নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

এই পৃথিবী সূচনা লগ্ন থেকেই নারী পুরুষ যেকোনো কাজে সমান ভাবে অংশগ্রহণ করেছে যার কারনে প্রয়োজন হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি।তোমরা যারা পরীক্ষায় নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

প্রিয় শিক্ষার্থী, নিচে তোমাদের জন্য নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ বিস্তারিতভাবে লিখা হলো। তোমরা যে কোন পরীক্ষায় নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ লিখতে পারো।

নারীর ক্ষমতায়ন - অনুচ্ছেদ 


বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।

নারীর ক্ষমতায়ন ইংরেজিতে যাকে বলা হয় (Womens empowerment)। নারীর ক্ষমতায়ন বলতে বোঝানো হয়ে থাকে যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তা হতে পারে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বিচারবিভাগ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান এমনকি মন্ত্রী সভায় নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। ক্ষমতার হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের জীবন, নিজের সম্প্রদায়ের ক্ষমতা, সামাজিক প্রতিপত্তি সবকিছু সৃষ্টি করতে পারে এবং সে তার শিক্ষা, পেশা, জীবনধারার নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতা এমনকি যে কোন সীমাবদ্ধতা সে অতিক্রম করতে পারে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে নারীর অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিধান বাংলাদেশ সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সংবিধানের ২৭ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে - (সকল নাগরিক অর্থাৎ নারী পুরুষ সবাই আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী)। ২০১৬ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এর রিপোর্টে নারীর ক্ষমতায়নে ১৪৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৭২ তম। অথচ ২০১৫ সালে এই অবস্থান ছিল ৬৪ তম। 

বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। রাজনৈতিক দিক দিয়েও বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। ১৯৭২ সালে নারীর প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন তথা রাজনৈতিক উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করা হয়। আবার সরকারি চাকরিতেও নারীর কোটা ১০ ভাগ সংরক্ষিত রয়েছে। ১৯৭৩ সালে মন্ত্রিসভায় দুইজন নারীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় আবার ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হিসাবে নারীকে নিয়োগ করা হয়। 

বাংলাদেশ সহ সারা পৃথিবীতেই সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী,  বিরোধীদলীয় নেত্রী এমনকি স্পিকার নারী আর এ থেকে প্রমাণ হয় যে নারীর ক্ষমতায়ন কতটা বৃহত্তর যার কারণে ১৯৯৭ সালের ৮ ই মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ঘোষণা করা হয়। এজন্যই হয়তো বিভিন্ন মনীষীগণ বলেছেন -

আমি নারী আমিও পারি

খাঁচার দরজা খুলে দিলেই

আমিও স্বপ্নগুলো ছুঁতে পারি।

শেষ কথা

নারীর ক্ষমতায়নের এই যুগেও নারীরা অনেক সমস্যা অনুভব করেন। পুরুষের বিভিন্ন নিকৃষ্ট আচরণের শিকার হন নারীরা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে হয়রানির শিকার হন তার মধ্যে ৭৩% নারী আপত্তি জানিয়েছিলেন নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে সাইবার ডায়ালপালা, হয়রানি অনলাইন পর্নোগ্রাফি এবং জ্বলন্তা। এরপরেও পুরো বিশ্বের নারীরা এগিয়ে রয়েছে তাদের ক্ষমতায়নে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url