আর্সেনিক দূষণ কী - আর্সেনিক দূষণের কারণ ও ফলাফল জেনে নিন




আর্সেনিক হলো একপ্রকার বিশ যা পানিতে সুপ্ত অবস্থায় থাকে পৃথিবীতে প্রতিদিন লক্ষ
লক্ষ মানুষ নিজের অজান্তে এই বিষ পান করছে।আর্সেনিক দূষণ কী - আর্সেনিক দূষণের
কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে জানলে এই বিষ থেকে বাঁচা সম্ভব।আর্সেনিক দূষণ কী -
আর্সেনিক দূষণের কারণ ও ফলাফল জানাতে আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য।



Image


আর্সেনিকের প্রধান উৎস হলো আর্সেনাইড,  অক্সাইড ও আর্সেনিক সালফাইড।তবে
আমাদের এই বাংলাদেশে আর্সেনিকের মূল উৎস হল নলকূপের পানি।আর্সেনিক দূষণ কী -
আর্সেনিক দূষণের কারণ ও ফলাফল নিচে আলোচনা করা হলো।-



পোস্ট  সূচিপত্রঃ আর্সেনিক দূষণ কী - আর্সেনিক দূষণের কারণ ও
ফলাফল






আর্সেনিক কি



আর্সেনিক একটি ধূসর আভা যুক্ত সাদা রং বিশিষ্ট ভঙ্গুর প্রকৃতির মৌলিক পদার্থ। এই
পদার্থের একটি অর্ধ ধাতু বা উপধাতু হচ্ছে আর্সেনিক, যার প্রতীক As এবং পারমাণবিক
সংখ্যা ৩৩। আর্সেনিক প্রকৃতিতে বিভিন্ন যৌগ আকারে পচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
আর্সেনিকের পারমাণবিক ভর ৭৪. ৯২১৬০। তবে সাধারণ কাজে ৭৫ ব্যবহার করা হয়।



এটি পঞ্চদশ গ্রুপে এবং পর্যায় সারণির চতুর্থ সারণিতে অবস্থিত। আর্সেনিকের বহুরূপ
বিদ্যমান তবে শুধু ধূসর রং এর আর্সেনিকের ধাতব ধর্ম রয়েছে। শিল্পক্ষেত্রে ধূসর
রং এর আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত আর্সেনিকের একটি নির্দিষ্ট
মাত্রা মানুষের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পানিতে আর্সেনিকের সহনীয়
মাত্রা প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মিলিগ্রাম। 



তবে এই আর্সেনিকের মাত্রা যখন ০.৫ এর বেশি হয় তখন তা মানুষের  ক্ষতি করে।
আর্সেনিক এক প্রকার রাসায়নিক উপাদান যার কারণে পানিতে স্বল্প মাথায় আর্সেনিক সব
সময় থাকে। কিন্তু যখন তার মাত্রা বেড়ে যায় তখন তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হয়ে
ওঠে।



আর্সেনিক দূষণ কী



আর্সেনিক দূষণ সমস্যা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। মাটিতে এবং পানিতে ক্রম
সঞ্চয়মান  বিষ এবং দূষক মিশে যে দূষণের সৃষ্টি হয় তাকে আর্সেনিক দূষণ বলে।
আর্সেনিক দূষণ দিন দিন বেড়ে চলেছে আর্সেনিক হলো একটি মারাত্মক পানি দূষণ এবং
একটি ক্রমস সঞ্চয় মান বিষ পৃথিবীর সব মহাদেশেই ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক
পাওয়া যায়। তবে ৫০ টির মতো দেশের ভূ গর্ভস্থ পানিতে উচ্চমাত্রায় আসেনিক সনাক্ত
করা হয়েছে। এবং আর্সেনিক দূষণের মোটামুটি ২০ টি ঘটনা জানা যায়।



আরো পড়ুনঃ
হিট স্ট্রোক কাকে বলে  -  হিট স্ট্রোক কেন হয়  জেনে নিন



আর এর মধ্যে এশিয়া মহাদেশের চারটি গুরুতর ঘটনা পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থার মতে, এক ১ লিটার পানিতে দশ ১০ মাইক্রগ্রাম আর্সেনিক থাকলে সেই পানি হবে
দূষিত। আর্সেনিক একটি বিষাক্ত খনিজ মৌলিক পদার্থ। এর কোন গন্ধ বা সাদ নেই।
অর্ধপরিবাহী ও সংকর ধাতুতে আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়। আর্সেনিক যতক্ষণ মৌলিক
পদার্থ হিসেবে থাকে ততক্ষণ এটি বিষাক্ত হয় না।



এবং এটি পানিতে দ্রবীভূত ও হয় না কিন্তু যখন বাতাসে জারিত হয় এবং অক্সাইড গঠন
করে তখন এটি বিষাক্ত হয়ে ওঠে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল
অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বড় ঘরিয়া মৌজায় কয়েকটি কূপে পরীক্ষা চালিয়ে
সর্বপ্রথম পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করে। বর্তমানে আর্সেনিকের উপস্থিতি
দেশের দক্ষিণ ভাগে বেশি পরিলক্ষিত হয়।



আর্সেনিকের উৎস



আর্সেনিক মানব দেহ, মৃত্তিকা এবং সমুদ্রে সামান্য পরিমাণে বিদ্যমান থাকে। সাধারণত
চাষের কাজে ব্যবহৃত আর্সেনিক ঘটিত বিভিন্ন কীটনাশক, ছত্রাক নাশক এবং অবাঞ্ছিত
উদ্ভিদের মাধ্যমে পানিতে এবং মাটিতে আর্সেনিকের প্রবেশ ঘটে থাকে। তবে মাটির
উপরিভাগের চেয়ে ভূগর্ভস্থরে বেশি পরিমাণে আর্সেনিক পরিলক্ষিত হয়।



কারণ মাটির নিচে একটি পাথরের স্তর রয়েছে এবং এই পাথরে পাইরাইটস Fes2  নামে
একটি যৌগ উপাদান আছে। আর এই যৌগে আর্সেনিক বিদ্যমান থাকে এবং আর্সেনিক কে পাথরের
সাথে ধরে রাখে। তবে শিলা মন্ডলে এবং পাথরের উল্কাপিন্ডে আর্সেনিকের পরিমাণ ২.১0
থেকে ৩ শতাংশ। 



আর্সেনিকের প্রধান উৎস হলো আর্সেনাইড,  অক্সাইড ও আর্সেনিক সালফাইড। তবে
আমাদের এই বাংলাদেশে আর্সেনিকের মূল উৎস হল নলকূপের পানি। মাটির নিচে বিশেষ করে
যে আর্সেনিক জমা থাকে নলকূপের পানির মাধ্যমে তা উত্তোলিত হয়।



আর্সেনিক দূষণ কিভাবে হয় বা  আর্সেনিক দূষণের কারণ



আর্সেনিক হচ্ছে একটি প্রাণ ঘাতক বিষ যা পানিতে সুপ্ত অবস্থায় থাকে। আর প্রতিদিন
মানুষ নিজের অজান্তেই এই বিষ একটু একটু করে পান করছে। এই গুপ্ত ঘাতক বিষ থেকে
বাঁচতে হলে আমাদের আর্সেনিক দূষণ কিভাবে হয় তা জানতে হবে এবং জানতে হবে মানুষের
দেহে আর্সেনিকের একটি সহনীয় মাত্রা থাকে। আর পৃথিবীতে সকল দেশের মানুষের সাথে
বাংলাদেশের মানুষের আর্সেনিকের সহনীয় মাত্রা এক নয়।



আরো পড়ুনঃ নাক ডাকার কারণ কি এবং এর সমাধান জেনে নিন



বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ পানির আসেনিকের পরিমাণ হলো সহনীয় মাত্রায় পরিমাণ ৫0
পিপিবি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মধ্যে একজন মানুষের শরীরের ১০ পি পি বি
পর্যন্ত আসেনিককে সহনীয় মাত্রা ধরা হয়। .২০১৮ সালের ইউনিসি ও বিবিএস এর গবেষণা
অনুযায়ী বাংলাদেশে এখনো ১৯.৫ মিলিয়ন মানুষ আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহার করে
থাকে।



পানি যেভাবে আর্সেনিকের দূষণ বা  আর্সেনিক দূষণের কারণ -




  • অতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের জন্য পানিতে আর্সেনিক দূষণ হয়।


  • মাটির একটি বিশেষ স্তর আছে এবং সেই স্তরে আর্সনোপাইরাাইট নামক পদার্থ আছে আর
    মানুষ যখন অতিরিক্ত ভূ গর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন করে তখন সেই
    আর্সনোপাইরাাইট পানিতে মিশে পানিতে আর্সেনিক দূষণ করে।


  • ভূগর্ভে পানি শূন্যতার সৃষ্টি হলে এতে বায়ু এবং অক্সিজেন মিশ্রিত হয়। আর এতে
    পানিতে আর্সেনিক দূষণ হয়।


  • আর্সেনিক ও লৌহ বহনকারী খনিজ পদার্থ গুলোর জারণ বা অক্সিডেশন ও দ্রবনীয়
    দ্রবণিকরণের মাধ্যমে পানি আর্সেনিক দূষণ হয়।


  • জৈব পদার্থের উপস্থিতিতে আর্সেনিক বহনকারী প্রাথমিক ও গৌণ খনিজের দ্রবনীকরণ
    আবহবিকারের জন্য পানিতে আর্সেনিক দূষণ হয়।


  • কার্বনেট, নাইট্রেট, ফসফেট আয়ন দ্বারা আসেনিকের ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশ্রণ
    আর্সেনিক দূষণের কারণ।


  • ভূগর্ভস্থ পানির ধারে আসেনি মাটি ও বালির সঙ্গে ও দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে এবং
    পরে বাতাসের উপস্থিতিতে পানি আর্সেনিক দূষিত হয়।


  • ভূগর্ভে অতিরিক্ত আর্সেনিক থাকার কারণে তা ফসলে ও দেখা যায়। বিশেষ করে আলু,
    ওল, মূলো সহ মাটির অভ্যন্তরে যেসব ফসল হয় সেগুলোতে এমনকিচাল ও গমে ও আর্সেনিক
    পাওয়া যায়। আর এই আর্সেনিকযুক্ত ফসলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে আর্সেনিক প্রবেশ
    করে।





আর্সেনিক দূষণের কারণ ও ফলাফল



আর্সেনিক এক প্রকার বিষ এটি পানিতে গুপ্ত অবস্থায় থাকে। আর এই জন্য দীর্ঘদিন
আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মানবদেহে আর্সেনিকের বিষক্রিয়া দেখা যায়। যেমন
-





  • আর্সেনিক আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায় তার শরীরের চামড়ায়।

  • আক্রান্ত ব্যক্তির  ত্বক খসখসে হয়ে যায়।


  • হাতের তালু, পায়ের তলা, কাঁধ ও বুকে ধূসর বর্ণের চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।

  • পায়ের পাতায় কালো দাগের সৃষ্টি হয় আর একে ব্ল্যাক ফুট ডিজিজ বলে।

  • ক্যান্সার বা কর্কট রোগ দেখা দিতে পারে।

  • ফুসফুসের প্রদাহ, এজমা ও ব্রংকাইটিস হতে পারে।

  • হাইপার পিগমেন টেনশন হতে পারে।

  • অবসাদও ক্লান্তি অনুভূত হয়।


  • বিকৃতি যকৃতের স্থায়ী বিকৃতি, ফুসফুসে ও অন্ত্রের ক্ষত দেখা দেয় এবং এসব
    অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।

  • আর্সেনিকের ফলে কেরাটোসিন রোগ হতে পারে।

  • হাত ও গায়ের চামড়া কালো হয়।

  • হাতের তালুতে ও পায়ের পাতায় আঁচিলের মত গুটি বের হয়।

  • গায়ে ও মুখে নীল ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

  • স্মৃতি শক্তি হ্রাস পায়।

  • হৃদযন্ত্র ও শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা দেখা যায়।


  • আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে ডায়রিয়া, বমি ও পেটের যন্ত্রণা দেখা যায়।

  • কখনো কখনো রক্ত বমি হতে দেখা যায়।

  • অনেক ক্ষেত্রে রোগী মারা পর্যন্ত যেতে পারে।

  • আর্সেনিক উদ্ভিদের কোষ নষ্ট করে।





আর্সেনিক দূষণ কি রোগ হয়



আর্সেনিক একপ্রকার বিষ। তাই এই আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মানুষ বিভিন্ন রোগে
আক্রান্ত হতে পারে। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মানুষ যেসব রোগে আক্রান্ত হয়
সেগুলো হল-




  • লিউকোসেনা  নোসিস সাদা ও কালো দাগ শরীরে পাশাপাশি দেখা যায়।


  • আক্রান্ত ব্যক্তির জিহবা মাড়ি ও ঠোঁট মিউকাস মেমব্রেন মেলানোসিস রোগ হয়।

  • আঙ্গুল বেঁকে যায় ।

  • শরীর অসাড় হয়ে যায়। 

  • পায়ের আঙ্গুলের মাথায় পচন ধরে।

  • ক্যান্সার বা কর্কট রোগ দেখা দিতে পারে।

  • ফুসফুসের প্রদাহ, এজমা ও ব্রংকাইটিস হতে পারে।

  • হাইপার পিগমেন টেনশন হতে পারে।

  • অবসাদও ক্লান্তি অনুভূত হয়।


  • বিকৃতি যকৃতের স্থায়ী বিকৃতি, ফুসফুসে ও অন্ত্রের ক্ষত দেখা দেয় এবং এসব
    অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।

  • আর্সেনিকের ফলে কেরাটোসিন রোগ হতে পারে।

  • হাত ও গায়ের চামড়া কালো হয়।

  • হাতের তালুতে ও পায়ের পাতায় আঁচিলের মত গুটি বের হয়।

  • গায়ে ও মুখে নীল ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

  • পায়ের পাতায় কালো দাগের সৃষ্টি হয় আর একে ব্ল্যাক ফুট ডিজিজ বলে।





আর্সেনিক দূষণের প্রভাব



আর্সেনিক এক প্রকার  বিষ। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে প্রথম আর্সেনিকের উপস্থিতি
পরিলক্ষিত হয়। আর এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এর প্রভাব বিদ্যমান। ১৯৯৩ সাল থেকে
আর্সেনিক নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। আর এই গবেষণায় জানা যায় যে, দীর্ঘদিন ধরে
আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মানুষের শরীরে আর্সেনিকের বিষক্রিয়ার বিভিন্ন লক্ষণ
দেখা যায়।



আরো পড়ুনঃ কালোজিরা - খাওয়ার উপকারিতা - কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম  জেনে নিন



আর্সেনিক মানবদেহে ধীরগতিতে কাজ করে। তাই লক্ষণও বুঝতে দেরি হয়ে যায়। আবার
আর্সেনিকের মাত্রা নির্ভর করে আক্রান্ত ব্যক্তি কত দিন ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি
পান করছে তার উপর। আর্সেনিকের প্রভাবে মানবদেহে যেসব ক্ষতিগুলো হলো হয় তা হল-




  • আক্রান্ত ব্যক্তির  ত্বক খসখসে হয়ে যায়।


  • হাতের তালু, পায়ের তলা, কাঁধ ও বুকে ধূসর বর্ণের চাকা চাকা দাগ দেখা যায়।

  • পায়ের পাতায় কালো দাগের সৃষ্টি হয় আর একে ব্ল্যাক ফুট ডিজিজ বলে।

  • ক্যান্সার বা কর্কট রোগ দেখা দিতে পারে।

  • ফুসফুসের প্রদাহ, এজমা ও ব্রংকাইটিস হতে পারে।

  • হাইপার পিগমেন টেনশন হতে পারে।

  • অবসাদও ক্লান্তি অনুভূত হয়।


  • বিকৃতি যকৃতের স্থায়ী বিকৃতি, ফুসফুসে ও অন্ত্রের ক্ষত দেখা দেয় এবং এসব
    অঙ্গে ক্যান্সার হতে পারে।

  • আর্সেনিকের ফলে কেরাটোসিন রোগ হতে পারে।

  • হাত ও গায়ের চামড়া কালো হয়।

  • হাতের তালুতে ও পায়ের পাতায় আঁচিলের মত গুটি বের হয়।

  • গায়ে ও মুখে নীল ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।

  • স্মৃতি শক্তি হ্রাস পায়।

  • হৃদযন্ত্র ও শ্বাস যন্ত্রের সমস্যা দেখা যায়।


  • আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে ডায়রিয়া, বমি ও পেটের যন্ত্রণা দেখা যায়।

  • কখনো কখনো রক্ত বমি হতে দেখা যায়।

  • অনেক ক্ষেত্রে রোগী মারা পর্যন্ত যেতে পারে।




কৃষি দ্রব্যের ওপর প্রভাব



ভূগর্ভে অতিরিক্ত আর্সেনিক থাকলে তা  ফসলেও পাওয়া যায়। বিশেষ করে আলু, ওল
ও সহজে সব ফসল মাটির অভ্যন্তরে হয় সেগুলোতে আর্সেনিক বেশি পাওয়া যায়। তবে চাল
এবং গমেও আর্সেনিকের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। আর এসব আর্সেনিকযুক্ত ফসলের মাধ্যমে
মানুষের শরীরে আর্সেনিক প্রবেশ করে।


উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর ওপর প্রভাব



উদ্ভিদ শেকড়ের মাধ্যমে পানি গ্রহণ করে আর আর্সেনিকযুক্ত পানি উদ্ভিদ শেকড় এর
মাধ্যমে গ্রহণ করলে আর্সেনিক উদ্ভিদ কোষে গিয়ে জমা হয়। এর ফলে কোষ গুলো নষ্ট
হয়। মানুষের মত অন্যান্য জীবজন্তুরাও আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে তাদের চর্মরোগ
হয় এবং তাদেরও ফুসফুস ও যকৃতের অনেক ধরনের রোগ হতে পারে। তাই জীবজন্তু কেও পানি
পান করানোর সময় আর্সেনিক মুক্ত পানি পান করানো উচিত।



আর্সেনিক সমস্যা সমাধানের উপায়


আর্সেনিক সমস্যার সমাধান করতে হলে যা করতে হবে তা হল-




  • মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করাতে হবে

  • প্রতিটি টিউবলের পানি পরীক্ষা করতে হবে

  • আর্সেনিক এ আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে

  • আর্সেনিক মুক্ত ও আর্সেনিকযুক্ত খাবার পানির চিহ্নিত করতে হবে

  • আর্সেনিক আক্রান্ত লোকের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে


  • ভূগর্ভস্থ পারির মাধ্যমে পানি শেষ ও কৃষিকাজে শেষের ব্যবস্থা কমিয়ে আনতে হবে


  • যে নলকূপের বা টিউবয়েলের পানিতে আর্সেনিক আছে সেই নলকূপের বা
    টিউবয়েলের মুখে লাল রঙ এবং যে নলকূপের বা টিউবয়েলে আর্সেনিক নেই
    সেই নলকূপের বা টিউবয়েলে সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।


  • সুস্থ থাকতে হলে যে নলকূপের বা টিউবয়েলে আর্সেনিক আছে সেই নলকূপের বা
    টিউবয়েলের পানি কেউ পান করবেন না।




শেষ কথা



আর্সেনিকের বিষ ক্রিয়ার ফলে মানুষের শরীর নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। মানুষের
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই আর্সেনিকের আক্রমণ থেকে বাঁচতে
প্রতিদিন শাকসবজি ও মাছ মাংস খেতে হবে। এক কথায় অধিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
আর্সেনিক দূষণের ফলে শরীরে রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসার
ব্যবস্থা করতে হবে।



অনেকেই মনে করে থাকেন আর্সেনিক ছোঁয়াচে রোগ। তাই যার আর্সেনিক রোগ হয়েছে তাকে
আলাদা করে রাখা হয়। কিন্তু মনে রাখবেন আর্সেনিক কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। তাই
আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীকে আলাদা করে রাখার কোন প্রয়োজন নেই। আর্সেনিক
আক্রান্ত রোগীকে অধিক পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা তাকে নিয়মিত
ডাক্তার দেখাতে হবে।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url