শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

ষড়ঋতুর এ বাংলাদেশে আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ লেখার প্রয়োজন হয়। তাই আমি শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, তোমরা যারা পরীক্ষায় শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধু তোমরা যারা শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ এবং ১০০ শব্দের মধ্যে অনুচ্ছেদ খুঁজো আমি তাদের জন্য এই শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ লিখেছি। 

 শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ 


আবছায়া ছাড়িদিক, ঝাপসা নিঝুম

পৌষের ভোরবেলা ভেঙ্গে গেল।

বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ আর শীত ঋতু হল বাংলাদেশের ঋতুচক্রের পঞ্চম ঋতু। আমাদের দেশে পৌষ ও মাঘ মাস মিলে হয় শীত কাল। আর এই পৌষ ও মাঘ মাসের যে সকাল আমরা উপলব্ধি করি তাকেই বলা হয় শীতের সকাল। শীতের সকাল থাকে অন্যান্য ঋতুর সকাল থেকে অনেকটাই আলাদা। কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকে পুরো সকাল। ঘাস ও গাছে রাতের শিশুর বিন্দু ঘন কুয়াশার চাদর হয়ে ঢেকে থাকে সব কিছু। কখনো কখনো কুয়াশা এত ঘন হয় যে সূর্যের আলো পর্যন্ত যেতে পারে না।

আরো পড়ুনঃ  অনুচ্ছেদ - সেরা ৫০ টি - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

একটু দূর থেকেও সব কিছুকে ঝাপসা মনে হয়। শীতের সকালে পাখির কিচির মিচির ডাক শোনা যায় না। শীতের সকাল যেন আলসেমিতে ভরা, যার কারনে মানুষ দেরি করে বিছানা থেকে উঠে। গরুসহ অন্যান্য প্রাণী ও বের হতে পারে না। শীতের সকালে যেন সূর্যি মামা ও লজ্জায় এবং অভিমানে মুখ ঢেকে থাকে এরপর ধীরে ধীরে মুখ বাড়িয়ে হাসে সূর্যের সোনালী রং। শীতের সকালে যখন শিশির বিন্দুতে সোনালী রোদের আলো পড়ে তখন শিশির গুলো মুক্তোর মতো চকচক করে। তাইতো কবি সুনির্মল বসু বলেছেন-

মিঠে রোদ বেকে পড়ে দাওয়ার উপর;

জড়সড় দেহ মোর,- বড় শীত ভাই।

এরপরেও যেন কোন কাজ থেমে থাকে না। শীতের সকাল গ্রামে শুরু হয় পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে। গ্রামের মানুষ এই হিমশীতল ঠান্ডাতেও ভাপা পিঠা, দুধ পুলি, দুধ চিতই, পাটিসাপটা, পায়েশ প্রভৃতি পিঠা তৈরি করে থাকে। শীতের সকাল বড়লোকদের কাছে উপভোগ্য মনে হলেও বস্ত্রহীন, গৃহহীন দরিদ্রদের কাছে অনেক কষ্টের কারণ দরিদ্ররা শীতে অনেক কষ্ট পায় আর ধনীরা আনন্দের সাথে শীতকে উপভোগ করে। বস্ত্রহীন এবং গৃহহীন মানুষ খোঁজে আশ্রয় এবং প্রশান্তির একটু উষ্ণ চাদর।

রোদ ছাওয়া দাওয়াটায় বসি এসে তাই 

দূরে দেখি ফাঁকা মাঠে আলো ঝলমল

দরিদ্র লোকেরা তাকিয়ে থাকে সূর্যের দিকে কখন একটু আলো ফুটবে। রোদ যেন তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা। যখন সূর্যের তাপ তাদের গায়ে লাগতে শুরু করে তখন তারা কবির মত মনের অজান্তেই বলে ওঠে -

পৌষের মিঠে রোদে বসে আছি দাওয়ায়,

নলেন গুড়ের পিঠে খাবি কেরে আয়।।

শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আমি তোমাদের জন্য শীতের সকাল - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যে শ্রেণীতে পড়াশোনা করো না কেন আমার এই অনুচ্ছেদ অনায়াসে লিখতে পারবে। তবে ছোট বন্ধু তোমরা যারা ক্লাস টু থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ো তারা মাঝখানের একটি প্যারা বাদ দিয়ে লিখতে পারো। তবে একটি কথা তোমরা মনে রাখবে, তোমরা অনুচ্ছেদ লেখ আর রচনা লিখ কবির উক্তি দিয়ে লিখার চেষ্টা করবে দেখবে এতে তোমরা বেশ ভালো নম্বর পাবে।

শীতের সকাল সম্পর্কে দশ (১০) টি বাক্য

শীতের সকাল কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে।

শীতের সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যায়।

শীতের সকালে মানুষ আগুনের কুণ্ডলী পাকিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে।

শীতের সকালে মানুষ লেপ কাঁথা ছেড়ে বের হতে চায়না।

শীতের সকালে কুয়াশার জন্য সব কিছু স্পষ্ট দেখা যায় না।

শীতের সকালের অন্যতম মজা হলো খেজুরের রস।

শীতের সকালে গ্রামের ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠা তৈরি করা হয়ে থাকে।

শীতের সকাল গ্রামের মানুষের কাছে ভিন্ন রূপ নিয়ে হাজির হয়।

শীতের সকাল আমাদের মনে এক অনন্য অনুভূতির জন্ম দেয়।

শীতের সকালে দুর্বা ঘাসের ওপর পড়ে থাকা শিশির বিন্দু মুক্তোর মত চকচক করে।

শীতের সকালের মিষ্টি রোদের অপেক্ষায় অনেকেই বসে থাকে।

শীতের সকালে অলসতার জন্য কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে।

শীতের সকাল পিঠাপুলির জন্য উপযুক্ত সময় কারণ এই সময় খেজুরের গুড় পাওয়া যায়।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url