আমার জীবনের লক্ষ্য (ডাক্তার) - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি লক্ষ্য থাকে আর এই লক্ষ্য ছাত্র জীবন থেকেই স্থির করতে হয়। আমিও তেমনি আমার জীবনের লক্ষ্য স্থির করেছি আমি একজন সফল ডাক্তার হব। আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষায়  আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি  আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ যথার্থভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায়  আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

একজন মানুষ শুধু পেশাগত ভাবে ডাক্তার হন তা নয়, তিনি তার জীবনের সবটুকু দিয়ে মানুষের সেবা করে থাকেন। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করাকেই আমার জীবনের লক্ষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছি। নিচে  আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হলো-

 আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করাই হলো একটি স্বার্থক ও সফল জীবন পাওয়ার পূর্ব শর্ত।এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী কিন্তু তার কর্মস্থল হল দীর্ঘস্থায়ী।আর জীবন গঠনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হয় ছাত্র জীবন থেকে।আর এ সম্পর্কে একটি প্রবাদ আছে তা হল - "লক্ষ্যহীন একজন মানুষ ঠিক যেন হাল ছাড়া নৌকার মত"।একজন শিক্ষার্থীর মনমানসিকতা অবশ্যই সেই ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে সে ভবিষ্যৎ জীবনে তার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে। 

সাধারণত ছাত্র জীবনে প্রত্যেকটা মানুষের একটি লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে আর তা হলো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, বড় অফিসার, কবি, সাহিত্যিক যেকোনো একটি হওয়ার। কিন্তু মানুষের যে কাজটি ভালো লাগে সেটির চর্চা অব্যাহত রাখতে পারলেই সে জীবনে সার্থকতা অর্জন করতে পারে। আর আমার জীবনে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছেটা প্রবল কারণ একমাত্র ডাক্তারি পেশা হচ্ছে এমন একটি পেশা যার মাধ্যমে মানুষের সেবা প্রদান করা যায়।

আরো পড়ুনঃ বাংলা অনুচ্ছেদ - পদ্মা নদী -সম্পর্কে জেনে নিন

আর আমার জীবনের লক্ষ্য হলো ডাক্তার হওয়া। আর এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ আমাদের দেশের শতকরা ৮০ভাগ লোক গ্রামে বাস করে। তারা শিক্ষার দিক থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা নানা ধরনের রোগ ব্যাধিতে ভোগে কিন্তু গ্রামে ডাক্তার খুবই কম। যে সামান্য সংখ্যক হাতুড়ে ডাক্তার আছে তারা উত্তমরূপে কখনোই মানুষকে সেবা প্রদান করতে পারে না।

একজন ডাক্তার সমাজে কতটা প্রয়োজন তা আমি দেখতে পেয়েছি করোনা মহামারিতে। সমাজের বেশিরভাগ মানুষ বিশেষ করে গ্রামের অশিক্ষিত দরিদ্র মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। আর গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেমন দুর্বল, তেমনি অপ্রতল। ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্সিং পেশার সাথে যুক্ত মানুষ একেবারেই কম। আবার এইসব এলাকার মানুষের মনে স্বাস্থ্য সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা নেই বললেই চলে।

আবার তারা সবচেয়ে বেশি কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে নিজেদের স্বাস্থ্যের চরম ক্ষতি করে। আর তাই এই সমস্ত দরিদ্র মানুষদের স্বাস্থ্য সেবা করা এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা বোধ জাগ্রত করা প্রত্যেকটি মানুষের কর্তব্য। আর তাই আমি ডাক্তার হয়ে যারা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভোগেন আমার লক্ষ্য হলো তাদের নির্বাচন করে বের করা এবং তাদের সঠিকভাবে চিকিৎসা প্রদান করা।

আরো পড়ুনঃ  আমার প্রিয় শখ - (বই পড়া) রচনা - সম্পর্কে জানুন

জীবনের লক্ষ্য প্রসঙ্গে ডঃ লুৎফুর রহমান একটি অবিস্মরণীয় বক্তব্য প্রদান করেছেন। তার মতে- " জীবনের প্রথম থেকে ঠিক করে নাও তুমি কোন কাজের উপযুক্ত। এটা একবার, ওটা একবার করে যদি বেড়াও তাহলে তোমার জীবনের কোন উন্নতি হবে না। এরূপ করে অনেক লোকের জীবন নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তোমার যেন তা না হয়"। আমি বর্তমানের শহরের একটি স্বনামধন্য স্কুলের নবম শ্রেণীতে অধ্যায়ন করি। আর আমার জীবনের লক্ষ্য হলো আমি একজন সফল ডাক্তার হব।

"যদি জীবনের লক্ষ্য থাকে স্থির তাহলে কাজ হবে সুনিশ্চিত"। তাই আমি প্রথম থেকেই আমার জীবনের ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছি। জীবনের লক্ষ্য যদি স্থির থাকে এবং সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য যদি দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রম থাকে তাহলে সফলতা আসবেই। মহান এবং পবিত্র পেশা আর তাই আমি এই পেশাকে বেছে নিয়েছি সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত এই মহান পেশার মানুষদের সম্মান এবং শ্রদ্ধা করা।

হিপোক্রেটাসের সেই মহান বাণীর মতো-" সকল আত্মস্বার্থ ভুলে আমি আত্মনিয়োগ করব আর্তের সেবায়।নিজের সকল অসুবিধা উপেক্ষা করে হাসিমুখে ছুটে যাব রোগীর জীবন বাঁচানোর জন্য। পরার্থে আত্মাৎসর্গই জীবনের চরম সার্থকতা বলে আমি বিশ্বাস করি। আর সেই কারণেই তো আমার এই পেশা চয়ন"।

শেষ কথা

মানুষের মাঝে যদি কোন লালিত স্বপ্ন থাকে তাহলে সেই স্বপ্নই তাকে লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। আর যদি মানুষের মনে সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য না থাকে তাহলে মানুষ পথভ্রষ্ট এবং বিপথগামী হয়ে যায়। তাই একজন ছাত্র বা ছাত্রীর প্রথম থেকে জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নেওয়া উচিত জীবনে সে কি হতে চায়। আমি হয়তো আমার দেশের ১৬ কোটি লোকের সেবা করতে পারবো না, 

আরো পড়ুনঃ  নৈতিকতা ও মূল্যবোধ রচনা সম্পর্কে জানুন

আবার আর্ত পীড়িত মানুষের দুঃখ এবং হতদরিদ্র মানুষের অভিশাপ সার্বিক রূপে দূর করার ক্ষমতাও হয়তো আমার থাকবে না, কিন্তু আমি অন্তত কিছু রোগাক্রান্ত মানুষকে যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করব এটাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url