ডাবের পানির -১৫ টি - উপকারিতা জেনে নিন

ডাবের পানি পুষ্টি গুণে ভরপুর তাই ডাবের পানির ১৫ টি উপকারিতা রয়েছে। ২০১৭ সালে ডাবের পানি নিয়ে গবেষণা করা হয়। আর এই গবেষণায় দেখা যায় ডাবের পানির রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই যদি সম্ভব হয় তাহলে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন এবং সুস্থ থাকুন।

Image

ডাবের পানি এন্টি অক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে । এবং এতে রয়েছে রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ উপাদান যা আমাদের ত্বকের বাধ্যকের ছাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। ডাবের পানির ১৫ টি উপকারিতা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডাবের পানির ১৫ টি উপকারিতা 

ডাবের পানি

ডাবের ভেতরে থাকা পানিকে বলা হয় ডাবের পানি। সাধারণ পানি থেকে এই পানির স্বাদ আলাদা থাকে, ডাব পেকে যখন নারকেল হয় তখন ডাবের ভিতরে থাকা পানির পরিমাণও কমে যায় এবং পানির স্বাদ ও বদলে একটু মিষ্টি ধরনের হয়। ডাবের পানি কমে গিয়ে নারকেলের শাঁস তৈরি হয়। ডাবের পানি যত কমে যায় এর শাস তত বেশি হয়। ২০১৭ সালে ডাবের পানি নিয়ে গবেষণা করা হয়, আর এই গবেষণায় দেখা যায় যে, 

ডাবের পানিতে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল নামক উপাদান থাকে আর ঠিক এইসব কারণে চিকিৎসকেরা ডাবের পানি খাওয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ডাবের পানি অন্য যেকোনো পানি থেকে অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। এই পানিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার কারণে ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্যই ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী।

আরো পড়ুনঃ নিয়মিত কলা  খাওয়ার  উপকারিতা - কলা খাওয়ার  নিয়ম  জেনে নিন

ডাবের পানিকে প্রাকৃতিক স্যালাইন নামে অভিহিত করা হয়। এই পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম বা উৎসেচক যা হজম শক্তি বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আপনার শরীরে খনিজের অভাব পূরণ করতে সহায়তা করবে। এছাড়া ও ডাবের পানিতে মূত্র রোধক উপাদান রয়েছে যা আপনার শরীরের ইউরেনারি স্ট্রাক্ট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে থাকে। শরীরে থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

ডাবের পানি এন্টি অক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে । এবং এতে রয়েছে রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ উপাদান যা আমাদের ত্বকের বাধ্যকের ছাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। শুধু তাই নয় ডাবের পানিতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক আমাদের শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলা হয় প্রতিদিন নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

আর যদি নিয়ম করে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়া হয় তাহলে অনেক রোগ শরীরের ধারে কাছেও আসতে পারে না। 

ডাবের পানির পুষ্টি উপাদান

প্রতি ১00 গ্রাম ডাবের পানিতে রয়েছে পানি ৯0 থেকে ৯৫ শতাংশ, পটাশিয়াম ০.২৫ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ০.৫৯ শতাংশ, ফসফরিক এসিড ০.৫৬ শতাংশ, ক্যালসিয়াম ০.৬৬ শতাংশ, নাইট্রোজেন ০.০৫ শতাংশ, লৌহ ০.শতাংশ , চিনি ০.৮০ শতাংশ , এবং আঁশ 0.৬২ শতাংশ।

ডাবের পানির ১৫ টি উপকারিতা 

নিচে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হলো-

ওজন কমায়

ডাবের পানি যে কোন চিনি যুক্ত ফলের জুসের চেয়ে আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী। কারণ ডাবের পানিতে কোন চর্বি বা ফ্যাট নেই। আর এতে আছে বেশ কিছু উপকারী এনজাইম যা আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মেটাবলিজম এর উন্নতিতে ও সাহায্য করে থাকে। যেসব খাবার হজম হয় না সেসব খাবার মূলত শরীরে মেদ সৃষ্টি হওয়ার জন্য দায়ী। আর ডাবের পানির উপস্থিত মেটাবলিজম খাদ্য হজমে সহায়তা করে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ আমলকি খাওয়ার উপকারিতা  -  আমলকির ব্যবহার  জেনে নিন

যার কারণে আমাদের শরীররে অতিরিক্ত মেদ জমতে পারে না।যার ফলে ওজন কমতে সাহায্য করে। এই পানি আমাদের শরীরে লবণের মাথা ঠিক রাখে। আমাদের শরীরে রিটেনশন বেড়ে যায় এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। তাই যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বা ওজন কমাতে আগ্রহী তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ উপকারী।

পানি শূন্যতা দূর করে

আমাদের শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করতে ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা বমি হলে শরীরে পানি ঘাটতি দেখা দেয়। আর ডাবের পানি এই ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে থাকে।

ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়

ডাবের পানিকে বলা হয় প্রাকৃতিক টোনার যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন প্রকার সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি সার্বিকভাবে ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে সহায়তা করে থাকে। এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আপনার ত্বকের ব্রণের দাগ দূর করতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

ডাবের পানিতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টিভাইরাল নামক উপাদান যা আপনার শরীরকে বিভিন্ন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।এছাড়াও রয়েছে রিবোফ্লাবিন, পেরিডক্সিন, থায়ামিন ও নিয়াসিস যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি যা আমাদের শরীরের উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে থাকে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয় ডাবের পানিতে থাকা পটাশিয়াম শরীরে লবণের পরিমাণ ঠিক রাখে যার কারণে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবি থাকে।

আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

তাই যাদের ব্লাড প্রেসার এর সমস্যা আছে তারা নিয়মিত ডাবের পানি খেতে পারেন এতে অনেক উপকার পাবেন।

ত্বক সুরক্ষা করে

ডাবে পানির পরিমাণ প্রায় শতকরা ৯৫ ভাগ ।এই পানি আমাদের শরীরের শিরা উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন - উজ্জ্বলতা হারানো, ত্বকের ইনফেকশন, কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।তাই ডাবের পানি আমাদের ত্বকের জন্য বিশেষ কার্যকরী।

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে

২০১২ সালে অনুষ্ঠিত জার্নাল ফুড এন্ড ফাংশন স্টাডিসের মতে, ডাবের পানিতে আছে এমাইনো এসিড ও ডায়াটরি ফাইবার যা ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে মানব দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কারণ ডাবের পানিতে কোন প্রকার চর্বি বা ক্লোস্টেরল নেই।

মাথাব্যথা দূর করে

যাদের মাইগ্রেন বা ডিহাইড্রেশনের কারণে মাথাব্যথা করে তারা ডাবের পানি খেতে পারেন। আপনার মাথাব্যথা কমে যাবে।

হাড় শক্ত করে

ডাবের পানিতে রয়েছে উচ্চ  মাত্রার ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। সেই সাথে ত্বক, দাঁত, নখ ও চুলের পুষ্টি যোগাতে ও সহায়তা করে থাকে।

যৌবন ধরে রাখে

ডাবের পানিতে থাকে এন্টি এজিং উপাদান যা মানবদেহের কোষকে সতেজ রাখতে সহায়তা করে। আর আমাদের ত্বকে কুচকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।  ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ডাবের পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই পানিতে থাকে ভিটামিন সি যা ত্বকের বলি রেখা দূর করতেও কার্যকরী । নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়বে না।

শরীরের খনিজ ঘাটতি দূর করে

ডাবের পানি পান করার সাথে সাথে আমাদের শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। এই পানিতে থাকে ইলেকট্রোলাইট কম্পোজিশন যা আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ঘাম, বমি ও ডায়রিয়ার পর শরীরে যে খনিজের ঘাটতি হয় ডাবের পানি এই খনিজের ঘাটতি পূরণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা তাই ডাবের পানিকে আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী করার পরামর্শ দিয়েছেন।

হার্টের টনিক

আমাদের শরীরের বাজে কোলেস্টেরল বা এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডাবের পানির বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় ডাবের পানি মানবদেহে ভালো কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়িয়ে হঠাৎ হার্ট এটাকের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে থাকে।

বদহজম দূর করে

ডাবের পানি বদ হজম দূর করে। এবং আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।

শরীরে ফ্লোয়েডের ভারসাম্য বজায় রাখে

আমরা যখন অতিরিক্ত রোদ গরমে চলাচল করি বা ব্যায়াম করি তখন অতিরিক্ত ঘামের কারণে আমাদের শরীরে ফ্লোয়েডের  ঘাটতি দেখা দেয়। ডাবের পানি পান করলে এই ফ্লোয়েডের ঘাটতি পূরণ হয়।

বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে

ডাবের পানি বাচ্চাদের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এবং বাচ্চাদের শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন ঠিক রাখে।

কিডনির ফাংশনের উন্নতি করে

ডাবের পানিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা আপনার শরীরের কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, এছাড়াও আমাদের শরীরে উপস্থিত টক্সিন ইউরিনের সঙ্গে বের করে দিয়ে আমাদের শরীররে নানা রোগ হওয়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করে।

খালি পেটে ডাবের পানির উপকারিতা

খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো -

  • সকালে এক গ্লাস খালি পেটে ডাবের পানি খেলে শরীরে সারা দিনের ক্যালরিযুক্ত হয় এবং অনেক রোগ শরীরের ধারে কাছে ঘেষতে পারে না।

  • ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে ফলে এটি প্রাকৃতিকভাবে শরীরে ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়।

  • শরীরে পানির ঘাটতি দূর করে।

  • শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দেয়।

  • এতে থাকা আঁশ শরীরের বিপাক প্রক্রিয়া উন্নত করে।


  • ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা কিডনির কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়।

  • যে কোন কমল পানির থেকে এতে অনেক কম ক্যালরি ও চিনি থাকে।

  • শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

  • ডাবের পানিতে পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

  • ডাবের পানিতে আঁশ থাকে বলে হজমে সহায়তা করে।

  • রোদের কারণে শরীরে তরলের ঘাটতি হয় এবং শরীর আর্দ্রতা হারায় ডাবের পানি শরীরের
    তরল উপাদান ও আদ্রতা বজায় রাখে।

তাই ডাবের পানির সঠিক উপকার পেতে প্রতিদিন সকালে আপনি খালি পেটে ডাবের পানি খেতে
পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো -

  • ডাবের পানিতে থাকে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা  ভ্রুনের
    বৃদ্ধিতে সহায়তা করে

  • গর্ভ অবস্থায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে তাই ডাবের পানি
    গর্ভাবস্থায় গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে স্বস্তিদান করতে পারে

  • ডাবের পানিতে শর্করার পরিমাণ খুব কম থাকে বলে এটি অতিরিক্ত ওজন বাড়াবে না

  • ডাবের পানিতে থাকে পটাশিয়াম তাই উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে সাহায্য করে

  • শরীরে প্রয়োজনীয় পানির ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে

  • পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতির কারণে শরীরে ইলেকট্রিক লাইট
    এর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।

মুখে ডাবের পানির উপকারিতা

ডাবের পানি খেতে আমরা সবাই পছন্দ করি কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে। আবার ডাবের পানি রূপচর্চার জন্য ও অনন্য। নিচে মুখে ডাবের পানির উপকারিতা আলোচনা করা হলো-

যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ডাবের পানির সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর ফেস প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ৮ -১০টি কাঠবাদাম এবং ডাবের পানি একসঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বকের শুষ্কতা চলে যাবে।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা বাদাম নাকি ভাজা বাদাম কোনটি খাওয়া শরীরের জন্য ভালো জেনে নিন

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ডাবের পানির সাথে চন্দন কাঠ এক ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে  রাখুন।  তারপর চন্দন কাঠ ঘষে যে পেস্ট তৈরি হবে তা পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন সাধারণ পানি দিয়ে। এই পেস্ট ন্যাচারাল স্কিন ক্লিনজার হিসাবে কাজ করে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।

আপনার ত্বকে পোড়া কালো ছোপ ছোপ দাগ থাকলে ডাবের পানির সাথে সামান্য কর্পূর, মসুরের ডাল ও শসার রস দিয়ে স্কার্ফ তৈরি করুন এবং এটা নিয়মিত মুখে ব্যবহার করুন আপনার মুখের রোদে পোড়া কালো ছোপ দাগ চলে যাবে।

ডাবের পানি খাওয়ার অপকারিতা

ডাবের পানির যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি আবার অপকারিতাও রয়েছে। যাদের কিডনিতে পাথর আছে অথবা যাদের ডায়ালাইসিস চলছে তাদের জন্য ডাবের পানি বেশ ক্ষতিকর। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম যা কিডনির ক্ষতি করে থাকে। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি রয়েছে, তাই যারা ওজন কমাতে চান তাদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলা উত্তম।

যদিও অন্যান্য ফলের রস বা পানির তুলনায় ডাবের পানিতে চিনি কম থাকে তবুও ডাবের পানি খেলে ক্যালরি দ্রুত বেড়ে যায়। ডাবের পানি আমাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ডাবের পানিতে অধিক মাত্রায় ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট থাকে যা আমাদের শরীরের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো। 

আরো পড়ুনঃ  শীতে ত্বকের যত্নে ৩৫ টি উপায় - টিপস জেনে নিন

নিয়মিত ডাবের পানি খেলে আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়া ঠিক নয়। ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম তাই অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এমনকি যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি তাদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো।

ডাবের পানি নিয়ে কুসংস্কার

বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ আর এই দেশের গ্রামে রয়েছে নানা কুসংস্কারে ভর্তি। এখনো অনেক গ্রাম রয়েছে যেখানে গর্ভবতী মায়েদের ডাবের পানি খেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু তারা জানে না যে ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা বাচ্চার  স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী কিন্তু গ্রামের লোকজন মনে করে ডাবের পানি যেহেতু স্বচ্ছ তাই বাচ্চার চোখ হবে ডাবের পানির মতো স্বচ্ছ। তাদের ধারণা ডাব খেলে বাঁচার চোখের মনি কালো হবে না হবে একটু সাদাটে।

আমাদের সবার প্রথমে প্রয়োজন মানুষকে সচেতন করে তোলা। এছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে ভিটামিন বি ভিটামিন সি এবং খনিজ পদার্থ যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অবশ্যই প্রয়োজন।

শেষ কথা

ডাবের পানি এন্টি অক্সিডেন্ট সিস্টেমকে উন্নত করতে সহায়তা করে । এবং এতে রয়েছে রেডিকেলের প্রতিক্রিয়া নিরপেক্ষ উপাদান যা আমাদের ত্বকের বাধ্যকের ছাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। শুধু তাই নয় ডাবের পানিতে উপস্থিত এন্টি অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক আমাদের শরীরের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলা হয় প্রতিদিন নিয়ম করে ডাবের পানি খাওয়া উচিত।

আমি ডাবের পানি খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ডাবের পানি কি ডাবের পানি খাওয়ার নিয়ম গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা এবং রূপচর্চায় ডাবের পানির উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি আমি আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url