শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার বিস্তারিত
তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সঠিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। ইন্টারনেটের ব্যবহার না জানলে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে জানা যাবে না। তাই আমি শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত লিখার চেষ্টা করেছি।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে ইন্টারনেটের ব্যবহারে বাংলাদেশ ও পিছয়ে নেই। আর এই ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলে জ্ঞান অর্জনে চলে এসেছে অনেক সহজ লভ্যতা। কারণ ইন্টারনেট হল একটি সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত লিখা হলো-
পোস্ট সূচিপত্রঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও গুরুত্ব
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি/ ১০ টি ব্যবহার
- শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা
- ইন্টারনেট ব্যবহারে শেষ কথা
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা
বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ শিক্ষা থেকে
শুরু করে চাকরি, ব্যাংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেট
নির্ভর হয়ে পড়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেটের ব্যবহারে সংস্কার
ঘটেছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান করার
লক্ষ্যে এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ কম্পিউটার কেন্দ্রীক করার লক্ষ্যে
বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে যা শিক্ষা ক্ষেত্রে বড়
ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
আমরা যদি উন্নত বিশ্বের শিক্ষার দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পায় উন্নত বিশ্বের
শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নির্ভর। আমাদের দেশে গবেষণা
কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার সফলতা যেমন দেখা যায়, তেমনিভাবে আবার আমাদের দেশের
শিক্ষা ব্যবস্থাকে ও উন্নত করার লক্ষ্যে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইন্টারনেট বা
কম্পিউটার ও গবেষণা কেন্দ্রিক শিক্ষার দিকে মনোনিবেশ করার পরিকল্পনাও শুরু
হয়েছে।
আরো পড়ুন ঃবাংলাদেশের উৎসব রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
করোনা মহামারীতে পুরো বিশ্ব থমকে গিয়েছিল সেই সাথে বন্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ তথা
আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সবচেয়ে আশার কথা হল শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলেও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল একমাত্র ইন্টারনেটের
মাধ্যমে। করোনা মহামারীর কারণে আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় দুই বছর
বন্ধ থাকলেও শিক্ষা কার্যক্রম থেমে থাকেনি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভার্চুয়াল
পদ্ধতিতে চলেছে নিয়মিত পাঠদান পদ্ধতি।
আমাদের এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের
প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপ সহ শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাবের
ব্যবস্থা করেছেন। আর এইসব উপকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার প্রতিটি
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানিক ক্লাস কার্যক্রম চালু রেখেছিলেন। শিক্ষার্থীরা নিজেদের
বাড়িতে বসে তাদের হাতের মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল
ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। এটা মূলত সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের অগ্রগতির
কারণে।
আর এই করোনা মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় যদি ইন্টারনেটের
ব্যবহার না করা হতো তাহলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তো। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা
প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেত। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর এই শিক্ষা ব্যবস্থা
যদি বন্ধ হয়ে যেত তাহলে তা হতো দেশ তথা সমাজের জন্য খুবই বিপদজনক। ইন্টারনেট
ব্যবহার করেই ফেসবুক এবং ইউটিউবসহ অনলাইনে অনেক ভিডিও টিউটোরিয়াল ভিত্তিক
বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাদানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।
করোনা এই মহামারির সময় ছাত্র শিক্ষকসহ আমাদের পুরো শিক্ষা সমাজ অনলাইনের দিকে ঝুকে পড়েছে এর মধ্যে ই- লার্নিং ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধু দ্রুততা বা গতিশীলতা এনে দিয়েছে তা নয়, বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের প্রভাব বিস্তার লাভ করেছে। আর এই জন্যই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার ও গুরুত্ব
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ বর্তমান যুগ হলো তথ্য-প্রযুক্তির যুগ। আর এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ছাড়া যেন কোন কিছুই কল্পনা করা যায় না। ইন্টারনেট আসার পর আমাদের দৈনন্দিন জীবন বিশেষ করে শিক্ষাজীবন, কর্মজীবন সহ প্রতিটা ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই ইন্টারনেটের ফলে জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা।
জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে যেমন ইন্টারনেটের ভূমিকা রয়েছে তেমনি শিক্ষা
ক্ষেত্রে ও ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। বর্তমানের এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে এমন
কোন মানুষ নেই যারা ইন্টারনেটের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত নয়।
মানুষ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। শিক্ষা, ব্যবসা,
বাণিজ্য, চিকিৎসা প্রতিটা ক্ষেত্রে রয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবহার।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে মানুষ ঘরে বসে অফিসের কাজ পরিচালনা করছে। টেলিমেডিসিন
সুবিধা ব্যবহার করে মানুষ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা পর্যন্ত ঘরে বসে নিচ্ছে।
আবার একজন শিক্ষার্থী ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন তথ্যভাণ্ডার থেকে তার প্রয়োজনীয়
বইগুলো সংগ্রহ করতে পারছে। তাই একজন শিক্ষার্থী যদি তার জ্ঞান ভান্ডারকে সহজে
সমৃদ্ধ করতে চায় তবে তার জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি/ ১০ টি ব্যবহার
তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের শিক্ষা ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের
ব্যবহার অনেক গুণ বেড়ে গেছে। আর এই ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলেই জ্ঞান অর্জনে চলে
এসেছে অনেক সহজলভ্যতা। আর এর প্রধান কারণ হলো ইন্টারনেট একটি সমৃদ্ধ তথ্য
ভান্ডার। আর এই সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডারে শিক্ষা সম্পর্কিত এমন কোন বিষয় নেই যা
পাওয়া যায় না। একজন শিক্ষার্থীর চাহিদা মত বই, প্রশ্ন, উত্তর সব কিছুই এখানে
পাওয়া যায়। তাই আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেট
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশে সাশ্রয়ী
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আর একটি দেশের উন্নতির জন্য শিক্ষা হলো একটি অপরিহার্য
বিষয়। তাই শিক্ষা অর্জনের সহজলভ্যতা নিয়ে আসা এবং ছাত্রসমাজকে উন্নত করার
লক্ষ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং এর চূড়ান্ত অভিনব কৌশল হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা সাশ্রয়ী এবং সময়োপযোগী। অর্থের দিক থেকে
মানুষ যেমন সাশ্রয়ী হয় ঠিক তেমনি সাশ্রয়ী হয় সময়ের দিক থেকেও। তাই
ইন্টারনেটের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরো পড়ুন ঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রধান জীবিকা হল কৃষি এবং অর্থনৈতিকভাবে বেশিরভাগ পরিবারের দরিদ্র। তাই বাংলাদেশের সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বই পুস্তক প্রদানের পাশাপাশি ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারের পাশাপাশি গ্রহণ করেছেন ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন পদক্ষেপ।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার করার অর্থই হলো জ্ঞান অর্জনের একটি সহজলভ্য উপায়। আর এর প্রধান কারণ হলো ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের সকল বই সংগ্রহ করা যায়। বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে সফলতা এসেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
ইন্টারনেট সময়োপযোগী তথ্যের ভান্ডার
ইন্টারনেটকে বলা হয় তথ্যের মহা ভান্ডার বা মহাসমুদ্র। এই ইন্টারনেটে এত বেশি
তথ্য সংরক্ষিত থাকে যা পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। একজন
শিক্ষার্থী তার প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোন ধরনের তথ্য সে জানতে চাই ইন্টারনেটে তার
চেয়েও বেশি তথ্য বিদ্যমান থাকে। একজন শিক্ষার্থী তার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য
মুহূর্তের মধ্যে পেয়ে যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
আগেকার দিনে এমন একটা সময় ছিল যখন কোন প্রশ্ন বা তার উত্তর বা যে কোন সমস্যা
সমাধানের জন্য কোন বিদ্বান ব্যক্তির কাছে যেতে হলে অনেক কষ্ট করে তারপর সেখানে
যেতে হতো। যা ছিল অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কিন্তু আজ ইন্টারনেটের ব্যবহারের ফলে
যে কোন প্রশ্নের উত্তর মুহূর্তের মধ্যে পাওয়া সম্ভব। তাই সমোপযোগী কোন প্রশ্নের
উত্তরের জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশ্বমানের শিক্ষা দ্বারা পাঠদান ব্যবস্থা
বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ শিক্ষক বিভিন্ন
ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক পাঠদান করে থাকেন। কারণ ইন্টারনেটের রয়েছে
লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ভিত্তিক পাঠদানের সুব্যবস্থা। ওয়েবসাইট গুলো
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রকৌশলী এবং সফল মানুষ দ্বারা পরিচালিত হয়।
শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে তারা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে
বিভিন্ন ইনফরমেশন শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শেয়ার করে থাকেন।
আরো পড়ুন ঃবাংলাদেশের পর্যটন শিল্প রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের লার্নিং টুলস রয়েছে আর এই টুলস ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখকের বই। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেসব বই পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ই-বুক। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
একাডেমিক শিক্ষার পাঠদান
ইন্টারনেট ব্যবহার করে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা
হয়ে থাকে। বিশেষ করে যখন কোন মহামারী বা কোন দুর্যোগ আসে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকে তখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান করার ব্যবস্থা
করা হয়ে থাকে। তাই যে কোন দুর্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা
তাদের নিজেদের বাড়িতে বসেই মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ক্লাসগুলোতে
নিয়মিত অংশগ্রহণ করতে পারে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করা না হতো তাহলে যেকোন দুর্যোগে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত যা হতো আমাদের সমাজের জন্য খুবই ভয়ঙ্কর। আর ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণেই এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে আমাদের ছাত্র সমাজকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
আমাদের দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব তথা শেখ রাসেল ল্যাব সহ
ইন্টারনেটের ব্যবহার রয়েছে। তবে এই ইন্টারনেটের ব্যবহারকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন
করতে হবে। শিক্ষকের পাশাপাশি যদি অভিভাবকেরা তাদের সন্তানদের সঠিকভাবে ইন্টারনেট
ব্যবহারের বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তবে ইন্টারনেটের উপকারিতা তারা সঠিকভাবে
উপলব্ধি করতে পারবে।
শিক্ষায় মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রজেক্টর বা মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক পাঠদান ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে খুব সহজ পদ্ধতিতে এবং চমৎকার ভাবে পাঠদান করা যায়। শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে এই পাঠ দান করা হয়ে থাকে। আর এই কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহারের গুরুত্ব অপরিসীম।
বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা বিষয়ক কন্টেন্ট তৈরি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে পাঠ দান করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মনে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়। এই কারণে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার করে গুরুত্বের সাথে পাঠদান কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
নিরবিচ্ছিন্ন ছাত্র- শিক্ষক সম্পর্ক
বর্তমানে এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ছাত্র শিক্ষক সহ প্রায় সকলেই সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ব্যবহার করে এবং এতে শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হয়ে থাকে
এবং উভয়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। আর এই শিক্ষক-
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জ্ঞান অর্জনের গতিকে আরো ত্বরান্বিত
করে। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে অভিভাবকেরা খুব সহজেই শিক্ষকদের সাথে তাদের
মতামত আদান-প্রদান করতে পারেন।
আরো পড়ুন ঃ লঞ্চ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
ইন্টারনেট ব্যবহারের পূর্ববর্তী সময়ে ক্লাসে পাঠদান শেষে শিক্ষার্থীদের মনে যদি
শিক্ষা বিষয়ে কোন প্রশ্ন তৈরি হতো অথবা ক্লাসের পড়া যদি তাদের বুঝতে সমস্যা হতো
তাহলে তার সমাধানের জন্য অপেক্ষা করতে হতো পরবর্তী ক্লাসের জন্য। কিন্তু
ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হওয়ার পর থেকে আর এই সমস্যা তাদের পোহাতে হয় না। এখন
যেকোনো সময় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
শিক্ষার গতি বৃদ্ধিতে ইন্টারনেটের ব্যবহার
ইন্টারনেটের ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরো ত্বরান্বিত করে যেসব শিক্ষার্থী
জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে তারা সাধারণত অন্যান্য শিক্ষার্থীদের
থেকে একটু আলাদা জ্ঞানের অধিকারী হয়ে থাকে কারণ ইন্টারনেটে যে ধরনের তথ্য পাওয়া
যায় তা অন্য কোথাও পাওয়া সম্ভব হয় না যেসব শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যবহার করে
সেসব শিক্ষার্থী প্রায় সব সময় নতুন নতুন জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ হয় ইন্টারনেটের
ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়
ইন্টারনেট ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থীর বিশ্বের যে কোন প্রান্তের যেকোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। যা একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিযোগী হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা যদি ইন্টারনেট ব্যবহার না করতো তাহলে তারা এই প্রতিযোগিতা করতে পারত না।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে ব্যবহার করে পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা যায়
একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষে কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে তা যাচাই করা হয় তার
পরীক্ষার ফলাফল এর মাধ্যমে। একজন শিক্ষার্থী তাদের পড়াশোনার অগ্রগতিতে এবং
সাফল্য অর্জনের জন্য বোর্ড পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি নির্দিষ্ট সময়
শিক্ষা দানের পর প্রতিটি ক্লাসের জন্য একটি বোর্ড পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
মানুষ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করত না সে সময় রেজাল্ট দেখার জন্য মানুষকে অপেক্ষা
করতে হতো প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত যা ছিল একজন শিক্ষার্থীর জন্য অনেক কষ্টের
বিষয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে রেজাল্ট জানার জন্য এখন আর সেই কষ্ট করে অপেক্ষা করতে
হয় না বা তাকে প্রতিষ্ঠানেও যেতে হয় না। প্রত্যেকটি বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল এখন
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই দেখা সম্ভব।
শিক্ষা সফরে ইন্টারনেটের ব্যবহার
প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় শিক্ষা সফরের ভেন্যু নির্ধারণ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। আর এসব ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়। আর এসব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে সঠিক লোকেশন নির্ণয় করা ও সম্ভব হয়।
আরো পড়ুন ঃ মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
যা শিক্ষা সফরের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আবার এমন অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা নিজ উদ্যোগে কোথাও শিক্ষা সফরে যায় এসব শিক্ষার্থীরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করে আগে থেকেই লোকেশন এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা
ব্যক্তি জীবনে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
আজকের এই বিশ্বে যে দেশগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উন্নতি করতে পেরেছে
তাদের বেশিরভাগই বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব আরোপ
করেছে। আমরা সবাই একাডেমিকভাবে শিক্ষা অর্জন করি যা অনেক সময় আমাদের বাস্তব
প্রয়োজনে কোন কাজে আসে না। আবার অনেক সময় ব্যাক্তি জীবনের ক্যারিয়ার গঠনের
ক্ষেত্রেও এটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্টারনেট ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা হল এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা পৃথিবীর যে
কোন প্রান্ত থেকে এবং যে কোন শিক্ষকের কাছ থেকে বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা
গ্রহণ করা সম্ভব হয়। তাই একজন শিক্ষার্থীর বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা গ্রহণের
ক্ষেত্রে এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার তার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের অপকারিতা
শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও
রয়েছে। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয় যে কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীর জন্য ইন্টারনেটের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে
যারা ক্লাস শেষ হলে ও ইন্টারনেট চালায় এবং বিভিন্ন গেম খেলায় তারা আসক্ত হয়ে
যায়। শিক্ষার্থীরা এইভাবে দীর্ঘ সময় ইন্টারনেটের ব্যবহারে সময় নষ্ট করে
থাকে যা একজন শিক্ষার্থীর জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আরো পড়ুন ঃকৃষি উদ্যোক্তা রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
মোবাইল এবং কম্পিউটার হল একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। দীর্ঘ সময় একটানা ব্যবহার করার
ফলে ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি মানসিক চাপ তৈরি হয় যা স্বাস্থ্যের পক্ষে
ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও ল্যাপটপ, মোবাইল, কম্পিউটার এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের
স্কিনের দিকে দীর্ঘ সময় তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের ক্ষতি হয়।
একজন শিক্ষার্থী যদি সর্বক্ষণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাহলে তার জীবনে হতে পারে একটি বড় ধরনের বিপদ। তাই ইন্টারনেটের উপকারিতা পেতে হলে ইন্টারনেট ব্যবহারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারে শিক্ষকের পাশাপাশি অভিভাবকদের ও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের দশটি ১০টি ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন।
ইন্টারনেট ব্যবহারে শেষ কথা
পরিশেষে আমরা এ কথা বলতে পারি যে, শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার এটি
যুক্তিসম্মত বিষয় এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারে একজন
শিক্ষার্থী কে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে ব্যবহার করতে হবে। কারণ অধিক সময়
ধরে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ
হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষ কোন প্রয়োজন না থাকলে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহার করা
থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার কখনোই ভালো ফলাফল দিতে
পারেনা। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকার কথা অস্বীকার করা ও যায় না।
এছাড়া সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে শিক্ষা জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার
গুরুত্বহীন ভূমিকা পালন করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url