স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

২০৪১ সালকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আর বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়  স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ লিখতে আসে। তাই আমি  স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ লিখার চেষ্টা করেছি। তোমরা যারা পরীক্ষায়  স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ লিখতে চাও আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

বাংলাদেশ সরকারের ভীষণ এবং মিশন হল স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলন করা সম্ভব হবে। নিচে  স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখা হলো-

 স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ 

স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে বোঝায় প্রযুক্তি নির্ভর জীবন ব্যবস্থা যে জীবন ব্যবস্থায় থাকবে নাগরিক সেবা থেকে শুরু করে সবকিছু স্মার্ট। যেখানে নাগরিক ভোগান্তি ছাড়া প্রতিটি অধিকারের নিশ্চয়তা পাবে এবং কর্তব্য পালনের সুযোগ সুবিধা ও পাবে। স্মার্ট বাংলাদেশ হল বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিশ্রুতি ও স্লোগান যেখানে প্রতিষ্ঠা হবে সাশ্রয়ী, টেকসই ও বিজ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশের মেধা ও পরিশ্রমের জয়গান, 

যা সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।  স্মার্ট বাংলাদেশের সাম্য ও স্বাধীনতা দখল করবে শোষণ ও বৈষম্যের জায়গা। আর স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে মানুষের জীবন হবে সহজ সরল এবং হাতের মুঠোয় থাকবে সবকিছু।

আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপান্তর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন করে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়েছেন। ২০২১ সাল কে সামনে রেখে তিনি এক নতুন চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন আর তা হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। ২০২২ সালের ১২ই ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে সর্বপ্রথম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন," আমরা আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলব এবং বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ"। স্মার্ট শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় ভারতের স্মার্ট সিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে।

আরো পড়ুনঃ  প্লাস্টিক দূষণ - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে হাতে নিয়েছেন ইস্মার্ট বাংলাদেশ  হিসাবে গড়ে তোলার জন্য। আর স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে তিনি চার ভাগে ভাগ করেছেন। যথা -

  • স্মার্ট সিটিজেন
  • স্মার্ট ইকোনমি
  • স্মার্ট গভর্নমেন্ট
  • স্মার্ট সোসাইটি

স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধি দীপ্ত, উদ্ভাবনী এবং বিজ্ঞানভিত্তিক। এক কথায় এস্মার্ট বাংলাদেশ যেমন শহরকে  স্মার্ট করবে তেমনি গ্রামে ও হবে স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট পরিবহন, স্মার্ট ইউটিলিটি, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা ,কৃষি, ইন্টারনেট সংযোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ এবং একে স্বপ্নের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  আমার জীবনের লক্ষ্য - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন

আমাদের দেশের জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ হলো তরুণ সমাজ। আর এই তরুণ সমাজকে দক্ষ এবং যোগ্য করতে পারলে তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সার্থক হবে। উন্নত বিশ্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে আজ অনেক উন্নত হয়েছে। আর বিশ্বের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশকে উন্নত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। তাই সবার উচিত এই উদ্যোগকে সকল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

শেষ কথা

প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত হয়েছে। গোটা বিশ্ব যেন এখন পরিণত হয়েছে একটি বিশ্ব গ্রামে। মানুষ ঘরে বসে মুহূর্তের মধ্যে পুরো বিশ্বের খবর জানতে পারছে। আর বাংলাদেশকে যদি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে বিশ্বের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ চলতে পারবে। তাই সবার উচিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করা। আর এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।

স্মার্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে এবং হাতের মুঠোয় সবকিছু এনে দেবে।

স্মার্ট বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে আসবে এক রূপকথার দেশের মত।

বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হলে সেখানে ভোগান্তি ছাড়া প্রতিটি নাগরিক তার অধিকারের নিশ্চয়তা পাবে এবং কর্তব্য পালনের সুযোগও পাবে।

বাংলাদেশ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল  ডিজিটাল বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে স্মার্ট বাংলাদেশ নামকরণ করেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের চারটি স্তম্ভ এর রোড ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এগুলো হলো- স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি।

স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি নাগরিক তার সব কাজ স্মার্টলি করতে পারবে যেখানে কোন ভোগান্তি থাকবে না।

বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হলে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বে নেতৃত্বদান এবং চতুর্থ বিপ্লবের টিকে থাকতে পারবে।

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের জন্য টাক্সফোসের অধীনে একটি নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয় এবং এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা করা হয়।

টেকসই এবং জ্ঞানভিত্তিক জাতি  উদ্ভাবনে এবং অর্থনীতির বিকাশে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা একান্ত প্রয়োজন।

স্মার্ট বাংলাদেশে নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বের নেতৃত্বদান করতে পারবে।

বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশের রূপান্তরিত হলে শোষণ ও বৈষম্যের জায়গা দখল করবে সাম্য এবং স্বাধীনতা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url