ডিজিটাল মার্কেটিং - কিভাবে করতে হয় জেনে নিন
ডিজিটাল মার্কেটিং - কিভাবে করতে হয়
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
কয়েকটি জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত অনেক প্রকার হয়ে থাকে । আমি আজকে কয়েকটি জনপ্রিয় ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আলোচনা করব ।
এসইও (SEO) মার্কেটিং
এসইও (SEO) বলতে বোঝানো হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) আর আমরা যখন গুগলের কোন পেজ ওপেন করি তখন হোম পেজে একটি সার্চ ইঞ্জিন অপশন থাকে আর ইউজাররা সাধারণত গুগলের হোমপেজে প্রবেশ করে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সার্চ করে থাকে। এক্ষেত্রে ইউজাররা যে তথ্য খোঁজার চেষ্টা করে সেই সম্পর্কে ওয়েবসাইটে হাজারো তথ্য থাকে এবং হাজারো ওয়েবসাইট থাকে। এক্ষেত্রে গুগল আপনাকে বা আপনার ওয়েবসাইট কে রেঙ্ক কিভাবে করাবে বা কোনটি র্যাঙ্কিং করাবে এই কাজগুলো এসইওর মাধ্যমে করা হয়ে থাকে
অর্থাৎ এসইও (SEO) হচ্ছে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাওয়ার অর্গানিক মেথড যাকে ফ্রি মেথডো বলা হয়ে থাকে। আর ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে একটি সবচেয়ে বড় অংশ হলো এসইও (SEO) যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে রেংকিংয়ে আনতে পারেন আর রেংকিং হলো গুগলের হোমপেজে যে ১০ টি ওয়েবসাইট সো করে বা প্রদর্শিত হয় সেই ১০ টির মধ্যে অবস্থান করলে তাকে রেংকিং বলা হয়।
কনটেন্ট মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সামনে নিয়ে আসার জন্য সবথেকে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা । আর এ ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা ও হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও চাহিদা সম্পন্ন একটি পাঠ । এজন্য আমাদের প্রত্যেকের জানা প্রয়োজন ডিজিটাল মার্কেটিং কি - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ।
জনপ্রিয় কয়েকটি কনটেন্ট মার্কেটিং হল
- ব্লগ পোস্ট
- ভিডিও অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট
- ইমেজ
- নিউজলেটার
- ই-বই
- ইনফোগ্রাফিক্স
ব্লগ পোস্ট
ব্লগপোস্ট বলতে কী বোঝায় আমরা সকলেই তা বুঝি । বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমরা যে পোস্টগুলো দেখি তার সবই হলো ব্লগপোস্ট । বিভিন্ন পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাই হল ব্লগ পোস্ট । এমনকি আপনি এখন আমার যে লেখাটা পড়ছেন সেটাও একটা ব্লগ পোস্ট ।
ভিডিও অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট
ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি ইউটিউব এর জন্য বা অন্যান্য যে সাইটগুলো ভিডিও শেয়ার করে তার জন্য আমরা যে ভিডিও তৈরি করি তাকে বলা হয় ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং । আমরা সাধারণত ভিডিও তৈরি করি কোন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য বা ভিজিটর কালেক্ট করার জন্য । আর সে ক্ষেত্রে ভিডিওটা ও একটা মার্কেটিং । এক কথায় যাকে বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং ।
ইনফোগ্রাফিক্স
ইনফোগ্রাফিক্স নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন হল ইনফোগ্রাফিক্স ।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
আপনার ওয়েবসাইটটি মূলত গুগল এডভান্স , ইয়াহু এবং বিং বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনের অনুসন্ধানের ফলাফল গুলিকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও আজকের ডিজিটাল প্রতিযোগিতার বাজারে সবার সামনে নিয়ে আসে । আর ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে কোন কিছু কেনার আগে মানুষ এটা একবার হলেও ইন্টারনেটে দেখে । তবে আমার মনে হয় এই কাজটি আপনিও করে থাকেন । তবে এরমধ্যে আবার কেউ ব্যাতিক্রম থাকতে পারে ।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন । এই সুযোগে আপনার পেইজ ভালো করে এসইও করে ভিজিটর জোগাড় করে নিতে পারেন । এছাড়া পেইড পদ্ধতিতেও আপনি আপনার অবস্থান করে নিতে পারেন । আর এই এসইও এর ওপরে নির্ভর করে আপনার সাইট কত দ্রুত গতিতে উপরে আসবে । আপনি এসইও ২ ভাবে করতে পারেন । হোয়াইট হ্যাট এসইও এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও । আপনার অবস্থান তৈরি করতে হলে এ সার্চ ইঞ্জিন এর বিকল্প নেই ।
আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল এসইও ফর্মে যোগাযোগ করে নিতে হবে । প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কোন না কোনো বিষয় খুঁজে । আর তার চাহিদা যদি আপনার কোন সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন ব্যবহারকারী আপনার পণ্যের ব্যাপারে জানুক । কিন্তু আরও অনেকেই আপনার মত এই পণ্যের সার্ভিস দিয়ে থাকেন । আর সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে আপনার পণ্যের ফলাফল সবার ওপরে থাকা । আর এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এত গুরুত্বপূর্ণ ।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং(SEM)
একজন সফল মার্কেটারের সাথে সার্চ ইঞ্জিন কথাটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এই জন্য একজন নতুন উদ্যোক্তা কে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করে নিতে হয় । যে কোন ব্র্যান্ডের অনলাইনে উপস্থিতি ও উন্নতির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন । কারণ এই সার্চ ইঞ্জিন সকল মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত । এমন কোন মার্কেটিং নেই যা সার্চ ইঞ্জিন এর আওতাভুক্ত নয় ।
এক কথায় সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হল পেইড মার্কেটিং এবং একে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে । আপনি পেইড করে নিজের সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ওপরে নিয়ে আসতে পারেন । এই কাজটি আপনি তিন ভাবে করতে পারেন -কস্ট পার ক্লিক , কস্ট পার ইম্প্রেশন এবং পে পার ক্লিক । এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে দিতে পারেন ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং(SMM)
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ! এটা আমাদের সবার মনে একটু প্রশ্ন তৈরি করে । প্রতিদিনই আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে অথবা সোশ্যাল কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে যে সাইটগুলো ব্যবহার করে থাকে তাকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । পৃথিবীর জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে । আর সেই ব্যবহারকারী প্রায় ৭0 ভাগ লোক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে । তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চমৎকার মার্কেট প্লেস হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে ।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ফেসবুক , টুইটার , ইনস্টাগ্রাম , ইউটিউব , পিন্টারেস্ট এবং ক্রেডিট লিংকডইন ইত্যাদি । এই সব গুলোর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে । সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরা স্থান দখল করে আছে । এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন । আপনি আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদের কমিউনিটিতে যুক্ত করুন এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন - উত্তর সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত পোস্ট করুন এবং কমেন্ট করুন ।
এককথায় আপনি কমেন্ট এ একটিভ থাকুন । প্রত্যেকটি ব্লগ সাইট পোস্ট করার আগে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন । এছাড়াও নিজেদের পণ্যের পাশাপাশি উপকারী পোস্ট তৈরী করুন অন্যের উপকারে আসবে । এতে করে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন । সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে আপনার পণ্যের সব খবর আপনার কাংখিত লোকদের কাছে পৌছে দিতে পারবেন । এজন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এত জনপ্রিয়।
ইমেইল মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর মধ্যে ইমেল মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ । ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একটি প্রচারমূলক বার্তা পাঠানো হয় সম্ভাব্য কাস্টমারদের কাছে । কেউ যখন আপনার ব্যবসা বা ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে আসে তখন তাদের একটি ইমেইল গ্রাহক তালিকায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় । আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং ।
আপনি গ্রাহকদের ইমেইল কালেকশন করে এক ক্লিকেই আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন । এতে প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা কোন বিষয় না , গ্রাহকদের কাছে আপনার তথ্য প্রেরণ করাই হল আসল কথা । এজন্য আমাদের জানা দরকার ডিজিটাল মার্কেটিং কি - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ।
ইমেল মার্কেটিং এর সুবিধাঃ
আপনি আপনার পণ্য বা সেবা হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পারেন একমাত্র ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে । সহজভাবে আপনার পণ্যের গুণাগুণ বর্ণনা করতে ইমেইল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন । কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য এবং কৌশল নিয়ে গবেষণা করা হয় ইমেইলের মাধ্যমে । ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সী বা ক্যাটাগরির মানুষ এর ইমেইল এড্রেস জোগাড় করা প্রয়োজন হয় । আর এই ইমেইল এড্রেস দিয়েই আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন ।
পে - পার ক্লিক (PPC)
(PPC) দ্বারা সাধারণত পে - পার ক্লিক বোঝানো হয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম করার প্রধান উপায় হল অ্যাড যা আপনি গুগলের মাধ্যমে পেয়ে থাকেন আর আপনি আপনার ল্যান্ডিং পেইজে ট্রাফিক আনার জন্য অ্যাড শো করলেন আর ইউজাররা আপনার পেজে কোন তথ্য দেখার সময় অ্যাড দেখতে পেল এবং সেই অ্যাড এ ক্লিক করে ল্যান্ডিং পেজে আসলো তাহলে ইউজাররা আপনার ল্যান্ডিং পেজের মধ্যে এসে যে অ্যাড এ ক্লিক করলো তাহলে এই ক্লিক করার জন্য আপনি একটি অর্থ পাবেন। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অর্থ পে করবে আর এটাকেই বলা হয়ে থাকে পে - পার ক্লিক (PPC)।
ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং একটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে কারন আপনি যখন কোন শহরে যাবেন তখন অবশ্যই সেটা দেখতে পাবেন। শহরের মেইন জায়গা গুলোতে অনেক বড় পর্দার সাহায্যে এডভার্টাইজিং প্রাসেসিং দেখানো হয়ে থাকে আর এগুলোতে সাধারণত কোন দোকানের সামনে, স্কুল, কলেজ, অফিস বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পণ্যের অ্যাড দেখানো হয়ে থাকে যার মাধ্যমে এগুলো মার্কেটপ্লেসে আনার চিন্তাভাবনা করা হয়ে থাকে আর একেই বলা হয়ে থাকে বিলবোর্ড মারকেটিং।
টেলিভিশন অ্যাডভার্টাইজিং
টেলিভিশন আমাদের সবার কাছে একটি প্রিয় ডিভাইস যার যার সঙ্গে আমাদের অধিকাংশ সময় কাটে বিশেষ করে মা - বোনদের সময় সবচেয়ে বেশি কাটে এই টেলিভিশনের সঙ্গে। আর যখন আমরা টেলিভিশনে কোন প্রোগ্রাম দেখি তখন সেই অনুষ্ঠান বা প্রোগ্রামের মধ্যে বিজ্ঞাপন শো করে বা বিভিন্ন পণ্যের প্রচার-প্রচারণা দেখানো হয়ে থাকে আর একেই বলা হয় টেলিভিশন অ্যাডভার্টাইজিং।
ওয়েব অ্যানালিটিকস
ওয়েব অ্যানালাইটিক্স বলতে বোঝায় প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে কতজন লোক ভিজিট করল , কোন অঞ্চল থেকে এবং তাদের বয়স সীমা কত তা সফটওয়্যারের এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা । আর গুগোল আমাদের প্রতিনিয়ত বিশ্লেষণ করে এবং সেই অনুসারে বিজ্ঞাপন দেখায় । এককথায় বিভিন্ন সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইটিক্স করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে । আমরা অনেকেই গুগল এনালাইটিক্স এবং এর সাথে পরিচিত । আর ওয়েব এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় ।
মোবাইল মার্কেটিং
মোবাইল এর মাধ্যমে বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কোন বা পণ্য বা সার্ভিস এর যে প্রচারণা চালানো হয় তাকে বলা হয় মোবাইল মার্কেটিং । এসএমএস এর মাধ্যমে মোবাইল মার্কেটিং করা যায় । বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং হল মোবাইল মার্কেটিং । বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল ডিভাইস মোবাইল। আর মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আর মোবাইলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে এবং অল্প খরচে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানাতে পারবেন ।তাই মোবাইল মার্কেটিং এত জনপ্রিয় ।
মোবাইলে মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যেখানে স্মার্ট ফোন , ট্যাবলেট এবং অন্যান্য মোবাইল ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে যে কোনো পন্য সম্পর্কে টার্গেটেড গ্রাহকের কাছে পৌছে যাওয়া সম্ভব ।
সিপিএ মার্কেটিং
সিপিএ মার্কেটিং হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ । তবে এটি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর চেয়ে অনেক সহজ । এখানে ছোট ছোট কিছু কাজ করা হয় - যেমন কাউকে কোন সাইটে জয়েন করানোর , ফরম পূরণ করে নেওয়া , মেইল সাবমিট করা ইত্যাদি কাজের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করা হয় । এখানে পেমেন্ট পেতে প্রোডাক্ট সেল করার প্রয়োজন পড়ে না । এজন্য বর্তমান সময়ে সবাই সিপিএ মার্কেটিং এর দিকে আগ্রহ প্রকাশ করছে । তাহলে এবার দেখুন আমাদের জানা কত জরুরী যে ডিজিটাল মার্কেটিং কি - ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ।
রেডিও মার্কেটিং
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে যদিও রেডিও প্রায় মানুষের কাছে এখন অপরিচিত মনে হয় কিন্তু আজ থেকে কয়েক বছর আগে ধরুন ১০ থেকে ১৫ বছর আগেও রেডিও মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। তবে এখন ডিজিটাল পারফরমেন্স এর কারণে মানুষের হাতে চলে এসেছে স্মার্ট ফোন যার কারণে রেডিও আর ভালো পারফরমেন্স দিতে পারেনা। তবে এখনো অনেক অডিয়েন্স আছেন যারা রেডিওতে পারফরম্যান্স দিয়ে থাকেন। রেডিওর মাধ্যমে যে পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে তাকে বলা হয় রেডিও মার্কেটিং।
ডিজিটাল মার্কেটিং বেতন কত
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ বলতে আসলে ফ্রিল্যান্সিং কে বোঝায়। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন কারণ ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা আর যদি আপনি বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং এ যারা কাজ করে বা কোন আইটি সেন্টার আছে তাদের অধীনে কাজ করেন তাহলে আপনি মাসে বিশ ২০,০০০ হাজার থেকে ত্রিশ ৩০,০০০ হাজার টাকা বেতন পেতে পারেন। তবে আপনার যদি অভিজ্ঞতা আরও বেশি থাকে এবং আপনি ভাল পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনার বেতন আরো বাড়তে পারে।
এছাড়া আপনি যদি শুধু কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকে তাহলেও আপনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতে পারবেন। আবার যদি আপনি ভালো গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার বেতন ৫০ হাজারের ওপরে পেতে পারেন। তবে বেতন কত সেটা বড় কথা না আপনার অভিজ্ঞতা কতটুকু এটাই বড় কথা। আপনার অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করবে আপনি বেতন কত পাবেন। তবে আপনি চাকরি করতে চাইলে বিভিন্ন আইটি সেন্টারের যে জব সার্কুলার গুলো থাকে সেগুলো দেখতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url