রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ হলো রেল গাড়ি ভ্রমণ। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য। 

Image

১৮৬২ সালে ৫৩.১১ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয় দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত আর এটি হলো বাংলাদেশের প্রথম রেল। নিচে রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে লেখা হলো-

রেলগাড়ি - অনুচ্ছেদ 

রেলগাড়ি যা মানুষের কাছে ট্রেন বলেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত যদিও ট্রেন ইংরেজি শব্দ এবং এর বাংলা অর্থ হলো রেলগাড়ি। রেলগাড়ি হল এমন এক ধরনের পরিবহন যা সাধারণ পরিবহনের সাথে যুক্ত এবং একটি সারি নিয়ে গঠিত অর্থাৎ রেলগাড়িতে থাকে কতগুলো বগি বা কামরা। রেলগাড়ি রেলপথের বা ধাতব পাতের উপর দিয়ে চলে বলে একে রেলগাড়ি বলে। প্রাচীন ফার্সি শব্দ ট্রাহিনার থেকেই ট্রেন শব্দটি এসেছে এবং এর অর্থ হল টানা বা টেনে নিয়ে যাওয়া।

আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

রেললাইন বলতে বোঝায় যা ধাতব পাত দিয়ে তৈরি একপ্রকার সমান্তরাল পাত যার উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। ট্রেনের সাথে যে কামরা গুলো যুক্ত থাকে এবং যার মাধ্যমে যাত্রী বা মালামাল পরিবহন করে সেগুলোকে বগি বলা হয়। প্রতিটি বগির তলায় থাকে চাকা এবং বগি গুলোর সামনে ও পেছনদিকে থাকে সংযোগস্থলের সাথে যুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা যা বগিগুলোকে চলতে সাহায্য করে। প্রতিটি ট্রেন চালিত হয় ইঞ্জিন এর সাহায্যে।

আরো পড়ুনঃ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস - (রচনা) - সম্পর্কে কিছু কথা

১৮২৫ সালের ২৭ এ সেপ্টেম্বর জর্জ স্টিফেনের প্রচেষ্টায় ইংল্যান্ডে সর্বপ্রথম রেলগাড়ি চলাচল শুরু হয়। বাংলাদেশে ১৯ শতকের পাঁচের দশকে প্রথম রেলগাড়ি যাত্রা শুরু করে তবে এর অনেক আগে অর্থাৎ ১৮৬২ সালে ৫৩.১১ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয় দর্শনা থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত আর এটি হলো বাংলাদেশের প্রথম রেল। যে প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের রেল গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তার নাম হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে।

আরো পড়ুনঃ কৃষি কাজে বিজ্ঞান - রচনা সম্পর্কে জানুন

বাংলাদেশ রেলওয়ে হল একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে মোট তিন ধরনের রেল রয়েছে আর এগুলো হলো- 

ব্রডগেজ 

মিটারগেজ ও 

ন্যারো গেজ 

তবে বাংলাদেশে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ এই দুই ধরনের রেল পথে চালু আছে। উনবিংশ শতকের প্রথম দিকে ট্রেনগুলো পরিচালিত হতো বাষ্প চালিত লোকোমোটিভ দ্বারা। ১৯১০ এর দশক থেকে বাষ্প চালিত লোকোমোটিভ এর পরিবর্তে ডিজেল পদ্ধতি এর ব্যবহার শুরু হয়। বর্তমানে ও ট্রেনগুলো এভাবেই পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি একটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।

আরো পড়ুনঃ  মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

ফ্রান্সে সম্প্রতি অতি দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন চালু করা হয়েছে যা ফ্রান্সের অর্থনীতিকে বদলে দিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। শুধু ফ্রান্স নয়, জাপান ও তার কৃষি ব্যবস্থা বদলে দিয়েছে। রেল ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে আবার আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও রেল ব্যবস্থা ও অনেক উন্নত সেই অর্থে বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে আছে।

শেষ কথা

রেলগাড়ি মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা যদিও রেল এবং রেলগাড়ি বিদেশ থেকে আগত তবুও এটি মানুষের মনে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে। রেলগাড়িতে ভ্রমণ অনেক নিরাপদ ও জনপ্রিয়। আর এজন্যই কবি শামসুর রহমান বলেছেন-

ঝক ঝক ঝক ট্রেন চলেছে

রাত দুপুরে ওই 

ট্রেন চলেছে ট্রেন চলেছে

ট্রেনের বাড়ি কই!


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Anonymous
    Anonymous July 7, 2024 at 9:47 PM

    মাশাআল্লাহ।
    খুব সুন্দর হয়েছে।

    • Noor A2Z
      Noor A2Z July 31, 2024 at 11:46 PM

      অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url