ফ্রিজ - কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন

ফ্রিজ আমাদের প্রতিদিন গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই ফ্রিজ কেনার আগে  পনেরোটি (১৫) টি বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় সঠিকভাবে জানতে পারলে আমরা সঠিক নিয়মে ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারব। তাই আপনার কাঙ্খিত   ফ্রিজ কেনার আগে  পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।

Image

ফ্রিজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হলে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমি ফ্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের যাবতীয় বিষয় আলোচনা করেছি। আপনারা ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে তারপর ফ্রিজ কিনবেন। 

 ফ্রিজ কেনার আগে  পনেরোটি (১৫) টি  বিষয়

ফ্রিজ আমাদের অতিপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান আজকাল কারো ঘরে ফ্রিজ নেই এ কথা যেন ভাবাই যায় না আমরা সবাই ফ্রিজ কিনে কিন্তু ফ্রি স্ক্যানার আগে আমাদের কিছু বিষয় লক্ষ্য করা উচিত যা আমরা হয়তো ভেবেই দেখি না প্রয়োজন বোধ করলেই আমরা বাজারে গিয়ে ফ্রিজ কিনে আনি তাই আপনি আপনার প্রয়োজনীয় এই  পনেরোটি (১৫) টি উপাদানটি কেনার আগে অবশ্যই দেখে তারপর কিনবেন।

তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিজ কেনার আগে  পনেরোটি (১৫) টি বিষয় সম্পর্কে-

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা

আপনি ফ্রিজ কেনার আগে দেখে নেবেন আপনার ফ্রিজটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা কারণ এমন অনেক ফ্রিজ আছে যাতে অনেক বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজ পরিবেশ বান্ধবও বটে। ফ্রিজের মানের ওপর নির্ভর করে তা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী কিনা। ফ্রিজের গায়ে স্টার মার্ক দেওয়া আছে কিনা তা দেখে নিন কারণ ফ্রিজের গায়ে যদি স্টার মার্ক দেওয়া থাকে তাহলে সেই ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়।

ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট

ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনবেন নাকি নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনবেন। তার আগে আপনাকে জানতে হবে ফ্রস্ট এবং নন ফ্রস্ট ফ্রিজ কি! তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রস্ট এবং নন ফস্ট ফ্রিজ সম্পর্কে-

ফ্রস্ট ফ্রিজঃ যে ফ্রিজে বরফ জমে সেই ফ্রিজকে বলা হয় ফ্রস্ট ফ্রিজ

নন ফ্রস্ট ফ্রিজঃ যে ফ্রিজে বরফ জমা হয় না তাকে বলা হয় নন ফস্ট ফ্রিজ

মনে রাখবেন নন ফস্ট ফ্রিজে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে এবং বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। আর ফস্ট ফ্রিজে বিদ্যুৎ চলে গেলেও খাবার বেশ কয়েক ঘন্টা ভালো থাকে আবার ফস্ট ফ্রিজে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই আপনি ভেবেচিন্তে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন আপনি কোন ধরনের ফ্রিজ কিনবেন।

কম্প্রেসর

ফ্রিজ রেফ্রিজারেটরের মূল ইঞ্জিন হলো কম্প্রেসার আর এই কম্প্রেসার এর উপর নির্ভর করে আপনার ফ্রিজটি কত দিন টেকসই হবে। কম্প্রেসার এর সঙ্গে থাকে কুলিং সিস্টেম যা তামার তৈরি এবং এগুলো থাকে ফ্রিজের বডির ভেতরে এবং ফ্রিজের পেছনের দিকে। আপনি যদি মনে করেন আপনার ফ্রিজ টেকশই হোক তাহলে অবশ্যই কপার কন্ডেসর যুক্ত ফ্রিজ কিনবেন কারণ এই ফ্রিজের গ্যাস লিকেজ হয় না এবং মরিচাও ধরে না।

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ভালো ছবি তোলার ৩০ টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন

আর এর প্রধান সুবিধা হলো এই ফ্রিজ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং ক্যাপেলরি জ্যাম হয় না। আর এই ফ্রিজের সবচেয়ে বড় গুণ হলো এই ফ্রিজ বিদ্যুৎ শাস্ত্রয়ী এবং সহজে ঠান্ডা হয়। আপনার ফ্রিজের কম্প্রেসার যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি আপনার শখের ফ্রিজ কিনে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। তাই যে ফ্রিজের কম্প্রেসার যত ভালো সেই ফ্রিজ তত বেশি ভালো।

কপার কন্ডেসার

আপনি ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে আপনার ফ্রিজের কন্ডিসর কিসের তৈরি। আপনি ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন আপনার ফ্রিজের কন্ডেসর কপারের তৈরি কিনা। কারণ কপার কন্ডেসারযুক্ত ফ্রিজ অনেক টেকসই হয়।

ফ্রিজের আকার

ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কত সেফটির ফ্রিজ কিনবেন বা কত বড় ফ্রিজ কিনবেন। যদি আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম হয় তাহলে আপনি অবশ্যই খুব বড় ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন না কারণ বড় ফ্রিজে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাই ফ্রিজের দাম যাই হোক না কেন সেটি কম হোক আর বেশি হোক অবশ্যই সবদিক ভেবেচিন্তে তারপর ফ্রিজ কিনবেন।

গ্যারান্টি ওয়ারেন্টি

আপনি ফ্রিজ কেনার আগে কয়েকটি কোম্পানির ফ্রিজ অবশ্যই দেখে নেবেন তারপর ফ্রিজ কিনবেন। আপনি খুব ভালোভাবে দেখে নিবেন কোন কোম্পানির ফ্রিজের গ্যারান্টি কেমন এবং ওয়ারেন্টি কেমন আছে। আপনি সব বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তারপরে আপনি আপনার শখের ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন।

রিপিয়ারিং ব্যবস্থা

ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে আপনি কোন কোম্পানির ফ্রিজ কিনছেন আর সেই কোম্পানির রিপেয়ারিং ব্যবস্থা আপনার বাসার আশেপাশে আছে কিনা। কারণ এখন এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে সেই সব কোম্পানির রিপিয়ারিং ব্যবস্থা কিন্তু ভালোমতো নেই। আর আপনার ফ্রিজের যতদিন গ্যারান্টি আছে ততদিন তারা আপনার সঙ্গে ভালো মতো ব্যবহার করবে এবং আপনার ফ্রিজ সম্পর্কে জানতে চাইবে। গ্যারান্টি শেষ হয়ে গেলে আপনি তাদের কাছে গিয়ে আপনার ফ্রিজের ব্যাপারে কোন কথাই বলতে পারবেন না। তাই রিপিয়ারিং ব্যবস্থা দেখে তারপর ফ্রিজ কিনবেন।

কিস্তির তথ্য

বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে যেসব কোম্পানির ফ্রিজ আপনি কিস্তিতে কিনতে পারবেন। তবে কিস্তিতে ফ্রিজ নেয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই দেখে নিতে হবে কোম্পানিটা ভালো মানের কিনা। আর যদি ভাল মানের হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে কি পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং আপনার ইনকাম বা কতটুকু সবকিছু ভেবেচিন্তে তারপর আপনি ফ্রিজ কেনার সিদ্ধান্ত নিবেন।

ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি

আপনি ফ্রিজ কিনলে আপনার শখের ফ্রিজটি হোক ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজির ফ্রিজ। আর এই ধরনের ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করলে তা স্বাস্থ্যসম্মত থাকে। আর ন্যানো হেলথ কেয়ার টেকনোলজি ফ্রিজের গায়ে স্টিকার যুক্ত লেখা থাকে আপনি দেখে এই ফ্রিজ কিনতে পারবেন।

ফ্রিজের ফিচারগুলো দেখে ফ্রিজ কিনুন

আপনি ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে দেখে নিতে হবে ফ্রিজের ফিচারগুলো ঠিক আছে কিনা। আপনার ফ্রিজে কি কি যন্ত্রপাতি আছে এবং এই ফ্রিজে কি কি সুবিধা প্রদান করা আছে আপনি সবকিছু দেখে তারপরে ফ্রিজ কিনবেন। এগুলোর মধ্যে আপনাকে সবচেয়ে বেশি যা খেয়াল করতে হবে তা হলো 

  • আপনার ফ্রিজের টেম্পারেচার কন্ট্রোলিং এবং সঠিক টেম্পারেচার আছে কিনা এই ফিচারগুলো অবশ্যই দেখে নিন।
  • আপনার ফ্রিজের নরমাল চেম্বারের ভেতরে কতগুলো তাক আছে তা ভালো করে দেখে নেবেন।
  • ফ্রিজের তাকগুলো সঠিকভাবে অ্যাডজাস্ট করা আছে কিনা সেগুলো দেখে নেবেন।
  • ফ্রিজের ড্রয়ার গুলো সঠিকভাবে আছে কিনা সেগুলো ভালোভাবে দেখে নিবেন।

রিপিয়ারিং খরচ

আপনি ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই যে কোম্পানির ফ্রিজ কিনবেন সেই কোম্পানির কাছ থেকে জেনে নেবেন তারা রিপেয়ারিং খরচ পুরো বহন করবে কিনা। এমন অনেক কোম্পানি আছে যারা রিপেয়ারিং খরচ বহন করে না। আর আপনি অনেক টাকা খরচ করে আপনার একটি শখের ফ্রিজে অবশ্যই রিপিয়ারিং এ আরো অনেক টাকা খরচ করতে চাইবেন না। তাই আপনার ফ্রিজ যখন গ্যারান্টি এবং ওয়ারেন্টির মধ্যে থাকবে তখন তারা অবশ্যই পুরো খরচ বহন করবে এমন দেখে তারপর ফ্রিজ কিনবেন।

যান্ত্রিক ত্রুটি যুক্ত ফ্রিজ কেনা থেকে বিরত থাকুন

এমন অনেক ফ্রিজ আছে যেসব ফ্রিজের কম্প্রেসার এর কারণে অনেক শব্দ হয় বিশেষ করে চার্জ নেওয়ার সময় এত বেশি শব্দ হয় যা অন্যের অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনি অবশ্যই ফ্রিজ কেনার সময় ভালোভাবে দেখে নিবেন কম্প্রেসার ঠিক আছে কিনা এবং আপনার ফ্রিজটি চার্জ নেওয়ার সময় অনেক বেশি শব্দ করবে কিনা।

ফ্রিজের ডিজাইন এর প্রতি লক্ষ রাখুন

আপনি এখন বাজারে অনেক রকমের ফ্রিজ কিনতে পাবেন সেটা ডিপ ফ্রিজ হোক অথবা সাধারণ ফ্রিজ হোক। এছাড়াও ফ্রিজের রয়েছে ডাবল দরজা, সিঙ্গেল দরজা এমন নানা ধরনের নানান ডিজাইনের ফ্রিজে বাজারে ভরপুর। তাই আপনি ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই ভালোভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। আপনি যদি চট জলদি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন ফ্রিজ কিনেন তাহলে আপনাকে পরে আফসোস করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কম দামে ভালো মানের মোবাইল কিনুন 

আপনার এমনও মনে হতে পারে আমার সিঙ্গেল ডোর না নিয়ে ডাবল ডোর ফ্রিজ নিলে ভালো হতো অথবা ছোট ফ্রিজ না নিয়ে বড় ফ্রিজ নিলে ভালো হতো। তাই এই সকল ভাবনার চিন্তা থেকে দূরে থাকতে আপনি অবশ্যই ফ্রিজ কেনার আগে ভেবে তারপর ফ্রিজ কিনবেন।

শুধুমাত্র ব্রান্ডের ওপর নির্ভর করে ফ্রিজ কিনবেন না

ফ্রিজ কেনার আগে আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে দেখে তারপর ফ্রিজ কিনতে হবে। কোন ব্র্যান্ডের নাম শুনে আপনি সেই ফ্রিজ কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না কারণ এখন অনেক ধরনের অনেক কম্পানি রয়েছে যেগুলো আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে এবং ফ্রিজ গুলো করে থাকে বাহারি রঙের এবং তারা ক্রেতাদের ফাঁদে ফেলতে অনেক ছোট ছোট দোকান নিয়ে বসে থাকে। আর আপনি অবশ্যই ফ্রিজ কেনার সময় এই সকল ছোট দোকান থেকে ফ্রিজ কিনবেন না ভালোভাবে শো রুমে গিয়ে দেখে তারপরে ফ্রিজ কিনবেন।

স্মার্ট ফ্রিজ

বর্তমানে সময়ে স্মার্ট ফ্রিজের চাহিদা অনেক বেশি কারণ এতে থাকে বিভিন্ন ইনভার্টার প্রযুক্তি। স্মার্ট ফ্রিজ কাজ করে মোট পাঁচটি মোডে। এই ধরনের ফ্রিজের ওপরে ডিপ থাকে এবং নিচে থাকে নরমাল চেম্বার। তবে প্রয়োজনে এই ফ্রিজকে পুরোটাই নরমাল ফ্রিজে রূপান্তর করা যায়। এছাড়াও স্মার্ট ফ্রিজের আরো সুবিধা আছে আর তা হল - যার স্মার্ট ফ্রিজ আছে সে যদি বাইরে চলে যায় তাহলে দীর্ঘ সময়ের জন্য এই ফ্রিজে সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারা যায়।

এছাড়াও এই ফ্রিজের অন্যতম সুবিধা হল - ইস্মার্ট ফ্রিজে এখন অনেক এন্টি ব্যাকটেরিয়া প্রযুক্তি থাকে। তাই আপনি আপনার শখের ফ্রিজ কেনার সময় সব বিষয়ে সচেতন হয়ে তারপর ফ্রিজ কিনবেন।

ফ্রিজ পরিষ্কার করার সময় কোন বিষয় খেয়াল রাখব

আমরা ফ্রিজে খাবার সংরক্ষণ করি তাই মাঝে মধ্যেই আমাদের ফ্রিজ পরিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে। নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার না করলে ফ্রিজের মধ্যে খাবারের দুর্গন্ধ হয়। ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হল -

  • প্রথমে ফ্রিজের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করতে হবে।

  • বরফ তাড়াতাড়ি গলার জন্য ফ্রিজের দরজা বা হ্যান্ডেল খুলে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি ঘরের ফ্যান চালু করে রাখতে পারেন এতে  বরফ তাড়াতাড়ি গলে যাবে।

  • ফ্রিজের ড্রয়ার ও তাক খুলে বের করে আলাদাভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

  • হালকা গরম পানির সাথে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে নরম পাতলা সূতী কাপড় বা স্পন্স ভিজিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে।

  • আপনি ভীম লিকুইড ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো পরিষ্কার হবে এবং এর সুগন্ধ আপনার ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করে দেবে।

  • ফ্রিজের ভেতর বেশি জোরে ঘষা দিবেন না।।

  • ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের রাবার গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করবেন।

  • ফ্রিজের পেছনের দেয়ালে পানির নিষ্কাশন ছিদ্র থাকে সেটি খেয়াল করে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

  • পরিষ্কার করার পর শুকনো নরম সুতি কাপড় দিয়ে ফ্রিজ ভালোভাবে মুছে নিতে হবে যেন পানি না থাকে।

ফ্রিজ ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিবেন। তবে কিছু সময় অপেক্ষা করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া উত্তম। তাই ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি   বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।

 ফ্রিজ থেকে পানি পড়ছে, কি করব

ফ্রিজের ভেতর থাকে প্রচুর বাতাস। আর এই বাতাসে থাকে জলীয় বাষ্প। ফ্রিজ চলতে চলতে যখন ফ্রিজের বিদ্যুতের সমস্যা হয় তখন ফ্রিজের ভিতর পানি জমা হয়। এক্ষেত্রে আপনাকে ফ্রিজের পেছন দেয়ালে পানি নিষ্কাশনের যে ছিদ্র আছে সেটি পরিষ্কার করতে হবে। অনেক সময় পানি বেশি দিন পরিষ্কার না করলে ছিদ্রের মুখ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ পানি সেওলার মত সাদা ঘন পদার্থ জমা হয়।

আরো পড়ুনঃ টিভি কার্ড কি - টিভি কার্ড  কিভাবে কাজ করে -জেনে নিন বিস্তারিত

এক্ষেত্রে আপনাকে পানি গরম করে ফ্রিজের পেছনের দেয়ালে যে ছিদ্র আছে তার মুখে ঢালতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করে কোন পাত্র এর মধ্যে পড়ে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ছিদ্রের মুখে একটি পাত্র রাখতে হবে। আবার অনেক সময় বরফ বেশি জমা হলে ও পানি পড়ে তাই অন্তত সপ্তাহে একদিন ফ্রিজ পরিষ্কার করা উচিত। তবে এর চেয়ে বেশি সমস্যা হলে আপনি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা ডিলারের সাথে যোগাযোগ করুন।

ফ্রিজে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর কোন উপায় আছে কি

বর্তমান সময়ে বিদ্যুতের সমস্যা আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা। তাই আমাদের সব সময় মাথায় রাখতে হবে কিভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করেও বিদ্যুৎ খরচ কমানো যায়। সামনে রমজান মাস আর এ সময় আমরা সবাই একটু ঠান্ডা শরবত আশা করি। তাই ঠান্ডা শরবতের জন্য আমাদের ফ্রিজ অপরিহার্য। বাংলাদেশের স্যামসাং প্রোডাক্ট ম্যানেজার রেজাউল হায়দার বলেন, আপনি যদি ৬৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে চান তাহলে রেফ্রিজারেটরে ইনভার্টার ব্যবহার করুন।

মানব দেহ যেমন রক্ত ছাড়া চলতে পারে না ফ্রিজ ও তেমনি গ্যাস ছাড়া অচল। আপনি যদি আপনার ফ্রিজে ভালো মানের গ্যাস ব্যবহার না করেন তাহলে বিদ্যুৎ খরচ, ঠান্ডা হওয়া, এমনকি ফ্রিজের স্থায়িত্ব সব কিছু নিয়েই আপনাকে অসুবিধায় পড়তে হবে। তাই অবশ্যই ফ্রিজে ভালো মানের গ্যাস আছে কিনা দেখে নিবেন। আপনি কি জানেন ফ্রিজে সাধারণত দুই ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয়। এর একটি হলো "আর৬০০ এ"  এবং আরেকটি হলো "আর ১৪৩ এ"। 

আপনি দেখে নেবেন আপনি যে ফ্রিজ টি কিনবেন তাতে "আর ৬০০ এ" এই গ্যাসটি আছে কিনা। কারণ "আর ৬০০ এ" এই গ্যাসটি ফ্রিজে থাকলে ফ্রিজ দ্রুত ঠান্ডা হয়। আপনার বিদ্যুৎ খরচও  কম হবে।  তেমনি মনে রাখবেন "আর ১৪৩ এ" এই গ্যাসটি সম্পূর্ণ উল্টো কাজ করে আপনার বিদ্যুৎ খরচের ক্ষেত্রে। তাই যদি আপনার পুরনো ফ্রিজের গ্যাস শেষ হয়ে যায় তাহলে আপনি অবশ্যই "আর ৬০০ এ" এই গ্যাসটি ফ্রিজে দিয়ে নিবেন। তাহলে আপনি বিদ্যুৎ সাশ্রয়

করতে পারবেন। এছাড়া আপনি বেশিক্ষণ ফ্রিজ খুলে রাখবেন না তাহলে আপনার ফ্রিজের কম্প্রেসার এর চাপ বাড়বে। এর ফলে আপনার যখন ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা করবে তখন বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে।আর যাদের ফ্রিজ পুরনো হয়ে গেছে তারা তাদের ফ্রিজের কনড্রেসার নিয়মিত দেখে পরিষ্কার করে রাখবেন। কারণ কন্ডে সারে বেশি ময়লা জমলে সেটি বেশি তাপ বিকিরণ করতে পারেনা। যার কারণে আপনার বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে। তাই নিয়মিত ফ্রিজের কন্ডিশার পরিষ্কার করে রাখুন।

আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সব চেয়ে দামী ১০ টি ঘড়ি- বিস্তারিত  জেনে নিন

এবং "আর ৬০০এ" গ্যাস ব্যবহার করুন। আবার অনেকেই বিদ্যুৎ খরচ কমাতে ফ্রিজের বিদ্যুৎ লাইন কয়েক মিনিট বা ঘন্টার জন্য খুলে রাখেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আবার ফ্রিজের কনড্রেসার পাইপ গুলো দুই ধরনের ধাতু দ্বারা গঠিত ,কপার এবং অ্যালুমিনিয়াম। কনড্রেসার পাইপ গুলো ফ্রিজের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরে ছেড়ে দেওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পাইপগুলো কপারের তৈরি। আর যে পাইপ গুলো কপারের তৈরি সেই পাইপগুলোর তাপ পরিবাহিতা বেশি ভালো,

দীর্ঘস্থায়ী ও লীক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। আবার অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কনড্রেসার পাইপ গুলো দূর্বল থাকে। আর এই কারণে অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি কনড্রেসারের পাইপ যুক্ত ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ বেশি হয়। তাই আপনি বিদ্যুৎ খরচ শাস্ত্রয় করতে অবশ্যই কপারের তৈরি কন্ডিশনার পাইপ যুক্ত ফ্রিজ কিনতে পারেন।তাই ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।

ডিপ ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমলে করণীয় কি

আপনাকে অবশ্যই ফ্রিজ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমছে কিনা। সে ক্ষেত্রে যদি দেখেন আপনার ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা হচ্ছে তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ফ্রিজের পাওয়ার চেক করতে হবে। কারণ শীতকালে ফ্রিজের পাওয়ার কম লাগে এবং গরমে সময় পাওয়ার বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার ফ্রিজের পাওয়ার সময় বুঝে ঠিক মাত্রায় রাখতে হবে।

অন্তত সাত দিন পর পর ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। ফ্রিজে বরফ জমা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে যদি অতিরিক্ত বরফ জমা হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে চামচ দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকটা ফ্রিজের সাথে চামচ থাকে ফ্রিজের বরফ তোলার জন্য। বরফ উঠানোর কাজে এই চামচ ব্যবহার করবেন তা না হলে ফ্রিজে দাগ লেগে যেতে পারে।

এরপরও যদি আপনার ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা ডিলারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।তাই ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।

তাপমাত্রা সর্বনিম্ন রাখলে কি সমস্যা হতে পারে

ইলেকট্রো মার্ট এর গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান আরিফুর রহমান বলেন, ফ্রিজে কোন ধরনের খাবার সংরক্ষণ করা হবে তার ওপর নির্ভর করে ফ্রিজের তাপমাত্রা এর ঠি ক কত রাখতে হবে? এক্ষেত্রে তিনি বলেন ফ্রিজের নরমাল অংশের তাপমাত্রা ১ থেকে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ।তবে প্রায় সময় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই উত্তম। আর যদি ডিপ ফ্রিজ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে মাইনাস ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে মাইনাস

২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রাখতে হবে। সাধারণত মাইনাস  ১৯° সেলসিয়াসে রাখায় উত্তম। তবে শীতের সময় কখনো কখনো একটু কমানো এবং অতিরিক্ত গরমে একটু বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। তবে সব সময় মধ্যস্থতা করে এর তাপমাত্রা রাখাই ভালো।

ফ্রিজের ভেতর দুর্গন্ধ দূর করতে করণীয় বা উপায় কি

ফ্রিজে তাপমাত্রা  সবসময় স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে হবে। কারণ অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফ্রিজে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। আর সেই ব্যাকটেরিয়া খাবার দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো -

  • ফ্রিজে দুর্গন্ধ হলে প্রথম  আপনাকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ফ্রিজের সকল খাবার বের করতে হবে।

  • পানি কুসুম গরম করে এর মধ্যে ডিটারজেন্ট পাউডার মিশিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।

  • সপ্তাহে অন্তত দুইদিন পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে নরম সুতার কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ফ্রিজের ভেতরটা পরিষ্কার করুন।

  • ফ্রিজে খাবার রাখলে সব সময় ঢাকনা যুক্ত পাত্রে রাখুন এতে খাবারের দুর্গন্ধ ফ্রিজে প্রবেশ করতে পারবে না।

  • সম্ভব হলে একটি খোলা বাটিতে ২-৩ টুকরা কাঠ কয়লা এবং এর সাথে লেবু কেটে ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে ও ফ্রিজের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।

  • একটি ঢাকনা বিহীন বা খোলা বাটিতে সামান্য পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতেও ফ্রিজের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন। তবে এক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ দিন পর পর বাটি পরিষ্কার করে আবার নতুন করে পানি ও সোডা মিশিয়ে রাখতে হবে।

  • একটি টি ব্যাগ, লেবু কেটে বা কমলালেবুর খোসা ও রাখতে পারেন। কারণ ফ্রিজের মধ্যে প্রচুর বাতাস থাকে আর এই বাতাস লেবুর ফ্লেভার আপনার ফ্রিজে যোগ করবে। আর এতে করে আপনার ফ্রিজে দুর্গন্ধ চলে যাবে।

  • ফ্রিজে ব্যবহার করার জন্য আলাদা সুগন্ধি স্প্রে পাওয়া যায় যা ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করে। আপনি এই স্প্রে ও কিনতে পারেন।তাই ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।

ফ্রিজের সাথে স্টাবিলাইজার কতটা প্রয়োজনীয়

আপনার ফ্রিজকে সুরক্ষা দেয় ভোল্টেজ স্টাবিলাইজার। কারণ এই স্টেবিলাইজার আপনার ফ্রিজের বিদ্যুৎ উঠা নামার গতি ঠিক রাখে। তবে এখনকার আধুনিক সময়ের ফ্রিজে আর স্টাবিলাইজার এর প্রয়োজন হয় না কারণ এখন প্রায় ফ্রিজের সাথেই বিল্ট ইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যা সহজেই বিদ্যুতের ভোল্টেজ উঠানামা থেকে আপনার ফ্রিজ কে সুরক্ষিত করে রাখবে।

মাংস ও মাছ কিভাবে ফ্রিজে রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকবে

প্রথমেই আমাদের মনে রাখতে হবে কোন খাবারই ফ্রিজে বেশিদিন সংরক্ষণ করে খাওয়া উচিত নয়। এতে খাদ্যের গুণ গত মান নষ্ট হয়। বিভিন্ন পুষ্টিবিদরা তিন (৩) মাসের বেশি সময় খাদ্য সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। এরপরেও কিছু খাবার আছে যেগুলো সংরক্ষণ করার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে খাদ্য সংরক্ষণ করলে খাবারের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। আবার তা বিষক্রিয়াও তৈরি করতে পারে। 

এক্ষেত্রে  পুষ্টিবিদ বেনজির শামস বলেন, মাংস বাড়িতে আনার পর মাংসের গায়ে লেগে থাকা রক্ত ভালো করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। রক্তসহ মাংস ফ্রিজে রাখলে মাংসের রক্তে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। আর ব্যাকটেরিয়া খাবার দুর্গন্ধ করে। খোলা পাত্রে বা সাধারণ পলিব্যাগে মাংস সংরক্ষণ না করে আপনি ঢাকনা যুক্ত বাটি বা এয়ারটাইট পলিব্যাগে মাংস রাখতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে খাবারের স্বাদ ঠিক রাখতে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো - 

আপনি একদিনে যতটুকু পরিমাণ খাবেন ঠিক ততটুকুই একটি বাটিতে বা পলিব্যাগে রাখবেন। মাংস দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে মাঝে  একটু লবণ ছিটিয়ে রাখতে পারেন। এতে মাংসের গুণগত মান, স্বাদ ও ঘ্রাণ সবকিছুই ঠিক থাকবে।মাছ সংরক্ষণ করতে হলে মাছ সেটে পরিষ্কার করে ধুয়ে তারপর সংরক্ষণ করতে হবে। মাছ না কেটে মাছের নাড়ী বা পেটা সহ রাখা ঠিক নয়। আপনি যদি মাছ না কেটেমাছের  নাড়ী সহ রাখেন তাহলে দেখবেন মাছের  নাড়ী পচা গন্ধ লাগবে। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের পনেরো  ১৫ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি আর সেই মাছ তৃপ্তি সহ খেতেও পারবেন না। মাছ কেটে পরিমান মত টুকরো করে আপনি মাছের টুকরো তে লেবুর রস, লবন ও হলুদ মাখিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার মাছ নষ্ট হবে না। তবে এমন কিছু মাছ আছে যেগুলো কেটে রাখার চেয়ে আস্ত মাছ রাখলে বেশি ভালো থাকে। যেমন ইলিশ, গলদা চিংড়ি ইত্যাদি। এক্ষেত্রে আপনাকে ইলিশ মাছ আস্ত রাখতে হবে। তবে আপনি যা করবেন তা হল ইলিশ মাছের লেজগুলো কেটে ফেলবেন। 

এবার মাছের কানের মধ্যে ভালোভাবে লেবুর রস এবং লবণ মাখিয়ে নিবেন। আপনি পুরো মাছের গায়ে এইভাবে লবণ আর লেবুর রস মাখিয়ে এমনভাবে সংরক্ষণ করবেন যেন বাতাস ঢুকতে না পারে। তাহলে দেখবেন অনেকদিন আপনার মাছ ভালো আছে এবং স্বাদ ও আছে সদ্য কিনা মাছের মতই।

ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখব

ফ্রিজ হল গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে অন্তত একটি ফ্রিজ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই ফ্রিজ কেনার আগে কিছু বিষয়ে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, কত লিটার ফ্রিজ কিনবেন তা পরিবারের প্রয়োজন ও ব্যবহারের ধরন বুঝে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফ্রিজ কেমন ভাবে ঠান্ডা হয় !  ফ্রিজে ইনভার্টার আছে কি ! না তা দেখে নিবেন। আপনাকে সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো 

আপনি যে ব্রান্ডের ফ্রিজ কিনবেন তার সার্ভিস সেন্টার আপনার আশেপাশে আছে কিনা তা দেখে তারপর ফ্রিজ  কিনুন। কারণ আপনি যে ব্রান্ডেরই ফ্রিজ কিনুন না কেন আপনাকে সার্ভিস সেন্টারে যেতেই হবে। আর কোম্পানিগুলো আপনাকে যে পর্যন্ত  ওয়ারেন্টি দিবে আপনি সেই পর্যন্তই কোম্পানির সাথে সাক্ষাৎ পাবেন। ওয়ারেন্টি শেষ হলে তারা আর আপনাকে পাত্তা দিবে না। তাই যে ফ্রিজ  কিনবেন অবশ্যই তার সার্ভিস ব্যবস্থা কেমন তা দেখে তবে ফ্রিজ কিনবেন।

ফ্রস্ট, ডি ফ্রস্ট, নন ফ্রস্ট এর মধ্যে পার্থক্য কি ! কার কোনটা প্রয়োজন

আমরা অনেক ধরনের ফ্রিজের সাথে পরিচিত যেমন - ফ্রস্ট, ডি ফ্রস্ট, নন ফ্রস্ট । ফ্রস্ট ফ্রিজে খাবার দ্রুত ঠান্ডা হয় এ ধরনের ফ্রিজে বরফ জমে বলে বিদ্যুৎ চলে গেলেও খাবার সংরক্ষণের ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। ডি-ফ্রস্ট  ফ্রিজে মিহি বরফ তৈরি হয়। আর নন ফ্রস্ট ফ্রি তে কোন প্রকার বরফ জমা হয় না। যে ফ্রিজে বরফ জামা হয় সেই ফ্রিজে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলেও খাবার ভালো থাকে তাই আপনি নিশ্চিন্তে ফ্রস্ট ফ্রিজ কিনতে পারেন।

উপসংহার

আমি ফ্রিজ সম্পর্কে যাবতীয় সমস্যা আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। বিশেষত ফ্রিজ কেনার আগে যেসব বিষয়গুলো আমাদের সবচেয়ে বেশি জানা প্রয়োজন আমি তার সবগুলোই আলোচনা করেছি। আমাদের জানতে হবে ফ্রিজের কম্প্রেসার, ফ্রিজের গ্যাস,  ফ্রিজের তৈরি উপাদান এবং সর্বোপরি আমরা যে ফ্রিজ কিনব সেই ব্রান্ডের সার্ভিসিং সেন্টার আমাদের বাসার পাশে আছে কিনা সেটা দেখে তারপর আমরা ফ্রিজ কিনব।তাই ফ্রিজ কেনার আগে পনেরোটি (১৫) টি  বিষয় জেনে ফ্রিজ কিনুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url