পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
পদ্মা সেতু হলো এমন একটি সেতু যা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের সেতু। আমাদের পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা গুগলে পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ সার্চ করে থাকো আমি তাদের জন্য পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ বিস্তারিতভাবে লিখেছি তোমরা বিভিন্ন পরীক্ষায় পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ লিখতে পারো।
তোমাদের জন্য আরো যা প্রয়োজন হতে পারে তা হল -
অনুচ্ছেদ - সেরা ৫০ টি - অনুচ্ছেদ
পদ্মা সেতু - অনুচ্ছেদ / স্বপ্নের পদ্মা সেতু
কতকাল ধরে স্বপ্ন দেখেছি,
উড়াল দিব পদ্মার উপর।
দেখব উড়ে উত্তাল ঢেউ,
নদীর বুকে জাগ্রত চর।
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু হলো পদ্মা বহুমুখী সেতু যাকে স্বপ্নের সেতু নামে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সেতু প্রকল্প হলো এই পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য বিশ্বের ইতিহাসে পদ্মা সেতু হলো একটি চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। পদ্মা নদীর মত খরস্রোতা নদীতে পদ্মা সেতু নির্মান বিশ্বের ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা যা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এবং নিজস্ব প্রচেষ্টাই তৈরিকৃত একটি সর্ববৃহৎ মেগা উপকল্প। পদ্মা সেতুর পূর্ব পাড়ে রয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং এবং পশ্চিম পাড়ে রয়েছে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর।
পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ১৫০ মিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় সুদূর কংক্রিট এবং স্টিল দিয়ে আর এই সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। আর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ২০০০ বিদেশি সহ ২০ হাজার লোক প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিল। আর এ সেতু নির্মাণের ফলে ঢাকা সহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সড়ক পথে সরাসরি দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ১৯ টি জেলা এবং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রেলপথ।
২০২১ সালের ২০ জুন এই সেতুটি রেলওয়ে স্ন্যাব বসানো শেষ হয়েছে এবং ২৩ আগস্ট শেষ হয়েছে সড়ক পথের স্ন্যাব বসানো। এরপর ধাপে ধাপে সেতুতে আলোকসজ্জা, বাতি, বিভিন্ন স্থানে মসৃণ করা এবং পিচ ঢালাইয়ের কাজ সহজ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ শে জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এরপর ২০২২ সালের ২৬ শে জুন থেকে সেতুটিতে যান বহন চলাচল শুরু হয়েছে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কোটি কোটি মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তিত হয়েছে।
আশার আলো দেখেছি আজ,
খুলে দিয়ে সব বদ্ধ জানালা।
উন্নয়নের ছোঁয়া পেল এবার,
অনুন্নত দক্ষিণ বাংলা।
শেষ কথা
পদ্মা সেতু পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন আর এই সেতু নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো পদ্মা সেতু, মানুষের স্বপ্নের সেতু যা বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url