেন এবং একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি 

ঘরে বসে অল্প কিছু সময় ব্যয় করে অতি অল্প সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং করা। ফ্রিল্যান্সিং হল মুক্ত পেশা আর এই পেশায় টাকা ইনকাম করা সবচেয়ে সহজ। এই কাজ কারো অধীনে করতে হয় না, নিজের সময় মত করলেই হয়ে যায়। আমার মনে হয় একজন মানুষের জীবনে ইনকামের যত পথ আছে সব পথেই একটি নির্দিষ্ট সময় কাজ করতে হয় আর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ হল নিজের সুবিধা মত সময়ে কাজ করলেই হয়ে যায়।

একজন ফ্রিল্যান্সার ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে থাকে যার কারণে ঘরে বসেই বিদেশের বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাজ নিয়ে থাকেন শুধু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার ডেলিভারি দিলেই হয়ে যায়। একজন চাকরিজীবীর বেতন নির্দিষ্ট কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সারের আয়-অনির্ধারিত। একজন ফ্রিল্যান্সারের পরিশ্রমের উপর নির্ভর করে সে মাসে কত টাকা আয় করবে। তবে এক্ষেত্রে সব সময় একজন ফ্রিল্যান্সার একজন যে কোন চাকরিজীবী চেয়ে বেশি ইনকাম করে থাকেন।

বর্তমানে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। যদি একজন ফ্রিল্যান্সারের একটু কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে সে কিছু বিশেষায়িত মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলোতে কাজ জোগাড় করে নিতে পারে। মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা বা স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ভালো টাকা আয় করতে পারে। অনেকেই মনে করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগৎ অনেক বড় এখানে কাজ পাওয়া সহজ নয়, আর হতাশা হয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়।

অনেকেই হয়তো জানে না বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজ রয়েছে যেগুলো আয়ত্ত করতে পারলে খুব কম সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ জোগাড় করে নেওয়া সম্ভব হয়। আর এসব কাজগুলো অনেক ডিমান্ডেবল যার কারণে অতি অল্প সময় অনেক ডলার ইনকাম করাও যায়। আমি আজকে আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

ওয়েব ডিজাইনার

ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ প্রায় সকল ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় আর আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে চান এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাহলে একজন ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন। ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন কারণ বর্তমানে মার্কেটপ্লেস ওয়েব ডিজাইনার খুঁজে থাকে। আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার মার্কেটপ্লেস এ কাজ খুঁজে থাকেন তাহলে দেখবেন ওয়েব ডিজাইনের সাথে রিলেটেড অনেক কাজ রয়েছে।

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে প্রত্যেকটা প্রাতিষ্ঠানিক কোম্পানির একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয় আর ওয়েব ডিজাইনারের জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ বা অভিজ্ঞ ওয়েব ডিজাইনার। আপনি যদি সঠিকভাবে ওয়েব ডিজাইন করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ডেলিভারি দিতে পারেন তাহলে অনলাইন থেকে নিয়মিত অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আপনি যদি ইচ্ছে করেন তাহলে মাত্র কয়েক মাস কোর্স করেই একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।

ফ্রিল্যান্স রাইটার

বর্তমান ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে ডিমান্ডে বল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার রাইটার হতে পারেন। বর্তমানে ফ্রান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্স রাইটার বা কনটেন্ট রাইটারের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর একজন ফ্রিল্যান্স রাইটারের যে কাজ করতে হয় তা হলো ওয়েবসাইট, ব্লগ, কোম্পানি পেইজ, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি। বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোর কাজ করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানিগুলো এসব ফ্রিল্যান্স রাইটার হায়ার করে থাকেন।

আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারেন তাহলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে এই কাজ শিখার জন্য আহামরি সময় ব্যয় করতে হবে না মাত্র কয়েক মাস কোর্স করলে আপনি দক্ষ ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা অনেক বেশি কারণ একজন ডিজিটাল মার্কেট এর কাজ হল যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অনলাইন প্রেজেন্টস বৃদ্ধি করা যার মাধ্যমে লিড কন্টেটর করে সেলস বা বিক্রি বাড়ানো হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যানেজার হতে চান তাহলে আপনাকে এসইও, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং বা ফেসবুক মার্কেটিং, অনলাইন বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। আর আপনি যদি দক্ষ হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ১৫ ডলার থেকে ৪৫ ডলারের ওপরে ইনকাম করতে পারবেন।

ট্রান্সলেশন ওয়ার্ক

বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে বিভিন্ন ভাষা অনুবাদ করিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে একজন ট্রান্সলেশন ওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সারকে যে কাজ করতে হবে তা হলো - ইংরেজি থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে ইংরেজি বা অন্যান্য যে কোন ভাষাতে টেক্সট ফাইল অনুবাদ করতে হবে এবং বর্তমান সময়ে এই কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এ কাজ করলে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারা যায়। আর আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ট্রানসলেশন ওয়ার্কের কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপস ডেভলপার

আপনি যদি অ্যাপ তৈরি করতে পারেন বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে পারেন তাহলে অনলাইন প্লাটফর্মে প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন। আজকের দিনের বেশির ভাগ ব্যবসা বা কোম্পানিগুলো থেকে নিজেদের অ্যাপস তৈরি করে থাকে। আর প্রত্যেকটি কোম্পানি তাদের আলাদা আলাদা কাজের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাপস তৈরি করে থাকে। আপনি যদি বর্তমান সময়ে অধিক ডিমান্ডেবল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে অ্যাপস ডেভলপার হতে পারেন। বর্তমানে সময়ে অধিক টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো অ্যাপস তৈরি করার কাজ।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

একজন ওয়েব ডেভলপার তার ওয়েবসাইট তৈরি করেন এডভান্স প্রোগ্রামিং স্কিল ব্যবহার করে। আর ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে সাধারণত ফ্রন্ট এন্ড বা ব্যাক এন্ড অথবা ফুল স্ট্যাক উভয় ডেভলপার হতে হয়। ওয়েব ডেভলপারকে দেখাশোনা করতে হয় সাধারণত ওয়েবসাইটের বাহ্যিক দিক যেমন - ডিজাইন ও ভিজুয়াল বেসিক ইত্যাদি। আবার একজন ডেভলপারকে ওয়েবসাইটের ভেতরের বিভিন্ন দিক যেমন ব্যাক এন্ড এসব বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং দেখাশোনা করতে হয় আর এজন্য একজন ফুল স্ট্যাক ডেভলপার প্রয়োজন যিনি উভয় বিষয়ে পারদর্শী। আর একজন যদি পারদর্শীদর্শী বা দক্ষ ওয়েব ডেভলপার হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ১৫ ডলার থেকে ৩০ ডলারের ওপরে আয় করতে পারবেন।

মিডিয়া বায়িং bying

একজন মিডিয়া বায়িং এক্সপার্ট নির্দিষ্ট বাজেট ও প্রয়োজন এর উপর ভিত্তি করে কোন ব্যবসার এড প্লেসমেন্ট ঠিক করতে সাহায্য করেন। তিনি তার ক্লায়েন্টদের জন্য যে কাজ করেন তা হল মিডিয়ার জন্য অ্যাড বা বিজ্ঞাপন হতে পারে ফিজিক্যাল প্রিন্ট, ডিজিটাল বা ব্রডকাস্ট মিডিয়া। একজন মিডিয়া বায়িং সাধারণত তার ক্লায়েন্টের জন্য সেরা বিজ্ঞাপনের সুযোগ খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন বা কাজ করে থাকেন। আর আপনি যদি একজন দক্ষ মিডিয়া বায়িং হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ৫০ ডলার থেকে ২০০ ডলারের ওপর পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ডাটা এনালাইসিস

বর্তমানে ফিন্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে একজন ডাটা এনালাইসিস এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একজন ডাটা এনালাইসিস এর কাজ হল যে কোন কোম্পানির ডাটা সঠিকভাবে এন্ট্রি করা। আর অধিকাংশ কোম্পানি ইন হাউস ডাটা এনালিস্ট থাকলেও ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ডাটা এনালাইসিস খোঁজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন দক্ষ বা অভিজ্ঞ ডাটা এনালাইসিস হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ২০ ডলার থেকে ৫0 ডলারের ওপরে আয় করতে পারবেন।

বিজনেস কনসালটেন্সি

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন ব্যবসায়ী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিজনেস কনসাল্টেশন হায়ার করে থাকেন। আর একজন বিজনেস কনসালটেন্স এর কাজ হল ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা। আর এক্ষেত্রে আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্স বিজনেস কনসালটেশন হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ২৮ ডলার থেকে ৯৮ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

সফটওয়্যার ডেভেলপার

আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সফটওয়্যার ডেভলপার হতে পারেন কারণ বর্তমান বাজারে সফটওয়্যার ডিজাইনারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আর এ কাজ করেও আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন কারণ প্রত্যেকটা কোম্পানি তাদের কাজের জন্য আলাদা আলাদা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম তৈরি করে থাকেন এবং এগুলোর ডিজাইন করে থাকেন বিভিন্ন ডেভলপারের কাছ থেকে। আর এই কাজে এইচটিএমএল HTML,PHP.XML,JAVA ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। আর এসব বিষয়ে যদি আপনার দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি অনলাইন মার্কেট প্লেসে প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন।

প্রোগ্রামিং

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে ডিমান্ড ডেবল এ কাজ খোঁজেন তাহলে একজন প্রোগ্রামিং ডিজাইনার হতে পারেন কারণ একজন প্রোগ্রামার সাধারণত কম্পিউটার এবং মোবাইলের জন্য কোড লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস তৈরি করে থাকেন। এছাড়াও একজন প্রোগ্রামার অন্য যেসব কাজ করে থাকেন তা হল - বিভিন্ন ধরনের মেনটেনেন্স রুটিন এবং টেকনিক্যাল সমস্যা ঠিক করা। আর আপনি যদি একজন দক্ষ প্রোগ্রামিং ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন তাহলে প্রোগ্রামিং ফ্রিল্যান্সার দিকগুলো থেকে আপনি ঘন্টায় ১৫ ডলার থেকে ৩০ ডলারের ওপরে ইনকাম করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

আপনি যদি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারেন এবং এই কাজ করে আপনি প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। কারণ আজকাল প্রায় প্রত্যেক কোম্পানি বা সংগঠনের একটি নির্দিষ্ট ইউটিউব চ্যানেল থাকে আর এই চ্যানেলে নিয়মিত বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করা হয়। আর এই ভিডিওগুলো তৈরি করার পর সেগুলোকে এডিটিং করার জন্য তারা আলাদাভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার ভিডিও এডিটর নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে মাত্র কয়েক মাস কোর্স করলে একজন সফল ভিডিও এডিটর হতে পারবেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

বর্তমান বিশ্বে ভার্চুয়াল এর মাধ্যমে অনেক কিছু দেখানো হয়ে থাকে যাকে বলা হয় ত্রিমাত্রিক বিশ্ব যা বাস্তব চেতনা উদ্যোগকারী কিন্তু বাস্তব নয়। আর মানুষ বর্তমানে এসব বিষয়ে বেশি খোঁজ করে থাকে। আর একজন ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ হল ডাটা এন্ট্রি, ক্যালেন্ডার অর্গানাইজেশন বা ইমেল কমিউনিকেশনের মতো বিভিন্ন এডমিনের কাজ করা। আর ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট গন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট খোঁজ করে থাকেন।

একজন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট মূলত রেস্টুরেন্ট রিসাভেসন, মেডিকেল অ্যাপার্টমেন্ট বা কেনাকাটার মত যে কোন কাজ করে থাকেন। মূলত যেসব ব্যবসায়ীগণ অনেক ব্যস্ত থাকেন তারা এই ধরনের ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আর আপনি যদি একজন দক্ষ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ১২ ডলার থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

ভয়েস ওভার

আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে ভয়েস অভার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। কারণ একজন ভয়েস অভার আর্টিস্ট হিসাবে আপনাকে ক্লায়েন্টের হয়ে নিজের ভয়েস দিয়ে ভয়েস রেকর্ড করে অডিও কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো - পডকাস্ট বা ওয়েবসাইট কন্টেন্ট বা মার্কেটিং। আর এ ক্ষেত্রে কোন মিডিয়া বাংলাদেশ এই ধরনের কাজ করার মতো ফ্রিল্যান্সার এর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম কিন্তু অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ভয়েস অভার ফ্রিল্যান্সার এর চাহিদা অনেক বেশি।

পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজমেন্ট

পাবলিক রিলেশন্স ম্যানেজমেন্ট যাকে সংক্ষেপে পিআর বলা হয় আর এই সকল ম্যানেজমেন্ট এর কাজ হল কোম্পানির একটি ইতিবাচক ভাব মূর্তি তৈরি করা। আর একজন পি আর ম্যানেজারের কাজ হল বিভিন্ন প্রেস রিলিজ করা, গুরুত্বপূর্ণ মিডিয়ার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা, কোম্পানির সংকটপূর্ণ সময় মোকাবেলা করা ইত্যাদি। আর আপনি যদি একজন দক্ষ পিআর ম্যানেজার হতে পারেন তাহলে ঘন্টায় ৫0 ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনিং

বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজগুলো বিভিন্ন কোম্পানিগুলো দক্ষ ফিলন্সার ফ্লাক্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার হায়ার করে থাকেন সাধারণত যে কাজের জন্য তা হলো মার্কেটিং এডভাইস অ্যাডভার্টাইজিং রিপোর্ট ক্যাটালগ নিউজ লেটার্স বিজনেস কার্ড ওয়েবসাইট বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ইত্যাদি কাজের জন্য এছাড়াও একজন গ্রাফিক ডিজাইন কে যে কাজ করতে হয় তা হলো ফটোশপ এবং ইলাস্টাটার সম্পর্কিত ইস্কিলের কাজ এক্ষেত্রে আপনি যদি মাত্র কয়েক মাস একটি কোর্স করে থাকেন তাহলে একজন সফল গ্রাফিক ডিজাইনার হতে পারবেন

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে চান আমি তাদের জন্য আমার আর্টিকেল এর মাধ্যমে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সিং হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসা কারণ এটা হল এমন একটি ব্যবসা যার জন্য আপনাকে ঘরের বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি ঘরের মধ্যে বসে থেকেই আপনার ইচ্ছামত সময়ে কাজ করে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

বর্তমান সময় হচ্ছে প্রতিযোগিতার যুগ আর এই সময়ে যদি আপনি প্রতিযোগিতা না করে ঘরে শুধু বসে থাকেন তাহলে তো কোন টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তাই আসুন, অযথা সময় নষ্ট না করে ফ্রিল্যান্সিং এ কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জেনে নিন এবং আজই কাজ শুরু করুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url