বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস জেনে নিন
বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। আমরা যদি বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে না জানি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিতে পারব না। তাই আমি বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
সারা বিশ্বে প্রতিবছর ২৪ শে অক্টোবর জাতীয় পোলিও দিবস পালন করা হয়।জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম পোলিও মাইটিলিজ বা পোলিও রোগটি আবিষ্কার করেন। নিচে বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
পোলিও কি
পোলিও এক ধরনের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ। পোলিওর আসল নাম হল পলিও মাইটিলিজ। তবে সারা বিশ্বে এটি পোলিও নামে পরিচিত। সাধারণত পোলিও রোগে আক্রান্ত হয় পাঁচ ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা। তবে অনেক সময় কিশোরেরা ও আক্রান্ত হয়ে থাকে। যদি কোন শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। পোলিও রোগ সাধারণত এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে যদি কোন শিশু পোলিও রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে তার শারীরিক ক্ষতি হয়। কখনো কখনো তার অঙ্গ অবশ হয়ে যায়, আবার কেউবা আক্রান্ত হয়ে পড়ে পক্ষাঘাতে। পোলিও প্রাচীন গ্রিক শব্দ পোলিও মাইটিলিজ শব্দটির পারিভাষিক শব্দ। আর এর অর্থ হল ধূসর বা রজ্জু অর্থাৎ বাঁকা বা বিকলঙ্গ।বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
পোলিও কেন হয়
পোলিও সাধারণত ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ রোগ আর ভাইরাস একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই পোলিও রোগ সাধারণত এন্টারোভাইরাস ও পিকার্নাভাইরিডি নামক ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। আর এই ভাইরাসের আক্রমণের ফলে পোলিও মাইটিলিজ রোগের সৃষ্টি হয় যাকে আমরা পোলিও নামে অভিহিত করে থাকি। পোলিও রোগের জীবাণুকে আবার পোলিও নিউট্রাফিক ও বলা হয়ে থাকে। আবার বলা হয় পোলিও রোগের জীবাণুর নাম হল এন্টারো ভাইরাস। তবে যাই বলা হোক না কেন এটি আসলে পোলিও ভাইরাস।
পোলিও রোগের ইতিহাস
জার্মান অর্থোপেডিক সার্জন জ্যাকব হেইন ১৮৪০ সালে সর্বপ্রথম পোলিও মাইটিলিজ বা পোলিও রোগটি আবিষ্কার করেন। কার্ল ল্যান্ডস্টেনার প্রথম চিহ্নিত করেন পোলিও ভাইরাস জীবাণুর উপস্থিতি। প্রাচীন চিত্রকর্মে উল্লেখ করা হয়েছে হাজার হাজার বছর পূর্বে পোলিও বিরাজমান ছিল কয়েকটি নির্ধারিত এলাকার মধ্যে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তা সারা বিশ্বে এসে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। উনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে পোলিও মহামারী আকারে সরিয়ে পড়েছিল ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ।
আরো পড়ুনঃ নিউমোনিয়া কি - নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
এবং পরবর্তীতে পোলিও নামক এই রোগটি সারাবিশ্বে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিল এবং এই রোগটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল শিশুদের প্রধান ভয়াবহ রোগ হিসাবে। ১৯১০ সাল থেকে পোলিও সারা বিশ্বে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিশ্বে পোলিও আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সারা বছরই এই রোগ হয় তবে গ্রীষ্মকালে এই রোগের প্রকোপ বাড়তে থাকে। পোলিও রোগে সাধারণত ৫ বছর বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হলেও কিশোরের মধ্যেও এই রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়।
১৯৫০ সালের দিকে এই রোগের টিকার আবিষ্কার শুরু হয় এবং এই টিকার প্রয়োগ শুরু হলে পোলিও রোগটির সংখ্যা হাজারে একজনে এসে দাঁড়ায়। রোটারি বাংলাদেশ পোলিও প্লাস কমিটির দেওয়া তথ্যমতে, সারা বিশ্ব থেকে পোলিও নির্মূল করা হলেও বিশ্বের দুইটি দেশে পোলিও আক্রান্ত রয়েছে প্রায় ১০০টি শিশু। এছাড়াও নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের কিছু পোলিও আক্রান্ত রোগী রয়েছে।
পোলিও রোগের লক্ষণ
পোলিও রোগে আক্রান্ত হয় সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা তবে কখনো কখনো কিশোরদের এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। মানুষের শরীরে পোলিও রোগের ভাইরাসটি সহজে ঢুকে পড়তে পারে তবে এই ভাইরাস শরীরে ঢুকে পড়লেই যে মানুষ আক্রান্ত হবে এমনটি নাও হতে পারে। সেবাস্টিয়ান ডিট্রিশ নামক রিপোর্টার্স উইদাউট বার্ডর্স এর চিকিৎসক বলেন, "পোলিও আক্রান্ত রোগীদের শতকরা ৯০ ভাগ লোকের ক্ষেত্রে আক্রান্তের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না,
তবে বাকি দশ ১০ ভাগের শরীরে এই লক্ষণ দেখা যায়। তবে আক্রান্ত হওয়ার ২ -১ সপ্তাহের মধ্যে জ্বরের লক্ষণ দেখা যায়। আর যারা জ্বরে আক্রান্ত তাদের ১০ ভাগের মধ্যে আবার দুই একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হতে পারে"। পোলিও ভাইরাস যখন শরীরে বাসা বাঁধে তখন শরীর ক্রমশ অবশ হয়ে যেতে থাকে। তবে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে একটু বেশি সময় লাগে।তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে পোলিও আক্রান্তদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত দুই একজন পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস - সম্পর্কে জেনে নিন
পোলিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ। আর এই রোগে একবার আক্রান্ত হলে তার থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব নয়।বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন। পোলিও আক্রান্ত রোগীদের লক্ষণ হল -
- শরীরে জ্বর থাকবে
- শ্বাসকষ্ট হবে
- গলায় ব্যথা
- মাথা ব্যথা
- অবসাদ
- পেটে ব্যথা
- নাসিক্য জনিত সমস্যা
- পা অবশ হয়ে যাওয়া
- স্পাইনাল কর্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় যার কারণে প্যারালাইসিস হয়ে থাকে।
- মস্তিষ্কের অংশবিশেষে ইনফেকশন।
- হাত-পা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ অবশ হয়ে যায়।
- প্যারেন্তেসিয়া অর্থাৎ পায়ে সুজ বা পিন ফুটানোর অনুভূত হওয়া।
তবে এই রোগের লক্ষণ খুবই ক্ষণস্থায়ী। প্যারালাইসিসের বহিঃপ্রকাশ ঘটে চরম পর্যায়ে এসে তখন রোগী বিকলঙ্গ হয়ে যায় আবার অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
পোলিও মুক্ত বাংলাদেশ
১৯৭৯ সাল থেকে পোলিওটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে পোলিও নির্মূলের জন্য নীরব ছিন্নভাবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও উপ আঞ্চলিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পোলিও টিকা দিবস ধারাবাহিকভাবে পালন শুরু করেন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হয়েছে আর এর সফলতা এসেছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে রোটারি ক্লাবের নানা কর্মসূচির মাধ্যমে। এছাড়াও রয়েছে নানা শ্রেণীর সংগঠনের সম্পৃক্ততা এবং সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করে। তবে নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে পোলিও রোগের সংরক্ষণ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও রোগের সংক্রমণ থাকায় পুনরায় বাংলাদেশ পোলিও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে বাংলাদেশে এখনো পোলিও রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা চলমান আছে।
পোলিও টিকা কে আবিষ্কার করেন
পোলিও টিকা আবিষ্কার করেন ডক্টর জোনাস এডওয়ার্ড সল্ক। তিনিই প্রথম পোলিও ভ্যাকসিন অর্থাৎ বিকশিত টিকাটি নিষ্ক্রিয় করেন এবং এই টিকা প্রথম ব্যবহৃত হয় ১৯৫৫ সালে। তিনি তিন ধরনের পোলিও ভেসিন আবিষ্কার করেন এবং এটা একটি জীবাণুমুক্ত সাসপেনশন। এগুলো হলো -
- ধরন এক মোহনী
- ধরন ২ এম ই এফ ১ এবং
- ধরন তিন সাউটেক
তবে অত্যন্ত শক্তিশালী, বিশুদ্ধ এবং নিষ্ক্রিয় পোলিও ভাইরাসের ভ্যাকসিন হল আইপিওএল ভ্যাকসিন। সারা বিশ্বে পোলিও ভাইরাস থেকে বাঁচাতে সাধারণত দুই ধরনের টিকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর এগুলো কাজ করে মূলত পোলিও মাইলিটিজ রোগের প্রতিশোধ হিসেবে। তবে দুই প্রকার টিকার মধ্যে একটিতে ব্যবহার করা হয় অক্রিয় পোলিও ভাইরাস এবং অপরটিতে ব্যবহার করা হয় দুর্বলকৃত পোলিওভাইরাস।
আর জোনাস এডুয়ার্ড সল্ক প্রথম ব্যবহার করেন অক্রিয় পোলিওভাইরাস। আর এই দুই প্রকার টিকা পাওয়া যায় যথাক্রমে ১৯৫৫ সাল এবং ১৯৬২ সাল থেকে। পোলিও রোগের ভাইরাস খুব বেশিদিন বাঁচতে পারে না এবং এগুলো স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত করে থাকে। তবে এই টিকা আবিষ্কারের ফলে পোলিও মুক্ত হয়েছে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ। জোন এডওয়ার্ড সল্ক পোলিও টিকায় হেলা Hela নামক এক ধরনের বিশেষ কোষ ব্যবহার করেন।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব হাসি দিবস - সম্পর্কে জেনে নিন
আর এই টিকা প্রথম পরীক্ষা চালানো হয় ১৯৫২ সালে। ১৯৫৫ সালের ১২ই এপ্রিল ডাক্তার টমাস ফ্রান্সিস জুনিয়র সারা পৃথিবীতে এই টিকার কথা ঘোষণা করেন। পোলিওর দ্বিতীয় টিকা উদ্ভাবন করেন আলবার্ট সাবিন। আর এই টিকা মুখে খাওয়া যায় যাকে বলা হয় "ওরাল"। সাবিনের এই টিকা দেওয়া শুরু হয় ১৯৫৭ সালে আর এর লাইসেন্স করা হয় ১৯৬২ সালে। আর এই দুই প্রকার টিকা সারা বিশ্বের পোলিওকে বিলুপ্ত করেছে।
সারা পৃথিবীতে পোলিও আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯৮৮ সালের হিসাব অনুযায়ী তিন ৩ লক্ষ পঞ্চাশ ৫০ হাজার জন। ২০০৭ সালে পোলিও রোগীর সংখ্যা এসে দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৫২ জন। আর ২০১৭ এর হিসাব মতে মাত্র বাইশে ২২ এ নিয়ে এসেছে। বর্তমানে এই টিকা এখনও প্রচলিত। বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
পোলিও রোগের প্রতিকার
পোলিওমাইটিলিজ বা পোলিও রোগের কোন প্রতিষেধক ঔষধ নেই তাই পোলিওর আক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে টিকা নিতে হবে। একমাত্র টিকাই হলো পোলিওর একমাত্র প্রতিশোধক। পোলিও থেকে শিশুকে রক্ষা করতে হলে তিন ডোজ টিকা ন্যূনতম চার সপ্তাহের ব্যবধানে নিতে হবে। কোন দেশকে পোলিও মুক্ত করা তখনই সম্ভব যখন দেশের প্রতিটি শিশুকে পোলিওটিকা প্রদান করা সম্ভব হয়। ১৯৫০ সাল নাগাদ পোলিও টিকা আবিষ্কার হয়।
আর ১৯৬০ সালে পূর্ব জার্মানিতে এবং এর দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬২ সালে পোলিও রোগের টিকা প্রদান করা হয় পশ্চিম জার্মানিতে। আর টিকা প্রদানের কয়েক বছরের মধ্যে পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানিতে পোলিও নির্মূল হয়ে যায়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ১৯৮৮ সাল থেকে টিকাদান কর্মসূচি চালু করে। বাংলাদেশ ২০০৬ সালে পোলিও মুক্ত হয়। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত হওয়ার স্বীকৃতি অর্জন করে।
আরো পড়ুনঃ জাতীয় কন্যা শিশু দিবস কবে পালিত হয় জেনে নিন
সেবাস্টিয়ান ডিট্রিশ নামক রিপোর্টার্স উইদাউট বার্ডর্স এর চিকিৎসক টিকা দান কর্মসূচির সাফল্য সম্পর্কে বলেন, যদিও টিকা দান কর্মসূচি সফল হয়েছে তবে এখনো তা চূড়ান্ত লক্ষে পৌঁছায়নি। গত কয়েক বছরে পোলিও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে প্রায় ১৭০ টি স্থানে। তবে কয়েক বছর আগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল হাজারে একজন। আর বিশেষজ্ঞরা এর কারণ হিসাবে মনে করেন পৃথিবীর তিনটি দেশ যথা - নাইজেরিয়া,
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখনো পোলিও সংক্রমনের খবর পাওয়া যায়।আর এই দেশগুলোতে টিকা দান কর্মসূচি চালু করা যায় না নিরাপত্তার অভাবে। আর এই সব দেশ থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পোলিও ছড়িয়ে পড়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পোলিও রোগের একমাত্র প্রতিরোধ হলো টিকাদান কর্মসূচি।বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
পোলিও রোগ কিভাবে ছড়ায়
পোলিও ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ এবং এই রোগটি এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীর দেহে ছড়ায়। তবে পোলিও রোগ সাধারণত স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরেই আক্রমণ করে থাকে। নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে পোলিও রোগের সংরক্ষণ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুটি দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে পোলিও রোগের সংক্রমণ থাকায় পুনরায় বাংলাদেশ পোলিও সংক্রমণের ঝুঁকি আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তবে বাংলাদেশে এখনো পোলিও রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা চলমান আছে।
বিশ্ব পোলিও দিবস - কবে
সারা বিশ্বে প্রতিবছর ২৪ শে অক্টোবর জাতীয় পোলিও দিবস পালন করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ শে অক্টোবর কে বিশ্ব পোলিও দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল। আর এই জাতীয় পোলিও দিবস টি রোটারি ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা জোন্স এডওয়ার্ড সল্কের জন্মদিন স্মরণ করে রাখার জন্য পালন করা হয়। সারা বিশ্বে পোলিও নির্মূল করার লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তবে পৃথিবীর তিনটি দেশ যথা -
আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা নবজাতক - শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের তালিকা ও ফোন নাম্বার
নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে এখনো পোলিও মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে বাংলাদেশে পোলিও মুক্ত করার লক্ষ্যে টিকাদান কর্মসূচি কার্যক্রম চালু রয়েছে। বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
পোলিও দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়
অক্টোবর পালন করা হয় আর প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে তেমনি এই বছরে একটি প্রতিপাদ্য বিষয় রয়েছে আর তা হলো" মা ও শিশুদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ গঠন"। বিশ্ব পোলিও দিবস - পোলিও কেন হয়, ইতিহাস সম্পর্কে জানুন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষা দিন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url