শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ২০টি ( ৫,১০,১৫,২০) ব্যবহার জেনে নিন
বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আর এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার কারনে আমাদের শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে নেই। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বর্তমানে জ্ঞান অর্জন হয়ে এসেছে অনেক সহজলভ্য কারণ ইন্টারনেট হল একটি সমৃদ্ধ তথ্যভাণ্ডার।
ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট শব্দটি ইংরেজি দুটি শব্দ ইথার (Ethernet)+নেট থেকে ইন্টারনেট শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে। আর ইন্টারনেট মূলত দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত যথা ইন্টার (Enter) অর্থ হল ভিতরে এবং নেট (Net) অর্থ হল জাল। আর এই শব্দ দুটির সমন্বয়ে ইন্টারনেট শব্দটি গঠিত যার অর্থ হলো অন্তর্জাল। ইন্টারনেট হল নেটওয়ার্ক তার আগের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি সহজ প্রক্রিয়া। যেখানে অসংখ্য কম্পিউটার একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে।
ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল যা সারা বিশ্বজুড়ে বিস্তৃত এবং পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক নামে অভিহিত যেখানে ইন্টারনেট প্রোটোকল বা আইপি নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা আদান প্রদান করা হয়। ইন্টারনেটকে সাধারণত ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ (WWW) বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে অভিহিত করা হয়। ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট সাধারণত গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়ে থাকে এবং এই সংগঠন কেই বলা হয় ইন্টারনেট। অর্থাৎ ইন্টারনেট হল সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা একটি নেটওয়ার্ক। আর ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক হল এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্য বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ সংযুক্ত থাকে।
ইন্টারনেটের জনক কে
আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা ইন্টারনেটের জনক কে! আর এই বিষয় নিয়ে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ইন্টারনেটের আবিষ্কারকের নাম কি! বা কে এই ইন্টারনেট আবিষ্কার করেছেন। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের যাদের মনে প্রশ্ন জাগে ইন্টারনেটের জনক কে আমি তাদের জন্য বলছি, আধুনিক ইন্টারনেটের জনক হলেন ভিনটন জি কার্ফ।তবে ইন্টারনেট আবিষ্কারের পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে।
ইন্টারনেট আবিষ্কারের যাদের অবদান সবচাইতে বেশি তারা হলেন ভিনটন জি কার্ফ এবং রবার্ট কানের। আর তাদেরকেই ইন্টারনেটের জনক বলা হয়। তবে আধুনিক ইন্টারনেটের জনক হিসাবে ভিনটন জি কার্ফ কে অভিহিত করা হয়।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ২০টি ( ৫,১০,১৫,২০) ব্যবহার
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর ভালোভাবে জীবন যাপন করতে হলে শিক্ষা গ্রহণ করা সবারই প্রয়োজন। কারণ যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। আর বর্তমান যুগ হল তথ্যপ্রযুক্তির যুগ আর এই প্রযুক্তির যুগে আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে থাকি। আর ইন্টারনেট হল এমন একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে আমরা পরিচিত হই পুরো বিশ্বের সাথে। বর্তমান সময়ের সাথে সমতা বজায় রাখতে ইন্টারনেটের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানেই ইন্টারনেটের ব্যবহার হয় না। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তেমনি সব বিষয়ের সাথে তাল রেখে শিক্ষা খাতে ও ইন্টারনেট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। আবার বর্তমানে মানব সভ্যতার বিকাশে এই পৃথিবীতে যেসব ডিভাইস অনন্য ভূমিকা রাখছে ইন্টারনেট তাদের মধ্যে অন্যতম। একমাত্র ইন্টারনেটের সাহায্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করা সম্ভব
আরো পড়ুনঃ রচনা - সাম্প্রতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজনের সাথে অন্যজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বায়নের এই যুগে ইন্টারনেট যোগাযোগের পথকে সুগম করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগেও মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করেছে কিন্তু সেই সময় শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি ছিল অনেক কঠিন আর বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মানুষ ঘরে বসেই বিদেশি বিভিন্ন বই সংগ্রহ করতে পারছে এবং তার মাধ্যমে তারা জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশ ২০টি ব্যবহার সম্পর্কে নিজে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো -
সহজে বই সংগ্রহ করা এবং পড়া
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্বে পড়াশোনা করা এবং বই সংগ্রহ করা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার কারণ এই সময় যদি বই পড়তে হতো তাহলে তাকে অবশ্যই বই নিজে কিনতে হতো অথবা বিভিন্ন লাইব্রেরীতে গিয়ে বই পড়তে হতো। একজন মানুষের সংগ্রহে যে কয়টি বই থাকতো তাকে শুধু সেই বইগুলোই পড়তে হত এর বাইরে সে বই কখনোই পড়তে পারতো না। কিন্তু ইন্টারনেট হল বিশাল জ্ঞানের সম্ভার যেখানে কোন কিছুর অভাব নেই।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে বই সংগ্রহ করে পড়া হয় যাকে বলা হয় ই-বুক। পৃথিবীতে এমন কোন বই নেই যে বই ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছে মত বইয়ের নাম লিখে গুগলে সার্চ করলেই সামনে ভেসে আসে তার পছন্দের বই। এখন মানুষ ইচ্ছে করলেই তার পাশে থাকা ডিভাইস যেমন ডেক্সটপ, ল্যাপটপ এমনকি স্মার্টফোন দিয়েও বিভিন্ন লাইব্রেরী থেকে ই-বুক সংগ্রহ করে তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো খুব সহজেই পড়তে পারছে।
ইন্টারনেট বিশ্বের সব বইয়ের ভান্ডার গুলোকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নত করতে এবং খুব সহজেই মানুষের সামনে বই সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিষয় তুলে ধরতে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ইন্টারনেটে শিক্ষা প্রদান বহুলাংশের সাশ্রয়ী
বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে শিক্ষা প্রদান বহুলাংশে সাশ্রয়ী। কারণ একটি বই কিনতে অনেক টাকা প্রয়োজন হয় এবং টাকা দিয়ে বই কিনলে শুধু একটি বইয়ের তথ্যই তার সামনে আসে কিন্তু ইন্টারনেট হল এমন একটি তথ্যের ভান্ডার যেখানে রয়েছে হাজারো লেখকের হাজারো বই। যে পরিমাণ টাকা দিয়ে একটি বই কেনা যায় সেই মূল্যে ইন্টারনেট কিনে হাজার হাজার বই পড়া সম্ভব। যার কারণে মানুষের খরচও অনেক কমে গেছে।
আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে বই সংগ্রহ করে একসাথে অনেক ছাত্রকে শিক্ষা প্রদান করা যায় খুব সহজে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বই সংগ্রহ করে অল্প খরচের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো তাদের কাছে পৌঁছানো যায় যার কারণে ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান বহুলাংশে সাশ্রয়ী।
অনলাইন ক্লাস পদ্ধতি
একমাত্র ইন্টারনেট হল এমন একটি মাধ্যম যার সাহায্যে ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো সম্ভব। আমরা ২০১৯-২০ সালের দিকে তাকালে দেখতে পাই এই পুরো পৃথিবী করোনা ভাইরাসের আক্রমণে প্রায় থমকে গিয়েছিল। আর এই সময় যদি অনলাইনে শিক্ষা দানের প্রচলন না থাকতো তাহলে আমাদের বাংলাদেশ সহ পুরো পৃথিবীর শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড একেবারে ভেঙ্গে পড়তো। কিন্তু ইন্টারনেটের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ঘরে বসে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান করা সম্ভব হয়েছে।
অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টা আমাদের শিক্ষার্থীদের সামনে নিয়ে এসেছে এক বিশাল পরিবর্তন আর এই পরিবর্তনে তারা যে উপকৃত হয়েছে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে এখন দূরদূরান্তে বিভিন্ন শিক্ষকের কাছে না গিয়েও ঘরে বসেই খুব সহজেই ক্লাস করতে পারছে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তারা খুব সহজেই বুঝে নিতে পারছে।
উন্নত মানের শিখন ও শেখানো পদ্ধতি
বর্তমানে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত মানের শিখন ও শেখার পদ্ধতি ঘরে বসে আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুসরণ করে তাদের ভালো দিকগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরতে পারে। বর্তমানে ইন্টারনেট নির্ভর এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো শিক্ষা বিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনেক বিষয় এখানে তুলে ধরা হয়।
আর এইসব বিষয়গুলো অনুসরণ করে আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের শিখন পদ্ধতি গুলো সঠিকভাবে নিজেদের আয়ত্তে নিতে পারে এবং সে অনুযায়ী তারা তাদের নিজস্ব বিষয়গুলোকে উপস্থাপন করতে পারে।
বিভিন্ন তথ্য খুঁজে পাওয়া
ইন্টারনেট হল এমন একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার যেখানে এমন কোন বিষয় নেই যা খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করতে অনেকগুলো বই খোঁজার প্রয়োজন হয় কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে তথ্যটি প্রয়োজন সেই তথ্যটি লিখে সার্চ করলেই আমাদের শিক্ষার্থীরা কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেগুলো খুজে বের করতে পারে। এছাড়া ইন্টারনেটে রয়েছে শত শত তথ্য যেগুলো শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুঁজে বের করতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কৃষি উদ্যোক্তা - রচনা (২০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন
আমাদের শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো নিমিষের মধ্যে তারা জানতে পারে এবং সেগুলো তারা বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে মুহূর্তেই বের করে ফেলতে পারে। কারণ ইন্টারনেটের সাহায্যে যে কোন তথ্য এখন আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা
বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে যার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করা হয়। আর মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করে শিক্ষার্থীদের জানানো হয় ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করা হয় এবং কিভাবে এই ক্লাসগুলো উপস্থাপন করা হয়। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
এছাড়া ও শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের যে ব্যবহার রয়েছে শিক্ষার্থীরা তা খুব সহজেই জানতে পারে। আর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর হলো এমন একটি মাধ্যম যেখানে ক্লাস পরিচালনা করা হলে ক্লাসের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর সমান ভাবে তার বিষয়গুলো সঠিকভাবে দেখতে পায় এবং বুঝতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে একঘেয়েমি মুখস্ত করার প্রবণতা কমে যায় কারণ তারা মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দেখে ক্লাস গুলো করতে পারে।
পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পড়াশোনা আকর্ষণীয় করা হয়
পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি এখন ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে পড়াশোনা আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে বিশেষ করে ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাফিক্যাল ইমেজ এবং বিভিন্ন ধরনের ভিডিও শিক্ষার্থীদের জন্য দেয়া হয়েছে যেগুলো শিক্ষার্থীদের ক্লাসের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করে তোলে। আমরা দেখেছি অনেক শিশু কিশোরেরা পাঠ্য বইয়ে তারা ছবি দেখতে বেশি পছন্দ করে আর যদি এই ছবি থাকে শিক্ষণীয় তাহলে তারা এগুলো এমন ভাবে গ্রহণ করবে যেগুলো আর কখনোই তারা ভুলবে না।
তাই যদি পাঠ্যসূচি সংশ্লিষ্ট ইমেজ যোগ করে পাঠ্য ক্রম সাজানো যায় তাহলে শিক্ষার্থীরা বেশি মনোযোগী হয়। আর এজন্য শিক্ষার্থীদের বেশি মনোযোগী করতে টেক্সটবুকের পাশাপাশি ডিজিটাল মিডিয়ার ব্যবহার অনেক প্রয়োজন। কারণ এর জন্য একজনকে আরেকজনের সামনাসামনি থাকতে হচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীরা চাইলে যে কোন সময় এই ইমেজ দেখে তারা তাদের প্রতিদিনের পড়া রেডি করতে পারে।
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হয়
আমরা আজ এ কথা অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে, অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা হল একটি মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা আর শিক্ষার মান সঠিকভাবে ধরে রাখার জন্য অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজন। আর ইন্টারনেট ছাড়া এই শিক্ষা ব্যবস্থা কখনোই সম্ভব হতো না। এখনও এমন অনেকে রয়েছেন যারা ইন্টারনেট কানেকশনের বাইরে রয়েছেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থীরা যদি সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে তাহলে তারা বিশ্বের বিভিন্ন বই সংগ্রহ করে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। তাই আমাদের উচিত শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ নির্দেশনা দেওয়া।
বিনামূল্যে ক্লাস করার সুযোগ
ইন্টারনেট আবিষ্কারের পূর্বে একজন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে তাকে যেকোনো টিচারের কাছে যেতে হতো এবং সেখানে যাওয়ার সময় তার যাতায়াত ভাড়া এবং শিক্ষকের বেতন বাবদ অনেক টাকা গুনতে হতো। কিন্তু ইন্টারনেট আমাদের এই ব্যবস্থাকে করে দিয়েছে অনেক সুবিধাজনক। এখন আর যে কোন সমস্যার জন্য তেমন বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সেই প্রশ্ন লিখে গুগলে সার্চ করলেই একজন শিক্ষার্থী তার সমস্যার সমাধান পেয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তথ্য - রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট সমূহ
একজন শিক্ষার্থী বাইরে না গিয়েও শুধু ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইউটিউবে বিশ্বের অনেক ভালো শিক্ষকের কাছে তারা শিক্ষা নিতে পারে। এছাড়া ও ফেসবুকে এমন অনেক পেজ রয়েছে যেখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও দেওয়া হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে এই সকল শিক্ষামূলক বিভিন্ন ভিডিও দেখে তারা তাদের সমস্যার সমাধান করে নিতে পারে এবং এর জন্য তাকে কোন বাড়তি টাকা গুনতে হয় না।
একসাথে অনেককে পাঠ দান করানো যায়
ইন্টারনেট ভিক্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা হল এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যেখানে একসঙ্গে শুধু কয়েক শত নয়, লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীকে ও শিক্ষা দেওয়া সম্ভব। আমরা দেখেছি একটি ক্লাস রুমে ৫০ জন যদি ছাত্রছাত্রী থাকে তাহলে তারা এত বেশি হৈচৈ করে যে ক্লাস করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। কিন্তু অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করলে একজন শিক্ষক যখন তার পাঠদান শুরু করেন তখন লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এই শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
এখানে কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না আর এই শিক্ষা ব্যবস্থা হল ইন্টারনেটের একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। আর একজন শিক্ষার্থী ক্লাস করার সময় সে একাই থাকে বলে অন্য কারো সমস্যা হয় না এবং সে নিজেও কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় না তাই সে খুব মনোযোগের সাথে তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বুঝে নিতে পারে।
ভর্তির ব্যাপারে সহজ প্রক্রিয়া
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্বে ভর্তি, ফরম ফিলাপ বিভিন্ন কাজের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো যা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য। আর সেখানে থাকতো এত ভিড় যার কারণে ভর্তি হতে হতে হবে বা ফরম ফিলাপ করতে হবে ব্যাপারটা মনে আসলেই ভয় করত। কিন্তু এখন ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে সকল প্রক্রিয়া এত সহজ হয়েছে যে, কোন কাজ নিমিষেই করে ফেলা যায়। এখন আর ভর্তির জন্য স্কুল, কলেজ কিংবা ইউনিভার্সিটিগুলোতে যেতে হয় না।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ইন্টারনেটে পারদর্শি তারা ঘরে বসেই তাদের ডিভাইস গুলোর মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম সহ যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে পারে। তাই যারা এখন গ্রামে বসবাস করে তারা ও শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির আবেদন খুব সহজেই করতে পারে।
বইয়ের বাহিরে ও পড়াশোনা করা
ইন্টারনেট হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে মানুষ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর সব খবর নিতে পারে। তেমনি শিক্ষার্থীরাও তার পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কোন বই ডাউনলোড করতে পারে এবং তা পড়তে পারে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা দিতে রীতিমতো তাদের যুদ্ধ করতে হয়। আর এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হলে শুধুমাত্র পাঠ্য বয়ে সম্পূর্ণ বিষয়বলি তারা খুঁজে পায় না যার কারণে বিভিন্ন বই তাদের সংগ্রহ করতে হয়।
আর ইন্টারনেট যদি না থাকতো তাহলে সমস্ত বই তাদের কিনে পড়াশোনা করতে হতো। ইন্টারনেটের ফলে তারা যে কোন বই সহজেই ডাউনলোড করতে পারছে এবং খুব সহজেই তা পড়তে পারছে যার কারণে তারা খুব সহজে জ্ঞান অর্জন করতে পারছে এবং তারা নিজেদের জ্ঞানের পরিধিও বাড়াতে পারছে।
একাডেমিক শিক্ষার পাঠদান
ইন্টারনেটে ব্যবহার করে একাডেমিক শিক্ষার পাঠ দান করা হয়ে থাকে বিশেষ করে যখন কোন দুর্যোগ বা মহামারী আসে তখন সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে অথবা যে এলাকায় দুর্যোগ থাকে সেই এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকে। আর এই প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন সময় শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে তাদের নিজস্ব ডিভাইস যেমন মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়মিত ক্লাস গুলোতে অংশ নিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব মা দিবস (রচনা) - কবে এবং কেন পালিত হয় জেনে নিন
শিক্ষা ক্ষেত্রে যদি ইন্টারনেট না থাকতো তাহলে দুর্যোগ প্রবণ এলাকার শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য খুবই ভয়ংকর একটি বিষয়। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে আমাদের দেশের ছাত্র ছাত্রীদের পাঠদান করানো সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তথা শেখ রাসেল ল্যাব সহ ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সহযোগী।
বহি বিশ্বের পড়াশোনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বহি বিশ্বের পড়াশোনা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয়। যখন আমরা শুধু আমাদের নিজেদের দেশের পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করব তখন আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেই সীমিত থাকবে কিন্তু যখন আমরা বহি বিশ্বের মানুষেরা কিভাবে তাদের পড়াশোনাগুলো চালিয়ে যাচ্ছে তা জানতে পারবো তখন আমাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে।
আমরা জানি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় অনেক এগিয়ে আছে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের তুলনায় কারণ তারা বিভিন্ন প্যাটার্ন অনুযায়ী তাদের অধ্যায়ন পরিচালনা করে এবং তারা সে সম্পর্কে অনেক জ্ঞান লাভ করতে পারে। আর ইন্টারনেট আসার ফলে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের পড়াশোনার পাশাপাশি বহির্বিশ্বের পড়াশোনা সম্পর্কেও জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
নিরবিচ্ছিন্ন ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক
ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্বে শিক্ষার্থীদের কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ হতো কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ছাত্র এবং শিক্ষক সকলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে যার কারণে ছাত্র এবং শিক্ষকদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হয়ে থাকে এবং উভয়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। আর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষক এবং ছাত্রদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে যার কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সাথে বিভিন্ন বিষয় পরামর্শ করতে পারে।
এবং সে বিষয়ে তারা সঠিক তথ্য জানতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্বে ক্লাসে পাঠদানের সময় যদি কোন শিক্ষার্থীর মনের সেই ক্লাস সম্পর্কে কোন প্রশ্ন জাগতো তাহলে পরের দিন ক্লাসে এসে সেই প্রশ্নের উত্তর তাকে জানতে হতো অথবা তাকে অপেক্ষা করতে হতো সেই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য। কিন্তু বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে সে যেকোনো সময় শিক্ষকের কাছ থেকে তার প্রশ্নের উত্তরটা পেতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তারা তাদের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে পরীক্ষার ফলাফল দেখা যায়
মানুষ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করত না তখন যেকোনো পরীক্ষার ফলাফল দেখার জন্য তাকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। অথচ একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষে সে কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে তা যাচাই করা হয় তার ফলাফলের মাধ্যমে। একজন পরীক্ষার্থী তার পড়াশোনার অগ্রগতি এবং সাফল্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুনঃ মাঝি অনুচ্ছেদ - সম্পর্কে জেনে নিন
আর এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করার ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই মুহূর্তের মধ্যে তাদের রেজাল্ট গুলো দেখতে পারছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার জন্য তাকে আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যেতে হচ্ছে না এবং ঘন্টার পর ঘন্টা ও অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই তাদের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল দেখতে পাচ্ছে।
ঠিক ভুল বিষয় বের করা
ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্বে একজন শিক্ষার্থী তার পাঠ্য বইয়ে যা লেখা থাকত তাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো কোনটা ঠিক কোনটা ভুল সে নির্বাচন করতে পারত না। এমন অনেক সময় থাকে যখন প্রিন্টিং এ ভুল হতে পারে কিন্তু একটা শিক্ষার্থী সেই ভুলটাই পড়ে যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীরা আর ভুলগুলো ধরে রাখে না কারণ তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে google এ সার্চ করে খুব সহজেই সঠিক ভুল সংশোধন করতে পারে।
শিক্ষা সফরে ইন্টারনেটের ব্যবহার
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা সফরে নিয়ে যেতে হয়। আর সে সময় তাদের শিক্ষা সফরে কোথায় যাবে তার ভেনু নির্ধারণ করা অনেক কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর এই ক্ষেত্রে এখন শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুব সহজেই তাদের ভেনু নির্বাচন করতে পারে আর এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই গুগল ম্যাপের মাধ্যমে তাদের সঠিক লোকেশন নির্ণয় করতে পারে। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থীরা আছে যারা নিজ উদ্যোগেও কোথাও শিক্ষা সফরে যেতে চাই সে ক্ষেত্রেও তারা ইন্টারনেট থেকে লোকেশন দেখে তাদের ভেন্যু তারা নির্বাচন করতে পারে।
শিক্ষার গতি বৃদ্ধিতে ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেটের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সাধারণত তাদের নিজস্ব গুণের জন্য একটু আলাদা হয়ে থাকে। আর ইন্টারনেটে যে ধরনের তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়। যেসব শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেসব শিক্ষার্থীরা সবসময় নতুন নতুন জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ হয় এবং যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে না তাদের থেকে আরও বেশি জ্ঞানী হয়।
কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। আর একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার কাজে ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি ইন্টারনেট ব্যবহার না করত এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার না জানতো তাহলে তারা বিশ্বের যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারত না।
বিশ্বমানের শিক্ষক দ্বারা পাঠদান ব্যবস্থা
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক শিক্ষাদান করে থাকেন কারণ ইন্টারনেটে রয়েছে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক পাঠদানের সুব্যবস্থা। আবার ওয়েবসাইটগুলো বিশ্বমানের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৌশলী এবং সফল মানুষ দ্বারা পরিচালিত হয় যার কারণে শেয়ার করতে পারে। এছাড়াও ইন্টারনেটে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ই লার্নিং টুলস।
আর এই টুলস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করতে পারে এছাড়া এমন ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে রয়েছে হাজারো লেখকের বই যাকে বলা হয় ই-বুক যা সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞান অর্জন করতে পারে।
ই-বুক ব্যবস্থা
ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে বই পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ই-বুক। অথচ ইন্টারনেট আসার পূর্বে ই-বুক কি সে সম্পর্কে কারো কোন ধারণাই ছিল না। অনেক সময় ছিল যখন যেকোনো বই পড়ার জন্য তাকে লাইব্রেরীতে যেতে হতো অথবা বিভিন্ন বই কিনে তারপরে সেই বই পড়তে হতো। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে google এ সার্চ করে যেকোন বই ডাউনলোড করে রাখা যায় এবং প্রয়োজনে সেই বই পড়া যায়। এমন অনেক সময় দেখা যায় ভর্তির কিছুদিন পূর্বে নতুন বইয়ের প্রয়োজন হয়
কিন্তু সেই বই বাজারে আসতে অনেক দিন সময় লাগে। কিন্তু ইন্টারনেট হল এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে সার্চ করলে অতি সহজেই সেই সব বই পাওয়া যায় আবার প্রয়োজনীয় বইগুলো কিনতে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বর্তমানে অল্প টাকায় ইন্টারনেট কিনে অনেক বই ডাউনলোড করা যায় এবং প্রয়োজনে সেই বইগুলো পড়া যায়।
ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা
প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি তার অপকারিতা ও রয়েছে। ঠিক তেমনি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন উপকারিতা রয়েছে সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে এর অপকারিতাই বেশি। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে কেন প্রতিটি ব্যক্তি জীবনে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার জানা একান্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
শিক্ষার্থীরা একইভাবে দীর্ঘ সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সময় নষ্ট করে যার কারণে তাদের পড়াশোনা হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে তারা গেমে আসক্ত হয় যার কারণে তারা পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারে না। এছাড়া বর্তমানে স্মার্টফোন হল এমন একটি ডিভাইস যা দীর্ঘ সময় একটানা ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। ল্যাপটপ এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক স্কিনের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের অনেক ক্ষতি হয়।
আর একজন শিক্ষার্থী যদি সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার না করে তাহলে তার জীবনে নেমে আসতে পারে বড় ধরনের বিপদ। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহারে উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর ক্ষতিকর দিক অনেক রয়েছে।
উপসংহার
বর্তমান যুগ হলো তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। আর এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার একটি যুক্তিসম্মত বিষয় এবং যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে কারণ অধিক সময় ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হলে শারীরিক এবং মানসিক সহ স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষকের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের বেশি সচেতন হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
বিশেষ কোনো প্রয়োজন না থাকলে একজন শিক্ষার্থী যেন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কেননা অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহার কখনোই ভালো ফলাফল দিতে পারবে না। তথ্য প্রযুক্তির যুগে যেমন ইন্টারনেটের ভূমিকার কথা অস্বীকার করা যায় না তেমনি এর যে ক্ষতিকর দিক আছে সেদিক ও আমাদের ভেবে দেখা দরকার। তবে সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ক্ষতির চেয়ে এর ভালো দিক বেশি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url