বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা  সম্পর্কে আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। আমরা যদিবিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস  সম্পর্কে সচেতন না হই তাহলে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা  সকলকে সঠিকভাবে জানতে হবে।


Image

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন শুধু সরকারকে নয় দেশের সুশীল সমাজকেও করতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে। তাই বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা  সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো -

সূচিপত্রঃ বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস - রচনা সম্পর্কে 

ভূমিকা

শিশুরা দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাদের ওপরই ন্যাস্ত হবে। কিন্তু নানা কারণে শিশুরা আজ উপযুক্ত পরিচর্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জীবিকার প্রয়োজনে তারা বাধ্য হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় শ্রমদান করতে যার কারণে অনেক শিশুর সুন্দর শৈশব অবিকশিত। জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা হলো শিশু শ্রম। শিশু শ্রম শিশুদের স্বাভাবিক মেধা বিকাশের প্রধান অন্তরায় যার কারণে শিশুরা অন্ধকারেই থেকে যায়।

আরো পড়ুনঃ  রচনা - মাদককে রুখবো,স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব 

অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে শিশুরা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হয় আর দুর্বলতার কারণে তারা পুষ্টিহীনতায় ভোগে যার কারণে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব অনুযায়ী শ্রমশক্তির শতকরা ১২ ভাগই শিশু। শিশুদের একটি বিরাট অংশ শ্রমদান করতে বাধ্য হয় অর্থ সামাজিক পরিস্থিতির কারণে ।আবার এদেশের শতকরা প্রায় ২0 ভাগ শিশুই বাস করে দরিদ্র সীমার নিচে। উপার্জনের জন্য তারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে।

তাই আমাদের বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করতে হবে শিশুদের রক্ষা করার জন্য। আর এজন্যই হয়তো বলা হয়ে থাকে -" ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে"

শিশু শ্রম কি

শিশুদের দিয়ে কোন কাজ করানো বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজ করানো কে বলা হয় শিশু শ্রম। ১৮ বছর বয়সে সকলকে বলা হয় শিশু। তবে ১৪ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের শিশু বলা হয় আর ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত বলা হয় কিশোর। আর ১৪ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের দিয়ে পরিশ্রম করালে তাকে বলা হয় শিশু শ্রম।

বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের ইতিহাস

২০০২ সালে সর্বপ্রথম ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালন করা শুরু করে। আর এই শিশু শ্রম দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের শ্রমের শিকার হওয়া এবং তাদের দুর্দশার কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। আর এই দিনটি পালনে এই অর্গানাইজেশন কাজ করে অনুঘটক হিসাবে। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন এই সংস্থাটি কাজ করে শিশু শ্রমের সবচেয়ে খারাপ দিক কনভেনশন নং ১৮২ এবং কনভেনশন নং ১৩৮ সংস্থানের জন্য সম্পর্কিত নূন্যতম বয়সের সঙ্গে।


আর ও এল ও এই সংস্থাটি এই দুই ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করে থাকে। ১২ ই জুন প্রতিবছর এই দিবস পালন করা হয়ে থাকে। কারণ ১২ জুন হল বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস। শিশুদের সুরক্ষা অধিকার ও ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম প্রতিরোধে লক্ষে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুমোদিত হয় ১৯৮৯ সালের ২0 নভেম্বর। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও ১৯৯২ সালে শিশু শ্রম বন্ধ করতে কর্মসূচি হাতে নেয় এবং প্রতিবছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ২০০২ সালের ১২ই জুন থেকে।

শিশু শ্রমের সংখ্যা

আন্তর্জাতিক শ্রম-সংস্থা বা আই এল ও এর তথ্য মতে, সারাবিশ্বে প্রায় ১৫২ মিলিয়ন শিশু নিয়োজিত আছে শিশু শ্রমের সাথে। এদের মধ্যে বিপদজনক কাজে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৭২ মিলিয়ন। তবে ২০০০ সাল থেকে শিশু শ্রমের সংখ্যা  হ্রাস পেয়েছে ৪ মিলিয়ন। আর সম্প্রতি এই বছরগুলিতে শিশু শ্রমের সংখ্যা  হ্রাস পেয়েছে প্রায় দুই তৃতীয়াংশ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আই এল ও এর তথ্য মতে ১৬৮ কোটি শিশু শ্রমের সাথে জড়িত যাদের বয়স ৫ থেকে ১৪ বছর এবং তাদের অধিকাংশই কাজ করে
পুরো দিন জুড়ে।

তারা স্কুলে যেতে পারে না এমনকি তাদের কোন খেলার সময়ও নেই। এইসব শিশুগুলো চরম দরিদ্রতার সাথে যুদ্ধ করে নানা বিপদের মধ্যেও তারা কাজ করে থাকে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সর্বশেষ তথ্য মতে, বিশ্ব প্রতি ছয় ৬ জন শিশুর মধ্যে তিন জন শিশু শ্রমজীবী, দুইজন গৃহকর্মের সাথে জড়িত এবং একজন শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকে। তবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই যেসব শিশু গৃহকর্মীর কাজ করে তাদের কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই।

আরো পড়ুনঃ   ইন্টারনেট ও আজকের বিশ্ব - রচনা ( ২০-৩০ পয়েন্ট) সম্পর্কে জেনে নিন

বাংলাদেশে ও একটি বিশাল সমস্যা হল শিশুশ্রম। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ তাই এ দেশের অধিকাংশ শিশুকে বাঁচতে হয় জীবনের সাথে লড়াই করে। যেসব শিশু দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠে তাদের সবচেয়ে বেশি শ্রমে নিয়োগ করা হয়। কারণ তারা মনে করে শিশু শ্রম একটি লাভজনক প্রক্রিয়া আর এর প্রধান কারণ শিশুদের কম পারিশ্রমিক দিয়ে অনেক কাজ করানো যায়। আর এতে প্রতিনিয়ত শিশুদের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হয়। বাংলাদেশ সরকারি তথ্য মতে, শ্রমজীবী শিশুর সংখ্যা ৭৯ লাখ।

এদের মধ্যে গ্রাম অঞ্চলে কাজ করে ৬৪ লাখ এবং শহর অঞ্চলে বিভিন্ন শ্রমের সাথে নিয়োজিত আছে প্রায় ১৫ লাখ শিশু। আর এদের মধ্যে ৪৫ লাখ শিশু বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সাথে জড়িত। এদের মধ্যে ৩২ লাখ শিশু এক সপ্তাহে কাজ করে প্রায় ১৪ ঘণ্টা এবং ১৩ লাখ রয়েছে প্রায় ৪৩ ঘন্টা এবং তারা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে থাকে। এসব শিশুরা কাজ করে বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁ, গৃহকর্ম, ইট ভাঙ্গা, নির্মাণ কর্ম, রিকশা ভ্যান চালানো, শিল্প কারখানা, বাণিজ্য এলাকা, ট্যানারি, জাহাজ ভাঙ্গা, পরিবহন সেক্টর, কৃষি, লোহা কাটা এবংবসত বাড়িতে কাজ করে থাকে।

এছাড়াও বিভিন্ন মাদক উৎপাদন, পাচার, পর্নোগ্রাফি, যৌনকর্মী ও দাসত্বের শৃঙ্খলে আজও কিছু সুবিধাবাদী লোকের কাছে এসব শিশুরা বন্দী হয়ে আছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য মতে, সারা বিশ্বে প্রায় লক্ষ লক্ষ ছেলে বা মেয়ে শিশু শ্রমের সাথে জড়িত। তাদের পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবসর এবং তারা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিনিয়ত তাদের অধিকার এভাবে লঙ্ঘিত হয়ে থাকে।আর এসব শিশু শ্রমের অর্ধেকেরও বেশি মুখোমুখি হয় নিকৃষ্ট রূপের।

শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে আইন

বাংলাদেশে ২০১০ এ জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০০৬ সালে শ্রম আইনের ৪২ নং ধারায় বলা হয়েছে শিশু ও কিশোরের সংজ্ঞা। এবং তৃতীয় অধ্যায়ে ৩৪ থেকে ৪৪ এ শিশু কিশোরদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ করা আছে। আর এইসব আইনে আনুষ্ঠানিক কর্ম ক্ষেত্রে শিশুশ্রম রহিত করা হয়েছে। এই আইনে আরো বলা হয়েছে, শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকা বিভিন্ন সময় গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশ করবে।

এবং ঝুঁকিপূর্ণ কোন কাজে শিশুদের নিয়োগ দেয়া যাবে না। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে শিশু বা কিশোরকে নির্দিষ্ট কর্ম ঘন্টার জন্য হালকা কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে তবুও তার চিকিৎসকের প্রত্যানকৃত হলে শর্তাধীনে নিয়োগ দেয়া যাবে। বাংলাদেশের সংবিধানের শিশুসহ সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানিক ও আইনগত অবস্থানে ও একথা বলা হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ   পরিবেশ সচেতনতা - রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

সংবিধানের ১১, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯ এবং ২০ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা সহ শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ উদ্যোগের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।সংবিধানের ২৭, ২৮, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১ নং অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জবরদস্তি মূলক শ্রম।এবং আইনগত পতিকার পাওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের শিশু এবং শিশু অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রবর্তিত হয় ১৯৭৪ সালের ৩৯ নং আইনের মাধ্যমে। এই আইনের শিরোনাম থেকে বোঝা যায় যে, এই আইন শিশুদের সম্পর্কে এবং শিশুদের প্রাধান্য দিয়ে করা হয়েছে। আর এই আইনের শিশুদের সংজ্ঞা, তাদের বয়স, তাদের অধিকার, পরিধি, শিশুদের সম্পদের হেফাজত, দেওয়ানী ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে শিশুদের রক্ষাকবচ সহ সকল কিছু আলোচনা করা হয়েছে।

শিশুদের শ্রমের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা। গ্রাম থেকে মানুষ শহর মুখী হওয়ার মূল কারণ হলো সামাজিক অনিশ্চয়তা, কাজের অপ্রতুল সুযোগ। এছাড়া ও মৌলিক চাহিদা পূরণের অভাব রয়েছে যার কারণে মানুষ দিন দিন শহর মুখী হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিনিত নদী ভাঙ্গন, খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস এবং ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক বিপদের কারণেই মানুষ কাজের তাগিদে শহরে আসছে।

আর এ সকল প্রাকৃতিক বিপর্যয় শিশুদের ঠেলে দিচ্ছে শিশু শ্রমের দিকে। এছাড়াও অশিক্ষা এবং শিশুশ্রম সম্পর্কে সচেতনতার  অভাবের কারণে শিশু শ্রম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আশা করা যায় ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম বন্ধ করা যাবে বলে সবাই আশাবাদী।

বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালনের তাৎপর্য

বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালনের তাৎপর্য হলো শিশু শ্রম নির্মূলের উপায় ও শিশু শ্রমের সমস্যার দিকে মননিবেশ করা। সারা বিশ্বে শিশু শ্রমের জন্য বাধ্য করা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। তাদের বিভিন্ন ক্ষতির কারণ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে। বিশ্বের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক তাদের সচেতন করে তুলতে হবে। শিশু শ্রম দিবসের গুরুত্ব শিশুদের সামনে তুলে ধরতে হবে।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় শিক্ষক দিবস - শিক্ষক দিবস - রচনা জেনে নিন

এক কথায় তাদের সব দিক থেকে সচেতন করে তুলতে হবে। আর  সকলকে সচেতন করে তুলতে পারলেই শিশুশ্রম শতভাগ বন্ধ হবে বলে আশা করা যায়। কোন শিশুর চোখের স্বপ্ন যাতে শৈশবেই বা অঙ্কুরে ধ্বংস হয়ে না যায় সেই লক্ষে এই বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালন করা হয়। আর এই সচেতনতা প্রসারের লক্ষ্যেই এই দিনটি বিশ্বের সকল দেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করা হয়। এ দিনে শিশুদের নানান দুর্দশা চিত্র তুলে ধরা হয় এবং এই সম্পর্কে তাদের সচেতন করে তোলার চেষ্টা করা হয়।

এছাড়া ও সরকার বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ কারী নাগরিক, সমাজ, শ্রমিক সংগঠন তথা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে শ্রম দিবসের বার্তা পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই দিবস পালন করা হয়। এছাড়াও শিশু শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য এ দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা তাদের শৈশব হারিয়ে ফেলে অনেক অল্প বয়সেই। তারা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার তথা মৌলিক অধিকার পায়না।

বিশ্ব শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়

প্রত্যেক বছরই বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালিত হয় এবং বিভিন্ন বিষয়বস্তু স্থির করা হয়। ২০১৯ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "শিশুদের ক্ষেতের কাজ নয় - বরং স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কাজ করা উচিত"। ২০২০ সালে ছিল কোভিট নাইন্টিন ১৯ আর এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "শিশু শ্রম থেকে শিশুদের রক্ষা করুন এখন এর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি"। ২০২১ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "করোনা ভাইরাস পর্বে শিশুদের সুরক্ষা"।

আরো পড়ুনঃ   মাদকাসক্তি ও যুবসমাজ রচনা সম্পর্কে জেনে নিন

শিশু শ্রম ২০২২ বিরোধী দিবসের সূচনা করেছিল। আর এই  বছরের প্রতিপাদ্য হলো "শিশুদের হাতে হাতুড়ি নয়, তাদের হাতে কলম আর বই থাকুক"। আর এ বছর শিশু শ্রম দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো "সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার শিশু শ্রমের অবসান ঘটান"। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বিশ্ব শিশু শ্রম প্রতিরোধ প্রত্যেকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ থিম হল "ইউনিভার্সাল সোশ্যাল প্রটেকশন টু এন্ড চাইল্ড লেবার"।

শিশু শ্রম দিবস পালনের জন্য শেষ দুই দশকে বেশ অগ্রগতি হয়েছে এবং শিশু শ্রম অনেকাংশ কমে গেছে। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গতি কমেছে এবং কখনো বন্ধ হয়েছে তবে ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সালে এই সময়ে শ্রমিক হিসেবে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ও এর বেশি সংখ্যক শিশু কাজ করছে। এবং দুঃখের বিষয় হলো তাদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী শিশু ও রয়েছে।

বিশ্ব শিশু শ্রম দিবসের বিশেষত্ব

বিশ্ব শিশু শ্রম দিবস পালন সরকারসহ দেশের সকল সুশীল সমাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই দিবস পালনের সামাজিক অংশীদার এবং অন্যান্যদের সমর্থন থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক শিশু শ্রম তথ্যমতে, ২০২০ সালে শুরুর দিকে ৫ বছর বয়সী প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে শ্রমের কাজে যা মোট পরিসংখ্যানে দাঁড়ায় প্রায় ১৬০ মিলিয়ন। আর এদের মধ্যে ছেলের সংখ্যা ৯৭ মিলিয়ন এবং মেয়ের সংখ্যা ৬৩ মিলিয়ন। আফ্রিকা মহাদেশে শিশু শ্রমের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আফ্রিকা দেশে রয়েছে প্রায় ৭২ মিলিয়ন শিশু শ্রমিক।

উপসংহার

আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই শিশু শ্রম বন্ধ করতে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারলে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা কোন দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। আর শিশুশ্রম বন্ধে সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। সচেতন করতে হবে দেশের মানুষকে।বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস গড়ে তুলতে হবে।

প্রিয় বন্ধুরা তোমরা বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস খুব সুন্দর ভাবে রচনা আকারে লিখতে পারবে। আমি রচনার মত করে তোমাদের উপকারের জন্য লেখার চেষ্টা করেছি।


World Day Against Child Labor - Learn more about Essay

Table of Contents: World Day for the Prevention of Child Labor - About Essay
What is child labor?

History of the World Day for the Prevention of Child Labour

Number of child labour

Law against child labour

Significance of World Child Labor Day

The theme of World Children's Day

Specializing in World Child Labor Day

Conclusion

Introduction
Children are the future citizens of the country. Today's children are the future of tomorrow. But due to various reasons children today are deprived of proper care. For the need of livelihood they are forced to do labor in different places due to which many children are deprived of a good childhood. Child labor is the biggest obstacle in life. Child labor is a major hindrance to the normal intellectual development of children due to which children remain in the dark.

Read more: Essay - Stop drugs, build a smart Bangladesh

Children are physically weak due to overwork and due to weakness they suffer from malnutrition due to which their immune system is reduced. According to Bangladesh Bureau of Statistics, 12 percent of the labor force is children. A large number of children are forced to do labor due to economic and social conditions. Again, about 20 percent of children in this country live below the poverty line. They participate in risky activities to earn.

So we must observe the World Day against Child Labor to protect children. And that is why it is said - "The father of the child is sleeping in the heart of all children".
What is child labor?
Any work done by children, especially hazardous work, is called child labour. At the age of 18, everyone is called a child. But those who are below 14 years of age are called children and between 14 to 17 years of age are called teenagers. And if children under 14 years of age are employed, it is called child labour.

History of the World Day for the Prevention of Child Labour
In 2002, the International Labor Organization first started celebrating World Child Labor Day. And the main purpose of celebrating this Child Labor Day was to highlight the victims of child labor and their plight to the world. And this organization acts as a catalyst in observing this day. International Labor Organization This organization works on the worst aspects of child labor Convention No. 182 and Convention No. 138 relating to the minimum age for resources.

Also Read: Agricultural Entrepreneurship Essay 20 Points - Know About Agricultural Entrepreneurship Essay

ROL and this organization works on these two types of issues. This day is celebrated on 12th June every year. Because June 12 is World Child Labor Day. Aims to protect children's rights and prevent hazardous labour. The United Nations Convention on the Rights of the Child was ratified on 20 November 1989. The International Labor Organization (ILO) launched a program to end child labor in 1992 and has been celebrating World Day for the Prevention of Child Labor every year since June 12, 2002.
Number of child labour
According to the International Labor Organization or ILO, around 152 million children are engaged in child labor worldwide. About 72 million of them are engaged in hazardous work. However, since 2000, the number of child laborers has decreased by 4 million. And in recent years, the number of child laborers has declined by nearly two-thirds. According to the International Labor Organization or ILO, 1.68 billion children between the ages of 5 and 14 are engaged in labor and most of them work.
throughout the day.


They can't go to school and they don't even have any play time. These children fight against extreme poverty and work under various dangers. According to the latest data from the International Labor Organization, three out of every six children in the world are child labourers, two are engaged in domestic work and one is employed as a labourer. However, in most countries of the world, there is no protection for child domestic workers.


Also Read: Know About Internet And Today's World - Essay (20-30 Points)

Child labor is also a huge problem in Bangladesh. Bangladesh is a developing country so most of the children in this country have to struggle with life. Children who grow up in poor families are the most likely to be employed in labour. Because they think that child labor is a profitable process and the main reason is that children can be made to do many jobs for less wages. And in this, children's fundamental rights are constantly undermined. According to Bangladesh government data, the number of child laborers is 79 lakh.


Among them, 6.4 lakh children work in rural areas and around 1.5 lakh children are engaged in various labors in urban areas. And among them 4.5 million children are involved in various risky activities. Among them, 3.2 million children work for about 14 hours a week and 1.3 million for about 43 hours and are engaged in various hazardous jobs. These children work in various hotel restaurants, domestic work, brick breaking, construction work, driving rickshaw vans, industrial factories, commercial areas, tanneries, ship breaking, transport sector, agriculture, iron cutting and homesteading.


Also, these children are still being held captive by some opportunistic people in the chain of various drug production, trafficking, pornography, sex workers and slavery. According to the International Labor Organization, around one million boys and girls are involved in child labor around the world. They are deprived of adequate education, health, leisure and their basic rights. And constantly their rights are violated in this way. And more than half of these children face the worst form of labor.

Law against child labour
Bangladesh National Child Labor Elimination Policy 2010 states, Bangladesh Labor Act 2006 defines child and juvenile in Section 42. And in the third chapter 34 to 44 the issue of recruitment of children and adolescents is mentioned. And these laws have abolished child labor in formal employment. The Act also states that the list of hazardous work for children will be published through the Gazette from time to time.


And children cannot be employed in any hazardous work. However, in special cases, a child or a teenager can be assigned to light work for certain working hours, but can be assigned conditionally if approved by his doctor. The constitution of Bangladesh recognizes the fundamental rights of all citizens including children. This has been said in the constitutional and legal position.

Also Read: Environmental Awareness - Know About Essay

Articles 11, 14, 15, 16, 17, 18, 19 and 20 of the Constitution lay emphasis on taking special measures for the physically and mentally handicapped, including compulsory primary education for children. 27, 28, 29, 31 of the Constitution. , Articles 34, 37, 38, 39, 40 and 41 guarantee fundamental rights. It prohibits forced labor and guarantees legal redress for violations of rights.

After the independence of Bangladesh i.e. in 1974 Bangladesh Children and Child Rights Protection Act was introduced through Act No. 39 of 1974. As the title of this Act suggests, this Act is about children and is made with priority to children. And this Act deals with the definition of children, their age, their rights, scope, custody of children's property, protection of children in civil criminal cases.

One of the reasons for child labor is the economic distress of Bangladesh. The main reason for people moving from villages to cities is social uncertainty, insufficient job opportunities. Apart from this, there is lack of basic needs due to which people are moving towards cities day by day. Also natural hazards such as repeated river bursts, droughts, floods, tidal waves and earthquakes are driving people to cities in search of work.

And all these natural calamities are pushing children towards child labour. Also child labor is increasing day by day due to illiteracy and lack of awareness about child labour. But everyone is hopeful that child labor can be stopped by 2025.

Significance of World Child Labor Day
The significance of World Child Labor Day is to focus attention on ways to eliminate child labor and the problem of child labor. Awareness should be raised about the mental and physical problems faced by children forced into child labor around the world. They should be made aware of the various causes of harm. They should be made aware by various organizations at the national and international levels of the world. The importance of Children's Labor Day should be highlighted in front of children.

Also read: National Teachers' Day - Teachers' Day - Essay Know

In a word, they should be made aware in all aspects. And only if everyone can be made aware, it is expected that child labor will be stopped completely. This World Child Labor Day is observed to ensure that the dreams of no child's eyes are destroyed in infancy or in the bud. And with the aim of spreading this awareness, this day is observed through various programs in all the countries of the world. On this day, various plights of children are depicted and efforts are made to make them aware of this.


Besides, this day is celebrated with the aim of reaching the message of Labor Day to the citizens, society, labor organizations and millions of people who invest in various sectors. Also, this day is observed to come forward to help child labourers. There are many children who lose their childhood at a very young age. They do not get basic rights like education and health.

The theme of World Children's Day
World Child Labor Day is observed every year and different themes are fixed. The theme for 2019 was "Children should not work in the fields - but work to fulfill their dreams". The year 2020 was Covid-19 and this year's theme was "Protect Children from Child Labor Now It's Needed Most". The theme for 2021 was “Protection of Children during the Corona Virus”.

Also read: Know about drug addiction and youth composition

2022 launched the Day Against Child Labour. And this year's theme is "Let children have pens and books in their hands, not hammers". And this year the theme of Child Labor Day is "Social Justice for All End Child Labour". Global prevention of child labor is important to everyone for the country's bright future. The special theme is "Universal Social Protection to End Child Labour".

Observance of Child Labor Day has made great strides in the last two decades and child labor has reduced to a great extent. Although the pace has slowed over time and sometimes stopped, there are approximately 160 million and more children working as laborers during this period from 2016 to 2020. And sadly, five-year-old children are among them.

Specializing in World Child Labor Day

The observance of World Child Labor Day should be given importance to all the civil society of the country including the government. Observance of this day should have the support of social partners and others. According to International Child Labor Data, at the beginning of 2020, one in 10 children under the age of 5 were in labor, which totaled about 160 million. And among them the number of boys is 97 million and the number of girls is 63 million. The African continent has the highest number of child labourers. There are about 72 million child laborers in African countries.

Conclusion
We all should remember today's children are tomorrow's future. So everyone should be aware and come forward to stop child labour. It is not possible for any country to build its future if it cannot stop child labour. And the civil society must come forward first to stop child labor. The people of the country should be made aware. World Child Labor Prevention Day should be established.


Dear friends you can write World Child Labor Prevention Day very nicely in essay form. I have tried to write for your benefit like essay.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url