গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে বিশ্ব প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন পরীক্ষায় গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ যথাযথভাবে লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায় গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

গ্রীন হাউজের প্রধান গ্যাস গুলো হলো - কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনো অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজন প্রভৃতি। গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়ার অপর নাম হলো হট হাউস প্রতিক্রিয়া। নিচে গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ বিস্তারিত লিখা হলো-

গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ 

গ্রীন হাউজের অর্থ হলো সবুজ ঘর। শীত প্রধান দেশে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজির সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। যার কারণে বিজ্ঞানীরা এই সংকট নিরসনের জন্য বিশেষ ধরনের কাঁচের ঘর আবিষ্কার করেন। তীব্র ঠান্ডা হতে শাকসবজি এবং গাছপালা রক্ষা পায় আর কাঁচ হল তাপ ও কুপরিবাহী যার কারণে কাঁচের ভেতরে সূর্যের আলো প্রবেশ করে ঘরকে উত্তপ্ত করে কিন্তু উত্তপ্ত ও পুনঃ বিকিরিত হয়ে আর বাইরে চলে যেতে পারে না।

এবং বাইরে থেকে ঠান্ডা কোন বাতাসও আর ঘরে প্রবেশ করতে পারে না। যার কারণে বৈরী আবহাওয়াতে গাছপালা সহজে ভালো জন্মে। আর বিজ্ঞানীরা কাঁচের তৈরি বিশেষ এই ঘরের নাম দিয়েছেন গ্রীন হাউজ। বিজ্ঞানীরা সেসব গ্যাসকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলেছেন যে সব গ্যাস পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় - কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন, নাইট্রাস অক্সাইড, ওজন এবং বিভিন্ন প্রকারের অ্যারসল কনা প্রভৃতি। 

আরো পড়ুনঃ  বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

এবং এসব গ্যাস বায়ুমণ্ডলের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অধিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে পারে বলে এদেরকে বলা হয় গ্রীন হাউস। তবে গ্রীন হাউসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ভূমিকায় সবচেয়ে বেশি। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস যা জীবাশ্ম জ্বালানি ও কাঠ পোড়ানোর ফলে মিথেন ও ক্লোরোফ্লোরো কার্বন এর মত দূশকের তৈরি হয় আর এই গ্যাস গুলোই মূলত দায়ী। ১৮৯৬ সালে শোভানতে আরহেনিয়াস যিনি সুইডেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ 

এবং তিনি আবিষ্কার করেন প্রথম বায়ুমন্ডলের গ্যাসের মধ্যে এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে এবং তিনিই প্রথম বায়ুমন্ডলের গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। গ্রীন হাউজের ফলে বিশ্ব উষ্ণায়ন হচ্ছে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে আজকে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের মুখে। পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আর এভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, বন্যপ্রাণী ও গাছপালা মারাত্মকভাবে ধ্বংস হবে,

আরো পড়ুনঃ  স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

ভূপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং  বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। আর উদ্বাস্তু হবে পৃথিবীর প্রায় ২0 কোটি মানুষ। আর বিশ্ব উষ্ণায়ন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এখনই গ্রহণ করতে হবে তা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখ সম্মুখীন হবে।

শেষ কথা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে মানুষকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে আবার প্রকৃতিকেও ধ্বংসের সম্মুখীন করছে। আর এরই বাস্তব উদাহরণ হল গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া। আমাদের এই পৃথিবীকে আরও নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সচেতন হতে হবে। আর এর জন্য প্রয়োজন সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা এবং দূরদর্শী চিন্তাভাবনা এবং এই পদক্ষেপ গ্রহণে এখনই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url