দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত জেনে নিন

 

আমাদের দেশের অনেক মানুষ কাজের সন্ধানে বিদেশে পাড়ি জমান। আর আপনারা যারা কাজের সন্ধানে মধ্য প্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে যেতে চান তাহলে আপনাদের অবশ্যই জানতে হবে দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত। আপনারা যদি সঠিক তথ্য দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত না জেনে দুবাইয়ের যান তাহলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই যারা কাজের সন্ধানে দুবাইয়ে যেতে চান তাদের অবশ্যই জানতে হবে দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত।

Image

আপনি দুবাইয়ে যাওয়ার আগে দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত সঠিকভাবে জেনে তারপরে যাবেন নইলে আপনি অযথা টাকা খরচ করে গিয়ে কাজ না পেয়ে আবার ফিরে আসতে পারেন। তাই যারা দুবাইয়ে যেতে আগ্রহী এবং যারা জানতে চান দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত আমার আজকের পোস্টটি তাদের জন্য।

পোস্ট সূচিপত্রঃ দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত

দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ কত

দুবাই হল আরব আমিরাতের সাতটি প্রদেশের মধ্যে একটি প্রদেশ। পারস্য উপসাগরে দক্ষিণ তীরে আরব উপদ্বীপে অবস্থিত এই দুবাই শহর। দুবাইয়ের অর্থের মূল উৎস হল পর্যটন, রিয়েল এস্টেট এবং অর্থনৈতিক সেবা। আমাদের দেশে এমন অনেক উচ্চবিত্ত লোক আছেন যারা নিয়মিত চিকিৎসা ও অবকাশ যাপনের জন্য বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। যেমন - থাইল্যান্ড ও মালেশিয়া। 

এখন এই ভ্রমণ পিপাসী মানুষের থাইল্যান্ড এবং মালয়েশিয়ার তুলনায় দুবাইয়ের প্রতি বেশী আগ্রহী।যদিও দুবাইয়ের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল তবুও তারা দুবাইয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়ে থাকেন। আবার এমন অনেক মানুষ আছেন যারা কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়ে থাকেন। যারা কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চান তাদের জানা প্রয়োজন দুবাই ভিসার দাম কত - দুবাইয়ে সর্বনিম্ন বেতন কত। 

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ কেমন ! বিভিন্ন বায়ারের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানা যায় যে দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মত। তবে ভিজিট ভিসার খরচ নির্ভর করবে আপনি কোন কাজে যাবেন তার ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি চাকরি করার জন্য ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান তবে আপনার সর্বমোট খরচ হবে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার মত।

আরো পড়ুনঃ  দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

বর্তমানে ভিজিট ভিসা পাওয়া সহজ তাই অনেক প্রতারক চক্র ভিজিট ভিসায় দুবাই লোক পাঠানোর চেষ্টা করে। আর এই পর্যায়ে দুবাই গেলে কেউ কাজ করতে পারে আবার কেউ টাকা খরচ করে আবার ফিরে আসে। দালাল চক্র মানুষকে উন্নত চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়তই কাজের ভিসার পরিবর্তে ভিজিট ভিসার মাধ্যমে দুবাইয়ে লোক পাঠাচ্ছে।

তবে দুবাইয়ে যাওয়ার আগে আপনাকে একটি বিষয় মাথায় রেখে যেতে হবে যে আপনি যদি ভিজিট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যান তাহলে আপনি বিপদে পড়তে পারেন। কারণ দুবাই গিয়ে আপনি ভিজিট ভিসা কাজের ভিসায় আর  রিবর্তন করতে পারবেন না।

দুবাই ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হলে জরিমানা কত

আপনি যে দেশেই ভিজিট করতে যান না কেন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে স্বদেশে ফেরত আসতে হবে।আর আপনি যদি ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাইয়ে যান এবং দুবাই যাওয়ার পর যদি আপনার ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে জরিমানা গুনতে হবে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবার প্রথম দিন ২০০ দিরহাম এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১০০ দিরহাম করে জরিমানাত গুনতে হবে।

দুবাইয়ে ভিজিট ভিসা প্রসেসিং করতে সময় লাগে ১৫ থেকে ২১ দিনের মত। আর এই ভিসার মেয়াদ থাকে প্রায় ৩০ থেকে ৯০ দিনের মতো। তাই আপনি যদি ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই যান তাহলে অবশ্যই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে চলে আসবেন।

দুবাই কাজের ভিসা

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই কাজের ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে এজেন্সি ভেদে আবার খরচের মাত্রা কম বেশিও হতে পারে। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা বিমান ভাড়া আপনার এই খরচের সঙ্গে ধরে নিতে পারে তাই দুবাই যাওয়ার চিন্তা করলে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে দুবাই যেতে আপনার সর্বনিম্ন ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত ৭ লক্ষ টাকা লেগে যেতে পারে। এরপরেও আপনি কোন কাজের জন্য যাচ্ছেন এবং কতদিনের জন্য যাচ্ছেন এর ওপরেও টাকা কম বেশি হতে পারে।

দুবাই বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার হলেও আরব আমিরাতের এই দেশ ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণের স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। গৃহকর্মী ছাড়া দেশটিতে বর্তমানে বৈধ পথে কোন কাজের ভিসা নেই বললেই চলে। আর এই কাজের ভিসা না পাওয়ায় অনেকেই ভিজিট ভিসা নিয়ে দুবাই যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে তারা বিভিন্নভাবে চাকরি জোগাড় করে নিচ্ছেন।

আরো পড়ুনঃ মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা ২০-৩০ পয়েন্ট সম্পর্কে জেনে নিন

এইভাবে দুবাই গিয়ে অনেকেই চাকরি পাচ্ছেন আবার অনেকেই সর্বস্ব হারিয়ে বিপদে পড়ছেন। আবার কেউবা দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হচ্ছেন। দুবাই সরকার বাংলাদেশীদের জন্য সর্বোচ্চ তিন মাস বা ৯০ দিন মেয়াদী ভিজিট ভিসা চালু রেখেছেন। আর মেয়াদ শেষে কেউ যদি দুবাইয়ে অবস্থান করেন তাহলে তাকে জরিমানা গুনতে হবে অথবা তাকে জেলে আটক করা হবে।

আর আপনি যদি ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও এই দেশে থাকেন তাহলে আপনাকে প্রথম যেদিন ভিজিট ভিসার মেয়াদ শেষ হবে সেই দিনের জন্য ২০০ দিরহাম এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ১০০ দিরহাম করে জরিমানা গুনতে হবে।

দুবাই ফ্রি ভিসা

আপনারা যারা দুবাই ফ্রি ভিসা সম্পর্কে জানতে চান আমার আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। তাহলে আসুন আমরা জেনে নিই দুবাই ফ্রি ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় বা দুবাই ফ্রি ভিসা কি। আমি প্রথমেই আপনাদের সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি যে, দুবাই ফ্রি ভিসা নামে আসলে কোন ভিসাই নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি দুবাইয়ের ভিসার জন্য আবেদন করেন তবে আপনি যেকোনো ধরনের ভিসাই পেয়ে যাবেন।

 তবে আপনি যদি দুবাইয়ে ফ্রি ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনি কোন ভিসায় পাবেন না। আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে দুবাইয়ে ফ্রি ভিসা নামে আসলে কোন ভিসাই চালু হয়নি। আপনি যে ভিসার কথা চিন্তা করছেন সেটি হল কোম্পানি ভিসা। আর যদি কোন কোম্পানি আপনাকে ভিসা করে দেয় তবে সেটি হবে কোম্পানি ভিসা এবং এই ভিসা গুলো কোম্পানি যত বছরে জন্য করবে আপনি ঠিক তত বছরের জন্য এই ভিসা পেয়ে যাবেন।তবে আপনাকে অবশ্যই কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকতে হবে।

দুবাই ফ্রি ভিসা পাওয়ার উপায়

দুবাই ফ্রি ভিসা বলতে আসলে কোন ভিসা নেই। বিভিন্ন কোম্পানি চুক্তি ভিত্তিক যে ভিসা করে দেয় তাকে ফ্রি ভিসা বলা হয়। যেমন কোন কোম্পানি চুক্তি করল যে দুই বছরের জন্য সেই কোম্পানি কিছু বাংলাদেশীকে তাদের কোম্পানিতে নিয়োগ দিবে। তখন সেই কোম্পানির মালিক বাংলাদেশের এই লোকের কাছ থেকে ইমিগ্রেশনে যে টাকা খরচ হয়েছে তা বাংলাদেশী লোকের কাছ থেকে নিবে।

এবং তাদেরকে যে দুই বছর বা তিন বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে সেই পর্যন্ত তাদের কোম্পানিতে কাজ দেবে।এখন যে কয়জন শ্রমিকের জন্য এই চুক্তি করা হয়েছে ঠিক সে কয়জন শ্রমিক এই ভিসা পেয়ে যাবে। আর এইভাবে শ্রমিকেরা যে ভিসা পায় তাকে বলা হয় ফ্রি ভিসা। কিন্তু আসলে একটি কোন ফ্রি ভিসা নয় এটি কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক ভিসা।

দুবাই ফ্রি ভিসা কি বৈধ

দুবাই ফ্রি ভিসা কোন বৈধ ভিসা নয়। আপনি যে কোম্পানির সাথে চুক্তি করে দুবাই যাবেন আপনি যদি সেই কোম্পানিতে কাজ করেন তাহলে আপনার সেই কাজ হবে বৈধ। কিন্তু এমন অনেক লোক আছেন যারা এক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে আবার অন্য কোম্পানিতে গিয়ে কাজ করে তখন এই কাজটি তার জন্য অবৈধ হয়ে যায়। এই অবস্থায় যদি আপনি দুবাইয়ে সিআইডির হাতে ধরা পড়েন তাহলে আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করবেন সেই কোম্পানির মালিকসহ আপনাকে অনেক দিরহাম জরিমানা গুনতে হবে।

এমনকি আপনার ভিসা ও বাতিল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে এরকম লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশি নির্দ্বিধায় কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কপাল ভালো হলে আপনি সিআইডির হাতে ধরা পড়তে নাও পারেন। আর এভাবে কাজ করলে আপনি অনেক মজুরি পেয়ে যাবেন। কারণ দুবাইয়ে এরকম লোকের চাহিদা অনেক বেশি।

দুবাই যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে চান তাহলে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করবে আপনি কি উদ্দেশ্যে দুবাই যাচ্ছেন তার উপরে। আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে দেড় লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ ৫ লাখ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। আবার আপনি যদি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে বা অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য দুবাই যেতে চান তাহলে খরচ আরো বেড়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কোন সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে কোন কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যেতে চান তাহলে আপনার ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ আট ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। তবে আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার সর্বনিম্ন তিন ৩ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।

তবে আপনি যদি কোন দালালের মাধ্যমে দুবাই যেতে চান তাহলে কত টাকা খরচ লাগবে সে কথা সঠিকভাবে বলা যাবে না কারণ খরচের পরিমাণ একমাত্র দালালেরাই নির্ধারণ করে থাকেন। তাই আপনি যদি দুবাই যেতে চান তাহলে অবশ্যই সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।এতে আপনার খরচও কম হবে আর আপনি নিশ্চিত ভাবে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা যেতে কত টাকা লাগে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে দেড় লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ ৫ লক্ষ টাকা গুনতে হবে। এর পরেও এটা নির্ভর করবে আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাবেন এবং কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন। আবার আপনাকে যদি নিজের থেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয় তাহলে মূল টাকার সাথে আপনার বিমান ভাড়া যোগ করতে হবে আর যদি চুক্তির মাধ্যমে বিমান ভাড়া থাকে তাহলে আপনি কম খরচেই যেতে পারবেন।

তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন টুরিস্ট ভিসা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে যেমন এটি সাধারণত প্যাকেজ হিসেবে নির্ধারিত হয়। টুরিস্ট ভিসা সাধারণত ৬০ দিনের মতো মেয়াদ থাকে তাই আপনি টুরিস্ট ভিসাতে দুবাই যাওয়ার আগে আপনাকে একটি প্যাকেজ অবশ্যই সিলেক্ট করতে হবে এবং সেই প্যাকেজের অধীনে আপনি কত দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন এবং কত টাকা খরচ হবে সেটি আপনাকে ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ করে নিতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই বিজনেস ভিসায় কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি বিজনেস ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন তিন ৩ লক্ষ টাকা থেকে আরও বেশি টাকা খরচ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে আপনার খরচের পরিমাণ নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের বিজনেসের ভিসা তৈরি করতে চাচ্ছেন তার ওপরে। এবং আপনি কতদিন পর্যন্ত দুবাইয়ে বিজনেস পরিচালনা করবেন। আপনি যদি বিজনেস লাইসেন্স সার্টিফিকেট তৈরি করতে চান তাহলে টাকার পরিমাণ আরো বেশি লাগবে।

এবং এক্ষেত্রে আপনাকে এজেন্সির কাছ থেকে সঠিকভাবে জেনে নিতে হবে কারণ বিজনেস ভিসা পেতে কত টাকা লাগে তা এখনো বাইরে প্রকাশ করা হয় না। তবে আপনি যদি বিজনেস ভিসা নিয়ে দুবাই যান তাহলে আপনি সেখানে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন এবং থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা সঠিকভাবে আছে কিনা সবকিছু জেনে তারপরে যাবেন।

দুবাই হোটেল ভিসা

দুবাই যত প্রকার কাজের ভিসা আছে হোটেল ভিসা তার মধ্যে অন্যতম। কারণ দুবাই হোটেল ভিসায় বেতনের পরিমাণ অনেক বেশি তাই বিভিন্ন দেশ থেকে হোটেল ভিসা নিয়ে দুবাই আসার জন্য অধিকাংশ মানুষ আগ্রহী থাকে। আপনি যদি হোটেল ভিসা নিয়ে দুবাই যেতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকার মত খরচ হবে। তবে বিভিন্ন সময়ে দুবাইয়ের হোটেল ভিসার খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তাই সঠিকভাবে বলা মুশকিল আপনার কি পরিমাণ খরচ হতে পারে।

দুবাইয়ে যে সকল কাজ পাওয়া যায় হোটেলের কাজ তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো বেতনের পাওয়া যায়। এর জন্য অনেকে দুবাইয়ে হোটেলের ভিসার মাধ্যমে যেতে চান। আবার আপনি যদি হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে কাজ করেন তবে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। আপনি যদি হোটেলের কাজের জন্য দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই হোটেল ভিসা করে তারপর যেতে হবে।

দুবাই ড্রাইভিং ভিসা

আপনি যদি ড্রাইভিং করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং এর ওপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে হোটেল ভিসার মতো দুবাইয়ে ড্রাইভিং ভিসার ও চাহিদা অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ভিসা করার জন্য ভিসার ড্রাইভিং দক্ষতা এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। ড্রাইভিং ভিসা করার আগে আপনাকে অবশ্যই ড্রাইভিং এর ওপর দক্ষতা

অর্জন করতে হবে এবং আপনার বয়স যদি ২১ বছর হয় তবে আপনি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং ভিসাটি পাবেন। টিটিসি সেন্টারগুলোতে আপনি ড্রাইভিং ট্রেনিং করতে পারেন। এখানে আপনি সঠিক ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ থেকে দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা কত টাকা লাগে

আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন অন্তত ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। তবে মনে রাখবেন আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিতে চান তাহলে দুবাইয়ের একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় হতে আপনাকে ইনভাইটেশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে এবং এর পরে আপনি দুবাই দূতাবাসের মাধ্যমে ইনভিটেশন লেটার দিয়ে আপনার ভিসা তৈরি করতে পারবেন।

তবে আপনাকে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে দুবাই স্টুডেন্ট ভিসায় সবচেয়ে বেশি দালাল চক্র কাজ করে। তাই আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে ভিসা চেক করে নিতে হবে এবং দুবাই স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদকাল হল দুই ২ থেকে পাঁচ ৫ বছরের মত। তাই আপনি অবশ্যই দুবাই যাওয়ার আগে সবকিছু চেক করে নিয়ে তারপরে যাবেন।

দুবাই ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন

আপনি বাংলাদেশ থেকে যে দেশেই যান না কেন আপনাকে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট এবং ভিসা করতে হবে। দুবাই ভিসা করতে কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন নিচে তা আলোচনা করা হলো-

দুবাই স্টুডেন্ট ভিসা

  • আপনার একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ৩০ দিন বাকি থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি পাসপোর্ট বইয়ে অন্তত দুইটি পাতা ফাঁকা থাকতে হবে।
  • জন্ম নিবন্ধন পত্রের একটি আসল কপি থাকতে হবে
  • আপনার সদ্য তোলা ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মিলিমিটার এবং ৪৫ মিলিমিটার
  • ভিসার আবেদন পত্র তারিখ সহ এটি যথাযথভাবে পূরণ করে ভিসার আবেদন পত্র জমা দিতে হবে
  • আপনার অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রশংসাপত্র থাকতে হবে
  • আপনি করো না টিকা দিয়েছেন কিনা এর সার্টিফিকেটের কপি থাকতে হবে
  • স্টুডেন্টের ব্যয় কারা বহন করবে তার বিবরণ উল্লেখ করা একটি কভারিং লেটার তৈরি করতে হবে।
  • আপনার পড়াশোনার সময় খরচ কভার করার জন্য আর্থিক উপায়ের সঠিক প্রমাণ সমূহ উল্লেখ করতে হবে।
  • আপনার সমস্ত একাডেমিক ডকুমেন্টস দুবাই দূতাবাস তথা কনসুলেট এ জমা দিতে হবে এবং তার সাথে সত্যায়িত করে নিতে হবে।
  • একটি অর্থ প্রদানের রশিদ থাকতে হবে যার মাধ্যমে বোঝা যাবে যে আপনি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পরিমাণের অর্থ প্রদান করেছেন।
  • আপনি যেই বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধায়ন করতে চান সেখানে গ্রহণযোগ্যতা পত্রসহ কিন্তু সীমাবদ্ধতা নয় মনোনীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য দিতে হবে।

ট্যুরিস্ট ভিসা

  • আপনার একটি মেয়াদ উত্তীর্ণ বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ৩০ দিন বাকি থাকতে হবে এবং এর পাশাপাশি পাসপোর্ট বইয়ে অন্তত দুইটি পাতা ফাঁকা থাকতে হবে
  • আপনার ভোটার আইডি কার্ডের মেইন কপি এবং ফটোকপি থাকতে হবে
  • জন্ম নিবন্ধন পত্রের একটি আসল কপি থাকতে হবে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের একটি আসল কপি থাকতে হবে
  • ভিসার আবেদন পত্র তারিখ সহ এটি যথাযথভাবে পূরণ করে ভিসার আবেদন পত্র জমা দিতে হবে
  • আপনার সদ্য তোলা ছবি থাকতে হবে যার আকার হবে ৩৫ মিলিমিটার এবং ৪৫ মিলিমিটার
  • আপনার অবশ্যই একটি স্বীকৃত মেডিকেল সেন্টার থেকে আপনার স্বাস্থ্য মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রশংসাপত্র থাকতে হবে
  • আপনি করো না টিকা দিয়েছেন কিনা এর সার্টিফিকেটের কপি থাকতে হবে
  • আপনি কোথায় কোথায় ভ্রমণ করবেন তা নিশ্চিত হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই আবাসনের বিবরণ দিতে হবে।

শেষ কথা

আপনারা যারা কাজের সন্ধানে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে চান তারা অবশ্যই সঠিকভাবে পাসপোর্ট ভিসা করে এবং সেগুলো অনলাইন থেকে যাচাই করে নিয়ে তার পরে যাবেন। আমি দুবাই ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আপনারা যারা বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে দুবাই যাবেন আমার এই লেখা তাদের অনেক উপকারে আসবে।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url