বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে জানতে আমাদের সবার ইচ্ছে হয়। তাই আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে আলোচনা করেছি।

Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে ইচ্ছুক আমার আজকের পোস্টটি শুধু তাদের জন্যই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট 

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল সম্পর্কিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার নাম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সংক্ষেপে আবার একে বুয়েট ও  বলা হয়। এই বুয়েট  ঢাকা শহরের পলাশী এলাকায় (বর্তমানে লালবাগ থানার অন্তর্গত) অবস্থিত। ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি পরবর্তীতে আহসানউল্লাহ স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এ পরিণত হলেও পূর্বে এটি কারিগরি শিক্ষা প্রসারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

বুয়েটের ইতিহাস

বুয়েট উনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জরিপকারদের জন্য একটি জরিপ বিদ্যালয় হিসেবে। তদানীতন ব্রিটিশ রাজ ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল মূলত সেই সময়কার ব্রিটিশ ভারতের সরকারি কাজে অংশগ্রহণকারী কর্মচারীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদানের জন্য। খাজা আহসানউল্লাহ যিনি ঢাকার তৎকালীন নবাব ছিলেন তিনি মুসলমানদের শিক্ষা দীক্ষার জন্য এ বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহী হন এবং তিনি পরিকল্পনা করেন ঢাকা সার্ভে স্কুল থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল রূপে পরিণত করার।

এবং তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন ১ লক্ষ বারো ১২ হাজার টাকা প্রদানের। যদিও তিনি তার জীবদ্দশায় তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর ১৯০২ সালে তার পুত্র নবাব সলিমুল্লাহ তার বাবার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। আর নবাবের দেওয়া অনুদানেই এটি প্রসার লাভ করে একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং  শিক্ষালয় হিসাবে।

আরো পড়ুনঃ ঢাকা মেডিকেল কলেজ - ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার যোগ্যতা ২০২৩

১৯০৮ সালে তার স্বীকৃতি স্বরূপ আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল নামে নামকরণ করা হয়। এটি আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল নাম লাভের পর এখানে তিনি তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স দিতে শুরু করেন। কোর্স গুলো হল পুর কৌশল, তড়িৎ কৌশল এবং যন্ত্রকৌশল। শুরু থেকে এই বিদ্যালয়টির কার্যক্রম চলতে একটি ভাড়া বাড়িতে। ১৯০৬ সালে এর নিজস্ব ভবন নির্মিত হয় সরকারি উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের কাছে।

১৯১২ সালে এটি লালবাগ থানার অন্তর্গত পলাশী এলাকায় স্থানান্তরিত হয়। শুরুতে বিদ্যালয়টি যুক্ত ছিল ঢাকা কলেজের সাথে। পরবর্তীতে এটি পরিচালিত হয় জনশিক্ষা পরিচালকের অধীনে। প্রথমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন মিস্টার এন্ডারসন। এরপর ১৯৩২ সালে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন শ্রী বি সি গুপ্ত এবং ১৯৩৮ সালে অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন জনাব হাকিম আলী।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বাংলার শিল্পায়নের জন্য। তখন এই অঞ্চলে অভাব দেখা দেয় দক্ষ জনশক্তির। তৎকালীন সরকার একটি কমিটি নিযুক্ত করেন যন্ত্র, তড়িৎ,কেমি ও কৃষি প্রকৌশলী চার বছর মেয়াদী ডিগ্রী কোর্সে ১২০ জন করে ছাত্র ভর্তি অনুমোদন করেন। আর ৪৮০ জন ছাত্র ভর্তির সুপারিশ করা হলে স্কুল টিকে তৎকালীন পলাশী ব্যারাকে স্থানান্তরিত করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ  - সহ যাবতীয় তথ্য জেনে নিন

১৯৪৭ সালে মে মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের এবং ছাত্র ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয় ঢাকা আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে এবং বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শিবপুররস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

দেশ বিভাগের পর

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হয় এবং ভারত আলাদা একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়। আর দেশ বিভাগ হওয়ার পরে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এর কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকি শিক্ষক কলকাতায় চলে যান এবং ভারত থেকে পাঁচ ৫ জন শিক্ষক নতুন করে এই স্কুলে যোগ দেন। এই পাঁচ ৫ জন শিক্ষক অবশ্য ভারত থেকে এসে এই কলেজে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে উন্নীত করা হয় আহসানউল্লাহ স্কুল কে কলেজ হিসাবে।


এবং এটি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়।  অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন জনাব হাকিম আলী। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলেজ থেকে অনুমোদন দেন এবং এই কলেজ পুরো কৌশল, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, কৃষি প্রকৌশল,  টেক্সটাইল প্রকৌশল হিসেবে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রদান করতে থাকে।

আরো পড়ুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায় - ব্রেন ভালো হওয়ার দোয়া জেনে নিন

তবে পরে ধাতব প্রকৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং কৃষি ও টেক্সটাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৫৭ সালে এই কলেজে নতুন পাঠক্রম অনুমোদিত হয় এবং সেমিস্টার কথা চালু হয়। ১৯৫৭ সালে আসন সংখ্যা ডিগ্রী কোর্সের জন্য ১২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয় ২৪0 জন। ১৯৫৮ সালে আবার ডিপ্লোমা কোর্স এ কলেজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।১৯৫১ সালে টি এইচ ম্যাথুম্যান অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এরপরে ১৯৫৪ সালে ডক্টর এম রশিদ অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।


এ সময় আহসানউল্লাহ কলেজ ও এগ্রিকালচার এন্ড মেকানিক্যাল কলেজ অফ ট্রেক্সাস চুক্তি    স্বাক্ষরিত হয় যৌথভাবে। আর এই চুক্তির ফলে ওখান থেকে অধ্যাপক গন এই দেশে আসেন এবং শিক্ষা ও তার মান, ল্যাবরেটরি সহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পাঠক্রমের উন্নয়নের জন্য কিছু শিক্ষকের স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য পাঠানো হয় ট্রেক্সাস এ এন্ড এম কলেজে।


আর তাদের এখানে পাঠানো হয় শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য। এ সময়ে ইন্টার লাইব্রেরী প্রথা চালু করা হয় এবং এশিয়া ফাউন্ডেশন লাইব্রেরীকে কিছু বই দান করে। যতদিন কলেজ ছিল ততদিন কেবল ২ টি ছাত্রাবাস ছিল এর একটি হল মেন হোস্টেল যা বর্তমানে ডক্টর এম এর রশিদ ভবন ও সাউথ হোস্টেল বর্তমানে নজরুল ইসলাম হল।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে

১৯৬২ সালের ১লা জুন তারিখে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে এটিকে পরিণত করা হয় পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং এর নাম দেওয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়। এবং প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন তৎকালীন কারিগরি শিক্ষা পরিমচালক ডক্টর এম এ রশিদ। এই প্রকৌশল অনুষদের প্রথম ডীন নির্বাচিত হন অধ্যাপক  এ এম  আহমে।দ প্রথম কমপো ট্রলার নিযুক্ত হন মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। প্রথম রেজিস্টার নিযুক্ত হন খেতনামা গণিতজ্ঞ এম এ জব্বার। বিদ্যালয় রূপে প্রতিষ্ঠা হবার পর তৈরি করা হয় ছাত্রদের জন্য তিনটি আবাসিক হল।


প্রথম ছাত্র কল্যাণ পরিচালক পদে নিযুক্ত হন অধ্যাপক কবির উদ্দিন আহমেদ। ১৯৬২ সালে প্রথম স্থাপিত হয় পরিকল্পনা অনুসদের স্থাপত্য বিভাগ আর এই বিভাগের জন্য যোগদান করেন ট্রেক্সাস এম এ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক। এভাবেই প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে ও প্রকৌশল স্থাপত্য দুটি অনুষদ এর পুর, যন্ত্র, তড়িৎ, কেমি ও ধাতব প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে।

আরো পড়ুনঃ  নটরডেম কলেজ - ভর্তির বিষয় ২০২৩ সম্পর্কে জেনে নিন

১৯৬৪ সালে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয় ২৪0 জন থেকে ৩৬০ জনে। পরবর্তীতে একটি নতুন বিভাগ চালু করা হয় যার নাম হলো স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী পরবর্তীকালে এটি পরিণত হয়েছে নগর ও পরিকল্পনা বিভাগে।১৯৭১ সংঘটিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ আর এই মুক্তিযুদ্ধে জয় লাভের পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়"।  তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

ক্যাম্পাস

বুয়েট ক্যাম্পাস ঢাকার লালবাগ থানার অন্তর্গত পলাশী এলাকায় অবস্থিত। এই বুয়েট ক্যাম্পাসটি গড়ে উঠেছে নবাব আহসানউল্লাহর দেওয়া জমিতে। ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল গুলো গড়ে উঠেছে একাডেমিক ভবন থেকে পায়ে হাঁটার দূরত্বে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের আয়তন হলো ৭৬.৮৫ বা ৩১১.০০০ বর্গমিটার।  তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

উপাচার্য

প্রথম উপাচার্য ছিলেন এম এ রশিদ

বর্তমান উপাচার্য এবং শেষ উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

অনুষদ এবং বিভাগসমূহ



অনুষদের নাম



 




বিভাগসমূহ




বিজ্ঞান অনুষদ



রসায়ন বিভাগ



গণিত বিভাগ



পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ



 




পুরকৌশল অনুষদ




পুরকৌশল বিভাগ



পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ



 




যন্ত্রকৌশল অনুষদ




যন্ত্রকৌশল বিভাগ



নৌযান  নৌ যন্ত্রকৌশল বিভাগ



ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন প্রকৌশল বিভাগ



 




কেমিক্যাল এন্ড ম্যাটেরিয়েলস কৌশল অনুষদ




কেমিকৌশল বিভাগ



বস্ত  ধাতব কৌশল বিভাগ



ন্যানোম্যাটেরিয়ালস এন্ড সিরামিক কৌশল বিভাগ



পেট্রোলিয়াম  খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগ



 




স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ




স্থাপত্য বিভাগ



মানবিক বিভাগ



নগর  অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ  



 




তড়িৎ  ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদ




তড়িৎ  ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ



কম্পিউটার সায়েন্স  প্রকৌশল বিভাগ



বায়োম্যাডিকেল  প্রকৌশল বিভাগ








মোট অনুষদ  টি




মোট বিভাগঃ  টি



ইনস্টিটিউট সমূহ

বুয়েটে চারটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের সম্প্রসারণ এবং প্রকৌশলের জন্য 

  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট        আই আই সি
    টি


  • এপ্রোপ্রিয়েট টেকনোলজি ইনস্টিটিউট       
     আইএটি


  • দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট             
            এ আর আই

  • পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট       
     আইডাব্লিউএফএম

সংগঠন সমূহ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো

ছাত্র সংগঠন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় সকল সাংগঠনিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে অধ্যাদেশ ১৬২ অনুযায়ী। আবরার ফাহাদ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে ছাত্রলীগ নৃশংস ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাইফুল ইসলাম ক্যাম্পাসের সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি ক্যাম্পাসের শিক্ষক রাজনীতি ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী।

সাংস্কৃতিক সংগঠন

  • বুয়েট সাহিত্য সংসদ

  • আলোকবর্তিকা বুয়েট

  • বুয়েট ড্রামা সোসাইটি

  • মূর্ছনা

  • ওরে গ্যামি  ক্লাব

বিজ্ঞান সংগঠন

  • সত্যেন বোস বিজ্ঞান ক্লাব

  • বুয়েট  রোবটিক্স সোসাইটি

  • বুয়েট এনার্জি ক্লাব

  • বুয়েট অটোমোবাইল ক্লাব

  • বুয়েট নিউক্লিয়াস ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব

অন্যান্য সংগঠন

  • বুয়েট এন্টার প্রিনিউরসিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব

  • বুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব

  • বুয়েট ডিবেটিং ক্লাব

বুয়েট স্থাপত্য সমূহ

  • বুয়েট শহীদ মিনার

  • নিহত আরিফ রায়হান দ্বীপ স্মরণের স্মৃতিফলক

  • নিহত সাবেকুন নাহার সনি স্মরণে ভাস্কর্য

অধিদপ্তর কেন্দ্র এবং অন্যান্য

  • আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ নেটওয়ার্ক কেন্দ্র

  • ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তর 

  • শক্তি অধ্যায়ন কেন্দ্র

  • উপদেষ্টা সম্প্রসারণ ও গবেষণা সেবা অধিদপ্তর

  • পরিকল্পনা উন্নয়ন ও অধিদপ্তর

  • পরিবেশ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র

  • গবেষণা পরীক্ষা ও পরামর্শ ব্যুরো

  • শক্তি অধ্যায়ন কেন্দ্র

  • অব্যাহত শিক্ষা অধিদপ্তর

উল্লেখযোগ্য ছাত্র-ছাত্রী

  • আবুল হায়াত অভিনেতা

  • চৌকির আহমেদ তৌকির আহমেদ অভিনেতা

  • অপি করিম অভিনেত্রী

  • হাবিবুল্লা সিরাজী সাহিত্যিক

  • হাসানুল হক ইনু রাজনীতিবি

  •  সাইফ সালাউদ্দিন

  • মোহাম্মদ আশরাফুল আলম

  • ফজলুর রহমান খান

  •  সৈয়দ আবু আসর

  • সাইফুর রহমান প্রকৌশলী

  • আলম খোরশেদ যন্ত্র প্রকৌশলী

  • আনিসুল হক কবি

সুযোগ-সুবিধা সমূহ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েটে যেসব সুযোগ সুবিধা রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ

লাইব্রেরী

বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীটি ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এবং এটি দুই হাজার ফুট এবং চারতলা ভবন। আধুনিক সকল সুবিধা এবং একসাথে ২০০ জন ছাত্রের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে জার্নাল এবং রেফারেন্সের বিশাল সংগ্রহ। এখানে আরো রয়েছে রিপোগ্রাফিক্স নামে একটি বিভাগ যেখানে বই ফটোকপি করা হয়।

ভার্চুয়াল ক্লাসরুম

বুয়েটে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয় ই সিই ভবন এর ৭০৫ নম্বর রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকগণ এই ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিভিন্ন দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগণের সাথে ক্লাস শেয়ার করে থাকেন এবং এর সাথে মেধারও আদার প্রদান করে থাকেন। এই ক্লাসরুমে একসাথে প্রায়ই ১০০ জন ছাত্র ক্লাস করতে পারে এই ক্লাসরুমটি সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।

স্বাস্থ্য কেন্দ্র

বুয়েট একটি মৌলিক অধিকার সংকলিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে। এখানে একটি আধুনিক প্যাথলজি ল্যাব আছে যেখানে আধুনিক আলট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে মেশিন, ই সি জি মেশিন সহ সকল প্রকার আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে।  তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

আরো পড়ুনঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

 ব্যায়ামাগার

এখানে একটি  ব্যায়ামাগার রয়েছে যেখানে ছাত্ররা নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারে। এখানে ইনডোর গেমস এর ব্যবস্থাও আছে এছাড়া এখানে বাস্কেটবল খেলার ব্যবস্থা আছে।  তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

মিলনায়তন

বুয়েট ক্যাম্পাসে একটি মিলান আয়তন কমপ্লেক্স রয়েছে যেখানে ১০৩৬ টি আসন রয়েছে ।এটি সম্পূর্ণ শীত নিয়ন্ত্রিত এবং অন্যান্য আধুনিক সকল ধরনের সুবিধা রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে ক্যাফেটেরিয়া। পুর কৌশল ভবনের দোতালায় আরেকটি সেমিনার পক্ষ রয়েছে যেখানে ২০০ টি আসন রয়েছে। এছাড়া বিনোদনের জন্য রয়েছে ৩৫ ও ১৬ মিলিমিটার ফিল্ম যেখানে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

শেষ কথা

আমি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমি আশা করি আমার এই তথ্য আপনাদের অনেক উপকারে আসবে আপনারা যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আমাকে একটি কমেন্ট করে জানাবেন আর যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমা করে দেবেন। তাই আমাদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় - বুয়েট সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url