ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা একান্ত প্রয়োজন কারণ প্রায় পরীক্ষাতেই যে কোন একটি খেলাধুলা বিষয়ে রচনা থাকে। ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর অর্জন করা সম্ভব। তাই আমি ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আমি ফুটবল খেলা রচনার যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমি আশা করি আমার এই লিখা তোমাদের অনেক উপকারে আসবে।তোমরা পরীক্ষায় ভালো নম্বরের জন্য অবশ্যই আমার এই রচনাটি পড়তে পারো। ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
ফুটবল খেলা রচনা
ভূমিকা
ফুটবল খেলা একটি উত্তেজনা পূর্ণ ও চমৎকার খেলা। সভ্যতার শুরু থেকে মানুষ অবসর বিনোদনে নিমিত্তে প্রতিযোগিতা মূলক কিছু শারীরিক কসরত বা শরীর চর্চা আবিষ্কার করেছিল। আর আর শরীরচর্চার এই কসরত গুলোই খেলা নামে পরিচিত। মানব মনের আনন্দ দান ও মনের প্রশান্তির জন্য বর্তমান বিশ্বে যত ধরনের খেলাধুলা প্রচলিত রয়েছে ফুটবল তার মধ্যে অন্যতম। ফুটবল খেলা হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।
আরো পড়ুনঃ গ্রীন হাউজ প্রতিক্রিয়া অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
ফুটবল খেলার জন্ম যদিও চীনে হয়েছে তবে জনপ্রিয়তার কারণে ফুটবল এখন পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।বাংলাদেশেও একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল খেলা। শহর, নগর, গ্রামগঞ্জ সবখানে ফুটবল খেলা হয়ে থাকে। প্রতিটি মানুষ সাধারণত ছোটবেলা থেকেই কোন না কোন খেলার সাথে যুক্ত থাকে কেউ একটি খেলার সাথে যুক্ত থাকে আবার কেউ একাধিক খেলার সাথে যুক্ত থাকে।
আর খেলার মধ্যে যেকোনো একটি মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে যায়। প্রতি চার বছর পর পর বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজন করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সহ ইউরোপা - আমেরিকার ফুটবল জাতীয় খেলা হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশ ও এই খেলা বা ফুটবল খেলা অনেক জনপ্রিয়।
ফুটবল খেলার ইতিহাস
ফুটবল খেলার ইতিহাস সুপ্রাচীন। ফুটবল খেলার জন্ম হয় চীন দেশে। ফুটবল খেলার অপর নাম "সাকার"। তবে ইংল্যান্ডে আধুনিক ফুটবল খেলার জন্ম হয় আর ফুটবল খেলার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও পুরো বিশ্বে এই খেলা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আবার বলা হয় ৩৫০ খ্রিস্টাব্দে ফুটবল খেলার ইতিহাস শুরু হয়। সর্বপ্রথম ফুটবল জাতীয় খেলার উদ্ভব ঘটে প্রাচীন গ্রীক যুগের রোমান সৈন্যদের মধ্যে পা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা খেলতেন।
আরো পড়ুনঃ নারীর ভূমিকা - সমাজে নারীর ভূমিকা - অনুচ্ছেদ জেনে নিন
বর্তমানে ফুটবলের বৈশিষ্ট্য দেখে দেখা যায় সেই খেলা গুলির মধ্যে এটি একটি খেলা। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন বা ফিফার তথ্য অনুযায়ী কুজু খেলা থেকে আধুনিক ফুটবল খেলার উদ্ভব হয়েছে। আর কুজু অর্থ হলো বলে লাথি মারা। ফুটবল খেলাটি ধীরে ধীরে বিশ্বের ছড়িয়ে পড়ে খ্রিস্ট পূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে। কোরিয়ান, চীন, জাপান দেশ গলিতে নতুন নতুন পদ্ধতিতে বিকাশ লাভ করে এই খেলা।
তবে পঞ্চম শতাব্দীতে আধুনিক ফুটবল খেলার সূচনা হয়। পরে এই খেলার বিবর্তন ঘটতে থাকে আস্তে আস্তে। তবে ফুটবল খেলা বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ নাগাদ বর্তমান রুপ লাভ করেছে।তাই ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
ফুটবল খেলার উপাদান
প্রত্যেকটি খেলারই নির্দিষ্ট কিছু উপাদান প্রয়োজন হয়। তবে পৃথিবীতে যত খেলা রয়েছে এবং সেইসব খেলায় যতগুলো উপাদান প্রয়োজন হয় তার তুলনায় ফুটবল খেলায় অনেক কম উপাদান প্রয়োজন হয়। তাই পৃথিবীর যে কোন দেশ যত দরিদ্রই হোক না কেন ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করতে তাদের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। খেলার নাম ফুটবল তাই এই খেলার প্রধান উপকরণ হলো একটি বল আর এই বলটি চামড়া দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। আর এই বলটির ব্যাস হল ২২ সেন্টিমিটার।
ফুটবল মাঠের বর্ণনা
ফুটবল খেলার অতিপ্রয়োজনীয় উপাদান হলো একটি মাঠ। তবে ফুটবল মাঠ বিভিন্ন আকার বিশিষ্ট হতে পারে। তবে ফুটবল মাঠে যে আকার বিশিষ্টই হোক না কেন মাঠ টিকে অবশ্যই আয়তাকার হতে হবে। ফুটবল মাঠ হয় একটি সমতল মাঠ। নির্দিষ্ট সীমারেখা দ্বারা মাঠের চারপাশে চিহ্নিত করা হয়। মাঠের দুই প্রান্তে দুইটি লম্বা গোল পোস্ট থাকে তবে একটি আদর্শ মাঠের দৈর্ঘ্য ১২০ হাত এবং প্রস্থ আশি ৮০ হাত হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
আবার অনেক ক্ষেত্রে মাঠের দৈর্ঘ্য থাকে ১০০ থেকে ১২০ গজ এবং প্রস্থ থাকে ৫০ থেকে ৫৬ গজ হয়ে থাকে। মাঠের দুই পাশে দুটি যে গোল পোস্ট থাকে তার উচ্চতা ৮ ফুট এবং একটি খুঁটির থেকে অপর ফুটের দূরত্ব হলো আট ৮ গজ। একটি আদর্শ ফুটবলের ওজন হয় সাধারণত ১৪ থেকে ১৬ আউন্স। গোলপোস্ট দুইটিতে নেট বা জাল দেওয়া থাকে আর নেটের কালার গুলো সাদা হয়ে থাকে। ফুটবল মাঠের চার কোনায় ৪টি পতাকা পোঁতা থাকে।
খেলোয়াড়ের বর্ণনা
ফুটবল খেলায় সাধারণত দুইটি দল থাকে প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে অর্থাৎ দুই দলে মোট ২২ জন খেলোয়াড় থাকে। খেলা পরিচালনা করার জন্য একজন রেফারি ও দুইজন লাইনসম্যান থাকে। তবে ফুটবল খেলায় দশজন খেলোয়াড়ও একজন গোলরক্ষক থাকে।তাই ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
ফুটবল খেলার বর্ণনা
ফুটবল খেলার জন্য দুইটি দল মাঠের মাঝামাঝি অবস্থান করে। খেলা শুরুর আগে দুই দলের অধিনায়ক এবং রেফারি টস করেন যে দল টসে জিতে যায় সে দল আগে বলে আঘাত করে। রেফারি বাঁসিতে ফু দেয়ার সাথে সাথে খেলা শুরু হয় এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের অবস্থানে চলে যান। গোল পোস্ট পাহারায় দুই জন গোলরক্ষক থাকে। গোল রক্ষক খেলা চলাকালী নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরতে পারেন।
তবে বাকি ১০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে পাঁচজন খেলোয়াড় সামনে ভাগে দাঁড়ায় তাদেরকে বলা হয় ফরোয়ার্ড। আবার এই তিনজনের পেছনে আরো দুইজন খেলোয়াড় থাকে যাদেরকে বলা হয় ফুল ব্যাক বা ডিফেন্স আর গোলরক্ষক সারাক্ষণ গোল হওয়া থেকে রক্ষা করে। ফুটবল খেলা হয় ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট এবং ৪৫ মিনিট খেলার পর আবার দশ ১০ মিনিট বিরতি থাকে। ৯০ মিনিট খেলা শেষ হলে যে দল গোলে এগিয়ে থাকে সেই বিজয়ী হয়।
ফুটবল খেলার পরিচালক
যিনি ফুটবল খেলা পরিচালনা করেন তাকে রেফারি বলা হয়। রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে মেনে নিতে হয়। কোন খেলোয়ার খেলার নিয়ম ভঙ্গ করলে রেফারি সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি বাজিয়ে তিনি তার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং খেলোয়াড়কে সতর্ক করে দেন। মাঠের দুই পাশে দুইজন লাইন্স ম্যান থাকেন তারা রেফারীকে সহযোগিতা করেন।
ফুটবল খেলার নিয়ম নীতি
পৃথিবীর অন্যান্য খেলার মত ফুটবল খেলার কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে আর এই নিয়ম নীতি মেনে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে ফুটবল খেলার এই নিয়মগুলো প্রণীত হয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক বা ফিফা কর্তৃক। ফিফা ফুটবল খেলায় যে নিয়মগুলো প্রণীত হয় তা হলো-
আরো পড়ুনঃ স্মার্ট বাংলাদেশ - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
- কেউ হাত দিয়ে বল ধরলে তাকে হ্যান্ডবল ধরা হবে।
- গোলরক্ষক নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হাত দিয়ে বল ধরতে পারবে।
- বল সীমানার বাইরে চলে গেলে আউট ধরা হবে।
- কেউ হাত দিয়ে বল ধরলে অর্থাৎ হ্যান্ডবল হলে বিপরীত পক্ষের দিকে ফ্রি কিক মারা হবে।
- অহেতুক কাউকে ধাক্কা বা লাথি মেরে ফেলে দেওয়া যাবে না আর যদি কেউ তা করে তাহলে রেফারি তাকে লাল বা হলুদ কার্ড দেখান।
- পা লাগিয়ে কাউকে ফেলে দিলে ফাউল ধরা হবে।
- প্রতিপক্ষের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে যদি বল গোল পোস্টের সীমানার বাইরে চলে যায় তবে অপরপক্ষ কর্নার লাভ করবে।
- কোন পক্ষ নিজ গোল পোস্টের সীমানায় হ্যান্ডবল করলে তা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করলে পেনাল্টি দেওয়া হয়।
- লাল কার্ড দেখালে ওই প্রতিযোগিতায় আর ওই খেলোয়াড় খেলতে পারেন না।
- ১৯৮৪ সাল থেকে কার্ড দেখানোর নিয়ম প্রচলিত হয়।
- ১৯৩৫ সাল থেকে খেলোয়াড়দের চিনতে জার্সি নাম্বার চালু হয়।
- বল গোল পোস্টে প্রবেশ করলে সেটিকে গোল হিসাবে ধরা হয়।
বর্তমান যুগ ও বিশ্ব ফুটবল
আন্তর্জাতিক ফুটবল বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। ফিফা বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সকল নিয়ম কানুন পরিচালনা করে থাকেন আর ফিফার দেওয়া তথ্যমতে বর্তমানে পৃথিবীতে ২০০ টি দেশের প্রায় ২৪ কোটিরও বেশি মানুষ ফুটবল খেলার সাথে আছেন। প্রতি চার ৪ বছর অন্তর অন্তর একবার কোন একটি নির্দিষ্ট দেশে সেরা ৩২ টি দেশকে নিয়ে আয়োজন করা হয় ফুটবল বিশ্বকাপ।
এছাড়াও ফুটবলের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, মহাদেশীয় এবং বিভিন্ন দেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয় নির্দিষ্ট সময়ে। এই সকল টুর্নামেন্টের মধ্যে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, ইউরো কাপ, বুন্দেশ লীগ, স্প্যানিশ লিগ ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলায় ফিফা নির্ধারিত নিয়ম-নীতি অনুযায়ী ভুল ত্রুটি ও বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ব্যাপকভাবে প্রসারণ ঘটেছে বিভিন্ন প্রযুক্তির।
ফুটবল ও বাংলাদেশ
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ফিফার সদস্য পদ লাভ করে। ফুটবল বিদেশি খেলা হলেও প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ফুটবল খেলা বুঝতে সক্ষম হয় যার কারণে ফুটবল খেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশ্বকাপ খেলা শুরু হলে সারাদেশব্যাপী উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। বাঙালিরা পতাকা টাঙ্গিয়ে বা নিজ পছন্দ দলের জার্সি পরে নিজ দলের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করে থাকে যদিও বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
আরো পড়ুনঃ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট - অনুচ্ছেদ সম্পর্কে জেনে নিন
১৯০৩ সালে বাংলাদেশ সাফ গেমসে মালদ্বীপকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এছাড়াও বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে এবং ২০১০ সালে SA গেমস এ চ্যাম্পিয়ন হয় এবং স্বর্ণপদক লাভ করে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়ভাবে ফুটবলের অগ্রগতির জন্য বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের আয়োজন করে। বাংলাদেশের অন্যতম ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে রয়েছে আবাহনী, মোহামেডান, ফেনীর সকার ক্লাব, শেখ জামাল ফুটবল ক্লাব অন্যতম।
ফুটবল ও বিশ্বকাপ
১৯৩০ সালে উরুগুয়ে তে প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতি চার ৪ বছর পরপর ফিফার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকাপ ফুটবল ট্রফির নাম ছিল প্রথম অবস্থায় "জুলেরিমেকাপ"। ১৯৭৪ সালে ফিফা এই ট্রফির নাম দেন বিশ্বকাপ। ১৯১৪ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ২০ তম আসর অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলে। আর এ খেলায় আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
তবে বিশ্বকাপ ফুটবলের সবচেয়ে বেশি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল মোট পাঁচবার তবে বিশ্বকাপ লাভ করে। ফুটবলের সেরা খেলোয়ার কে গোল্ডেন বল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা কে গোল্ডেন বুট প্রদান করা হয়। বিশ্বকাপ ফুটবলের ২১ তম আসর হয় রাশিয়ায় এবং ২০২২ সালে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় কাতারে এবং এই আসরে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ লাভ করে।
ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা
ফিফা প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার আইন কানুন প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। ১৯০৪ সালের একুশে ২১ মে ফ্রান্সের প্যারিস শহরে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বর্তমানে ফিফার সদর দপ্তর অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের জুরিখে। সেপ ব্লাটার বর্তমানে ফিফার সভাপতি। বর্তমানে ফিফার সদস্য দেশ ২০৯ টি। প্রতি চার বছর পর পর এই সংস্থা বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এই সংস্থাটি শুধু পুরুষদের জন্য নয় নারীদেরও ফুটবল খেলার প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। ফিফা প্রতি বছর বর্ষসেরা ফুটবলার ও দলগত রেংকিং করে থাকে।
বিশ্বের সেরা ফুটবল তারকা এবং ক্লাবসমূহ
ফুটবল জগতে কিংবদন্তি ও জীবন্ত ফুটবলার হলো ফুটবল সম্রাট ব্রাজিলের প্লে। আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনাকে বলা হয় ফুটবলের রাজপুত। এ ছাড়াও যারা বিখ্যাত রয়েছেন তারা হলেন - মেসি, নেইমার, রোনালদো, জিদান হলেন বর্তমান ফুটবলের অন্যতম তারকা। বিশ্বের সেরা ফুটবল ক্লাবগুলো হল- বার্সেলোনা, বায়ান মিউনিখ, রিয়েল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, রিয়েল মাদ্রিদ, ডর্ট্মুন্ড,চেলসি প্রভৃতি। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপ, এশিয়া কাপ প্রভৃতির মাধ্যমে ফুটবল সারা পৃথিবীতে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ফুটবল এবং আমি
আমার প্রিয় খেলা হলো ফুটবল। আমি আমার স্কুলের টিমের সাথে নিয়মিত ফুটবল খেলি এবং আমাদের একটি স্থানীয় ক্লাবে আমি একজন কোচের অধীনে ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকি। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলার সাথে জড়িত আছি যদিও আমাদের দেশে ফুটবল খেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্থান লাভ করতে পারেনি। তবুও ফুটবল আমার প্রিয় খেলা এবং আমি ফুটবলকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি।
আর্জেন্টিনার বিখ্যাত খেলোয়াড় লিওলেন মেসি আমার আদর্শ। আমি আন্তর্জাতিকভাবে আর্জেন্টিনা দলের সমর্থক আর বার্সেলোনা হলো আমার প্রিয় ক্লাব। তবে আমি আশা করি বাংলাদেশও একদিন ফুটবলে অনেক এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে তাদের স্থান করে নিবে।তাই ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
ফুটবল খেলার উপকারিতা
ফুটবল খেলা অনেক আনন্দদায়ক। এই খেলার মাধ্যমে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি শারীরিক ব্যায়াম ও এই খেলার মাধ্যমে হয়ে থাকে। এছাড়াও ফুটবল খেলা আজ বিশ্বব্যাপী বিশাল লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আমেরিকার ক্লাবগুলো এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ফুটবল খেলায় দেহের সকল অংঙ্গ উত্তমরূপে পরিচালিত হয় এবং দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ও সবল হয়। ফুটবল খেলা যেহেতু নিয়মের মধ্যে খেলতে হয় তাই প্রত্যেকটি খেলোয়াড় নিয়ম অনুবর্তিতা, কর্মতৎপরতা ও একতাবদ্ধ হওয়ার শিক্ষা লাভ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ বৃক্ষরোপণ রচনা -বৃক্ষরোপণ অভিযান রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
এছাড়াও এই খেলার মাধ্যমে এক দেশের সাথে অন্য দেশের সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এ জন্য খেলোয়াড়দের বলা হয় সম্পর্কের দুত। একজন ভালো খেলোয়াড় এই ফুটবল খেলার মাধ্যমে বিশ্বের খ্যাতি অর্জন করে থাকে এবং সম্পদেরও মালিক হয়ে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ফুটবল খেলোয়াড় হলেন আর্জেন্টিনার লিওলেন মেসি।তাই ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
উপসংহার
ফুটবল খেলা আমার অনেক প্রিয় খেলা। পড়াশোনার পরে আমার কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফুটবল খেলা। ফুটবল খুবই উপকারী ও আনন্দময় খেলা। এই খেলা দর্শক এবং খেলোয়াড় উভয়কে আনন্দ দিয়ে থাকে। ফুটবল খেলা যে কোন বয়সের মানুষের জন্য অত্যন্ত ভালো ব্যায়াম। ফুটবল খেলা মানুষকে শৃঙ্খলা বোধের শিক্ষা দিয়ে থাকে ।
ফুটবল খেলা বিশ্বব্যাপী মানুষের মধ্যে সম্প্রতির বন্ধন তৈরি করে থাকে আর এই কারণেই ফুটবল খেলা বিশ্বের সকল খেলাকে ছাড়িয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। মানব জীবনে ফুটবল খেলার গুরুত্ব উপলব্ধি করে হয়তো স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন -" গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলিলে তোমরা স্বর্গের আরো নিকটবর্তী হইবে"।
আমি আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে ফুটবল খেলার রচনার যাবতীয় বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করি আমার এই রচনা আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।তাই ফুটবল খেলা রচনা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url