শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ লিখতে আসে তাই আমি শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি তোমরা যারা পরীক্ষায় শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু এই শিশুদের দিয়েই অনেক ভারী কাজ করানো হয় যাকে বলা হয় শিশু শ্রম। নিচে শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হলো -

শিশু শ্রম অনুচ্ছেদ - বাংলাদেশের শিশুশ্রম অনুচ্ছেদ 

শিশুশ্রম বলতে এমন কাজকে বোঝানো হয় যে কাজ শিশুদের জন্য উপযোগী নয়। ইউনেস্কোর ঘোষণা অনুযায়ী যখন কোন চৌদ্দ ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু কোন কাজে লিপ্ত হয় তখন তাকে বলা হয় শিশুশ্রম। বাংলাদেশের শিশু শ্রম একটি সহজলভ্য ব্যাপার। ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের দিয়ে কাজ জোরপূর্বক ভাবে করিয়ে নেওয়া হয় আর এরকম শিশু রয়েছে বাংলাদেশের ৪.৭ মিলিয়ন। জোরপূর্বক শিশুর শ্রমের সাথে নিযুক্ত শতকরা ৮৩ জনকে গ্রাম অঞ্চলে নিযুক্ত করা হয় 

আরো পড়ুনঃ বাণিজ্য মেলা - একটি বাণিজ্য মেলা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

এবং বাকি ১৭ জন কে শহর অঞ্চলে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের শিশু আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক। আর সেই শিশুকে যদি উপযুক্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত করে গড়ে তোলা হয় তাহলে তা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যে বয়সে একটি শিশুর বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা অথচ সেই শিশুরা এখন মাছ প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি, হাঁস প্রজনন, গার্মেন্টস, চামড়া শিল্প ও জুতার উৎপাদনশিল্পেও কাজ করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ  আমার প্রিয় খেলা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

এ ছাড়াও সাবান ও আসবাবপত্র উৎপাদন, মোমবাতি তৈরির কাজে ও নিযুক্ত। লবণ, শিল্প, কাজ, এসবেস্টার উৎপাদন, পিচ, টাইলস এবং জাহাজ ভাঙ্গার মতো কঠিন কাজে ও তারা নিযুক্ত। বাংলাদেশ ২০০৬ সালে একটি শ্রম আইন পাস করা হয় এবং সেখানে শিশুদের সর্বনিম্ন বয়স ধরা হয় ১৪ বছর। এরপরেও শতকরা ৯৩ ভাগ শিশু শ্রমিক হিসেবে ছোটখাটো কারখানা এবং কর্মশালা, রাস্তা, গৃহ,  ব্যবসায়ী এবং গার্হস্থ্য কর্মসংস্থানের সঙ্গে নিযুক্ত।

আরো পড়ুনঃ  গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

শিশুদের দিয়ে অতি অল্প টাকায় কাজ করে নেওয়া যায় যার কারণে শিশু শ্রমের মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। এই পৃথিবীতে শতকরা ৩০ জন মানুষের দৈনিক আয় ২ ডলারের কম যার কারণে বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ শ্রমিক হিসাবে তার পেশা বেছে নিচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের কনভেনশন ১৩৮ তে বলা হয়েছে যে ১২ বছর বয়সের একটি শিশুকে বিপদজনক পরিস্থিতিতে হালকা কাজ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।

 এবং ১৫ বছর বয়সে একটি শিশুকে কর্মশক্তিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে শিশু শ্রম বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। সরকারের অবশ্যই তাদের অধিকার সংরক্ষণে এগিয়ে আসা উচিত। সরকারিভাবে শিশু পূর্ণবাসন নিশ্চিত করতে হবে। তবে শিশুশ্রম বন্ধ করা সম্ভব।

শেষ কথা

"ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে"- আর এই কথার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আর যারা শিশু তারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং তাদের উপরই নেস্ত হবে আমাদের পরবর্তী সমাজ। যদিও অর্থ সামাজিক অবস্থার কারণে শিশুরা শ্রম দিতে বাধ্য হয় তারপরেও  শিশুশ্রম বন্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url