আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং গুলো জেনে নিন




আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং  আমাদের জানা
প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে এই নারী দিবস কিভাবে আসলো আমরা যদি তা না
জানি তাহলে এই দিনের মর্মার্থ আমাদের কাছে কিছু থাকে না।
তাই  আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং গুলো
জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।



Image


৮ ই মার্চ কে নারী দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। এই নারী দিবসকে কেন্দ্র করে রয়েছে
নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।নিচে  আন্তর্জাতিক
নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং গুলো আলোচনা করা হলো-



 পোস্ট সূচীপত্রঃ আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের
রং






আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে



নারী দিবস কথাটি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রতিবছরই শুনে থাকি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পূর্ব নাম হল "আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস"।
প্রতিবছর নিয়ম করেই মার্চ মাসের ৮ তারিখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
সারা বিশ্বব্যাপী নারী ও পুরুষের অধিকারের জন্য এবং লিঙ্গ বৈষম্য কমাতে একটি
প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদযাপন করা হয়।



বিশ্বের এক এক দেশের নারী দিবস উদযাপনের লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোন কোন
দেশে নারীর প্রতি সম্মান জানাতে এ দিবস পালন করা হয়, আবার কোন কোন দেশে মহিলাদের
সামাজিক, রাজনৈতিক ও আর্থিক  প্রতিষ্ঠানটি বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রতি
বছরের ন্যায় এই বছরও আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযথভাবে পালন করা হয়।



আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস



এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বের মানুষ .৮ ই মার্চ কে নারী দিবস হিসেবে
পালন করে আসছে। এই নারী দিবসকে কেন্দ্র করে রয়েছে নারী শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের
সংগ্রামের ইতিহাস। আই ডব্লিউ ডি এর পূর্ণরূপ হল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। শ্রমিক
আন্দোলন কে কেন্দ্র করেই এইনারী দিবসের ধারণা সৃষ্টি হয়েছে।



১৮৫৭ সালে শ্রমিকরা কাজের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা, মজুরি বৈষম্য দূরীকরণ এবং
কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
নিউইয়র্ক শহরে সুতা কারখানা নারী শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই মিছিলে
নারীদের উপর সরকারের দাঙ্গা পুলিশে লাঠিচার্জ করেছিল।



১৯০৮ সালে প্রায় ১৫ হাজার নারী তাদের কর্ম ঘন্টা কমিয়ে আনা, বেতন বৃদ্ধি ও
ভোটাধিকারের দাবিতে নিউ ইয়র্ক শহরের রাস্তায় আন্দোলনে নামেন। আজকের এই নারী
দিবসের বীজ সেই দিনের আন্দোলনের মাধ্যমে মধ্যে লুকায়িত ছিল।এরপর ১৯০৯ সালের ২৮
ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে
সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন করা হয় ক্লারা   জেড কিনের
নেতৃত্বে।



জার্মান রাজনীতিবিদ ক্লারা  জেডকিন সর্বপ্রথম এই দিনটিকে জাতীয়
পর্যায়ে থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আবার
ডেনমার্কের ওপেন হেগেনে ১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে ক্লারা
জেডকিন ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।



 আরো পড়ুনঃ
২১ শে/একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে জানুন



এই সম্মেলনে ১৭ টি দেশের মোট ১০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন এবং সম্মেলনে উপস্থিত ১00
জন নারী এই প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গ্রহণ করেছিলেন। এবং উক্ত সম্মেলনের
সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে,  ১৯১১ সাল থেকে দিনটি নারীদের সম অধিকার দিবস
হিসেবে পালন করা হবে ।বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা এ দিবস টি পালনে এগিয়ে আসে। .



১৯১১ সালে জার্মান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতে প্রথমবারের মতো
আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। এরপরে ১৯১৪ সাল থেকে ৮ ই মার্চ
পালন করা হয় এবং ১৯১৭ সাল থেকে রাশিয়াতে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করা
হয়। 



বাংলাদেশে ও ১৯৭১ সালের পূর্বে ও অর্থাৎ স্বাধীনতা লাভের পূর্বে থেকে এই দিবসটি
পালন করতে শুরু করে এরপর ১৯৭৫ সালে ৮ ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে
স্বীকৃতি প্রদান করার পাশাপাশি জাতিসংঘ এ দিবস টি পালনের জন্য বিভিন্ন দেশকে
আহ্বান জানান। এরপর থেকেই পালন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।



২০১১ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস শতবর্ষ পালন করা হয় আর আজকে ২০২৩ সালে এসে আমরা
পালন করছি ১১২ তম আন্তর্জাতিক নারী দিবস । বিশ্বের সকল দেশে এই ৮ মার্চকে যথাযথ
মর্যাদায় পালন করে থাকেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে।



৮ ই মার্চ কেন পালন করা হয়



ক্লারা জেডকিন যখন আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ধারণাটি উত্থাপন করেন তখন কোন
নির্দিষ্ট তারিখ তিনি উল্লেখ করেননি। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয় ১৯১৭ সালের
রুশ বিপ্লবের পূর্ব পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি নির্ধারিত করা যায়নি।



একই বছরে রাশিয়ার সম্রাট জারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নারীরা "রুটি এবং শান্তি" এর
দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে। বিদ্রোহের চার ৪ দিনের মাথায় সম্রাট জারের ক্ষমতা
ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর জারের পরিবর্তে যিনি অস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় বসেন তিনি
আনুষ্ঠানিকভাবে নারীদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন। সে সময় রাশিয়ায় ক্যালেন্ডার
প্রচলন ছিল আর এই ক্যালেন্ডারের নাম ছিল  যুলিয়ান।



 আরো পড়ুনঃ 
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস কেন পালন করা হয়   জেনে নিন



আর এই ক্যালেন্ডার মোতাবেক নারীদের ধর্মঘট শুরু হয়েছিল তেইশ ফেব্রুয়ারি এবং সেই
দিন ছিল রোববার আর গেগেরিয়ান ক্যালেন্ডার এই দিনটি ছিল ৮ মার্চ পরবর্তীকালে
গেগেরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আট মাসে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন
করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।



আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং



আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট অনুসারে বেগুনি, সাদা ও সবুজ হলো আন্তর্জাতিক
নারী দিবসের রঙ হিসাবে খ্যাত। বেগুনি রং দিয়ে মর্যাদা ও ন্যায়ের ন্যায় বিচার
কে বোঝানো হয়। সাদা হল বিশুদ্ধতার প্রতীক এবং সবুজ রং হলো আসার প্রতীক।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ওয়েবসাইট অনুযায়ী ১৯০৮ সালে যুক্তরাজ্যের উইমেন
সোশ্যাল এন্ড পলিটিক্যাল ইউনিয়নে এই তিনটি রংকেই  নির্দিষ্ট করেছিল।



কিভাবে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস



আন্তর্জাতিক নারী দিবস বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালন করা হয়। রাশিয়া সহ
বিশ্বের অনেক দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালন করা
হয়।  রাশিয়া, উগান্ডা, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম,  মন্টিনিগ্র, লাওস,
জর্জিয়া, কিউবা, কম্বোডিয়া, বেলারুশ, আর্মেনিয়া এবং আফগানিস্তানের মত কিছু
কিছু দেশে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মা দিবসের সাথে তুলনা করা হয়।



৮ মার্চের ২-৩ দিন আগে ও পরে এসব দেশে ফুলের বিক্রি বেড়ে যায়। কারন তারা ফুল
দিয়ে নারীদের অভ্যন্থনা জানায়। চীনের অনেক স্টেট কাউন্সিলর এর বিবেচনায় মহিলা
কর্মীদের ক্ষেত্রে ৮ মার্চ অর্ধ দিবস  ছুটি  দেয়া হয়। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের মার্চ মাসকে নারীদের ইতিহাসের মাস ধরা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট
প্রতিবছর আমেরিকার নারীদের কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ ৮ই মার্চ একটি ঘোষণা পত্র
জারি করেন।



ইতালিতে এই দিনটি নারীদের ফুল দেয়ার মাধ্যমে  উদযাপন করা হয়।রোমে এই দিনটি
পালন করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে।



রাশিয়াতে কেন এটি ঐতিহাসিক দিন



৮ মার্চ সর্বপ্রথম রাশিয়ার নারীরা ভোট দেয়ার অধিকার পেয়েছিল। লিঙ্গ সমতার
প্রচারণার জন্য রাশিয়ার মহিলারা এই বছর ধর্মঘট করেছিল আর এই ধর্মঘটের ফলস্বরূপ
রাশিয়ার রাজা জারের পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন এবং তখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত
অস্থায়ী রাজা নারীদের ভোটদানের অধিকার প্রদান করেছিলেন। আর সেই কারণেই ৮
মার্চ রাশিয়াতে  ঐতিহাসিক দিন।



নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়



১৯১১ সাল থেকে দিনটি নারীদের সম অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।বিভিন্ন দেশের
সমাজতন্ত্রীরা এ দিবস টি পালনে এগিয়ে আসে। ১৯১১ সালে জার্মান, সুইজারল্যান্ড,
ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে দিনটি পালন
করা হয়। এরপরে ১৯১৪ সাল থেকে ৮ ই মার্চ পালন করা হয় এবং ১৯১৭ সাল থেকে
রাশিয়াতে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯৬ সাল থেকে জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দিয়েছেন।



জাতিসংঘ  কর্তৃক আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় গুলো নিচে তুলে
ধরা হলো-


১৯৯৬ সাল - অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা


১৯৯৭ সাল - নারী এবং শান্তি


১৯৯৮ সাল - নারী এবং মানবাধিকার


১৯৯৯ সাল -নারীর প্রতি সহনশীল সহিংসতা মুক্ত পৃথিবী


২০০০ সাল -  শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী


২০০১ সাল - নারী ও শান্তি জাতিসংঘের সময় নারীর অবস্থান


২০০২ সাল- আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ


২০০৩ সাল - লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা


২০০৪ সাল - নারী এবং এইচআইভি/ এডস


২০০৫ সাল - লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ


 ২০০৬ সাল - সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী


২০০৭ সাল - নারী ও নারী শিশুর উপর সহিংসতা দায় মুক্তির সমাপ্তি


২০০৮ সাল - নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ


২০০৯ সাল - নারী ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী পুরুষের একতা


২০১০ সাল - সমান অধিকার সমান সুযোগ সকলের অগ্রগতি



২০১১ সাল - শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান
অংশগ্রহণ



২০১২ সাল - গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন ক্ষুধা ও  দারিদ্র্যের সমাপ্তি


২০১৩ সাল - নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়


২০১৪ সাল - নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা


২০১৫ সাল - নারীর ক্ষমতায়ন ও মানবতার উন্নয়ন


২০১৬ সাল -  অধিকার মর্যাদায় নারী পুরুষ সমান 



 আরো পড়ুনঃ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম ও পেশা সহ কোন বিভাগে কতজন জেনে নিন



২০১৭ সাল - নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব কর্মে নতুন
মাত্রা



২০১৮ সাল -  সময় এখন নারীর উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে, গ্রাম, শহরের
কর্মজীবনধারা



২০১৯ সাল -  সবাই মিলে ভাবো নতুন কিছু করো, নারী-পুরুষ সমতায়  নতুন
বিশ্ব গড়


২০২০ সাল - প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারী অধিকার


২০২১ সাল -  করোনা কালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব


২০২২ সাল -  যত্নসই  আগামীকালের জন্য আজ লিঙ্গ সমতা



২০২৩ সাল -  ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন



২০২৩ সালে নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়



১৯৯৬ সাল থেকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে।
.১৯৯৬ সালে এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "অতীত উদযাপন ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা" আর
এই বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো "ডিজিটাল ইনোভেশন
এন্ড টেকনোলজি ফর জেন্ডার ইকুয়ালিটি" অর্থাৎ উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে লিঙ্গ সমতার
জন্য "উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি" বা "উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিতে লিঙ্গগত সমতা"। 



আর ২০২৩ সালের এই প্রতিপাদ্য বিষয় এর প্রধান লক্ষ্য হলো প্রযুক্তি ও অনলাইন
শিক্ষায় নারীরা যে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে তার স্বীকৃতি স্বরূপ এই প্রতিপাদ্য
বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।



আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উক্তি



পৃথিবীর সকল নারীদের কাছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন
যুগে যুগে বিভিন্ন সময় নারীদের নিয়ে বিভিন্ন উক্তি তৈরি করা হয়েছিল। একজন
মেয়েই পারে দিন শেষে সবকিছু সামলে নিতে। এই উক্তিগুলো নারীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে
আসছে।



কাজী নজরুল ইসলাম - বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছো
নারী অর্ধেক তার নর।



নেপোলিয়ন - আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত সমাজ/ জাতি উপহার
দেব।



আল কুরআন - যে গর্ভে তোমাকে ধারণ করেছে সে গর্ভধারিনী মায়ের প্রতি কর্তব্য করো ও
শ্রদ্ধা নিবেদন করো।


কাজী নজরুল ইসলাম - গিন্নির চেয়ে শালী ভালো।


সমরেশ মজুমদার - শুকিয়ে যাওয়ার পরেও দাগ রেখে যায়।



তসলিমা নাসরিন - পৃথিবীর ইতিহাসে কোন অন্ধকার সমাজে যখনই কোন নারী পুরুষ 
প্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে উঠেছে, নিজের স্বাধীনতার কথা বলেছে, ভাঙতেছে পরাধীনতার
শেকল, তাকে গালি দেওয়া হয়েছে পতিতা বলে।



তসলিমা নাসরিন - হে নারী কেউ যদি তোমাকে ধর্ষণ করতে আসে, তুমি তাকে ধর্ষণ করে
দাও। পুরুষদের দেখিয়ে দাও ধর্ষণ শুধু তারা নয় তোমরা করতে পারো।



প্রবাদ বাক্য - নারীর হৃদয় সাপের, বুদ্ধি গাধার, রূপটা দেবীর, চোখটা ধাঁধার ।



আল কোরআন - চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ
চরিত্রহীনা নারীর জন্য। সৎ চরিত্র বর্তি নারী সৎ চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর সৎ
চরিত্রবান পুরুষ সৎ চরিত্র বর্তি নারীর জন্য।



মালালা ইউসুফজাই - নারী-পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ছাড়া কোন সংগ্রাম সফল হতে
পারেনা। জগতে দুটি শক্তি আছে - একটি কলম, আরেকটি তলোয়ার। আর এ দুটি দুটির চেয়েও
একটি শক্তি আছে যার নাম "নারী"।



প্রিয়াঙ্কা চোপড়া - আমি যত পোশাক পরি তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরটি হলো আমার
আত্মবিশ্বাস।



মাদার তেরেসা - আমি একা পৃথিবী বদলাতে পারবো না, কিন্তু আমি পানিতে একটা ঢিল
ছুঁড়ে লক্ষ্য ঢেউয়ের সূচনা করতে পারব।



অমিতাভ বচ্চন - তুমি নারী, সবাই চেষ্টা করবে তাদের সিদ্ধান্ত তোমার ওপর চাপিয়ে
দিতে, তোমাকে গণ্ডির মধ্যে আটকে ফেলতে তারা নির্ধারণ করে দেবে তুমি কি পারবে,
কেমন আচরণ করবে, কার সাথে মিশবে, কোথায় যাবে। অন্যের সিদ্ধান্তে বেঁচো না। নিজের
জ্ঞানে নিজের সিদ্ধান্তে জীবন সাজাও।



জি  ডি আন্ডার সন - নারীবাদ মানে নারীকে শক্তিশালী করা নয়, নারী এমনিতেই
যথেষ্ট শক্তিশালী। নারীবাদ মানে পৃথিবীকে সেই শক্তি মেনে নিতে শেখানো।



এমা ওয়াটসন - আমি চাইনা আমার ব্যক্তিত্ব আমার অস্তিত্ব অন্য কেউ নির্ধারণ করে
দিক। ওটা কেবলই আমার পছন্দ।



 আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন



মেরিল স্ট্রিপ্ট - ওই নারীর জন্য রোল মডেল তিনি নিজেই যিনি সফলতা ও আত্মবিশ্বাসের
সাথে নিজের দ্যুতি ছড়ান।



ম্যান্ডেলা গেটস -  একজন শক্তিশালী নারী তিনি যিনি প্রতিবাদ করতে জানেন।



পিথা গোরাস - মেয়েদের চোখে দুই রকমের অশ্রু থাকে একটি দুঃখের অপরটি ছলনার।



ম্যানান ডির - পৃথিবীতে বা সমুদ্রে যত হিংস্র প্রাণী আছে, সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী
হলো মেয়েরা।



হুমায়ুন আজাদ - অধিকাংশ রূপসীর হাসির শোভা মাংসপেশির কৃতিত্ব, হৃদয়ের কৃতিত্ব
নয়।



হুমায়ুন আজাদ - পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ
কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারেনি।



কবে প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়



১৯১১ সালে জার্মান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতে প্রথমবারের মতো
আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। এরপরে ১৯১৪ সাল থেকে ৮ ই মার্চ
পালন করা হয় এবং ১৯১৭ সাল থেকে রাশিয়াতে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করা
হয়। ১৯১১ সাল থেকে দিনটি নারীদের সম অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।বিভিন্ন
দেশের সমাজতন্ত্রীরা এ দিবস টি পালনে এগিয়ে আসে। 



১৯১১ সালে জার্মান, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও অস্ট্রিয়াতে প্রথমবারের মতো
আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয়। এরপরে ১৯১৪ সাল থেকে ৮ ই মার্চ
পালন করা হয় এবং ১৯১৭ সাল থেকে রাশিয়াতে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসেবে পালন করা
হয়। 



শেষ কথা



 আন্তর্জাতিক নারী দিবস সমগ্র নারী জাতির জন্য একটি সম্মান এবং গৌরবের দিন।
প্রতিবছর.৮ ই মার্চ অত্যন্ত মর্যাদার সাথে এই দিবসটি পালন করা হয়। ১৯০৮ সালে
প্রায় ১৫ হাজার নারী তাদের কর্ম ঘন্টা  কমিয়ে আনা, বেতন বৃদ্ধি ও
ভোটাধিকারের দাবিতে নিউইয়র্ক শহরে রাস্তায় আন্দোলনে নামেন। আর সেদিনের সেই
আন্দোলনের সূত্র ধরে আজকের এই ৮ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আর এই দিবসকে পুরো
বিশ্ব যথাযোগ ও মর্যাদার সাথে পালন করে থাকে।












এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url