কোরবানী কি - কোরবানির ইতিহাস জানুন
কোরবানি আল্লাহর দেওয়া বিধান এবং তা পালন করা ওয়াজিব।কোরবানী সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোরবানী কি - কোরবানির ইতিহাস
- কোরবানী কি
- কোরবানির উৎপত্তি
- কোরবানির উদ্দেশ্য
- কোরবানির ইতিহাস
- কুরবানীর প্রথম ঘটনা
- কোরআনের আলোকে কুরবানী
- শেষ কথা
কোরবানী কি
কোরবানি একটি আরবি শব্দ। আরবি কুরবান বা করব শব্দ দুটি ফরাসি ও উর্দুতে কুরবানী নামে রুপান্তরিত হয়েছে। কোরবানী শব্দের অর্থ হল নৈকট্য বা সান্নিধ্য লাভ করা ইসলামী পরিভাষায় কোরবানি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু জবেহ করা। মহান আল্লাহতালা বলেন, "সুতরাং আপনি আপনার প্রতিপালকের জন্য নামাজ এবং কোরবানি আদায় করুন"। এই জন্য কোরবানির দিন কে বলা হয় "ইয়াওমাল-আজহা"।
আরো পড়ুনঃ কোরবানি কি ফরজ - কোরবানি কার উপর ওয়াজিব জেনে নিন
১০ই জিলহজ্জ ঈদের নামাজের পর থেকে ১২ ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোরবানি করা যায় তবে উত্তম হলো জিলহজের ১০ তারিখে কোরবানি করা। মহান আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে সূরা আনআম এর ১৬২ নং আয়াতে বলেন, "আপনি বলেন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবই বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক আল্লাহতালার জন্য"।
আল্লাহ বলেন, "আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোরবানির বিধান রেখেছি" (সুরা হাজ্জ, আয়াতঃ ৩৪)। হাদিসের ভাষায় ঈদুল আযহা বলা হয় কোরবানির ঈদ।
কোরবানির ইতিহাস ইসলামে বেশ প্রাচীন। পবিত্র কোরআনে হাবিল এবং কাবিলের পরিচয় পাওয়া যায়। হাবিল এবং কাবিল হলেন হযরত আদম আঃ সালাম এবং বিবি হাওয়া আঃ সালাম এর প্রথম সন্তান। এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া প্রথম সন্তান হলেন তারা দুজনে। আল্লাহর জন্য কোরবানি করা প্রথম মানুষ হলেন হাবিল। ইবনে কাসির বর্ণনায় পাওয়া যায় মহান আল্লাহতালার উদ্দেশে হাবিল একটি ভেড়া এবং কাবিল তাঁর ফসলের কিছু অংশ নিবেদন করেন।
তখন আল্লাহর নির্ধারিত পদ্ধতি ছিল গ্রহণযোগ্য কোরবানি গ্রহণ করার জন্য আকাশ থেকে আগুন নেমে আসবে এই নিয়ম অনুসারে আকাশ থেকে আগুন নেমে আসে এবং হাবিলের দেওয়া কোরবানি গ্রহণ করে। উপর দিকে কাবিলের দেওয়া ফসল প্রত্যাখ্যান করে। এতে করে কাবিল হাবিলের উপর রাগান্বিত হয় এবং হাবিলকে হত্যা করে। আর এই হত্যাকাণ্ডই ছিল পৃথিবীর প্রথম হত্যাকান্ড। হাবিল হত্যা করার পরেও কাবিলের মনে কোন অনুশোচনার জন্ম হয়নি। তাই মহান আল্লাহতালা কাবিলকে ক্ষমা করেননি।
কোরবানির উদ্দেশ্য
মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হলো কোরবানির মূল উদ্দেশ্য। কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহতালা মানুষের মধ্যে আল্লাহ তাআলার ভীতি দেখেন। আল্লাহতালা সূরা হজ্জ এর ৩৭ নং আয়াতে বলেন, "কোরবানির পশুর গোশত বা রক্ত আল্লার নিকট পৌঁছেনা বরং তার নিকট পৌঁছে কেবলমাত্র তোমাদের তাকওয়া"। অতএব কোরবানির উদ্দেশ্য হল মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি অর্জন করা।
কোরবানির ইতিহাস
কোরবানির ইতিহাস অনেক প্রাচীন। আমাদের আদি পিতা হযরত আদম আঃ এর পুত্র হাবিল ও কাবিল হল মানব ইতিহাসের প্রথম কোরবানি দাতা। অতএব কোরবানি হযরত আদম আঃ সালাম এর সময় থেকে বিদ্যমান রয়েছে। আমরা মহাগ্রন্থ আল কুরআন থেকে জানতে পারি আদম আঃ সালাম এর কোরবানি পেশ করার কথা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আদমের দুই পুত্র হাবিল ও কাবিলের কথা আপনি তাদেরকে যথাযথভাবে জানিয়ে দিন। যখন তারা উভয়ে কোরবানি করেছিল।
তখন একজনের কোরবানি কবুল হয়েছিল এবং অন্যজনের কোরবানি কবুল হলো না। তাদের একজন বলল আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করব। অতঃপর অপরজন বলল আল্লাহ তো সংযমিদের কোরবানি কবুল করে থাকেন"। (সুরা মায়েদা, আয়াতঃ ৫ থেকে ২৭)।
আরো পড়ুনঃ শুক্রবারে - বা জুমার দিনের - অতি গুরুত্বপূর্ণ ১১ টি বিশেষ আমল সম্পর্কে জেনে নিন
দুনিয়ার প্রথম অবস্থায় আদম ও হাওয়া আঃ সালামের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে একসাথে জন্মগ্রহণ করতো। পরবর্তীতে ও একটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। পূর্ব গর্ভের ছেলের সাথে পরের গর্ভের মেয়ের এবং পরের গর্ভের ছেলের সাথে পূর্বের গর্ভের মেয়ের বিবাহ হত। আর হাবিল এবং কাবিলের সাথে তাদের জন্মগ্রহণ করে জমজ সন্তান।
কিন্তু হাবিলের সাথে জমজ বোন সুন্দরী ছিলেন না কিন্তু কাবিলের সাথে জমজ বোন সুন্দরী ছিলেন। আর তখনকার শরিয়া মোতাবেক হাবিলের জমজ বোনের সাথে কাবিলের বিবাহ এবং কাবিলের জমজ বোনের সাথে হাবিলের বিবাহ হওয়ার কথা কিন্তু কাবিল তা অস্বীকার করে। হযরত আলাইহি সালাম কাবিলকে বোঝালেন কিন্তু কাবিল তা মানতে রাজি হলো না। অবশেষে আদম আঃ সালাম উভয়কে আলাদা উপরে আল্লাহ তায়ালার নামে কোরবানি করার নির্দেশ দিলেন।
এবং তিনি বললেন, আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করবেন কাবিলের জমজ বোনের সাথে তার বিবাহ দেওয়া হবে। হাবিলের সাথে যে বোন জন্ম নিয়েছিল সে সুন্দর ছিল না এবং তার নাম ছিল লিওযা আর কাবিলের সাথে যে জন্মগ্রহণ করে সে ছিল সুন্দর এবং তার নাম ছিল আকলিমা। বিবাহের সময় হলে হাবিল এল এর সাথে সুন্দরী আকলিমা ও কাবিলের সাথে লিওযা বিবাহ হওয়ার কথা। একসাথে যারা দুইজন জন্মগ্রহণ করে তারা সহদার ভাই বোন তাদের বিবাহ হারাম ছিল। এরপরেও কাবিল লিওযা কে বিবাহ করতে অস্বীকার করে।
কুরবানীর প্রথম ঘটনা
হযরত আদম আলাইহিস সালাম তার দুই সন্তান হাবিল ও কাবিলের মতভেদ দূর করার উদ্দেশ্যে বললেন, তোমরা উভয়ই আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি পেশ করো। যার কোরবানি আল্লাহতালা কবুল করবেন তার সাথে আকলিমার বিবাহ হবে। সে সময় কোরবানি কবুল হওয়ার নিদর্শন ছিল আসমান থেকে আগুন এসে কোরবানিকে ঝলসিয়ে দিবে। হাবিল ছিল মেসওয়ালা তাই হাবিল একটি মেস কোরবানির জন্য পেশ করল।
আর কাবিল ছিল কৃষক তাই সে কিছু গমের শিষ কোরবানির জন্য পেশ করল। কিন্তু সে গমের শেষ থেকে দানাযুক্ত শীষ বেঁছ রাখল এবং দানা হীন শীষ পেশ করল। আসমান থেকে আগুন এসে হাবিলের কোরবানি ঝলসিয়ে দিল যা কোরবানি কবুল হওয়ার নিদর্শন। আর কাবিলের কোরবানি গ্রহণ করল না যার ফলে হিংসায় কাবিল ফেটে পড়তে থাকলো এবং হাবিলকে হত্যা করার পরিকল্পনা করলো। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,"আদম আঃ সালাম এর পুত্রদের কথা আপনি তাদের শোনান। যখন তারা উভয়ই কোরবানি করেছিল তখন একজনের কোরবানি কবুল হয়েছিল আর অন্যজনের কোরবানি কবুল হয়নি"। (সূরা মায়েদা, আয়াতঃ ২৭)।
আরো পড়ুনঃ হজ কাকে বলে - হজ কত প্রকার ও কি কি জেনে নিন
আর এর দ্বারা বোঝা যায় যে কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য প্রয়োজন তাকওয়া। অর্থাৎ প্রয়োজন আল্লাহর ভীতি। আল্লাহতালা লোক দেখানো কোন ইবাদত কবুল করেন না।কোরবানির বিধান সকল নবীদের শরীয়তেই ছিল তবে প্রত্যেক নবীদের সময় কোরবানির বিধান ছিল ভিন্ন এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই সকল বিধান চলমান থাকবে।
মহান আল্লাহতালা বলেন, "অর্থাৎ প্রত্যেক উম্মতের জন্য আমি কোরবানির বিধান রেখেছিলাম যাতে তারা উক্ত পশু জবহ করার সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে যে, তিনি চতুষ্পদ জন্তু থেকে তাদের জন্য রিযিক নির্ধারণ করেছেন"। (সূরা হাজ্জ, আয়াত ২২থেকে ৩৪)। আর এতে আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা নাফাসি বলেন, "হযরত আদম আঃ থেকে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম পর্যন্ত প্রত্যেক জাতিকে আল্লাহতালা নৈকট লাভের জন্য কোরবানির বিধান দিয়েছেন"। কাশশাফ .২/ ৩৩।
অতএব কোরবানি হযরত আদম আঃ সালাম এর সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত চলছে। আল্লাহতালার পক্ষ থেকে যত শরীয়ত নাজিল হয়েছে সকল শরীয়তে কোরবানির বিধান চালু ছিল। কোরবানি করতে উম্মতের ইবাদতের জন্য অপরিহার্য অংশ।
বর্তমান কোরবানি বা কোরবানি নিয়ে হযরত ইসমাইল আঃ সালামের ঘটনা-
কোরবানি এই শব্দটির ভেতরে লুকিয়ে আছে মহান আল্লাহতালার মহিমা আর লুকায়িত আছে পিতা পুত্রের অসীম ত্যাগের ইতিহাস। পবিত্র কোরআনে কোরবানির ইতিহাস এভাবে এসেছে যে, "হে আমার প্রতিপালক আমাকে এক নেক সন্তান দান করুন। অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের শুভ সংবাদ দিলাম। অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছালো বা কাজ করার বয়সে উপনীত হলো তখন হযরত ইব্রাহিম আঃ সালাম বললেন, হে বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে জবাই করছি।
তোমার অভিমত কি? হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তাই করুন আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল হিসেবেই পাবেন। যখন তারা আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম তার পুত্রকে কাত করে শোয়ালেন তখন আমি তাকে ডাক দিয়ে বললাম, হে ইব্রাহীম! আপনি তো স্বপ্নে দেয়া আদেশ পালন করলেন। এভাবে আমি সৎকর্ম লোকদের পুরস্কৃত করে থাকি। নিশ্চই এটা ছিল সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কোরবানির বিনিময়ে আমি এটা পরবর্তীতে স্মরণে রেখে দিলাম। ইব্রাহিম আঃ সালাম এর জন্য অভিবাদন আল্লাহর পক্ষ থেকে শান্তি ও শুভেচ্ছা"। (সূরা সাফফাত, আয়াত ঃ১০০ থেকে ১১০)।
আরো পড়ুনঃ সালাত কাকে বলে - সালাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
কোরবানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন, "তোমরা আল্লাহতালার উদ্দেশ্যে হজ ও ওমরা পালন কর কিন্তু তোমরা যদি বাধা পাও তাহলে সহজলভ্য কোরবানি করো। আর কোরবানি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মুন্ডন করো না। কিন্তু অসুস্থতা বা মাথায় কোন রোগের কারণে আগে মাথা মুন্ডন করে ফেললে সাদকা বা ফিদিয়া হিসেবে রোজা রাখবে সাদকা বা কোরবানি করবে
নিরাপদ পরিস্থিতিতে কেউ হজের আগে ওমরা করে উপকৃত হতে চাইলে সে সহজ দ্রব্য কোরবানি করবে কিন্তু কেউ যদি কোরবানির পশু না পায় তাহলে সে হজের সময় ৩ দিন ও ঘরে ফিরে সাত ৭ দিন এভাবে মোট ১০ দিন রোজা রাখবে। যারা মসজিদুল হারাম এর কাছে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে এ নিয়ম তাদের জন্য নয়। অতএব হে মানুষ ! আল্লাহ সম্পর্কে সচেতন হও আল্লাহ ধর্ম বিধান লঙ্ঘন হতে দূরে থাকো। জেনে রাখো আল্লাহ মন্দ কাজের শাস্তি দান করেন কঠরভাবে"। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১৯৬)।
কোরবানির পশুকে আল্লাহ করেছেন তার মহিমার প্রতিক। "তোমাদের জন্য এতে রয়েছে বিপুল কল্যাণ। অতএব এগুলোকে সারিবদ্ধভাবে বাধা অবস্থায় এদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। এরপর এরা যখন জমিনে লুটিয়ে পড়ে তখন তা থেকে মাংস সংগ্রহ করে তোমরা খাও এবং অন্য কেউ খাওয়াও। এভাবেই আমি গবাদি পশুগুলোকে তোমাদের প্রয়োজনের অধীন করে দিয়েছি যাতে তোমরা শুকরিয়া আদায় করো"। (সূরা হাজ, আয়াতঃ ৩৬)।
কোরআনের আলোকে কুরবানী
কিন্তু মনে রেখো কোরবানির রক্ত বা মাংস আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। আল্লাহর কাছে পৌঁছে শুধু তোমাদের নিষ্ঠাপূণ্য আল্লাহ সচেতনতা। এই লক্ষ্যে কোরবানির পশু গুলোকে তোমাদের অধীন করে দেয়া হয়েছে অতএব আল্লাহ তোমাদের সৎ পথ প্রদর্শনের মাধ্যমে যে কল্যাণ দিয়েছেন সেজন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর। হে নবী ! আপনি সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ বিশ্বাস কারীদের রক্ষা করবেন নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক, অকৃতজ্ঞ কে পছন্দ করেন না"।( সুরা হাজ্জ, আয়াতঃ ৩৭-৩৮)।
হযরত ইসমাইল আলাইহিস সালাম যখন তার পিতার কাজকর্মে অংশগ্রহণ করার মত বড় হলেন তখন ইব্রাহিম সালাম একদিন তাকে বললেন হে আমার প্রিয় পুত্র আমি স্বপ্নে দেখেছি যে তোমাকে কোরবানি দিতে হবে এখন বলো এ ব্যাপারে তোমার মত কি ইসমাইল আলাইহিস সালাম জবাবে বললেন হে আমার পিতা আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে বিপদে ধৈর্যশীলদের একজন হিসেবেই পাবেন ।(সূরা সাফফাত, আয়াতঃ ১০২)।
আরো পড়ুনঃ রোজা কাকে বলে - রোজা ভঙ্গের কারণ জেনে নিন
মনে রেখো এ ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। আমি তাকে সুযোগ দিলাম এক মহান কোরবানির। পুরো বিষয়টি স্মরণীয় করে রাখলাম প্রজন্মের পর প্রজন্ম। ইব্রাহিমের প্রতি সালাম এভাবে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করি। (সূরা শাফফাত, আয়াতঃ ১০৬-১১০)।
অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের জন্যই নামাজ পড়ো ও কোরবানি দাও। নিশ্চয়ই তোমার প্রতি যেই বিদ্বেষ পোষণ করবে বিলুপ্ত হবে ওর বংশধররা। (সূরা কাওসার, আয়াতঃ১০৮)।
কোরবানি প্রসঙ্গে মহান আল্লাহতালা বলেন, "সকল সম্প্রদায়ের জন্য আমি কোরবানির বিধান দিয়েছি তিনি আল্লাহ তাদের জীবন উপকরণ স্বরূপ যেসব চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন সেগুলোর ওপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে"। (সূরা হাজ্ব, আয়াতঃ ৩৪)।
শেষ কথা
অতএব কোরবানি মানুষ সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকে ছিল এবং এখন পর্যন্ত তার হয়ে গেছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। কোরবানির মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা। লোক দেখানো কোন ইবাদত আল্লাহ কবুল করেন না তাই লোক দেখানো কোন ইবাদত করা ঠিক নয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url