যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
আমাদের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ সময় সমাজ বিরোধী আন্দোলন হিসেবে যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ লিখতে হয় তাই আমি যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।
যৌতুক প্রথা সমাজের জন্য অভিশাপ আর এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে হলে সমাজকে সচেতন হতে হবে। নিচে তোমাদের জন্য যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লেখা হলো -
যৌতুক প্রথা - অনুচ্ছেদ
যৌতুক প্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি ও অভিশাপ
যৌতুক কথাটি তিনটি শব্দ দ্বারা গঠিত হলেও এর অর্থ বড় ভয়ঙ্কর। আর এই যৌতুক প্রথার সাথে পরিচয় নেই আজকের সমাজে এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সবাই কম বেশি কোন না কোন ভাবে এই যৌতুক প্রথার সঙ্গে জড়িত। যৌতুক হল কন্যা বিবাহের সময় পিতা-মাতার সম্পত্তি হস্তান্তর প্রক্রিয়া। আবার বলা হয়ে থাকে যৌতুক হল মেয়ের বিয়ের সময় বরের বাবাকে অভিভাবক কর্তৃক অর্থ বা মূল্যবান কোন সামগ্রী বুঝিয়ে দেওয়া এবং এই অর্থ অসম্পদ বরের পরিবার থেকে চাপ দিয়ে আদায় করে নেওয়া।
বাংলাদেশ ভিক্ষা করার অনেক উপায় আছে
ছেলের বাবা ভিক্ষা করে মেয়ের বাবার কাছে
অরো পড়ুনঃ বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন - রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
কন্যাদায় গ্রস্থ পিতা তার কন্যাকে পাত্রস্থ করার জন্য পাত্রের বাবাকে সম্পদ হস্তান্তরের যে প্রক্রিয়া সমাজে প্রচলিত রয়েছে তাই হল যৌতুক। তবে হিন্দু আইনে যৌতুককে নারীর সম্পত্তির উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে কারণ হিন্দু সমাজের নারীরা পুরুষদের মত বাবা-মায়ের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না। তাই তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার সময় কিছু পণ দেওয়া হতো আর এই পণ কালক্রমে যৌতুকের রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যৌতুকের দাবিতে স্বামী এবং তার আত্মীয়-স্বজন দ্বারা একজন মেয়ে অত্যাচারিত হয় এবং হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটে থাকে। এমন ঘটনাও আমাদের সমাজে বিরল। তাইতো কবি বলেছেন -
ছেলের বিয়ে দেবো আমি
যৌতুক যদি পাই
মেয়ের বাবা থাকলে রাজি
সমস্যা আর নাই
অরো পড়ুনঃ নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
যৌতুক সমাজে কবে থেকে প্রচলিত হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশে চালু রয়েছে। তবে এখানে যৌতুকের সঙ্গে বলা হয়েছে "যৌতুক হচ্ছে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্ব শর্ত হিসেবে এক পক্ষ কর্তৃক কোন পক্ষের কাছে দাবি করা অর্থ সামগ্রী বা অন্য কোন সম্পদ"। তবে যৌতুক নিরোধ আইনের সহায়তা পেতে হলে বিবাহ সম্পর্ক টিকে থাকতে হবে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হলে এই আইন কার্যকর হবে না। তবে বিয়ের আসরে অতিথিরা নিজের স্থায়ী বা মেয়ের বাবা নিজের ইচ্ছায় কোন উপহার সামগ্রী প্রদান করলে তা যৌতুক হিসেবে গণ্য হবে না।
যৌতুক মানে কৌতুক নয়
বিষাদময় ধ্বনি
যৌতুক মানে দুঃখের মানে
নারীর অশ্রু গ্লানি
শেষ কথা
যৌতুক হলো সামাজিক ব্যাধি আর এই যৌতুক প্রথা থেকে রক্ষা পেতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক আন্দোলন যদি জোরদার করতে না পারা যায় তাহলে দেশের কোন আইন এই যৌতুক নামের নির্যাতন বন্ধ করতে পারবে না। বন্ধ হবে না দরিদ্র বাবার হাহাকার। যৌতুকের কারণে অনেক বাবা আছেন যারা মনে করেন, আমার কন্যা সন্তান না হলে ভালো হতো! কিন্তু আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন,- যার একটি কন্যা তার একটি জান্নাত। কিন্তু কোন পুত্রের ব্যাপারে এ কথা বলা হয়নি। তাই আসুন যৌতুক প্রথা বাদ দেই আর কন্যা সন্তানকে ভালোবাসি।
অরো পড়ুনঃ অনুচ্ছেদ - ১০০টি (সকল শ্রেণী)
প্রিয় সুধী, আমি আমার অধিকাংশ কনটেন্ট গুগলের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ফলো করে লিখে থাকি। এর মধ্যে আমার সবচেয়ে দুটি প্রিয় ওয়েবসাইট রয়েছে আর তা হলো উইকিপিডিয়া এবং প্রথম আলো। আমি অন্য ওয়েবসাইট ফলো করলেও আমার এই প্রিয় দুই ওয়েবসাইট সবচেয়ে বেশি ফলো করি। তাই যদি কারো লেখার সাথে আমার লেখা মিলে যায় তাহলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। তবে আমি কখনো কাউকে কপি করি না, শুধু কবিতার লাইন নিয়ে থাকি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url