সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায়  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায়  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ আর এই প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব ঘটেছে। আর সেই সাথে বেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার। নিচে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হলো - 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার - অনুচ্ছেদ 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার করে যাকে বলা হয় "ন্যাশনাল ডেমস্টিক ভায়োলেন্স" কাউকে বিরক্ত করা, ধমক দেওয়া, হয়রানি করা অথবা ভয় দেখানো এবং যে আচরণ গুলো অনলাইনে সংঘটিত হয়ে থাকে তাকে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার। আর এই অপব্যবহার গুলো অনলাইনের মাধ্যমে সংঘটিত হয়ে থাকে এবং এটি মৌখিক এবং মানসিক অপব্যবহারের একটি অংশ। আমাদের দেশে ফেসবুক ব্যবহারে যুক্ত হচ্ছে প্রতি ১২ সেকেন্ডে ১ জন করে যা এই দেশের জন্মহারের চেয়েও অনেক বেশি।

আরো পড়ুনঃ   অনুচ্ছেদ - সেরা ৫০ টি - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার মানুষের জন্য একটি উদ্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ এর মাধ্যমে মানুষ তার নিজের পরিচয় চুরি, খারাপ অভ্যাস শেখা, কিশোর কিশোরীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং স্ট্যাকিং এর মত অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আর যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে মূলত তারাই এইসব ঘটনার জন্য দায়ী। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন অনেক আকর্ষণীয় অ্যাপস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে মানুষ আসক্ত হয়ে উঠছে কারণ এগুলো মানুষের বিশেষ করে কিশোর কিশোরীদের মস্তিষ্কে ডোপামিনের বৃদ্ধি ঘটায়।

আরো পড়ুনঃ  অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে তাদেরকে সাধারণত সাইবার স্ট্যাকার বলা হয় এবং এদের উদ্দেশ্য রয়েছে বা টার্গেট রয়েছে অন্যায় ভাবে অন্যকে ভুল বোঝানো অথবা যৌন উদ্দেশ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি করা অথবা ভয় দেখিয়ে আনন্দ লাভ করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে মানুষের মনে বিষণ্ণতা, আত্ম-ক্ষতির উদ্যোগ, একাকিত্বের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এবং এই সমস্যা দিন দিন একটি শক্তিশালী সমস্যায় পরিণত হচ্ছে।

শেষ কথা

তরুণ প্রজন্ম আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি এতটাই আসক্ত যে সমাজ আজ যান্ত্রিকতায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে, যার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারও অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে এই নেশা ড্রাগের আসক্তির চেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url