যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে চান তাদের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা জানা একান্ত প্রয়োজন। তাই আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

Image

ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ সালে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। নিচে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় - কলকাতা 

যাদবপুর কলকাতার দক্ষিণ শহর তলিতে গড়ে ওঠা একটি জনপদের নাম। আর যাদবপুর নামকরণ করা হয় সোনাপুরের জমিদার "শ্রী যাদব নারায়ণ সরকার" এর নামানুসারে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে এখানে রেলপথ রয়েছে যা কলকাতা অর্থাৎ শিয়ালদাহ থেকে ক্যানিং পর্যন্ত যায়। আর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যাদবপুর শহরটি এখন একটি নামকরা শহরে পরিণত হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের রাজধানীর নাম হল কলকাতা আর এই কলকাতাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে যা অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। যাদবপুর দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত এবং এই দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরেই এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রাঙ্গণটি অবস্থিত।

তবে দ্বিতীয় একটি শিক্ষা প্রাঙ্গণ নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে আর সেটি নির্মিত হচ্ছে কলকাতার সল্টলেকে। এই শহরটি বিধান নগর নামেও সমাধিক পরিচিত। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত আর সেগুলো হল - সেন্ট্রাল গ্লাস এন্ড সেরামিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স indian association for the cultivation of science।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস

ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ সালে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু জানা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস আরো প্রাচীন। ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের চিকিৎসক ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান  অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স।

১৯০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় এবং এই আইন পাস হওয়ার পর এই তৎকালীন সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ গঠন করেন। ১৯০৫ সালের ১৬ই নভেম্বর ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি পার্ক স্ট্রীট এর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ ঘোষ, রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক এবং বজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সহ প্রায় ১৫০০ ডেলিগেট। এবং এই বৈঠকে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ধারণা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আলোচিত হয়।

আরো পড়ুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ২০টি উপায় - ব্রেন ভালো হওয়ার দোয়া জেনে নিন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মূলত ব্রিটিশ শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় আইন ও জাতীয় নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণকে আধুনিক শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। আর প্রচুর টাকা প্রদান করে শিক্ষাঙ্গনটি যারা গড়ে তোলেন তারা হলেন - বজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, রাসবিহারী ঘোষ এবং সুবোধ চন্দ্রমল্লীক। প্রথম যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় তখন এর নাম ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯০৫ সালে স্থাপিত হয় ব্রিটিশ ভারতে জাতীয় শিক্ষা পর্ষদ। ১৯০৬ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় টি স্থাপন করা হয় যারা এই কাজে অবদান রাখেন তারা হলেন- রাজা সুভাষচন্দ্র মল্লিক, বজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। ১৯১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সোসাইটি ফর দা প্রমোশন অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন বঙ্গে বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট। এবং ১৯২০ সালে এর নামকরণ করা হয় কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বেঙ্গল নামে।

এবং পরবর্তীতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরো গড়ে ওঠে কয়েকটি উন্নত গবেষণা ও শিক্ষণ কেন্দ্র। ১৯৫৫ সালের ২৪শে ডিসেম্বর প্রণয়ন ওপর পূর্ব সাহিত্য শাসনের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট নামে রূপান্তরিত হয়।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অরবিন্দ ঘোষ। যখন অরবিন্দ ঘোষ দায়িত্বে ছিলেন সেই সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টি স্বায়ত্তশাসিত ছিল না।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর পূর্ব নাম কি ছিল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নাম ছিল কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি। ১৯২০ সালে এটিকে কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি "বেঙ্গল" নামে নামকরণ করা হয়। ১৯৫৫ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর নামকরণ করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত নাম "যা. বি" (JU)।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান

পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের পশ্চিম বঙ্গের রাজধানীর নাম হল কলকাতা আর এই কলকাতাতেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে যা অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। যাদবপুর দক্ষিণ কলকাতায় অবস্থিত এবং এই দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরেই এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রাঙ্গণটি অবস্থিত।

তবে দ্বিতীয় একটি শিক্ষা প্রাঙ্গণ নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে আর সেটি নির্মিত হচ্ছে কলকাতার সল্টলেকে। এই শহরটি বিধান নগর নামেও সমাধিক পরিচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি ভালো

আপনারা যারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে চান তাদের মনে একটি প্রশ্ন জাগে আর তা হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কি ভালো?  আর যাদের মনে এই প্রশ্ন জাগে তাদের জন্য আমার এই আর্টিকেল। তাহলে জেনে নিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেঙ্কিং অবস্থান। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল গুলোর মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক এটিকে ২০২৩ সালে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান চতুর্থ। 

আর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট গুলোর মধ্যে এর অবস্থান দশম। এবং সামগ্রিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ১৩তম। এখন সার্বিক দিক আপনাকে বিবেচনা করতে হবে এবং বুঝতে হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কতটা ভালো। তবে আপনি নিশ্চিন্তে এখানে ভর্তি হতে পারেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কত সালে / কবে প্রতিষ্ঠিত হয়

ভারতের স্বাধীনতার পর অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার পর ১৯৫৫ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তবে এর আগেই অর্থাৎ ১৯২০ সালে এটিকে কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি "বেঙ্গল" নামে নামকরণ করা হয়। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো প্রাচীন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় -

১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের চিকিৎসক ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার প্রতিষ্ঠা করেন ইন্ডিয়ান  অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স। পরবর্তীতে১৯৫৫ সালের ২৪ শে ডিসেম্বর ভারত সরকারের সম্মতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর নামকরণ করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত নাম "যা. বি" (JU)।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে ভর্তি হবে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাশনাল কারিকুলাম এন্ড ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্ক এর ভিত্তিতে ২০২৩ ২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৪ বছরের অনার্স পাঠক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আর উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলা ও বিজ্ঞান শাখার সব স্নাতক কোর্স ৪ বছরের হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  রচনা - বিশ্ব পরিবেশ দিবস -বিস্তারিত জানুন (৬-১২)

প্রতিবছরের মতোই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি বিভাগে পড়ুয়া ভর্তির জন্য নেওয়া হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষা আর এই বছরের কলা শাখার নয় ৯টি বিষয়ে এবং বিজ্ঞান শাখার চার ৪ টি বিষয়ে  প্রবেশিকা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশ মোতাবেক আবেদনকারী পড়ুয়াদের কাছ থেকে কোন আবেদন ফ্রি নেওয়া হবে না।

তবে যাদবপুরে প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীদের ফি জমা করতে হবে এস সি, এস টি ও পিডি ক্যাটাগরির পড়ুয়াদের জন্য ১০০ টাকা ও অন্যান্য ক্যাটাগরির পড়ুয়াদের জন্য ২০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। আবেদনের জন্য বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা মান এবং সেগুলির মেধা তালিকা বিশেষ ফর্মুলায় প্রস্তুত করা হবে এবং তা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

বিভাগ/ পঠিত বিষয় সমূহ

কলা শাখা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা শাখায় যেসব বিষয়গুলো পাঠদান করা হয় সেগুলো হল-

  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • সমাজবিজ্ঞান
  • ইতিহাস
  • দর্শন
  • সংস্কৃত
  • তুলনামূলক সাহিত্য
  • অর্থনীতি

কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখায় যেসব বিষয়গুলো পাঠদান করা হয় সেগুলো হল-

  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • বৈদ্যুতিক কারিগরি বিদ্যা
  • ইলেকট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল
  • খাদ্য প্রযুক্তি ও জৈব রসায়ন
  • রাসায়নিক কারিগরি
  • পুরো কৌশল সিভিল
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা
  • নির্মাণ কৌশল
  • ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল
  • যন্ত্র প্রকৌশল
  • ধাতু বিদ্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিদ্যা
  • ফার্মাসিটিক্যাল প্রযুক্তি
  • শক্তি প্রকৌশল
  • মুদ্রণ কারিগরি
  • উৎপাদন প্রকৌশল
  • প্রাপ্তবয়স্ক এবং অব্যাহত শিক্ষা ও সম্প্রসারণ

আপনি যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো থেকে যেকোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে নিতে পারেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে পড়ুয়াদের কয়েকটি সাবজেক্টে যে যোগ্যতা গুলো প্রয়োজন হবে তা নিচে দেওয়া হল-

বাংলা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী বাংলায় ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলায় ৬০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে পঞ্চাশ ৫০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় ৫৭ শতাংশ নাম্বার এবং অন্যান্য বিষয়ের শতকরা ৪৭ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তফসিলে জাতি উপজাতিভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় ৪৫ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে শতকরা ৩৭ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে বাংলায় ৫৪ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং অন্যান্য বিষয়ে শতকরা ৪৫ নাম্বার থাকতে হবে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের বা সমতুল্য পরীক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে প্রার্থীদের বিষয় হিসেবে থাকতে হবে প্রতি দুটি ভাষা।)

ইংরেজি

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী ইংরেজিতে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৭৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে

তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উৎসব মাধ্যমিকে মোট ৫৬ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬৭ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৭১ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিন

রাষ্ট্রবিজ্ঞান

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উৎসব মাধ্যমিকে মোট ৪৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৫৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৬১ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

সমাজবিজ্ঞান

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী সমাজবিজ্ঞানে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৭৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উৎসব মাধ্যমিকে মোট ৬৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬৭ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৭১ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ইতিহাস

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী ইতিহাস বিষয়ে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উৎসব মাধ্যমিকে মোট ৪৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৫৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৬১ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

দর্শন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী দর্শন বিষয়ে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৫০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উৎসব মাধ্যমিকে মোট ৩৭ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৪৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৪৭ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

সংস্কৃত

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যেসব শিক্ষার্থী সংস্কৃত বিষয়ে ভর্তি হতে চায় সেক্ষেত্রে তাদের যে যোগ্যতার প্রয়োজন হবে তা হল-

জেনারেল তালিকা ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬৫ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি, উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৪৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৫৮ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিকের মোট ৬১ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ সমস্ত প্রার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় অবশ্যই সংস্কৃত থাকতে হবে।)

তুলনামূলক সাহিত্য

জেনারেল তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষায় ৭০ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে  এবং উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৭০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি, উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষায় ৫২ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ৫২ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষায় ৬৩ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৬৩ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষায় ৬৬ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৬৬ শতাংশ নাম্বার পেতে হবে।

(বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ উচ্চ মাধ্যমিক বা সম্মান পরীক্ষায় প্রার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে বিষয় হিসেবে প্রতি দুটি ভাষা থাকতে হবে।)

অর্থনীতি(পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড বিএ অনার্স ও এম এ কোর্স)

জেনারেল তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের অংক বাধ্যতামূলক থাকতে হবে এবং শতকরা ৮০ নম্বর থাকতে হবে উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৮0 শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।

তপশিলি জাতি, উপজাতি ভুক্ত শিক্ষার্থীদের অংক বাধ্যতামূলক থাকতে হবে এবং ৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে উচ্চমাধ্যমিকে মোট ৬০ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

ওবিসি এ ওবিসিডি কাশ্মীরি পরিযায়ী এবং খেলোয়ারদের স্পোর্টস কোটায় আলাদা যোগ্যতা মান আছে। অংক বাধ্যতামূলক এবং ৭২ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে এবং উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৭২ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

বিশেষ সক্ষম শিক্ষার্থীদের অংক বাধ্যতামূলক থাকতে হবে এবং 76 শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৭৬ শতাংশ নাম্বার থাকতে হবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ভর্তি যোগ্যতা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার্থীদের যে যোগ্যতা থাকতে হবে তা হল -প্রার্থীদের যেকোনো একটি স্বীকৃত বোর্ড থেকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং ভূগোল থেকে কমপক্ষে শতকরা ৭৫ নাম্বার পেতে হবে এবং এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটিতে দশ যোগ দুই ১০+২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বা তারা ভর্তি হওয়ার যোগ্য বা হতে পারবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এম টেক এডমিশন

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিগরি ও প্রযুক্তি শাখা রয়েছে। আর এম টেককে কারিগরি শিক্ষা বলা হয় অর্থাৎ এম টেক হলো কারিগরি শিক্ষার প্রধান মানদন্ড। আর যদি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন শিক্ষার্থী কারিগরি বা এম টেকে ভর্তি হতে চায় তাহলে তাদের যে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে তা হলো - GATE এর যোগ্যতা। তবে এম টেক এডমিশন দিতে হলে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার ওপর কিছুটা বিষয় নির্ভর করে। যেমন এখানে একজন শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন ওজন হতে হবে শতকরা ৭0 ভাগ এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এম টেক এডমিশন ভর্তির প্রস্তাব দেয় স্পন্সর এবং জাবি স্পন্সর।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কে প্রতিষ্ঠা করেন

১৯০৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয় এবং এই আইন পাস হওয়ার পর এই তৎকালীন সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ গঠন করেন। ১৯০৫ সালের ১৬ই নভেম্বর ল্যান্ড হোল্ডার সোসাইটি পার্ক স্ট্রীট এর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অরবিন্দ ঘোষ, রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক এবং বজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী সহ প্রায় ১৫০০ ডেলিগেট। এবং এই বৈঠকে জাতীয় শিক্ষা পরিষদের ধারণা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য আলোচিত হয়।

আরো পড়ুনঃ  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি আসক্তি আজ তরুণ সমাজের প্রধান সমস্যা 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মূলত ব্রিটিশ শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় আইন ও জাতীয় নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণকে আধুনিক শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে। আর প্রচুর টাকা প্রদান করে শিক্ষাঙ্গনটি যারা গড়ে তোলেন তারা হলেন - বজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরী, রাসবিহারী ঘোষ এবং সুবোধ চন্দ্রমল্লীক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল ধরেছিলেন উপাচার্য ত্রিগুণ সেন।

স্বনামধন্য / খ্যাতনামা শিক্ষক

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেক স্বনামধন্য / খ্যাতনামা শিক্ষক শিক্ষক রয়েছেন। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন স্বনামধন্য / খ্যাতনামা শিক্ষক এর নাম তুলে ধরা হলো-

  • শঙ্খ ঘোষ - বাংলা
  • অমর্ত্য সেন - অর্থনীতি
  • বুদ্ধদেব বসু - তুলনামূলক সাহিত্য
  • নবনীতা দেব সেন - তুলনামূলক সাহিত্য
  • মান বেন্দ্র বন্দোপাধ্যায় - তুলনামূলক সাহিত্য
  • আলোক রঞ্জন দাশগুপ্ত - তুলনামূলক সাহিত্য
  • গোপাল চন্দ্র - মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
  • পরিতোষ সেন - চিত্রশিল্পী

শেষ কথা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে অবস্থিত একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিষয়ে পাঠদান করা হয় এবং এখানে অনেক স্বনামধন্য শিক্ষক রয়েছেন। আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই আর্টিকেল আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url