চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ জেনে নিন
বর্তমানে অনেকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবার জন্য অন্যান্য দেশে চলে যায়। বর্তমানে সব থেকে বেশি পড়াশোনার জন্য গিয়ে থাকে চীন দেশে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ এর বেশি গিয়ে থাকে। আপনি যদি চীন দেশে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে যান তবে আপনার কত টাকা খরচ হবে এবং কি কি যোগ্যতা থাকা লাগবে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ সম্পর্কে বিস্তারিত।
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেকেই স্কলারশিপ এ চীনে যায়। এই স্কলারশিপ গুলো অনেক ধরনের হয়ে থাকে। আপনি যদি চিনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ যেতে চান তবে আপনার এই স্কলারশিপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। তাই চলুন এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ যেতে কি কি প্রয়োজন হয়।
পোস্ট সচিপত্রঃ চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ
উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমানে অনেকেই চীন দেশে গিয়ে থাকে। আপনি যদি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ এ পড়ার জন্য যেতে চান তবে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন চীন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ খরচ কত। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দেশ হলো চীন। পড়াশোনার জন্য ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ দ্বিতীয় সংখ্যক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো রয়েছে চীন দেশে। আপনি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ এ যেতে চাইলে আপনাকে যেসব সুযোগ সুবিধা সেই দেশ দিবে সেগুলো হলঃ
- ফ্রী টিউশন ফি
- হোস্টেল ফি ফ্রি
- প্রত্যক মাসে বাংলাদেশী টাকায় ৫০০০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিত্তির সুবিধা
এই সুযোগ সুবিধাগুলো শুধুমাত্র আপনি ফুল স্কলারশিপ এর জন্য পাবেন। আপনি যদি ফুল স্কলারশিপ এর না গিয়ে থাকেন এবং হাফ স্কলারশিপে যান তাহলে আপনি এই সুযোগ সুবিধার অর্ধেক পাবেন। এছাড়াও আপনি যদি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার যে প্রোগ্রাম সমূহ গুলো পাবেন সেগুলো হলঃ
- এমবিবিএস করার জন্য পাঁচ বছর
- ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাচেলর প্রোগ্রাম এর জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর
- ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম এর জন্য পাবেন তিন থেকে চার বছর
চীনে মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা
আপনি নিশ্চয়ই চীনে মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন চীনে মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চীন দেশের মেডিকেল পড়ার জন্য কোন কোন যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। চীন রাষ্ট্র শুধুমাত্র এশিয়া মহাদেশের মধ্যে নয় বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশগুলোর মধ্যে একটি। যারা মেডিকেলে পড়ার জন্য চীন দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্য আজকের পর্বটি।
আপনি যদি চীন দেশের মেডিকেলে পড়ার জন্য যেতে চান তবে আপনার খরচ নির্ধারণ করা হবে আপনি কোন মেডিকেলে পড়তে যাচ্ছেন তার উপর। সাধারণত ধারণা করা হয় চীন দেশের মেডিকেল পড়ার খরচের জন্য ২০ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক চীন দেশে মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা সম্পর্কে।
- বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজে পড়ার যোগ্যতা এবং চীন দেশের মেডিকেল পড়ার যোগ্যতা প্রায় এক।
- এসএসসি ও এসএসসি মিলে সর্বমোট ৯ পয়েন্ট থাকতে হবে
- নয় পয়েন্টের নিচে হলে চীন দেশে স্কলারশিপ নিয়ে যেতে পারবেনা বা যাওয়া উচিত নয়
- আপনি চাইলে এমবিবিএস শেষ করে দেশে এসে ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন
চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ
আপনি যদি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ কত জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ কত জানতে পারবেন। চীন দেশের মেডিকেল পড়ার খরচ বেশি হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার অনেকটাই কম খরচ। চীন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য হোস্টেল ফী, টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়া সবমিলিয়ে আপনার পাঁচ ৫ বছরের জন্য সর্বমোট খরচ হবে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা। ধারণা করা যায় যে বাংলাদেশের বেসরকারি কলেজ গুলোর থেকে চীন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার খরচ অনেক কম।
চীন দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে প্রত্যেক বছরে একবার করে টিউশন ফি প্রদান করতে হয়। এছাড়াও আপনার চীন দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য কত টাকা খরচ পড়বে সেই বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার স্কলারশিপ এর উপর। আপনি যদি ফুল স্কলারশিপে চীন দেশে পড়তে যান তবে আপনার খরচ অনেক কম হবে।
চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য চীন দেশে গিয়ে থাকেন। এই চিন্তা করে চীনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। আপনি যদি চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যেতে চান এবং খরচ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্পর্কে বিস্তারিত।
আপনি যদি চীন দেশের ফুল স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনার জন্য গিয়ে থাকেন তবে আপনার থাকা খাওয়া, টিউশন ফি সবকিছুই ফ্রি হবে এবং আপনি যদি হাফ স্কলারশিপ এ গিয়ে থাকেন তবে সবকিছু অর্ধেক খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। আপনি চীনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে কেন যাবেন নিচে জেনে নিন।
- আন্তর্জাতিক বা উন্নত মানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল্যাব এর সুবিধা
- গবেষণার সুযোগ বেশি
- যে কোন বিভাগ থেকে যেকোনো পয়েন্ট নিয়েও ভর্তি হওয়া যায় এবং বাংলাদেশের থেকে তুলনামূলক পাস করা অনেক সহজ।
- সেশন জট নেই
- সব থেকে বড় সুবিধা হল আপনি বাংলাদেশের চেয়ে চীন দেশে গিয়ে পড়াশোনা করলে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
চীনে মেডিকেল পড়ার খরচ
অনেকেই চীন দেশে মেডিকেল পড়ার জন্য গিয়ে থাকেন। আপনি যদি চীন দেশে মেডিকেল পড়ার জন্য যেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে খরচ সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তাই আমরা আজকে এই পর্বের মাধ্যমে জানাবো চীনে মেডিকেল পড়ার খরচ কত। আপনি যদি চীনে মেডিকেল পড়ার খরচ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক চীন দেশে মেডিকেল করার খরচ সম্পর্কে।
চীন দেশে বর্তমানে মেডিকেল পড়ার খরচ টিউশন ফি, হোস্টেল ফী এবং থাকা খাওয়া সহ সব মিলিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সর্বনিম্ন ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে চীন দেশে বাংলাদেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মত কোন ডোনেশন বা হিডেন চার্য নাই। চীনে মেডিকেল কলেজ গুলোতে প্রতিবছর একবার করে টিউশন ফি পে করতে হয়।
চীনে পড়াশোনার খরচ
আপনি যদি চীনে পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে জানতে চান তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে করুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন চীন দেশে পড়াশোনার জন্য কত টাকা খরচ হয়ে থাকে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে চীনা বৃত্তির মাধ্যমে গিয়ে থাকেন তাহলে আপনার খরচ খুবই স্বল্প হবে। আর আপনি যদি ভিত্তি ছাড়া যেতে চান তাহলে আপনার খরচ বেশি হবে। তবে ব্যবসায়ী শিক্ষা, প্রকৌশলী শিক্ষা সহ অনুষদ লেখাপড়ার জন্য খরচ অনেকটাই কম।
তবে আপনার টিউশন ফি এবং থাকা খাওয়ার ফি নির্ভর করবে সেই স্কুল অনুযায়ী। সাধারণভাবে আপনি যদি চীন দেশে পড়াশোনার জন্য যেতে চান তবে আপনার প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হতে পারে। তবে আপনি কোন বিষয়ে পড়তে যাচ্ছেন সেই অনুসারে আপনার খরচ বহন করতে হবে।
শেষ কথা
উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই চীনে ইঞ্জিনিয়ারিং স্কলারশিপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। আপনার যদি এই পর্বটি সম্পর্কে কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।
পড়া লেখা যেখানেই করেন, মনোযোগ দিয়ে পড়েন।