ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো জেনে নিন

১৪ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে আমরা সবাই পালন করে থাকি। কিন্তু ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো তা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। আমি আমার আর্টিকেলে ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো জানানোর চেষ্টা করেছি।ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো বিস্তারিত জানতে আমার আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।




বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে এই দিনটিকে পালন করা হয়।১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এই দিনটি বর্তমানে উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র এবং পার্কে থাকে উপচে পড়া ভিড়। সবাই নিজের মতো করে এই দিনটিতে আনন্দ করার বা উদযাপন করার চেষ্টা করে।ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

 ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো 

ভালো বাসা দিবস কত তারিখ 

১৪ ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বিশ্বব্যাপী ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব ভালবাসা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ভালোবাসা আর ভালোলাগা দুটি আলাদা শব্দ হলেও এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু এই সহজাত প্রবৃত্তিকে ও প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক কেই প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। যেমন - লাইলি মজনু এবং ইউসুফ জুলেখা এদের নাম আমরা জানি।যা সারা বিশ্বের কাছে আজও উদাহরণ হয়ে আছে।

আর এই ভালোবাসা নামক অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে যাদের জীবন দিতে হয়েছে তাদের স্মরণ করতেই প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি "ভ্যালেন্টাইন ডে" বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস পালন করা হয়। এই দিনে প্রেমিক-প্রেমিকা, বাবা- মা -ভাই - বোন, প্রিয় বন্ধু সবাই মিলিত হয় ভালোবাসার বন্ধনে। আগে যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য সমাজের মধ্যে এই ভালোবাসা দিবস সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন সারা বিশ্বব্যাপী আনন্দ - উন্মাদনার সাথে এই দিনটি পালন করা হয়। 

১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস এই দিনটি বর্তমানে উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র এবং পার্কে থাকে উপচে পড়া ভিড়। সবাই নিজের মতো করে এই দিনটিতে আনন্দ করার বা উদযাপন করার চেষ্টা করে। এভাবেই আমরা জানতে পারি ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো।

ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো 

প্রতিবছর ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে কেন এই দিনটিতেই পালন করা হয় এ নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে। আর এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই জানা যায়, এই দিনে ভালোবাসার জন্য মানুষের জীবনের ত্যাগের ইতিহাস। অনেকেই মনে করেন ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রাচীন রোমে রোমান দেব-দেবীর রানী জুনোর সম্মানে ছুটির দিন। অনেকের মতে এটাই বিশ্বাস ছিল যে জুনো হলেন রানী এবং প্রেমের দেবী।এবং তার সম্মানে এই দিনটি পালন করা হয় । 

তবে এর মধ্যে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর ইতিহাস সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। তিনি ছিলেন খ্রিস্টধর্মাবলী ও মানবপ্রেমী ধর্ম প্রচারক বা ধর্মযাজক। আর বিভিন্ন দেবদেবীর পূজোয় বিশ্বাসী ছিলেন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস।  আর এই দ্বিতীয় সম্রাট ক্লডিয়াস তাকে দেব-দেবীর পূজা করতে বললে ভ্যালেন্টাইন পূজা করতে অস্বীকার করেন। যার কারনে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়। সম্রাট তাকে খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করতে আদেশ জ্ঞাপন করেন। 

আরো পড়ুনঃ শিশু দিবস কি - ১৭ ই মার্চ - জাতীয় শিশু দিবস সম্পর্কে জেনে নিন


কিন্তু ভ্যালেন্টাইন এই আদেশ বারবার প্রত্যাখ্যান করেন। যার কারণে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে সম্রাট ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।সেই থেকেই এই দিনটির শুরু হয়। খ্রিস্টপূর্ব  ২৬৯ সালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস নামে ইতালির রোম নগরীতে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন চিকিৎসক। তৎকালীন রোম সম্রাট তাকে ধর্ম প্রচারের অভিযোগে বন্দী করেন।

কারণ তখন রোম সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। কারাগারে বন্দি অবস্থায় তিনি চিকিৎসার মাধ্যমে কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে সুস্থ করে তোলেন। এতে করে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর সম্রাট এই জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে থাকে মৃত্যুদন্ড দেন। আর সেই দিনটি ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি।সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস কে নিয়ে আরো কিছু কথা প্রচলিত আছে।  আর তা হলো সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স যখন কারাগারে বন্দি ছিলেন তখন অনেক যুবক - যুবতী তাকে কারাগারে দেখতে আসতো এবং তাকে ফুল উপহার দিত। 

কারাগারে দেখতে এসে তারা ভ্যালেনস্টাইন কে উদ্দীপ্ত রাখার জন্য বিভিন্ন উদ্দীপনা মূলক কথা বলতো। এক কারারক্ষীর একজন মেয়ে ছিল, যে ছিল অন্ধ। আর সে অন্ধ মেয়েও  ভ্যালেন্টাইনস কে দেখতে আসতো। তারা দুজনে অনেকক্ষণ ধরে কথা বলতো। ভ্যালেন্সটাইন এক সময় তার প্রেমে পড়ে যান। অন্ধ মেয়েটি সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর আধ্যাত্মিক চিকিৎসায় তার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায়।সেন্ট ভ্যালেনস্টাইনের প্রেম এবং সর্বোপরি দেশের যুবক-যুবতীদের সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর প্রতি ভালবাসার কথা সম্রাটের কানে পৌঁছালে সম্রাট ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন 

এবং ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন কে মৃত্যুদণ্ড দেন। খ্রিস্টধর্মাবলীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, রোমান সম্রাট ক্লডিয়াসের বিশাল সৈন্য বাহিনীর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কেউ তার সৈন্য বাহিনীতে যোগ দিতে চাইতেন না। সম্রাটের মতে যারা অবিবাহিত তারা যুদ্ধের সময় বেশি ধৈর্যশীল হয়। আর এই কারণে তিনি যুবকদের বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তার ধারণা ছিল বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হলে তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে যুবুকরা অনিহা প্রকাশ করবে না। 

কিন্তু সম্রাটের এই ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা খেপে ওঠে। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন সেই সময় একজন যুবক ছিলেন এবং তিনিও এই আদেশ মেনে নিতে পারেননি। তিনি ভালবেসে সেন্ট মা্রিয়াস কে বিয়ে করেন। এতে সম্রাটের আদেশ লঙ্ঘিত হয়।এবং তিনি তার গির্জায় গোপনে বিয়ে পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে থাকেন। ভ্যালেন্টাইন মোমবাতির স্বল্প আলোতে বর - বোধূকে পাশাপাশি বসিয়ে ফিস ফিস করে মন্ত্র পড়াতেন। 

এই খবর  সম্রাট এর কাছে পৌঁছালে সম্রাট ভ্যালেন্টাইন কে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করেন।  ভ্যালেনস্টাইনকে সৈন্যরা হাত-পা বেঁধে ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সম্রাটের সামনে হাজির করেন। পরে সম্রাট তাকে মৃত্যুর আদেশ দেন। খ্রিস্টান ধর্মের অন্য একটি ইতিহাস পর্যালোচনা করলে পাওয়া যায় যে, প্রাচীন ইউরোপে একটি রোমিও রীতি প্রচলিত ছিল। আর তা হলো গ্রামের সকল যুবকরা একটি চিরকুটে একটি করে মেয়ের নাম লিখে একটি বক্সে বা পাত্রে জমা করত। এই কাজটি তারা করতো মধ্য ফেব্রুয়ারিতে। 

এরপর ওই বক্স থেকে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলতো। যার হাতের চিরকুটে যে মেয়ের নাম থাকতো পুরো বছর সে ওই মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকতো। "প্রতিমা মাতার নামে তোমার প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি" এই মর্মে প্রত্যেক যুবক তার হাতে যে মেয়ের নাম উঠেছিল তাকে পত্র লিখত। বছর শেষে আবার এ সম্পর্ককে পরিবর্তন বা নবায়ন করা হতো। এই নিয়ম কয়েকজন খ্রিস্টান পাদ্রির নজরে আসে। তারা মনে করেন একেবারে এ রীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়। 

তাই তারা শুধু নাম পাল্টে দেয় এবং ঘোষণা দেয় এখন থেকে এই পত্রগুলো সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর নামে পাঠাতে হবে। আর তাই এই রীতি কালক্রমে খ্রিস্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যায় এবং সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ৪৯৬ সালে প্রথম জুলিয়াস ও সেন্ট জেলাসি ও ভালেন্টাইন এর স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে ঘোষণা করেন। আর এভাবেই জানতে পারি ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো।

বাংলাদেশে যেভাবে এলো ভালোবাসা দিবস

আমরা বাংলাদেশের মানুষ সবাই ভালোবাসা দিবস পালন করি। কিন্তু আমরা কি কেউ জানি !এই ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশ কবে থেকে শুরু হয়েছে ? হ্যাঁ, আমি আজকে আপনাদের এটাই জানাবো আমার আর্টিকেলের মাধ্যমে। বাংলাদেশে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে।" শফিক রেহমান" নামটা নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন ! যয়যায় দিন পত্রিকার সম্পাদক। যিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে ভালোবাসা দিবসের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। 

শফিক রহমান ব্যক্তিগত কারণেই বেশ কিছুদিন লন্ডনে ছিলেন। সেখানে তিনি দেখেন লাল গোলাপ ফুল, বিভিন্ন ধরনের বেলুন আর নানা উপহার সামগ্রী দিয়ে যান্ত্রিক জীবন থেকে বের হয়ে এসে ভালোবাসাকে তারা কিভাবে উদযাপন করছে। তার কাছে মনে হয়েছে এই ব্যস্ত জীবনে থেকেও মানুষ কিভাবে ভালোবাসাকে উপভোগ করছে। তাই তিনি ভালোবাসার সম্পর্ক কে দেশের মানুষের কাছে সুন্দরভাবে ছড়িয়ে দিতে 

১৯৯৩ সালে যায়যায়দিন পত্রিকায় ১৪ ই ফেব্রুয়ারি বা ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লিখেন। আর সেখান থেকে আমাদের দেশের প্রেম প্রিয়াসি মানুষের কাছে ছড়িয়ে যায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের রং। যদিও ধর্মীয় কারণে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে থেকে আমাদের দেশ থেকে সেন্ট শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এই দিনটা শুধু প্রেমিক - প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী নয়, ভাই -বোন -বাবা-মা সবার জন্য ভালোবাসা নিয়ে আসে। 

এটা এমন একটা দিন যাকে বলা হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে। আর এভাবেই বাংলাদেশে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আর এর মাধ্যমেই আমরা ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো জানতে পারি।

১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস

১৪ই ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে ও ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবেই  বেশি পরিচিত। বাংলাদেশেও ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিনটি ভালোবাসা দিবস হিসেবেই পালন করা হয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশের অনেকেই এই দিন কে স্বৈরাচারী প্রতিরোধ দিবস হিসেবেও পালন করে থাকে। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ ও ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করলেও এই ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি সুন্দরবন দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।

২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ আন্দোলন হয় এবং এই আন্দোলনের আওতায় খুলনা স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন রূপান্তর পরশ ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয় বলে এর প্রতিপাদ্য বিষয় হল - "ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসেন সুন্দরবনকে"। আর এভাবেই আমরা জানতে পারি ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো।

ভ্যালেন্টাইন ডে  নিষিদ্ধ ঘোষণা

আমরা ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করি। অনেক দেশ ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে তাদের দেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পশ্চিমা বিশ্বে ধর্ম উৎসব হোক আর জন্মদিনের উৎসব হোক সব ক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি তাদের কাছে প্রাধান্য পায়। তাই গির্জার অভ্যন্তরেও তারা মদ পান করতে দোষের মনে করেন না। ১৭৭৬ সালে স্থান সরকার কর্তৃক ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। কারণ এই ভ্যালেন্টাইন ডে ধর্মীয় চেতনাকে বিনষ্ট করে।

এরপরে ইংল্যান্ডের ক্ষমতাসীন  পিউরিটানরাও প্রশাসনিক ভাবে একসময় নিষিদ্ধ করে দেয়। এছাড়াও জার্মানি, হাঙ্গেরি ও অস্ট্রিয়াতেও এ দিবস পালন নিষিদ্ধ করা হয়। ভ্যালেন্টাইন ডে ইসলামবিরোধী হওয়ায় .২০১৭ সালে পাকিস্তানের আদালতে ও এই দিবসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

শেষ কথা

১৪ই ফেব্রুয়ারি হল বিশ্ব ভালোবাসা দিবস যা ভ্যালেন্টাইন ডে হিসেবে বেশি পরিচিত। এই দিনটি বর্তমানে উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই দিনকে (ভ্যালেন্টাইন ডে) কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র এবং পার্কে থাকে উপচে পড়া ভিড়। সবাই নিজের মতো করেই এই দিনটিতে আনন্দ করার বা উদযাপন করার চেষ্টা করে। এভাবেই আমরা জানতে পারি ভালো বাসা দিবস কত তারিখ / ভালোবাসা দিবস কিভাবে আসলো।

বাংলাদেশে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। এই ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে আমি বিভিন্ন জানা- অজানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। যদি আপনাদের কাছে এই আর্টিকেল ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url