বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে ও বাত জ্বর একটি পরিচিত রোগ। সাধারণত ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাই আমাদের বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। তাই আমি বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা যারা বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান আমার পোস্ট তাদের জন্য।

Image

বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানুন এবং দেরি না করে রিউমটো লজিস্ট ডাক্তার দেখান। আপনি যদি বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে পারেন তাহলে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন। নিচে বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাত জ্বর কাকে বলে - বাত জ্বরের কারণ ও লক্ষণ 

বাত জ্বর কাকে বলে

বাত জ্বর হলো শরীরের গিরা বা অস্থি সন্ধি গুলোর প্রদাহ জনিত রোগ যাকে রিউমেটিক ফিভার ও বলা হয়। বাত জ্বরে আক্রান্ত রোগীর শরীরে তীব্র ব্যথা এবং জ্বর থাকতে পারে স্ট্রোপটোকক্কাস নামক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু দ্বারা এই রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত গলা ব্যথা হলে যাকে আমরা টনসিলের সমস্যা বলি তা যদি যথাযথ এবং সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে এই সমস্যা থেকে বাত জ্বর দেখা দেয়। 

বাত জ্বর হলো একটি সংক্রামক রোগ আর বাত জ্বরের জীবাণু সাধারণত গলায় সংক্রমণ করে এবং সংক্রমনের দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে বাত জ্বর দেখা দেয়। বাজার হলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি পর্যন্তই থাকে যা সাধারনত জ্বর বলে ধরা হয় না কিন্তু রোগী শরীর সারাক্ষণ জ্বরে ম্যাজম্যাজ করে।

বাত ব্যথা কি

বাত ব্যথা বা সিস্টেমিক ডিজিজ হল একপ্রকার ঘাতক রোগ বা শরীরবৃত্তীয় রোগ যার উপসর্গ মানুষের সমস্ত শরীর জুড়ে দেখা যায়। এই বাত ব্যথাকে আবার রিউমেটিভ আর্থ্রাইটিস বা সংক্ষেপে RA বলা হয়। মানুষের অটোই মিউন ব্যাধি হল বাত ব্যথা। বাত রোগ হলে মানুষের ইমিউন সিস্টেম যাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলা হয় তা মানব শরীরের জয়েন্ট গুলোকে আক্রমণ করে থাকে। বাত বা আর্থাইটিস এই শব্দ দুটি হল গ্রিক শব্দ।

অস্থি সন্ধির প্রদাহ যা হলে অস্থি সন্ধির প্রদাহ হয় এবং এটা মানুষ শরীরের একাধিক অস্থি সন্ধি আক্রান্ত করে থাকে। বাত ব্যথা ছোট মানুষের চেয়ে বড় মানুষের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এবং বড় বয়সের মানুষের বাত ব্যথায় সমস্যা ও বেশি হয়। বাত ব্যথার উৎপত্তি হয় মানব শরীরের অস্থিসন্ধিতে যাকে ইউরিক এসিড ও বলা হয়। মানব শরীরের ইউরিক এসিড যখন ইউরিন বা প্রসবের মাধ্যমে যে পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যাওয়ার কথা 

আরো পড়ুনঃ রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার  - এর ডাক্তারেরগণের তালিকা দেখুন

সে পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যেতে পারে না তখন দেখা দেয়। আমাদের শরীরের যদি দীর্ঘমেয়াদি কোন ব্যথা থাকে যেগুলো আমার আমাদের অস্থি সন্ধিতে আক্রমণ করে তাকে বলা হয় বাত ব্যথা। আমাদের শরীরের দীর্ঘমেয়াদী কোন ব্যথা অস্থিসন্ধি, মাংস এবং হাড়ের ব্যথা তাকে বলা হয় বাত ব্যথা। বাত ব্যথা সাধারণত ১৫ বছর বয়সের পর অর্থাৎ বয়স বেশি হলে হয়ে থাকে। আর বয়সের সাথে সাথে যে ব্যথা হয় তাকে বলা হয় অস্টিও আর্থাইটিস।

শিশুদের বাত জ্বর

শিশুদের বাত জ্বর হয়ে থাকে স্ট্রোপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া জনিত জীবাণুর কারণে। তবে স্ট্রোপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে এর মধ্যে গ্রুপ এ দ্বারা বেশি সংক্রামিত হয়ে থাকে। এই রোগ হৃৎপিণ্ডে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ক্ষতি করে। এই রোগ প্রথমে অল্প সময় মেয়াদী গিঁটে ব্যথা করে এবং পরে তা ফুলে যায় এবং শেষে হৃদপিন্ডের প্রদাহ, অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিত শারীরিক গতিবিধি দেখা দেয় যা মস্তিষ্কে ও প্রদাহ করে শরীরে রাশ বা চাকা দেখা যেতে পারে। 

৫ থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে বাতজ্বরের বিস্তার পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় হয়ে থাকে। বাত জ্বরের সংখ্যা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন কিন্তু কিছু কিছু দেশে এর অবস্থার শূন্য কোটায় আবার কোন কোন দেশে উচ্চ হারে দেখা যায়। পৃথিবীর ১৫ মিলিয়ন লোক বাত জ্বর জনিত হৃদরোগে আক্রান্ত হয় এবং যেখানে বছরে দুই ২ লাখ ৮২ হাজার নতুন করে সংক্রামিত হয় এবং দুই ২  লাখ ৩৩ হাজার মানুষই এর মধ্যে মারা যায়।

বাত জ্বরের জীবাণুর নাম

বাত জ্বরের জীবাণুর নাম হল স্ট্রোপটোকক্কাস পায়োজেন বা গুরুপিতা হেমোলাইটিক স্ট্রোপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন । এই জীবাণু প্রধানত ব্যাকটেরিয়া জনিত জীবাণু। বাত জ্বর হলে ব্যক্তির নিজের শরীরের টিসুর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় তবে যাদের শরীরে বাত জ্বরের জিন রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় খুব সহজে আক্রান্ত হয়ে থাকে। দারিদ্রতা এবং পুষ্টিহীনতা এই রোগের জন্য দায়ী। বাত জ্বর সনাক্ত করার ক্ষেত্রে এর কিছু উপসর্গ রয়েছে 

আরো পড়ুনঃ  এলার্জি কত ধরনের - এলার্জি হলে কি কি সমস্যা হয় জানুন

এবং সেই সাথে স্ট্রোপটোকক্কাস দ্বারা সংক্রমিত হবার প্রমাণ থাকাও প্রয়োজন। তবে সাধারণত স্ট্রোপটোকক্কাস দ্বারা কণ্ঠনালী সংক্রামিত হয় যাকে আমরা টনসিলের ব্যথা বলে থাকি। তবে পেনিসিলিন দ্বারা চিকিৎসা করালে বাত জ্বর হবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

বাত জ্বরের কারণ 

বাতজ্বর সাধারণত বিটা হিমোটোলাইটিক স্ট্রোপটোকক্কাস নামক এক ধরনের জীবাণুর আক্রমণের জন্য হয়ে থাকে। তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব, স্যাঁতশেতে পরিবেশ, দারিদ্রতা এবং বিভিন্ন অজ্ঞাত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। শিশুর দীর্ঘদিন ধরে খোস পাঁচড়া এবং টনসিলের রোগ থাকলে তাদের বাত জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। বাত জ্বর সাধারণত গলার প্রদাহ জনিত রোগ এবং এই রোগের প্রক্রিয়াকে তরান্ত করে। কিন্তু প্রথমে এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে বোঝা যায় না।

বাত জ্বরের উপসর্গ / লক্ষণ

বাত জ্বর সাধারণত বিটা হিমোটোলাইটিক স্ট্রোপটোকক্কাস নামক এক ধরনের জীবাণুর আক্রমণের জন্য হয়ে থাকে। বাপ ঝড়ের কিছু উপসর্গ বা লক্ষণ প্রকাশ পায় সেগুলো হল-

  • জ্বর  তবে তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে থাকে যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার মতো মনে হলেও রোগীর শরীর সারাক্ষণ ম্যাজ ম্যাজ করে।
  • অস্থি সন্ধিতে মৃদু বা তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে যা প্রায় পায়ের গোড়ালো হাটু কনুই অথবা হাতের কব্জি এবং কখনো কখনো হাত পায়ের পাতায় হয়ে থাকে
  • হৃদপিন্ডের প্রদাহ যার ফলে বুক ব্যথা বুক ধরফর করা নারীর গতি বেড়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে
  • ব্যথা সাধারণত এক অস্থি সন্ধি থেকে আরেক অস্থির সন্ধিতে ছড়িয়ে পড়ে যা মাইগ্রেটরি পলি আর্থাইটিস নামে পরিচিত
  • সাধারণত শরীরের বড় বড় অস্থি সন্ধিতে ব্যথা হয় তবে একটি সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাওয়ার পর অন্যটি আক্রান্ত হয়
  • শরীরের জয়েন্ট গুলো লাল উষ্ণ ও ফোলা থাকে
  • বুকে ব্যথা ও বুক ধরফর করে
  • শ্বাসকষ্ট হয়
  • অল্পতে ক্লান্ত লাগে এবং শরীর দুর্বল বোধ হয়
  • ত্বকের নিচে ক্ষুদ্র ব্যাথাহীন পিণ্ড বা সাবকিউটেনিয়াস নডিউল থাকে
  • হাত পা বা শরীরের কোন অংশে নিয়ন্ত্রণহীন কাঁপুনি হতে পারে
  • ত্বকের নিচে সিমের বীজের মত ছোট আকৃতির শক্ত বা ব্যথাযুক্ত দানা হতে পারে
  • রক্তে ই এস আর বা সিপিআর বৃদ্ধি পায় বা পেতে পারে
  • রোগীর ইসিজি পরিবর্তিত হয় যথা পি আর এর ব্যবধান দীর্ঘায়িত হয়
  • খাদ্যে অরুচি পায়ে পানি আসা এবং প্রচন্ড দুর্বলতা অনুভব হতে পারে
  • বাতজ্বর পাঁচ ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সে হয় বলে শারীরিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্ত হতে পারে 

ওপরের সমস্যা গুলো দেখা দিলে আপনি নিশ্চিন্ত হয়ে যাবেন আপনার বাত জ্বর হয়েছে সে ক্ষেত্রে আপনি দেরি না করে একজন বাত জ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন। কারণ সঠিক ভাবে চিকিৎসা না করালে আপনার হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী জটিলতা দেখা দিতে পারে। এবং হৃদপিন্ডের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও আপনার শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা থেকে আপনার জয়েন্ট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

বাত জ্বরের পরীক্ষার নাম

বাত জ্বর নির্ণয়ের জন্য আসলে এর কোথায় গোর  কোন পরীক্ষা নেই স্ট্রোপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের পর মানুষের শরীরের ই এস রাইটার বৃদ্ধি পায় তবে শুধু এএসও টাইটার পরীক্ষা করে বার জ্বর নির্ণয় করে যায় না বাপজর নির্ণয় করার জন্য ডাক্তারেরা অসুস্থতার লক্ষণ গুলি প্রথমে অনুসন্ধান করেন এবং চিকিৎসার ইতিহাস এবং সেইসাথে অনেকগুলো পরীক্ষা করতে পারেন 

যার মাধ্যমে মধ্যে রয়েছে একটি গ্রুপ এ স্টেপ বাতজ্বরের সংক্রমণের জন্য পরীক্ষা। তবে বাত জ্বরের উপসর্গ এবং অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি এস টাইটার বাজার সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে মাত্র তাই একে বলা হয় বাজার নির্ণয়ের একটি সহায়ক পরীক্ষা

বাত জ্বরের ইনজেকশন

বাত জ্বরের কারণে যে সব ইনজেকশন দেওয়া হয় তা হলো- Ing : Benzathine Penicillin for IM সিঙ্গেল ডোজ। আবার অনেক সময় বাত জ্বরের কারণে যাদের হৃদ রোগ হয় তাদের ১৫ দিন পর অথবা এক মাস পর পর একটি করে বেনজাথিন পেনিসিলিন ইনজেকশন নেওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক গন।

বাত জ্বরের ডাক্তার

যেসব ডাক্তার বাত জ্বরের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তাদেরকে বলা হয় রিমাটোলজিস্ট।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং বাত ব্যথা বিশেষজ্ঞ

ডাক্তার প্রবীর মোহন বসাক

এমবিবিএস বিসিএস স্বাস্থ্য

এফসিপিএস মেডিসিন, এমআরসিপিইই উইকে

এমআরসিপি এস সি ই (রিউমাটোলজি) ইউকে

সরকারি অধ্যাপক মেডিসিন বিভাগ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

রোগী দেখার সময়ঃ শনি থেকে বৃহস্পতি প্রতিদিন বিকেল তিন ৩ টা থেকে রাত দশ ১০টা পর্যন্ত

শুক্রবার বন্ধ

যোগাযোগ নাম্বারঃ ০১৭১২ - ৬৩ ৪৫ ১২, ০১৭৬৮ - ৫৫ ২৩ ৫৬

হট লাইনঃ ০৯৬১৩৭৮৭৮১১

ডাক্তার মোহাম্মদ হাসান তারিক

অধ্যাপক মেডিসিন বিভাগ

এমবিবিএস এমসিপিএস মেডিসিন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, রাজশাহী

রোগী দেখার সময়ঃ শনি থেকে বৃহস্পতি বার প্রতিদিন  দুপুর ২:৩০ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত

যোগাযোগ নাম্বারঃ হট লাইনঃ ০৯৬১৩৭৮৭৮১১

আপনারা এই দুইজন ডাক্তারকে রাজশাহী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর নতুন ভবনে পেয়ে যাবেন। আপনারা যদি বাত ব্যথায় ভোগে থাকেন তাহলে নিশ্চিন্তে এই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।

অধ্যাপক ডাক্তার এম মনজুর হাসান

এমবিবিএস এনফিল এফসিজিপি মেডিসিন জাইকা ফেলো জাপান

বাত জ্বরের ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জাপান, মেডিসিন ও বাত জ্বর বিশেষজ্ঞ,

অধ্যাপক ও সাবেক পরিচালক জাতীয় বাত জ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল কমপ্লেক্স, ঢাকা।

বাত জ্বরের ঔষধ এর নাম / চিকিৎসা

বাত জ্বর দেখা দিলে শরীর ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলা ব্যথা হয়। তবে যদি সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করানো যায় তাহলে বাত জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে ঔষধ  দিয়ে থাকেন তা হল-

Ing : Benzathine Penicillin for IM সিঙ্গেল ডোজ,

Phenoxymethyl Penicillin ট্যাবলেট অথবা সিরাপ ৭ থেকে ১০ দিন সেবন করলে রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। 

তবে মনে রাখবেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কোনো ওষুধ গ্রহণ করা ঠিক নয় কারণ এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে আজ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের এই রোগ হলে দিনে দুইবার পেনিসিলিন ট্যাবলেট সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বাত জ্বর বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ। আবার অনেক সময় বাত জ্বরের কারণে যাদের হৃদ রোগ হয় তাদের ১৫ দিন পর অথবা এক মাস পর পর একটি করে বেনজাথিন পেনিসিলিন ইনজেকশন নেওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক গন।

বাত জ্বরের ব্যথা নাশক হিসেবে অ্যাসপিরিন খুব কার্যকরী। তবে প্রদাহ কমানোর জন্য  অ্যাসপিরিনের  পাশাপাশি কার্টি কোস্টেরোয়েড যেমন প্রেডনিসোলন ব্যবহৃত হয়। তবে এর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক যেমন ফিনক্সি মিথাইল পেনিসিলিন, বেনজাথিন পেনিসিলিন, ইরাইথ্রোমাইসিন প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।

আরো পড়ুনঃ রাজশাহীর সেরা নবজাতক - শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণের তালিকা ও ফোন নাম্বার

বাত জ্বরের প্রথম চিকিৎসা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হবে। বিশ্রাম হৃদপিন্ডের কাজের চাপ কমায় ফলের হৃদপিণ্ড তাড়াতাড়ি সেরে ওঠে। বাত জ্বর হলে জীবাণুন নাশক, ব্যাথা নাশক ও স্টোর এজ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করানো যেতে পারে কারণ হোমিওপ্যাথিক লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধি খাওয়া ঠিক নয় যে কোন রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ওষুধ খাওয়া উচিত।

তবে মনে রাখবেন বাতজ্বরের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি। এই চিকিৎসা কখনো ৫ বছর থেকে ২১ বছর পর্যন্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে আবার কখনো ৪০ বছর পর্যন্ত নিতে হতে পারে আবার কখনো যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিনও নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

শেষ কথা

আমি বাত জ্বর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তবে বাত জ্বর কখনোই অবহেলা করবেন না কারণ এটা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর যেহেতু এই সমস্যা পাঁচ ৫ বছর বয়স থেকে ১৫ বছর বয়সে শিশুদের হয়ে থাকে তাই তাদের বেশি যত্নে রাখা প্রয়োজন। রোগ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধী বেশি জরুরী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url