জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি - বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক অর্জন সম্পর্কে জেনে নিন
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলি ও কুরি পদক লাভ করেন। কিন্তু আমরা অনেকেই বঙ্গবন্ধুর এই জুলি ও কুরি পদক অর্জন সম্পর্কে জানিনা।জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি - বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক অর্জন সম্পর্কে জানতে আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জুলিও কুরি ছিলেন একজন মহিলা বিজ্ঞানী যিনি পদার্থ ও রসায়ন বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। আর এই জুলিও কুরি পদক লাভ প্রদান করা হয় শান্তিরক্ষার জন্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই জুলিও কুরি পদক লাভ করেছিলেন। জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তি - বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক অর্জন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
জুলিও কুরি কি
জুলিও কুরি একটি শান্তি পদক। জুলিও কুরি একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। তিনি .১৮৬৭ সালের 0৭ নভেম্বর পোল্যান্ডের ওয়ারসতী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন দুইটা বিষয়ের উপর। ১৯০৩ সালে তার স্বামী পিয়েরে কুরি ও পদার্থবিদ হেনরি বেকলের সাথে পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
এবং ১৯১১ সালে তিনি রসায়নে একক ভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। মেরি কুরি গোপন ভাসমান বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়ন করতেন এবং তার ওয়ারশতে তার ব্যবহারিক বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। মারিকুরি প্রথম আবিষ্কার করেন যে মৌলটি তিনি সেটার নাম রাখেন তার জন্মভূমি পোল্যান্ড এর নাম অনুসারে পোলনিয়াম।
আরো পড়ুনঃ
মারিকুরি ছিলেন তার মাতা পিতার পঞ্চম এবং শেষ সন্তান। মাটিপুরের পিতা রসায়ন ও পদার্থ পড়াতেন। রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানে তিনি তার পিতার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।১৮৯১ সালের ২৪ বছর বয়সে সে তার বড় বোন দুনিয়াস ভাকে অনুসরণ করে প্যারিস করতে যান ফ্রান্সের প্যারিস শহরে এবং তিনি ১৯৩৪ সালের ৪ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জুলিও কুরি পুরস্কার/ পদক কবে দেওয়া হয়
জুলি ও কুরি পদক ১৯৩৫ সালে প্রদান করা হয়। বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব জুলিও কুরি এবং তার স্ত্রী আইরিন কুরী তেজস্ক্রিয় পদার্থ আবিষ্কার করার ফলে রসায়ন শাস্ত্রে বিশেষ অবদানের জন্য তাদের মৃত্যুর পরে তাদের সম্মানার্থে এই পদক দেয়া হয়। জুলিও কুরি পদক হলো বিশ্ব শান্তির পদক।
বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক দেয় কোন সংস্থা
বিশ্ব শান্তি সংস্থা বঙ্গবন্ধুকে জুলি ও পুরি পদক প্রদান করে। বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। তৎকালীন বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে এই জুলি ও কুরি পদক প্রদান করেন এবং তিনি এই পুরস্কার প্রদান শেষে বলেছিলেন - "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ব বন্ধুও বটে"। তার এ ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব বন্ধু উপাধি লাভ করেন এই পুরস্কার লাভের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববন্ধুর স্বীকৃতি লাভ করেন।
জুলিও কুরি পদক বঙ্গবন্ধু কবে পান
১৯৭২ সালে ১০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জুলিও কুরি পদক লাভ করেন। ১৯৬৯
সালে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী
জাতির অবিসংবাদিত নেতা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্থাৎ ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের
পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি স্বরূপ জুলি ও কুরি শান্তি পদক লাভ করেন।
আর বঙ্গবন্ধুর এই সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আত্মদানকারী সকল শহীদদের
শান্তি পদক সমস্ত বাঙালি জাতির গৌরব। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তিকামী,
তিনি মেহনতি ও নিপীড়িত মানুষের অবিসংবাদীত নেতা।
আরো পড়ুনঃ মাদককে রুখবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব রচনা জেনে নিন
তিনি শান্তি, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ম তান্ত্রিক
ভাবে আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য সহ্য করেছেন
অত্যাচার, নির্যাতন, জেল ও জুলুম বাঙালি জাতিকে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে
ঐক্যবদ্ধ করেছে। তার মানবিক মূল্যবোধ, সাংগঠনিক সাংগঠনিক দক্ষতা,
রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা ও সম্মোহীন ব্যক্তিত্ব।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে নিরস্ত্র বাঙালি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দেশকে
শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হয়। এই মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিল ৩০ লক্ষ বাঙালি এবং
দুই লক্ষ মা বোন করেছিল আত্মত্যাগ আর এর বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের অভ্যুদয় ঘটেছিল।
আরো পড়ুনঃ
জাতীয় শোক দিবস রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব শান্তি পরিষদের সভা
মন্ডলীর সভায় চিলির রাজধানী শান্তিয়াগোতে বাঙালি জাতির অবিসম্পাদিত নেতা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলি ও কুরি পদক প্রদান করা হয়। বিশ্ব শান্তি
পরিষদের মহাসচিব শ্রী রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধুকে
শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য।
এবং এরপর ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর ১৪০ টি দেশের ২০০ জন শান্তি পরিষদের প্রতিনিধিদের
উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পদক প্রদান করার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করা হয় এবং এই পদক প্রদান করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের কোন রাষ্ট্রনেতার
আন্তর্জাতিক পদক লাভ এটি ছিল সর্বপ্রথম।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রচনা সম্পর্কে জেনে নিন
বঙ্গবন্ধুর এই পদক প্রাপ্তির আগে ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, কিউবার
বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ফিলিস্তিনের জনদরদী নেতা ইয়াসির আরাফাত,
চিলি গণআন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে প্রমুখ এই পদক পেয়েছিলেন। ১৯৫০ সাল থেকে
যারা মানবতা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরোধী
তারা এই পদক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন।
বাংলায় এই পদকের নাম যদিও জুলিও কুরি কিন্তু ফরাসি উচ্চারণে একে জোলী ও ক্যুরি
বলা হয়। জুলিও কুরি মৃত্যু বরণ করলে তাদের সম্মানে এই পদক এর নাম রাখা হয় জুলিও
কুরি।
জুলিও কুরি পদক ও বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক অর্জন
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছিল ছাত্র অবস্থা থেকেই। এরপরে তিনি
যখন রাজনীতিতে পুরোপুরি যোগদেন তখন থেকেই তিনি এই বিষয়ে বেশি নজর রাখেন।
১৯৫২সালের ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে তিনি দীর্ঘদিন কারা ভোগ করার ফলে অসুস্থ
হয়ে পড়েন। তিনি .১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের
অক্টোবরে "পিস কনফারেন্স অফ দা এশিয়ান এন্ড প্যাসিফিক রিজিওন" চীনে অনুষ্ঠিত
হয়।
বঙ্গবন্ধু এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে অন্যান্য দেশ
থেকে আগত শান্তি কামি নেতাদের সাথে তিনি প্রাসঙ্গিক ভাবে মত বিনিময় করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু একটি গ্রন্থে সেই মতবিনিময়ের অভিজ্ঞতা ও বক্তব্যের কথা লিখে গিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ সালে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল স্টক হোমে যে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়েছিল সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ২৬ শে মার্চ - কেন স্বাধীনতা দিবস বিস্তারিত জেনে নিন
বঙ্গবন্ধু শান্তি প্রসঙ্গে বলেন,- "যে কোন স্থানেই হোক না কেন তাদের সঙ্গে আমি
রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক"।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার জীবনে দেখেছেন অশান্তির কালো ছায়া। কারণ পাকিস্তানিরা
নিরীহ বাঙ্গালীদের যে শুধু অত্যাচার করেই ক্ষান্ত হয়েছে তা নয়, তারা অনেক
বাঙালিকে অকারণে হত্যা করেছে।
আর এই হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে আর এর
ধারাবাহিকতা ছিল ১৯৭১ সালে ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের বিরুদ্ধে
ক্রমাগত ষড়যন্ত্র ছিল অমানবিক এবং এই সময় সাম্রাজ্যবাদের উত্থানও ছিল আর
বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়েছিলেন এই দুইটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে যে অমানবিক
অবস্থা বিরাজ করেছিল তা নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন -
আরো পড়ুনঃ শিশু দিবস কি - ১৭ ই মার্চ - জাতীয় শিশু দিবস জেনে নিন
"বৃহৎ শক্তিবর্গ বিশেষভাবে আগ্রাসন নীতি অনুসরণকারী কতিপয় মহাশক্তির
অস্ত্র-সজ্জা তথা অস্ত্র প্রতিযোগিতার ফলে আজ এক সংকটজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে"।
বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত একটি জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়ন্ত্রক ও
শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করেছেন নিরস্ত্র বাঙালি যেদিন গণহত্যার
শিকার হয়েছে সেই দিন বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছেন-
"এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের মানুষ যেখানে
আছেন আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর মোকাবেলা করার
জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি। দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈন্যটি কে বাংলাদেশের
মাটি থেকে উৎখাত করতে হবে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আপনাদের
সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে"।
আরো পড়ুনঃ ৭ই মার্চের ভাষণ - ৭ই মার্চের ভাষণের ৪ দফা জেনে নিন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক হোক বা জাতীয় পর্যায়ে হোক সকল ক্ষেত্রে
শান্তিপূর্ণ অবস্থা যেন বিরাজ করে। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের
অবদানের জন্য তাকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি
পদক প্রদানের ৫0 বছর পূর্তিতে সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিশ্ব শান্তির প্রতীক জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুকে আমরা পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি।
বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক কে পরিয়ে দেন
১৯৭৩ সালের ২৩ শে মে এশিয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে
তৎকালীন শান্তি সেবা পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে এই জুলি
ও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুকে করেছিল এক
অবিসংবাদিত নেতা। বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় উপস্থিত
ছিলেন ১৪০ টি দেশের প্রায় ২০০ জন সদস্য।
এবং উপস্থিত সবাই বঙ্গবন্ধুকে এই পুরস্কার প্রদানের জন্য সমর্থন জানিয়েছিলেন।
রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে এই জুলি ও কুরি পদক পরিয়ে দেওয়ার পর বলেছিলেন,-
"বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের ও বন্ধু"।
জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কার
ঝুলি ও কুরি ছিলেন ফরাসি বিজ্ঞানী তাদের মৃত্যুর পর তাদের সম্মানার্থে শান্তি
প্রতিষ্ঠার জন্য এই জুলি ও কুরি পদক প্রদান করা হয়।ফ্রেডেরিকের মূল নাম ছিল জঁ
ফ্রেডেরিক জুলি।ফ্রেডেরিকের স্ত্রীর নাম ছিল ইরেন ক্যুরি। তারা দুজনেই
বিজ্ঞানী ছিলেন এবং এবং বিয়ের পরে ইরেন কুরি ও ফ্রাডেরিক দুইজনেই দুইজনার পদবী
গ্রহণ করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ ২১ শে/একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে জানুন
এবং এই পদবী গ্রহণ করার ফলে একজনের নাম হয় জঁ ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি এবং
অন্যজনের নাম হয় ইরেন জুলি কুরি এবং তারা নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে লাভ
করেছিলেন। ফ্রেডেরিক জুলি কুরি শুধু বিজ্ঞানী ছিলেন তা নয় তিনি দ্বিতীয়
বিশ্বযুদ্ধের সময় গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন এবং তিনি তাদের জন্য হাতিয়ার
তৈরি করে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন।
বলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তার অবদানের কারণে সহজ তর হয়েছিল। আর বিশ্ব শান্তি
প্রতিষ্ঠার জন্য এই যুদ্ধ বন্ধ খুবই জরুরী ছিল। তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার
সভাপতি ও ছিলেন।
শেষ কথা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের বাঙালি জাতির পিতা। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ই
মার্চ গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধু
ছিলেন একজন জনদরদী নেতা। তিনি বাঙালি জাতির শান্তির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ
করেছেন, কারা বরণ করেছেন অনেকবার। তিনি চেয়েছেন বাঙালি জাতির মুক্তি।
বর্বর পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে করেছে অনেক অন্যায়,
অত্যাচার, জুলুম। তারা শুধু অত্যাচার করে যে ক্ষান্ত হয়েছে তা নয় তারা
নির্বিচারে হত্যা করেছে বাংলার বুদ্ধিজীবী, কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ জনতা কেও।
তাদের এই বর্বরতার কথা বাঙালি জাতি কোনদিন ভুলবে না। তাদের হাত থেকে রক্ষা করার
জন্য বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের সোনালী সেই দিনগুলো কাটিয়েছেন অন্ধকার কারাগারে।
আরো পড়ুনঃ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয় জেনে নিন
বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য তিনি অনেকবার অনেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তাইতো তিনি
তার সম্মানার্থে জুলি ও কুরি পদক লাভ করেছেন। তার এই জুলিও কুরি পদক লাভ
করা ৫০ বছরের সুবর্ণ জয়ন্তীতে আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। তিনি আজীবন
বাঙালি জাতির জীবনে চির স্মরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url