ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা জানুন নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হয় কিভাবে তা সকলের জানা প্রয়োজন । আপনি যদি সঠিকভাবে না জানেন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং নিজের ক্যারিয়ার কিভাবে  গড়া যায় তাহলে আমরা সঠিকভাবে কোন কাজ করতে পারবো না । তাই ডিজিটাল মার্কেটিং কি নিজের ক্যারিয়ার কিভাবে গড়া যায় তা জানতে আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।



ব্যবসা করা সুন্নাত আর এই ব্যবসার মধ্যেই সৌভাগ্য নিহিত শতকরা আছে ৭০ ভাগ। আর ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসা যে ব্যবসা করে আপনারা হতে পারেন সৌভাগ্যবান এবং পৌঁছে যেতে পারেন সাফল্যের চরম শিখরে । তাহলে আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করা যাক ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

সকল প্রকার আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে কোনো পন্য বা সেবার প্রচরনা চালানোর মাধ্যমে যে মার্কেট বা প্লাট ফরম তৈরি করা হয় তাকে বলে ডিজিটাল মার্কেটিং । বর্তমানে এই ডিজিটাল যুগে যেকোনো সেবা প্রদান করতে হলে চাই এর প্রচারণা ।সে টি যেকোন ধরনের প্রতিযোগিতা হোক না কেন সব কিছুর জন্য চাই প্রচারণা সেটি হতে পারে নির্বাচনী অথবা অন্য যে কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা । আমরা যত ধরনের বিজ্ঞাপন দেখি যেমন- মোবাইলে গেম খেলার সময়, টেলিভিশন দেখার সময় , সোশ্যাল মিডিয়াতে ও বিজ্ঞাপন দেখতে পায় এই সবগুলোই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি

ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত অনেক প্রকার হয়ে থাকে । আমি আজকে ৬ প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আলোচনা করব ।

কনটেন্ট মার্কেটিং 

কোন ছবি , ব্লগ ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে আকর্ষণীয় ভাবে বর্ণনা করে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করার নামই হলো ডিজিটাল কনটেন্ট মার্কেটিং । ডিজিটাল ভাবে বিভিন্ন পণ্যের যে  বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় তাকে বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং । অনলাইনে ছবি বা পোস্টারিং , ভিডিওর মাধ্যমে  পণ্য বা ব্র্যান্ডের  প্রচার , এবং ব্লগিংয়ের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে আলোচনাকে ও বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং বা  ডিজিটাল মার্কেটিং।  

বর্তমান সময়ে নিজের ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের সামনে নিয়ে আসার জন্য সবথেকে সহজ এবং জনপ্রিয় মাধ্যম হল  ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা । আর এ ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করা ও হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও চাহিদা সম্পন্ন একটি পাঠ ।

জনপ্রিয় কয়েকটি কনটেন্ট মার্কেটিং হল

  • ব্লগ পোস্ট

  • ভিডিও অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট

  • ইমেজ

  • নিউজলেটার

  • ই-বই

  • ইনফোগ্রাফিক্স

ব্লগ পোস্ট

ব্লগপোস্ট বলতে কী বোঝায় আমরা সকলেই তা বুঝি । বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আমরা যে পোস্টগুলো দেখি তার সবই হলো ব্লগপোস্ট । বিভিন্ন পোস্ট লিখে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করাই হল ব্লগ পোস্ট । এমনকি আপনি এখন আমার যে লেখাটা পড়ছেন সেটাও একটা ব্লগ পোস্ট ।

ভিডিও অডিও ট্রান্সক্রিপ্ট

ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি ইউটিউব এর জন্য বা অন্যান্য যে সাইটগুলো ভিডিও শেয়ার করে তার জন্য আমরা যে ভিডিও তৈরি করি তাকে বলা হয় ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং । আমরা সাধারণত ভিডিও তৈরি করি কোন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য বা ভিজিটর কালেক্ট করার জন্য । আর সে ক্ষেত্রে ভিডিওটা ও একটা মার্কেটিং । এক কথায় যাকে বলা হয় কনটেন্ট মার্কেটিং ।

ইনফোগ্রাফিক্স

ইনফোগ্রাফিক্স নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন হল ইনফোগ্রাফিক্স ।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 

আপনার ওয়েবসাইটটি মূলত গুগল এডভান্স , ইয়াহু এবং বিং বা অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিনের অনুসন্ধানের ফলাফল গুলিকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও আজকের ডিজিটাল প্রতিযোগিতার বাজারে সবার সামনে নিয়ে আসে । আর ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষ এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে কোন কিছু কেনার আগে মানুষ এটা একবার হলেও ইন্টারনেটে দেখে । তবে আমার মনে হয় এই কাজটি আপনিও করে থাকেন । তবে এরমধ্যে আবার কেউ ব্যাতিক্রম থাকতে পারে । 

আরো পড়ুনঃ  বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন । এই সুযোগে আপনার পেইজ  ভালো করে এসইও করে ভিজিটর জোগাড় করে নিতে পারেন । এছাড়া পেইড পদ্ধতিতেও  আপনি আপনার অবস্থান করে নিতে পারেন । আর এই এসইও এর ওপরে নির্ভর করে আপনার সাইট কত দ্রুত গতিতে উপরে আসবে । আপনি এসইও ২ ভাবে করতে পারেন। হোয়াইট হ্যাট এসইও এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও । আপনার অবস্থান তৈরি করতে হলে এ সার্চ ইঞ্জিন এর বিকল্প নেই । 

আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল এসইও ফর্মে যোগাযোগ করে নিতে হবে । প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা কোন না কোনো বিষয় খুঁজে । আর তার চাহিদা যদি আপনার কোন সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলে আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন ব্যবহারকারী আপনার পণ্যের ব্যাপারে জানুক । কিন্তু আরও অনেকেই আপনার মত এই পণ্যের সার্ভিস দিয়ে থাকেন । আর সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে আপনার পণ্যের ফলাফল সবার ওপরে থাকা । আর এর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এত গুরুত্বপূর্ণ ।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং

একজন সফল মার্কেটারের সাথে সার্চ ইঞ্জিন কথাটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত । এই জন্য একজন নতুন উদ্যোক্তা কে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করে নিতে হয় । যে কোন ব্র্যান্ডের অনলাইনে উপস্থিতি ও উন্নতির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন । কারণ এই সার্চ ইঞ্জিন সকল মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত । এমন কোন মার্কেটিং নেই যা সার্চ ইঞ্জিন এর আওতাভুক্ত নয় । 


এক কথায় সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হল পেইড মার্কেটিং এবং একে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড মাধ্যমে বলা হয়ে থাকে । আপনি পেইড করে নিজের সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ওপরে নিয়ে আসতে পারেন । এই কাজটি আপনি তিন ভাবে করতে পারেন -কস্ট পার ক্লিক , কস্ট পার ইম্প্রেশন এবং পে পার ক্লিক । এগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে দিতে পারেন ।


সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন প্লাটফর্মের উপর হয়ে থাকে , এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গুগোল এডওয়ার্ডস , ইয়াহু এবং বিং এর নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় । এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয় মোবাইল মার্কেটিং , বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান এবং পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে । আপনার ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতেও সার্চ ইঞ্জিন অনলাইন মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনেক ।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি ! এটা আমাদের সবার মনে একটু প্রশ্ন তৈরি করে । প্রতিদিনই আমরা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর মাধ্যমে অথবা সোশ্যাল কমিউনিকেশন এর মাধ্যমে যে সাইটগুলো ব্যবহার করে থাকে তাকে বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং । পৃথিবীর জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে । আর সেই ব্যবহারকারী প্রায় ৭0 ভাগ লোক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে । তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চমৎকার মার্কেট প্লেস হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে ।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ফেসবুক , টুইটার , ইনস্টাগ্রাম ,  ইউটিউব , পিন্টারেস্ট এবং ক্রেডিট লিংকডইন ইত্যাদি । এই সব গুলোর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে । সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়ায় সেরা  স্থান দখল করে আছে । এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারেন । আপনি আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদের কমিউনিটিতে যুক্ত করুন এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত যেকোন প্রশ্ন -  উত্তর সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা  ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়মিত পোস্ট করুন এবং কমেন্ট করুন । 

এককথায় আপনি কমেন্ট এ একটিভ থাকুন । প্রত্যেকটি ব্লগ সাইট পোস্ট করার আগে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন । এছাড়াও নিজেদের পণ্যের পাশাপাশি উপকারী পোস্ট তৈরী করুন অন্যের উপকারে আসবে । এতে করে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন । সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্বল্প খরচে দ্রুত সময়ে আপনার পণ্যের সব খবর আপনার কাংখিত লোকদের কাছে পৌছে দিতে পারবেন । এজন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এত জনপ্রিয়।

ইমেইল মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে মার্কেটিং এর মধ্যে ইমেল মার্কেটিং সবচেয়ে সহজ । ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একটি প্রচারমূলক বার্তা পাঠানো হয় সম্ভাব্য কাস্টমারদের কাছে । কেউ যখন আপনার ব্যবসা বা ওয়েবসাইট পরিদর্শন করতে আসে তখন তাদের একটি ইমেইল গ্রাহক তালিকায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় । আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায় হলো ইমেইল মার্কেটিং ।

আরো পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় জানুন


আপনি গ্রাহকদের ইমেইল কালেকশন করে এক ক্লিকেই আপনি আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন । এতে প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা কোন বিষয় না , গ্রাহকদের কাছে আপনার তথ্য প্রেরণ করাই হল আসল কথা ।

 ইমেল মার্কেটিং এর সুবিধাঃ 

আপনি আপনার পণ্য বা সেবা হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পারেন একমাত্র ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে । সহজভাবে আপনার পণ্যের গুণাগুণ বর্ণনা করতে ইমেইল মার্কেটিংয়ের প্রয়োজন । কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য এবং কৌশল নিয়ে গবেষণা করা হয় ইমেইলের মাধ্যমে । ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বয়সী বা ক্যাটাগরির মানুষ এর ইমেইল এড্রেস জোগাড় করা প্রয়োজন হয় । আর এই ইমেইল এড্রেস দিয়েই আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারেন ।

ওয়েব  অ্যানালিটিকস

ওয়েব এনালাইটিক্স বলতে বোঝায় প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে কতজন লোক ভিজিট করল , কোন অঞ্চল থেকে এবং তাদের বয়স সীমা কত তা সফটওয়্যারের এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা। আর গুগোল আমাদের প্রতিনিয়ত বিশ্লেষণ করে এবং সেই অনুসারে বিজ্ঞাপন দেখায় । এককথায় বিভিন্ন সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য  এনালাইটিক্স  করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে ।  আমরা অনেকেই
গুগল এনালাইটিক্স এবং এর সাথে পরিচিত । আর ওয়েব এনালাইটিক্স এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাওয়া যায় ।

মোবাইল মার্কেটিং

মোবাইল এর মাধ্যমে বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে  কোন  বা পণ্য বা সার্ভিস এর যে প্রচারণা চালানো হয় তাকে বলা হয় মোবাইল মার্কেটিং । এসএমএস এর মাধ্যমে মোবাইল মার্কেটিং করা যায় । বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং  হল মোবাইল মার্কেটিং ।  বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল ডিভাইস মোবাইল। আর মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে । আর মোবাইলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে এবং অল্প খরচে আপনার পণ্য সম্পর্কে জানাতে পারবেন ।তাই মোবাইল মার্কেটিং এত জনপ্রিয় ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এ কি কি শিখানো হয়

আপনি  যদি সফল মার্কেটার হতে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে সফলতা অর্জন করতে আপনাকে কোন বিষয়গুলো জানতে হবে ।  ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কাজগুলো শেখানো হয় তা হলো - ফেসবুক মার্কেটিং, গুগোল মার্কেটিং , ইমেইল মার্কেটিং,   ফেসবুক অ্যাডস , গুগোল অ্যাডস , কনটেন্ট মার্কেটিং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং টুলস ।

ডিজিটাল মার্কেটিং কেন শিখবেন

বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটং শেখার কোনো বিকল্প নেই । আপনি যদি কোন ব্যবসা করতে চান তাহলে ব্যবসা সঠিক প্রচার করতে হবে এবং এর প্রসার ঘটাতে হবে আর এই প্রচার-প্রচারণা প্রসার ঘটাতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং। একমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেআপনি কাঙ্খিত গ্রাহককে আপনার প্রচারনা সম্পর্কে জানাতে পারেন।আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন যে কারণে -আপনি যদি সফল মার্কেটার হতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা আপনার জন্য জরুরী।



অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করতে পারেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার মাধ্যমেই-কমার্স ব্যবসা করতে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা আবশ্যক অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট এফিলিয়েট করতে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জন্য আবশ্যক। এসইও রিপোর্ট তৈরি অনলাইন তৈরির ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অপরিহার্য।
বাংলাদেশ অনলাইন মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে সফলতার সাথে কাজ করতে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখা আবশ্যক ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ক্যারিয়ার

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে ক্যারিয়ার গঠনে ডিজিটাল মার্কেটিং কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । আপনি যে কাজ করতে চান না কেন আপনাকে মনোযোগের সাথে কাজ করতে হবে । আপনাকে কাজ ভালোবেসে গ্রহণ করতে হবে । আমি এর একটু ব্যাখ্যা প্রদান করি  ধরেন আপনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন হঠাৎ কোনো কারণে তার আয় একটু কমে গেল তাহলে এর প্রভাব এসে পড়বে সবার আগে আপনার মত একজন কর্মীর ওপর যার কারণ হিসেবে আপনি চাকরি হারিয়ে ফেলবেন।



আবার আপনাকে নির্দিষ্ট একটা সময়ে অফিসে যেতে হবে এবং নির্ধারিত সময় পর্যন্ত থাকতে হবে আর যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করেন  তাহলে নিজের পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন ।  যে কোন সমস্যায় আপনাকে ঘরে থাকতে হয় আর ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ঘরে বসে কাজ তাই আপনি ঘরে বসেই আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন । এখন প্রত্যেকটা কোম্পানির জন্য ই- মার্কেটিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই অতি সহজেই  আপনি এই পেশায় নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন ।

শেষ কথাঃ

বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অত্যন্ত জনপ্রিয় । আর এই বিষয়টি মাথায় রেখে আপনি একজন ডিজিটাল মার্কেটার  হতে পারেন । আশা করা যায় আপনি একদিন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হবেন । আর এর জন্য প্রয়োজন হবে শুধু আপনার সদিচ্ছা ।  অনলাইনে যতগুলো
সেক্টর রয়েছে আপনি একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অন্যতম সেক্টর । এটা এমন একটা শাখা যেখানে প্রবেশ করলে আপনি সফল হবেন ।

সবশেষে আমরা বলতে পারি যতগুলো ব্যবসা আছে তার মধ্যে সবচেয়ে কম খরচে আপনি হতে পারেন একজন সফল মার্কেটার এবং গড়তে পারেন আপনার ক্যারিয়ার।


















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Alinoorhossen
    Alinoorhossen February 5, 2023 at 8:34 PM

    very good

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url