অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - সম্পর্কে জানুন

ক্রিপ্টো কারেন্সি কি এটা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে। কিন্তু যারা অনলাইনে কাজ করেন তাদের সবার জানা প্রয়োজন অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে । ক্রিপ্টো কারেন্সি  সম্পর্কে না জানলে অনলাইন বাজারে আপনি কেনাকাটা করতে পারবেন না।অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।

Image

ক্রিপ্টো কারেন্সি হল পুরো বিশ্বের ডিজিটাল মুদ্রা। তাই ক্রিপ্টো কারেন্সি কে গ্লোবাল মুদ্রা ও বলা যেতে পারে।অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে  নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি 

ক্রিপ্টো কারেন্সি কি

ক্রিপ্টো কারেন্সি হলো এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ডিজিটাল মুদ্রা যা চোখে দেখা যায় না, হাতে ছুঁয়ে দেখাও যায় না, যা কেবল অনলাইনে ট্রানজেকশন করার জন্য ডিজিটাল ওয়ালেটে রাখা হয় এর সমস্ত কাজ অনলাইনে করা হয় বলে একে অনলাইন কারেন্সিও বলা হয়। অন্যান্য কারেন্সি গুলো যেমন,- টাকা, রুপি, ডলার ইত্যাদি কারেন্সি গুলো যে দেশের সেই দেশের সরকারকে যোগান দেয়ার প্রয়োজন পড়ে এবং সেই দেশের সরকার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। 

কিন্তু কিপ্রকারেন্সি হলো এমন ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা যা ব্যবহারে কোন দেশের সরকারকে যোগান দেয়ার প্রয়োজন হয় না।এই ক্রিপ্টো কারেন্সি কোন ব্যক্তি, কোম্পানি বা এজেন্সি  দ্বারা ও পরিচালিত হয় না ।  আমরা যেভাবে টাকা দিয়ে আর্থিক লেনদেন করি ঠিক তেমনি ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে লেনদেন করার জন্য ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহার করা হয়।

এই মুদ্রা আপনি কেবল অনলাইনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন কারন এটি অনলাইনে ব্যবহারকারী দ্বারা পরিচালিত হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সি কে গোপন অর্থ বলা হয় ক্রিপ্টো কথাটির অর্থ হল গোপন বা গুপ্ত এবং কারেন্সি কথাটির অর্থ হলো মুদ্রা বা অর্থ। আর ক্রিপ্টো কারেন্সি অর্থ হল গুপ্ত মুদ্রা। ক্রিপ্টো কারেন্সিতে লেনদেনের সমস্ত তথ্য গোপনে রাখা হয় কারণ এর সমস্ত ট্রানজেকশন হিস্টোরি ব্লকের স্টোরে থাকে।

যার কারনে এই ক্রিপ্টো কারেন্সি তৃতীয় কোন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। এটি অনলাইনে কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় এর পুরো কার্যক্রম গুত্ব লিখন নামক একটি সুরক্ষিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ২০১৭ সাল থেকে এটির অনলাইন বাজারে ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

ক্রিপ্টো কারেন্সির ইতিহাস

ক্রিপ্টো কারেন্সি হল বর্তমান ডিজিটাল যুগের এক বিশেষ আবিষ্কার। ১৯৮৩ সালে মার্কিন গুপ্ত লিখন ক্রিপ্টো  কারেন্সির মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা আদার প্রদানের বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং তিনি এর নাম দেন ই ক্যাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি ডিজিটাল ক্যাশের মাধ্যমে একটি ইলেকট্রনীয় বা বৈদ্যুতিক মূল্য পরিশোধের একটি প্রাথমিক পর্যায়ে হিসেবে চালু করেন। পরবর্তীকালে ২০০৯ সালে  সতোশি নাকামোতো নামক কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বের প্রথম  ক্রিপ্টো কারেন্সি মুদ্রা বিটকয়েন চালু করেন।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ বুস্ট করার ১৫ টি নিয়ম সম্পর্কে জানুন

বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি গুপ্ত মুদ্রা বা ক্রিপ্টো কারেন্সি রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টো  কারেন্সি মুদ্রা হল বিটকয়েন। মানুষের জীবনকে সহজ সুন্দর ও সাবলিল করার লক্ষ্যে বিশ্বের উন্নত দেশগুলো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করছেন আর এই উদ্ভাবনের মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় উদ্ভাবন করছেন আর এই উদ্ভাবনের মধ্যে অন্যতম হলো ক্রিপ্টোকারেন্সি যার ফল ভোগ করছে আজ পুরো বিশ্ব।

ক্রিপ্টো  কারেন্সি হল এমনই একটি আবিষ্কার আপনি যার ফল ভোগ করতে পারবেন কিন্তু একে হাত দিয়ে স্পর্শ করতে পারবেন না। সর্বপ্রথম তারাই বিটকয়েন  নামক এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন। পরবর্তীতে অনলাইন বাজারে সফলতা অর্জন করেছে। অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে

ক্রিপ্টো কারেন্সি মূলত ব্লক  চেইন টেকনোলজির ওপর কাজ করে থাকে। ক্রিপ্টো কারেন্সির সাথে সম্পৃক্ত যতগুলো মুদ্রা রয়েছে তার সবগুলোই মূলত গুপ্ত বিদ্যা বা ক্রিপ্টো কারেন্সির ওপর কাজ করে। ১৯৮০ সালে ব্লক  চেইন পদ্ধতির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল আর সেই সময়ে অনলাইন বাজারে যেসব বিনিয়োগকারী ছিল তারা সবাই ব্লক চেইনের ওপর আস্থা অর্জন করতে পেরেছিল।

ব্লক চেইন কথাটির অর্থ হলো শিকল আর শিকল বা চেইন হলো এমন একটি পদ্ধতি যা পুরো বিশ্বের অনলাইন বাজারের সমস্ত মুদ্রা কে একটি একক কমিউনিটিতে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিল।ক্রিপ্টো কারেন্সি তে যখন কোন লেনদেন হয় তখন সেই ডাটা গুলো একটি আরেকটির সাথে ব্লগ তৈরি করে। ক্রিপ্টো কারেন্সি হল ভার্চুয়াল মুদ্রা বাস্তবে এর কোন অস্তিত্ব নেই, একে ধরা যায় না আবার একে ছোঁয়াও যায় না।

ভার্চুয়াল কথাটির মানে অবশ্যই আপনারা হয়তো জানেন ! ভার্চুয়াল হল একটি ত্রিমাত্রিক বিশ্ব যা বাস্তবের ন্যায় চেতনা উদ্বেগকারী কিন্তু  বাস্তব নয়। ক্রিপ্টো কারেন্সিও ঠিক তাই । ক্রিপ্টো কারেন্সি কম্পিউটার বা মোবাইলে ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে জমা থাকে। ক্রিপ্টো কারেন্সিতে লেনদেন করতে হলে আপনাকে ক্রিপ্টো কারেন্সি ওয়ালেট খুলতে হবে। ক্রিপ্ট টু ওয়ালেট খোলার পর আপনি যে কারো সাথে লেনদেন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট ডিজেবল কি -  ওয়েবসাইট ডিজেবল হলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন

এই ক্রিপ্টো কেউ নিয়ন্ত্রণ করে না এবং ক্রিপ্টো কারেন্সি নিয়ন্ত্রণ করবে এমন কোন আর্থিক সংস্থা বা কোন সংস্থার কোন অস্তিত্ব ও নেই। ক্রিপ্টো কারেন্সি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ হয় ব্লক  চেইনের মাধ্যমে। আপনি যদি ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করে থাকেন তাহলে কারেন্সির সমস্ত দায়বদ্ধতা আপনাকে বহন করতে হবে। নিয়ন্ত্রণহীন এই ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করে অনেক মানুষ তার সর্বস্ব হারিয়েছেন।

ডিজিটাল পদ্ধতি যেমন স্বপ্ন দেখায় তেমনি সব কেড়েও নেই।  আপনি কাকে কতটা ক্রিপ্টো কারেন্সি পাঠাচ্ছেন তার সঠিক তথ্য একমাত্র আপনিই জানেন, অন্য কেউ তা জানতে পারবেনা এবং হস্তক্ষেপও করতে পারবে না। এটি পেয়ার টু পেয়ার নেটওয়ার্ক এ কাজ করে থাকে। তবে অনেক সময় হ্যাক হতে ও পারে। অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

ক্রিপ্টোকারেন্সির তালিকা

বর্তমানে সারা পৃথিবীতে প্রায় হাজারেও বেশি কিপ্টো কারেন্সি বা গুপ্ত মুদ্রা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সর্বজনত বিদিত হলো - বিটকয়েন, ডোজ কয়েন, বাইট কয়েন, ড্যাশ, মোনেরো, রিপল, লাইট কয়েন ইত্যাদি। তবে এগুলোর মধ্যে বিটকয়েনের ব্যবহার শুরু হয় সবার আগে এবং এখন পর্যন্ত তা সবার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। আর এই বিটকয়েনের সফলতার কারণেই এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে অনলাইন বাজারে আরও অনেক ক্রিপ্টো কারেন্সি বা গুপ্তমুদ্রার জন্ম হয়েছে এবং এগুলো এখন বিশ্ব বাজারে পরিচালিত হচ্ছে।

ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ইনভেস্ট কিভাবে করবেন

ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ইনভেস্ট করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি প্লাটফর্ম সঠিকভাবে নির্বাচন করতে হবে। তারপর সেখানে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিক স্থানে সঠিকভাবে ইনভেস্ট করতে হবে। কতগুলো জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হল Binace,Coin Switch,Coinbase,Wazirx ইত্যাদি।এইসব প্লাটফর্মে আপনি ক্রিপ্টো কারেন্সি বিনিয়োগ করে ক্রিপ্ট কারেন্সি থেকে আয় করতে পারেন পারবেন।

ক্রিপটো কারেন্সি কি ফ্রিতে পাওয়া যায়

১৯৮৩ সালের ডেভিড চৌম প্রথম ডিজিটাল ভাবে টাকা আদান-প্রদানের ব্যাপারটি নিয়ে কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে .১৯৯৫ সালেও তিনি এই মুদ্রা নিয়ে কাজ করেন। এরপর ২০০৯ সালে সতোশি নাকো মোতো বিশ্বের বাজারে ক্রিপ্টো কারেন্সি মুদ্রা চালু করেন। ক্রিপ্টো কারেন্সি শুরুর দিকে যখন বাজারে এর তেমন কোন চাহিদা ছিল না তখন ফ্রিতে কিছু ক্রিপ্ট পাওয়া যেত। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। এখন অনলাইন বাজারে ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এখন ক্রিপ্টো প্রকারেন্সির দাম অনেক বেশি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার

বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় চার হাজারেরও বেশি ক্রিপ্টো কারেন্সি আছে তবে সব প্রকারের কিপ্ট ও কারেন্সি জনপ্রিয় নয়। যেসব ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলো জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে সেগুলো হল -

বিটকয়েন (Bit Coin)

বর্তমান সময়ে অনলাইন বাজারে সবচেয়ে  জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি হল বিটকয়েন। আজকের দিনে অনলাইনে এই ধরনের ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবহার সবচেয়ে সুরক্ষিত একটি মাধ্যম। ২০০৯ সালে এই মুদ্রা প্রচলন শুরু হয়। বর্তমান সময়ে একটি বিটকয়েনের দাম প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ১৪০ থেকে ১৪৫ লক্ষ টাকা। আর ডলারের হিসাবে একটি বিটকয়েনের মূল্য প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার।ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আপনাকে হ্যাকিং নিয়ে কোন টেনশন করতে হবে না।

ইথোরিয়াম (Ethereum)

বর্তমানে বিশ্বে অনলাইন বাজারে দ্বিতীয় জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি হল ইথোরিয়াম। এটিও বিট কয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রা। Vitalik Buterin  ২০১৩ সালে  এই ইথোরিয়াম ক্রিপ্টো কারেন্সি উদ্ভাবন করেন। প্রথমদিকে এই ইথোরিয়াম ক্রিপ্টো কারেন্সির  তেমন বেশি মূল্য ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এর দাম অনেক বেড়ে গেছে। বর্তমানে একটি ইথোরিয়াম কয়েনের মূল্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার।

টেথার 

টেথার নামক এই ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্লক চেইন পদ্ধতিতে কাজ করা সুরক্ষিত একটি ক্রিপ্টো। বর্তমান সময়ে একটি ডিজিটাল কারেন্সি হল এই ক্রিপ্টো কারেন্সি। অনলাইন বাজারে এই ক্রিপ্টো কারেন্সির আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৪ সালে। বর্তমানে এই ক্রিপ্টো হলো একটি স্থিতিশীল মুদ্রা বা কয়েন। বর্তমানে যার বাজার মূল্য হলো ৬৪ মার্কিন ডলার। এই ক্রিপ্টো কারেন্সি হলো নির্ভরযোগ্য একটি ক্রিপ্টো।

বিন্যান্স  কয়েন

বর্তমান  বিশ্বে আন্তর্জাতিক অনলাইন বাজারে বিন্যান্স কয়েনের অবস্থান বেশ সক্ত পোক্ত। এই কয়েনের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। কারণ এটি বিন্যান্স দ্বারা জারি করা এক ধরনের ক্রিপ্ট কারেন্সি। পুরো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় তৃতীয় এক্সচেঞ্জ এর মধ্যে এটি অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। ২০১৭ সালে এই কয়েনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। আপনি ইচ্ছে করলে ভ্রমণ থেকে শুরু করে ট্রেডিং এবং বুকিং করার কাজেও এই ধরনের কয়েন ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  হোয়াটসঅ্যাপ  (Whatsapp) - থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি উপায় জেনে নিন

ইউ এস ডি কয়েন

ইউ এস ডি হলো এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। ইথার ডলারের সাথে পেগ করা একটি মুদ্রা হল এই ইউএসডি কয়েন। এটি ইথোরিয়াম কয়েন দ্বারা পরিচালিত এক প্রকার স্থিতিশীল মুদ্রা বা কয়েন। গ্লোবাল ট্রানজেকশন করানোর ক্ষেত্রে এই কয়েন গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বর্তমানে এই কয়েনের বাজার মূল্য ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ডোজ কয়েন

ডোজ কয়েন নামক এই ডিজিটাল মুদ্রাটি বাজারে আসে ২০১৩ সালের প্রথম দিকে। প্রথমদিকে শখের বসে এই ডোজ কয়েন আবিষ্কার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন বাজারে অনেক সুবিধার কারণে এই কয়েকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে এই ধরনের কারেন্সি গুলো ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়। সবচেয়ে অবাক কাণ্ড হলো ২০১৭ সালে এই কয়েনের বাজার মূল্য ছিল ০.০০০২ মার্কিন ডলার আর বর্তমান সময়ে অনলাইন বাজারে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে ০. ৩১ মার্কিন ডলার।

কার্দানো

কার্দানো হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিপ্টো কারেন্সি। অন্যান্য ক্রিপ্টো কারেন্সি গুলোর মত এই কারেন্সি ও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোতে এই ধরনের কারেন্সি গুলো ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে একটি কার্দানো কয়েনের বাজার মূল্য প্রায় ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং এই ক্রিপটো কারেন্সির মূল্য বর্তমান সময়ে দিন দিন বেড়েই চলেছে।

ক্রিপ্টো কারেন্সির সুবিধা

বর্তমান সময়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন। ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারে আপনি যে সুবিধাগুলো পাবেন তা হল-


  • ক্রিপ্টো কারেন্সির  কোন কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান নেই। আর যেহেতু এর
    কোন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান নেই তাই এর কোন স্পেসিফিক নীতি নির্ধারক নেই।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সিতে সবাই সমান তাই যে কেউ এখানে একই নিয়মে কাজ করতে পারবেন।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সির  মুদ্রা গুলো ইচ্ছে করলে এটিএম কার্ডের মাধ্যমে
    ক্যাশ টাকায় রূপান্তরিত করতে পারবেন।

  • যেকোনো মাধ্যমে টাকা পাঠাতে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দিতে হয় কিন্তু
    ক্রিপ্টো কারেন্সিতে কোন চার্জ বা ভ্যাট নেই।

  • পুরো  বিশ্বে দ্রুততম উপায়ে টাকা পাঠানোর অন্যতম মাধ্যম হলো
    ক্রিপ্টরকারেন্সি।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সি পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করে তাই খুব সহজেই এক স্থান
    থেকে অন্য স্থানে ক্রিপ্টো পাঠানো যায়।

  • আমরা যখন কোন নোট বা টাকা ব্যবহার করি তখন তার মধ্যে জাল নোট বা ছেঁড়া টাকা
    থাকা সম্ভবনা থাকে কিন্তু ক্রিপ্টো কারেন্সিতে তা থাকেনা।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ক্রিপ্টো পাঠাতে কোন প্রকার চার্জ দিতে হয় না।
  • অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

ক্রিপ্টো কারেন্সির অসুবিধা

যার সফলতা রয়েছে তার ব্যর্থতা ও রয়েছে তেমনি যার সুবিধা রয়েছে তার অসুবিধা রয়েছে। তেমনি ভাবে ক্রিপ্টো কারেন্সির যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি এর অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হল -

  • পৃথিবীর সব দেশেই ক্রিপ্টো কারেন্সি এখনো সফলভাবে চালু হয়নি । অনেক দেশেই ক্রিপ্টো কারেন্সি অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

  • ভুল কোডে টাকা পাঠালে সে টাকা আর ফেরত পাওয়া যায় না। অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেন হয় সম্পূর্ণ গোপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। তাই এই ট্রানজেকশন history দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি জানতে পারে না এবং দেখতেও পারেনা। যার কারণে এর মাধ্যমে অনেক অবৈধ কাজ করার সম্ভবনা থাকে। যেমন - মানি লন্ডারিং, কর ফাঁকি দেওয়া ইত্যাদি।

  • ক্রিপ্টো কারেন্সির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আপনি যদি কিপ্টো কারেন্সির প্রাইভেট Key হারিয়ে ফেলেন তাহলে সেটি আর ফেরত আনা যাবে না। ওই ওয়ালেট এর ভেতরে থাকা সমস্ত কয়েন তালাবদ্ধ থাকবে যেটি আর কখনোই ফেরত পাবেন না।

শেষ কথা

ক্রিপ্টো কারেন্সি হলো একটি অনলাইন গুপ্ত মুদ্রা। যারা অনলাইন বাজারে কাজ করেন ক্রিপ্টো কারেন্সি তাদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম। আমি ক্রিপ্টোকারেন্সি কি, ক্রিপ্টো কারেন্সি কত প্রকার, কিভাবে কাজ করে এবং সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।অনলাইন ব্যবসায় - ক্রিপটো কারেন্সি - প্রয়োগ সম্পর্কে জানুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url