এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস জেনে নিন




অনেকেই এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে। এবং এই এপ্রিল ফুলকে কেন্দ্র করে হাসি, ঠাট্টা
এবং আনন্দে মেতে ওঠে। কিন্তু এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস সম্পর্কে জানে
না।এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস অত্যন্ত ভয়াবহ। তাই সঠিকভাবে এপ্রিল ফুল
এর ইসলামিক ইতিহাস জানতে আমার আর্টিকেলটি পড়ুন।



Image




ফান্ডি নান্ডো দম্পতি সুকৌশলে মুসলিমদের এক মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করতে বলেন এবং
যখন মুসলিমরা মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করেন তখন তারা তালাবদ্ধ করে আগুন জ্বালিয়ে দেন
এই আগুনের লেলিহান শিখায় ভষ্ম হয়ে যায় স্পেনের মুসলিম সমাজ। আর তখন থেকেই পালন
করা হয় এই এপ্রিল ফুল।এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস নিচে আলোচনা করা হলো-


এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস



৭১১ সালে খলিফা ওয়ালীদ তৎকালীন সেনাপতি তারিক বিন জাহিদ কে স্পেন অভিযানের
নির্দেশ দেন। রাজা রডালিকেল তখন স্পেন চালাচ্ছিলেন। তার শাসন আমলে ধর্মের নামে
অনাচার আর নির্যাতন সামাজিক বৈষম্য ছিল চরম পর্যায়ে। আবার অনেকে রাজা রডালিকেল
এর অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেনএবং মুসলিমদের
আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। 



কথিত আছে অত্যাচারী রাজা রডারিক সিউটা দ্বীপের রাজা ফার্ডিনান্ডো জুলিয়ানের
দোহিতা ফ্লোরিডার হানি করেছিল আর এতে রাজা ফার্ডিনান্ডো জুলিয়ানের দোহীতা 
ফ্লোরিডার শ্লিলতাহানী করেছিল। আর এতে সিউটা দ্বীপের রাজা ফার্ডিনান্ডো
জুলিয়ান  রাগান্বিত হয়ে মুসলিমদের স্পেন দখলের আমন্ত্রণ জানান।



আরো পড়ুনঃ মে দিবস কি ও কেন - মে দিবস কত সালে পালিত হয় জেনে নিন



খলিফা ওয়ালিদ এর সেনাপতি ছিলেন তারিক বিন যায়িদ (রঃ) খলিফা ওয়ালিদ তারিখ বিন
জাইদকে মাত্র সাত হাজার  সৈন্য সহ স্পেন বিজয়ে পাঠান। এত অল্প
সংখ্যক  সৈন্য নিয়ে তারেক বিন জায়েদ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এর
পরেও এই অল্প সংখ্যক  সৈন্য নিয়েই তারিক বিন জাইদ ৭১১ সালে ৩০ শে
এপ্রিল প্রথমে জিব্রাল্টার প্রণালীতে উপস্থিত হন। 



সে সময় রোমান ও গ্রীক সাম্রাজ্য ধ্বংসের পর ইউরোপে ছিল অনেক স্টেটে বিভক্ত তখন
তেমন বড় কোন রাজ্যের অস্তিত্ব ছিল না।অপরদিকে আরবদের ছিল সামরিক শক্তিতে
উত্থানের যুগ। তারিখ বিন যায়িদ  জয়ের লক্ষে মহান আল্লাহ রাব্বুল
আলামিনের দরবারে হাত উঠিয়ে মোনাজাত করেন ও কান্নাকাটি করেন। 



কথিত আছে তারিখ বিন যায়িদ  স্বপ্নে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম
কে দেখতে পান এবং স্বপ্নের রাসুল (সাঃ) তাকে বলেন, "হে জিয়াদ তুমি অগ্রসর হও,
চিন্তিত হয়ো না তুমি কামিয়াবি বা জয় লাভ করবে। এই স্বপ্ন দেখার পর তারিখ বিন
যায়েদ ব্যাপক উদ্দিপনার সাথে স্পেনে অগ্রসর হন।



স্পেনে পৌঁছার পর তিনি আদেশ দেন তাদের সব জাহাজ পুড়িয়ে ফেলতে। এরপর তিনি একটি
ভাষণ প্রদান করেন তার সাথে উপস্থিত ৭000 সৈন্যের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, হে
মুসলমানগণ তোমাদের আর ফিরে যাওয়ার কোন পথ নেই কারণ সব জাহাজ পুড়িয়ে ফেলা
হয়েছে। কাজেই মহান আল্লাহতালার উপর ভরসা করে তোমাদের বিজয় লাভ করতে হবে।



মুসলিম সৈন্যরা সেনাপতির এমন ভাষনে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর মুসলিমরা
আয়বেরিয়ান পেনিসুলাই আক্রমণ চালান। এই অঞ্চলকে স্পেনরা আলহাম বলত। মুসলিমরা
আয়বেরিয়ার একাংশ দখল করেন এবং তারা এখানে চার্চ ও  সিনা গোল নির্মাণে
নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।



ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলিমদের অনেক যুদ্ধবিগ্রহের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে
এবং ইউরোপের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলোকে ক্রমাগত আক্রমণের মোকাবেলা করতে হয়েছে।
সেনাপতি তারেকবিন জায়িদ মুসলিম সৈন্য বাহিনীকে চার ভাগে বিভক্ত করেন। এরপর কিছু
সৈন্য টলেডো এবং গ্রানাডার দিকে প্রেরণ করা হয় এবং গথিক রাজ্যের বহু অঞ্চলে
মুসলিম সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়।



আরো পড়ুনঃ  আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে - আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রং গুলো জেনে নিন



এরপর ৭১২ সালে স্পেনে আগমন করে এক বিশাল মুসলিম সৈন্যবাহিনী এবং দখল করেন
সিডোনিয়া, মরি্ডা, সেভিল এবং তালাভেরা। এরপর সেনাপতি তারেক বিন যায়েদ
রহমতউল্লাহ সম্মিলিত বাহিনী সহ পর্যায়ক্রমে দখল করেন অ্যাস্টরিয়াস,গ্যালিসিয়া,
লিওন, সারা গোসা, আরাগান, ফেলোনিয়া ও বার্সিলোনা। এরপর তিনি উত্তর  পিনেরিজ
রাজ্যে অগ্রসর হন।



৭১২ সাল থেকে শুরু করে ৭১৪ সালের মধ্যে স্পেনের সমগ্র অঞ্চল মুসলিমরা দখল করে নেন
এবং ইসলামিক শাসন কায়েম করেন। ইতিহাসের একটি  মজার ব্যাপার আছে আর তা হল -
এক একটি সভ্যতার গড় অবস্থান ৩০০ বছর।জয় করতে সময় লাগে ১০০ বছর ভোগ করে ১০০ বছর
আর পরের ১০০ বছর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। স্পেনের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।



কয়েক শতাব্দী মুসলিম শাসন চললেও চললেও পর্যায়ক্রমে শাসকরা হয়ে ওঠেন
অনৈতিক ও ইসলাম বিরোধী এবং তাদের সাথে ধর্মব্যবসায়ী ও মুনাফিকরা ও মাথা ছাড়া
দিয়ে ওঠে। ১৪৭০ সালে এ সুযোগে চরমভাবে কাজে লাগান মহা জালিম শাসক ফান্ড নিডো
ইসাবেলা দম্পতি। তারা তাদের গুপ্তচরকে বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও মুয়াজ্জিন,
ওস্তাদ পদে নিযুক্ত করতে সক্ষম হন। 



তারা সবাই ইসলামের আদর্শ থেকে দূরে সরে আসে। তারা ইসলামের পথ থেকে সরে এসে
গান-বাজনা করা, বেপর্দা হওয়া, মদ খাওয়া এবং অবৈধ নারীর সম্পর্ককে দোষে নয় বলে
ফতুয়া জারি করে। আর এতে মুসলমানরা তাদের ঈমানী শক্তি হারিয়ে ফেলে। তারা আরো
বুঝতে সক্ষম হয় যে খ্রিস্টানরা খ্রিস্টানরা মুসলমানদের শত্রু নয়।


ফান্ডি নান্ডো দম্পতি এমন ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেন যে, পর্যায়ক্রমে
মুসলিমদের হাত থেকে স্পেন ছিনিয়ে নেন। ছিনিয়ে নেয়ার পরে তারা প্রথমে আলহামরা
দুর্গের পতন ঘটান এবং গ্রানাডা তুলে দিতে বলেন। মুনাফিক মুসলিমদের প্রতারণার
ফাঁদে পড়ে খুব সহজে তাদের কাছে দেশটা সোপর্দ করে দেয়।



এ সময় দিশেহারা মুসলিম সৈন্যদের সন্ধির শর্ত দিয়ে অবমুক্ত হতে বলা হয় কিন্তু
তৎকালীন মুসলিম সেনাপতি মূসা  ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন। তাই তিনি
এই শর্তকে মরণ ফাঁদ বুঝতে পেরে সন্ধির শর্তে আবদ্ধ না হওয়ার জন্য
তার  সৈন্য দল ও জনগণকে ভয়াবহ ভবিষ্যৎ পরিণতির ইঙ্গিত প্রদান
করেন। কিন্তু সেনাপতির পতন অবশ্যভাম্বী  পতনের আশঙ্কায় মুসলিমরা তার কথার
কোন গুরুত্ব দেননি।



আরো পড়ুনঃ ৭ই মার্চের ভাষণ - ৭ই মার্চের ভাষণের ৪ দফা জেনে নিন



এরপর সেনাপতি মূসা উপায় না পেয়ে  অশ্বরোহন করে অ্যালাভিরা তোরন দিয়ে
রাজ্য ত্যাগ করতে চাইলে দশ জন খ্রিস্টান সৈন্যদের দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন।
বাধা প্রাপ্ত হয়ে তিনি তাদের সাথে যুদ্ধ করতে বাধ্য হন। এই যুদ্ধে তিনি
কয়েকজনকে আহত করেন এবং নিজেও গুরুতর আহত হয়ে সুনীল নদীর পাড়ে পড়ে যান এবং
এখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।



এরপর প্রতারক রাজা ফান্ডি নান্ডো এক আদেশ জারি করেন যে, মুসলিমদের জন্য মসজিদ
গুলো নিরাপদ। তিনি বলেন, যারা মসজিদে আশ্রয় নিবে তারা নিরাপদে থাকবে। এই আদেশ
শুনে সরল বিশ্বাসী মুসলিমগণ মসজিদে আশ্রয় গ্রহণ করে আর এই সুযোগে প্রতারক
রাজা



ফান্ডি নান্ডো মসজিদ গুলোতে তালাবদ্ধ করে দেয় এবং আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আগুনের
লেলিহান শিখায় ভষ্ম হয়ে যায় স্পেনের মুসলিম সম্প্রদায়। আর বাইরে থেকে জালিম
খ্রিস্টানরা ঋড়ড়ষ  ঋড়ড়ষ অর্থাৎ ফুল ফুল বলে চিৎকার করতে থাকে। আর এই দিনটি
ছিল ১৪৯২ সালের ১ লাএপ্রিল।



আর সেই দিন থেকেই প্রতারক খ্রিস্টানরা তাদের প্রতারণা দিবস হিসেবে এপ্রিল ফুল বা
বোকার দিবস হিসেবে পালন করে। অনেকে আবার মনে করেন এপ্রিল ফুল পালনের ঘটনা আরো
আগের। অনেকেই আবার রোমান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন ঘটনাকে উৎস সন্ধান করে থাকেন। তবে
ইংরেজ কবি চসারের ক্যান্টারবেরি টেইলস এর একটি ছত্রে উল্লেখ আছে তার মতে,
ফ্রান্সে যে ১লা এপ্রিল পালিত হয় এর সাথে মাছের সম্পর্ক রয়েছে।







তার ভাষ্যমতে, এপ্রিলের শুরুর দিকে মাছের ডিম ফুটে মাছের বাচ্চা বের হয় আর এই
বাছা মাছগুলোকে খুব সহজেই বোকা বানিয়ে ধরা যায়। তাই তারা এপ্রিল মাসে পালন করে
পয়ন্স দ্য এপ্রিল বা এপ্রিলের মাছ। সেদিন বাচ্চারা নিজের অজান্তেই অন্য
বাচ্চারা পিঠে কাগজের  মাছ বানিয়ে ঝুলিয়ে দেয় এবং এপ্রিল বলে চিৎকার
করে।



প্রতারণা




তবে ১ লা এপ্রিল নিয়ে সর্বজন বিদিত মত হল, স্পেনের মুসলিমদের পুড়িয়ে হত্যা
করার কাহিনী।


যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ইসলামের দৃষ্টিতে এপ্রিল ফুল পালন করা বড় অপরাধ বা কবিরা
গুনাহ। কারণ এপ্রিল ফুল পালন করা মানে মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করা। আর প্রতারণা
সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি অন্য কারো সাথে প্রতারণা করল সে আমার
উম্মত হতে পারে না"। (মুসলিম)।





মিথ্যাকে সমর্থন






এপ্রিল ফুল পালন করতে হলে মিথ্যাকে সমর্থন করতে হবে মিথ্যা ছাড়া এপ্রিল ফুল
পালন করা কোনভাবে সম্ভব নয়। আর মিথ্যা হল জঘন্য অপরাধ। মিথ্যা সম্পর্কে
রাসূল  (সাঃ) বলেন, "তোমরা মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকবে, কারণ এ মিথ্যা
মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়" (বুখারী)।





রাসূল  (সাঃ) অন্য এক হাদিসে বলেন, "এ মিথ্যায় লিপ্ত হওয়ার কারণে
একটা সময় মানুষের কথা কাজে নয় বরং তার অন্তরে মিথ্যার প্রলেপ তৈরি হয়।
মিথ্যা ছাড়া কোন কিছু সে কল্পনা করতে পারে না। এমন কি সে ব্যক্তির অন্তরে
একটি সুঁইয়ের জায়গা পরিমাণও ভালো কাজ প্রবেশ করতে পারে না।





অন্য এক হাদিসে এসেছে, যখন কোন ব্যক্তি বারবার মিথ্যা কথা বলতে থাকে একটা
পর্যায়ে আল্লার কাছে সে ব্যক্তির নাম মিথ্যাবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়।
মিথ্যাবাদী সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা বলেন, "মিথ্যাবাদীর ওপর আল্লাহর
লানত তথা অভিশাপ"। রাসুল  (সাঃ) বলেছেন ,"মিথ্যা কথা বলা
মুনাফিকের চরিত্রের অন্যতম লক্ষণ"।







সুতরাং মিথ্যা ছাড়া যে অনুষ্ঠান কোনভাবে সম্ভব নয় তা পালনে ইসলাম কোনোভাবেই
সমর্থন করেনা। তাইতো আমাদের প্রিয় নবী  (সাঃ) বলেন, "ওই
ব্যক্তির জন্য আমি জান্নাতের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি প্রাসাদ আল্লাহর কাছ থেকে
পাওয়ার ব্যাপারে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, যে ব্যক্তি দুষ্টামি বা মজার ছলে ও
মিথ্যা কথা বলে না" ।



ইসলাম বিদ্বেষী অনুকরণ




এপ্রিল ফুল পালন করলে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমর্থন করা হয় এবং সেটা
প্রত্যক্ষভাবেই সমর্থন করা হয়। যা ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। কারণ ইসলামে
ধোঁকা, মিথ্যা বা প্রতারণার কোন স্থান নাই। তাই এপ্রিল ফুল পালন করা
কখনোই  ইসলাম সমর্থন করে না।

শেষ কথা

পহেলা এপ্রিল সকলেই এপ্রিল ফুল হিসেবে পালন করে থাকে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ আসলে যেন শুরু হয়ে যায় মানুষকে বোকা বানানোর খেলা। মিথ্যা, প্রতারণা এবং ইসলাম বিদ্বেষী অনুকরণ না করলে এপ্রিল ফুল কখনোই পালন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এপ্রিল ফুল এর ইসলামিক ইতিহাস অত্যন্ত ভয়াবহ। আর এই মিথ্যা, প্রতারণার কথা না জেনে অনেকেই এই এপ্রিল ফুল পালন করে থাকে।










এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url