অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা লিখতে হয় তাই আমি অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা লিখতে চাও আমার আজকের পোস্ট তাদের জন্য।

Image

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যে কোন পরীক্ষা অর্থাৎ স্কুলের পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পরীক্ষায়  এই অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা লিখতে পারো। নিচে তোমাদের জন্য অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা বিস্তারিত লেখা হলো -

অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ - রচনা

ভূমিকা

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত দিয়ে আঁকা আমাদের এই বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার বয়স মাত্র ৫১ বছর। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশ হয়ে ও শোষণ বঞ্চনার শিকল ছিঁড়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ যদিও স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় ছিল কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে পরিচিত হয়ে উঠবে।

আর এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব, দীর্ঘমেয়াদী ও যথাযথ পরিকল্পনা, অবকাঠামো ও প্রযুক্তির উন্নয়ন, মানবসম্পদের উন্নয়ন, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থান, শক্তিশালী বাজার ব্যবস্থা এইসব বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর এগুলোই বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছে অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ হিসেবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভঙ্গুরতা সূচকেও বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ১৯৭২৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ০.৫৮ বিলিয়ন ডলার যা প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের কম। ২০০৫ সাল থেকে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের গড় উৎপাদনের জিডিপি হার যেখানে ছিল প্রায় ৫.৪৩ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমানে মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.১৩ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলার বা ১,৬১,০০০ টাকা।

আরো পড়ুনঃ  কৃষি উদ্যোক্তা - রচনা (২০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সবচেয়ে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দরিদ্র বিমোচন করা কারণ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। বর্তমানে বাংলা মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৪০০ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ আলস্যের অর্থনীতির আকারে থেকে বর্তমানে ৭00 গুণ বেড়েছে।  বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে এখন একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে এবং ইতিমধ্যে জাতিসংঘ থেকে তার স্বীকৃতিও পেয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ

বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ভারতের পরে। স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ১৩৯ ডলার কিন্তু বর্তমানে তা উন্নীত হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ ৯১ ডলার। দেশজ মোট উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির হার ২.৭৫ শতাংশ থেকে উন্নীত হয়েছে ৮ শতাংশ। ১৯৭২ - ৭৩ সালে বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা কিন্তু চলতি অর্থবছরে অর্থাৎ বর্তমান সময়ে তা ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

আর এর মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় মাত্র আর এই টাকা থেকে তিন লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে ৫০১ কোটি টাকায় আর তা আজ পৌঁছেছে দুই লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকায়। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ২ কোটি ডলার কিন্তু বর্তমানে উন্নীত হয়েছে ২৫৯১ বিলিয়ন ডলার।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অবস্থান অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে ৪০ তম। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে আর বিশ্ব ব্যাংক স্বীকৃতি দিয়েছে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে। আর এইসব সক্ষমতার কারণে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিশ্বের দরবারে সুখ্যাতি এবং বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ।আর অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের বিশ্বে অবস্থান ৪০ তম আর একটি দেশ অদম্য অগ্রযাত্রায় পাড়ি দিতে হলে সবচেয়ে বড় সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন তার অর্থনৈতিক সমস্যা।

উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে নেই এবং যেসব শহীদ তাদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে তাদের রক্ত বৃথা যায়নি তা বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা আরো একবার প্রমাণ করে। কারণ বাংলাদেশে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে ইলিশ উৎপাদনে, দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাট উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় হলেও রপ্তানিতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কাঁঠাল উৎপাদনে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে, 

আরো পড়ুনঃ রচনা - সাম্প্রতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মাছ, সবজি, চাল উৎপাদনে রয়েছে তৃতীয় অবস্থানে। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ছাগল উৎপাদনে। আলু ও আম উৎপাদনে রয়েছে সপ্তম অবস্থানে। এছাড়াও আউটসোর্সিং, ক্রিকেট, পেয়ারা এবং বাইসাইকেল রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে অষ্টম এবং দশম স্থানে রয়েছে মৌসুমী ফল উৎপাদনে।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন

একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তখনই সম্ভব হয় যখন সেই দেশের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। তাই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করতে হলে অবকাঠামোগত  উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশে ও গত এক দশকে অবকাঠামগত উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার অনেক বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন এবং বেশ কিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন আর এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের পদ্মা পাড়ের মানুষের বহু কাঙ্খিত পদ্মা সেতু।

আরো পড়ুনঃ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - (রচনা) - সম্পর্কে কিছু কথা

বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু নির্মাণে সফলতা অর্জন করেন। এছাড়া ও তিনি রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা মেট্রো রেল, দেশের ছোট বড় বেশ কিছু ফ্লাইওভার, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর সহ অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেছেন। আর এইসব অবকাঠামগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো অনেক এগিয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

বাংলাদেশ সরকার প্রথম বঙ্গবন্ধু এক ১ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের গ্রাম গঞ্জের প্রতিটি ঘরে এখন বিদ্যুতের ব্যবস্থা রয়েছে।

চিকিৎসা খাতে উন্নয়ন

বাংলাদেশ চিকিৎসা ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মানুষ এখন ঘরে বসেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ডাক্তারের কাছ থেকে যাকে বলা হয় টেলিমেডিসিন। এছাড়াও সকল ধরনের বড় অপারেশন গুলো এখন নিমিষেই সম্পন্ন করা হচ্ছে আমাদের এই দেশে কারণ প্রযুক্তির অনেক উন্নতির কারণে বাংলাদেশের নিয়ে আসা হয়েছে অনেক উচ্চ ক্ষমতা সম্পূর্ণ মেশিন। এছাড়াও বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেলগুলোতে বা সদর হাসপাতালে নামমাত্র ফি অর্থাৎ ১০ টাকা ফি দিয়ে রোগীরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে যা অবশ্যই উন্নয়নমূলক দেশেই সম্ভব।

মানবসম্পদ উন্নয়ন

বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। বাংলাদেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠী কে যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকার এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সর্বস্তরের সকল মানুষের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার ফলে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে উঠছে দেশে ও দেশের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই। বাংলাদেশ সরকার কর্মসংস্থানের পথ তৈরি করছে। কৃষি, তৈরি পোশাক, ঔষধ শিল্প সহ বিভিন্ন শিল্প ক্ষাতের আকার বৃদ্ধি করা হচ্ছে যার কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে।

আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

আর এর কারণে মানুষ চাকরি নির্ভরতা কমিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠছে। বাংলাদেশে  বর্তমানে কৃষি ক্ষাতে কর্মসংস্থানের রয়েছে ১0 লাখ মানুষ। এছাড়াও বিশ্বের ১৫৭ টি দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক রয়েছে প্রায় ৮৬ লক্ষ। তারা নিয়মিত অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠাচ্ছে আর এর ফলে বাংলাদেশের মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিক্ষা খাতে উন্নয়ন

শিক্ষা খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে  শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করছে। এছাড়া নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ছাত্রীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ এ বাংলাদেশ সরকার যথাযথ ভূমিকা রাখছেন। বাংলাদেশের নারী শিক্ষার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের ৯৬% শিক্ষিতের হার রয়েছে তাই অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী ১00 শতাংশ শিক্ষার হার নিশ্চিত করা যাবে এটা আমাদের আশা।

বৈদেশিক বাণিজ্য

একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সেই দেশের আমদানি ও রপ্তানি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন বাংলাদেশ থেকে অনেক ধরনের পণ্য বিদেশের রপ্তানি করা হয়। বৈদেশিক পণ্য  রপ্তানি আয়ে মাইলফলক অর্জিত হয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০০০ কোটি মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানি হয়েছে যা এখন পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্যের আয়।

মানবাধিকার

মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ও বাংলাদেশের অগ্রগতি রয়েছে। বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন, মানবাধিকার, শিশুর অধিকার বিভিন্ন বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং তা বাংলাদেশ সরকার বাস্তবায়ন করছেন।

কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়ন

বর্তমানে বাংলাদেশে কৃষি শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যেমন - ধান, পাট, গম, আলু, ভুট্টা, মশলা, ফল  সহ বিভিন্ন ধরনের ফসল।

যোগাযোগ ও পরিবহন

বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের নৌপথ, আকাশ পথ, সড়ক, রেল সহ বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে খুলনা - ঢাকা,  ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের প্রধান প্রধান শহরের মধ্যে দ্রুতগামী যানবাহন চলাচল করে। এছাড়াও ঢাকাতে মেট্রো রেল একটি যুগান্তকারী ঘটনা যা দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো বৃদ্ধি করেছে।

প্রতিবন্ধকতা

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটা ভেঙ্গে পড়লেও বর্তমানে এই দেশ পরিণত হয়েছে মধ্যম আয়ের দেশে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আগ পর্যন্ত অর্থনীতির অগ্রগতি ছিল ধীরগতির গত কয়েক বছরে এই গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের জনসংখ্যার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেশের অগ্রগতির অগ্রযাত্রাকে খানিকটা ব্যাহত করলেও বাংলাদেশ সরকারের অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুর্নীতি বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করা সম্ভব হলে বাংলাদেশের অগ্রগতি হবে টেকসই এবং অর্থনীতিতে হবে সমৃদ্ধশালী।

উপসংহার

অদম্য অগ্রযাত্রায় আমাদের এই দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা আজ পুরো বিশ্বের জন্য একটি দৃষ্টান্ত তাই এর নাম দেওয়া যেতে পারে অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ। তবে শুধুমাত্র সরকারি প্রচেষ্টায় এই অগ্রযাত্রা বৃদ্ধি করা সম্ভব নয় সাধারণ জনগণকে সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে আরো বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিয়ে যেতে হবে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে উন্নতির পথে তবেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে অর্জন করতে পারবে উন্নত দেশের মর্যাদা।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url