রচনা - সাম্প্রতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

রচনা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের শিক্ষার্থী দের প্রায় প্রতিটি পরীক্ষাতে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের অংশ হিসেবে রচনা লেখার প্রয়োজন পড়ে। তাই আমি শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য সাম্প্রতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ রচনা বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

image

প্রিয় শিক্ষার্থী তোমরা আমার লেখা এই রচনা পড়ে তোমাদের পরীক্ষায় লিখতে পারো। আমি আশা করি আমার এই রচনা লিখলে তোমরা পরীক্ষায় বেশ ভালো নম্বর পাবে। তবে তোমরা অবশ্যই রচনা প্যারা আকারে লিখার চেষ্টা করবে। মনে রেখো বিষয়বস্তুর সঙ্গে সঙ্গে লেখার সৌন্দর্যটাও নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক।

ভূমিকা

দূরগ্রাম থেকে খাদ্য বয়ে আনো

বৃদ্ধ কঙ্কালসার ঘোড়া 

বর্তমান বিশ্বে এমন দিন আর নেই। সারা পৃথিবীতে মানুষের জীবন প্রতিনিয়তই আবর্তিত হয়। এই বিশ্বজুড়ে প্রতিনিয়তই অর্থনীতি, রাজনীতি ও সমাজনীতির ওপর ভিত্তি করেই পরিবর্তিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে পুরো পৃথিবী দুটি বিপরীত শক্তিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঘটার ফলে বিশ্বের শক্তির কেন্দ্র হয় একমুখী।  বিশ্ব মানব সভ্যতা সেই সময় থেকেই আলাদা আলাদা বিষয়ের ওপর নির্ভর করতে থাকে যার

ফলস্বরূপ বিশ্বশক্তি ও ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে এক কেন্দ্রীকতা থেকে বহু কেন্দ্রিকতার দিকে এগিয়ে যায়। বর্তমান যুগে আধুনিক এই পৃথিবীতে যেকোনো একটি দেশ যত ছোটই হোক না কেন তার গুরুত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। বর্তমান বিশ্বে আমাদের এই বাংলাদেশও একটি ক্ষুদ্র কিন্তু উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় দেশ। যে দেশ নিজের যোগ্যতায় আধুনিক এই বিশ্বে অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আমাদের দেশের নাম বাংলাদেশ। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জন্ম হয় ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ। স্বাধীনতার পূর্বে এই দেশ পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ ছিল মাত্র। তখন এই দেশের নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান।দীর্ঘ .৯ মাস এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের মানুষ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করে।জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশ। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্গত পূর্ব এশিয়ার একটি ছোট দেশ বাংলাদেশ। 

এই ভূমির মানুষেরা নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য বাংলা ভাষার প্রতি আবেগ প্রবণ যার কারণে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে আলাদা হয়ে গঠিত হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র। বাংলাদেশের তিন দিকে রয়েছে ভারতবর্ষের সাথে আন্তর্জাতিক সীমানা এবং দক্ষিণে রয়েছে মায়ানমারের সাথে সীমানা। 

আরো পড়ুনঃ  কৃষি উদ্যোক্তা - রচনা (২০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায়  ১৬ কোটি । লোক সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। বাংলাদেশের দক্ষিণে পার্বত্য অঞ্চল, উত্তরের সিলেট, অন্যদিকে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমতল উর্বর কৃষি ভূমি ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

সীমানা ও অবস্থান

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। বাংলাদেশের রাজধানী নাম ঐতিহাসিক ঢাকা নগরী। এ দেশের পূর্বে ভারতের আসাম, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও মায়ানমার এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয়, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। 

শহর-বন্দর

ঢাকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহর এবং রাজধানী। অন্য বড় শহরগুলো হলো-চট্টগ্রাম,  সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনা,রংপুর। চট্টগ্রাম ও মংলা বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর।  

নদ-নদী

বাংলাদেশের সমভূমির উপর দিয়ে ছোট বড় অনেক নদী  বয়ে চলেছে। তাই এদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়ে থাকে । পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, কর্ণফুলী এদেশের প্রধান নদী। কপোতাক্ষ, আত্রাই, করতোয়া, ধলেশ্বরী, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা, আড়িয়াল খাঁ, ইছামতি, ভৈরব, কুমার, ধরলা,  তিস্তা—এই সব আমাদের দেশের শাখা নদী ও উপনদী।

উৎপন্ন দ্রব্য

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য গুলো হলো ধান, পাট, চা, ইক্ষু, সরিষা, গম ও ডাল। বাংলাদেশ পাট ও চা বিদেশে রপ্তানি করে  প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে থাকে।  

ঋতু বৈচিত্র

ঋতু বৈচিত্রের দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর সমন্বয়ে আমাদের এই দেশ গঠিত। রূপের বৈচিত্র্য নিয়ে এদেশে প্রতি দু’মাস পরপর আসে ঋতু বৈচিত্র। এই ষড় ঋতুগুলো হল -  গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত । ঋতু বৈচিত্র্যে এদেশ কখনো অঝোর ধারা বৃষ্টিতে ঝাপসা দূরের মাঠ, কখনো আলো ঝলমল, আবার কখনো (শরৎকাল) স্বচ্ছ আকাশ থেকে ঝরে পড়ে রূপালি জোসনা। অপরূপ প্রকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত  এদেশকে তাই বলা হয়ে থাকে রূপসী বাংলা।

প্রাকৃতিক সম্পদ

আমাদেরকে এই দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।বাংলাদেশের ভূমিতে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্যাস, চুনাপাথর, পিট কয়লা,জ্বালানি তেল,  আকরিক লৌহ এদেশের উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়াও এদেশের বনভূমিতে রয়েছে সুন্দরী, শাল ও গজারী কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদি।

বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব

আন্তর্জাতিক বিশ্বে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে নিজেদের সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সুষ্ঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আর এই পথ ধরে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার পাশাপাশি এশিয়া মহাদেশে একটি 

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব মা দিবস (রচনা) - কবে এবং কেন পালিত হয় জেনে নিন

গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক শক্তি হয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা দেশ তথা ভারতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিশ্বের দরবারে সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেতে হলে প্রয়োজন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সামাজিক অবস্থা। শুধু বিশ্ব কেন আজ আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা ও একই রকম।  সামাজিক গুরুত্বের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয় বাংলাদেশ তথা বাঙালি জাতির অবদান।

বাংলাদেশ তাদের আপন প্রতিভা এবং বুদ্ধিমত্তার দ্বারা বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তাদের অবদান রাখছে। এদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কূটনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ -  যারা বাঙালি হয়েও বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব

বাঙালি বীরের জাতি। তারা যুদ্ধ করে এ দেশকে পরাশক্তির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। আর এইসব সম্ভব হয়েছে রাজনৈতিক অবদানের কারণে। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত জাতীয় উন্নতির ধারাকে সচল ভাবে অব্যাহত রাখতে পারার জন্য বাংলাদেশের রাজনীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও অপর রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, পররাষ্ট্র নীতি

নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় সমতার প্রতি শ্রদ্ধা ও সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান  এবং জাতিসংঘের সনদে বর্ণিত নীতিসমূহের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তর্জাতিক আইন ইত্যাদি নীতি অনুসরণের কারণে ও সংশ্লিষ্ট মহাদেশীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও বন্ধুত্ব এবং অন্য কারোর প্রতি বিদ্বেষ নেই এই নীতির ওপর ভিত্তি করে দক্ষিণ

আরো পড়ুনঃ  মাঝি অনুচ্ছেদ - সম্পর্কে জেনে নিন

এশিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ আঞ্চলিক রাজনৈতিক পঠ পরিবর্তনে  বিভিন্ন সময়ে অত্যন্ত দূরদর্শিতার সাথে নিরপেক্ষ থাকতে সক্ষম হয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান বাংলাদেশকে শোষণ এবং নির্যাতন করলেও তাদের প্রতি বিদ্বেষ মনোভাব না রেখে তাদের সাথে সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর  এ কারণেই দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশের জনসংখ্যার গুরুত্ব

মানুষের শরীরেও নাকি ঘাম থাকে!

অথচ আমি ঘামের গন্ধ ছাড়া কিছুই পাইনি।

পরিপাটি শরীরের কাছাকাছি হেঁটে যেতে যেতে বহুবার

মানুষ নয় শিশুদেরই ঘ্রাণ আছে শুধু।

বাংলাদেশের আয়তন .১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ আয়তনের তুলনায় অনেক ক্ষুদ্র তবে এর জনসংখ্যা. ১৬ কোটি। এত বেশি জনসংখ্যা সত্যি এক দুশ্চিন্তার বিষয়। তবে অতিরিক্ত বেশি সবকিছুরই যেমন একটি খারাপ দিক রয়েছে তেমনি আবার ভালো দিক ও রয়েছে। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের এই বিপুল জনসংখ্যা যেমন চিন্তার কারণ, তেমনি এই বিপুল জনসংখ্যার উপর ভিত্তি করেই বর্তমানে বাংলাদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চাকা বিশ্বের দরবারে আবর্তিত হচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন

বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দিক হল এই বিপুল জনসংখ্যার অধিকাংশই হলো যুবক। যারা দেশের অর্থনৈতিক শাখা সচল রাখতে সক্ষম। আর এ কথা আমাদের সবার জানা যে যুবকরাই হল সমাজের চালিকাশক্তি। যে দেশের জনসংখ্যা যুবকের পরিমাণ যত বেশি সেই দেশ সার্বিক উন্নতির দিক থেকে তত বেশি সুবিধা জনক স্থানে থাকতে সক্ষম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বাংলাদেশের শ্রমিক উৎকৃষ্ট লেবার হাব বা শ্রমিক সরবরাহের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। বিদেশে বসবাসরত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি ডলার পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতিতে অবদান রাখছে। যার কারণে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বকে স্বীকার করলেও বাংলাদেশের উন্নতিতে এদের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। 

শিল্প ও বাংলাদেশ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যে অর্থনৈতিক সম্ভাবনাটি সবচেয়ে বেশি বিকাশ লাভ করেছে তা হল শিল্প। এদেশের বিভিন্ন উপাদানকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে একের পর এক বৃহৎ এবং ক্ষুদ্র শিল্প। এর মধ্যে যে শিল্প গুলো সবচেয়ে বেশি বিকাশ লাভ করেছে তার মধ্যে অন্যতম হলো গার্মেন্টস শিল্প এবং তার জাত শিল্প। বাংলাদেশের রপ্তানির সিংহভাগ দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্ট শিল্পের উপর ভিত্তি করে।

আর এই শিল্প কারখানা গুলো প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে একটি বড় অবদান রাখে। সরাসরি গার্মেন্টস শিল্পের সাথে যুক্ত আছে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ। এই গার্মেন্টস শিল্পটি বাংলাদেশের মোট জাতীয় আয়ের ১১ শতাংশের ও বেশি অবদান রাখে।  এছাড়া সোনালী আঁশ বা পাটতন্তের উপর ভিত্তি করেও গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের শিল্প।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বা পাট জাত দ্রব্যের গুণগত মান ভালো এবং দামে ও সস্তা হওয়ায় সারা বিশ্বে এর চাহিদা ও অপরিসীম। 

সাম্প্রতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশ রচনা 

আমাদের দেশ বাংলাদেশ। সবুজ - শ্যামল প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এই দেশ। আমাদের এই দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের পূর্ব দিকে রয়েছে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা ও বার্মা। পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়, উত্তরে পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় এবং দক্ষিণে মায়ানমার ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। বাংলাদেশের আয়তন, ১,৪৭৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শোক দিবস রচনা -  ১৫ ই আগস্ট রচনা (৬ - ১২)

বাংলাদেশের প্রায় সবটাই সমতল ভূমি এবং এদেশের ভূমি উর্বর।বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া তথা বর্তমান বিশ্বে অর্থনীতি, সমাজনীতি ও রাজনীতিতে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নাম ও অবস্থান। বর্তমান সময়েআন্তর্জাতিক কোন ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না।আর এই আন্তর্জাতিক গুরুত্বের পেছনে রয়েছে অনেকগুলো কারণ। এই কারণগুলো বাংলাদেশের সার্বিক গুরুত্বকে সফলভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সেই গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো সহ সাম্প্রতিক বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

উপসংহার

আমাদের দেশ বাংলাদেশ। সবুজ - শ্যামল প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর এই দেশ। আমাদের এই দেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম সম্ভাবনাময় দেশ।বাংলাদেশের আয়তন .১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ আয়তনের তুলনায় অনেক ক্ষুদ্র তবে এর জনসংখ্যা. ১৬ কোটি। 

আমাদেরকে এই দেশ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।বাংলাদেশের ভূমিতে রয়েছে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ। গ্যাস, চুনাপাথর, পিট কয়লা,জ্বালানি তেল,  আকরিক লৌহ এদেশের উল্লেখযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়াও এদেশের বনভূমিতে রয়েছে সুন্দরী, শাল ও গজারী কাঠ, বাঁশ, বেত ইত্যাদি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url