দুর্ভিক্ষ কি - ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ জেনে নিন বিস্তারিত


 



আপনারা হয়তো জানেন দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশে সহ মোট ৪৫ টি
দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে । দুর্ভিক্ষ কি শুনলেই আমরা চমকে উঠি । আর ২০২৩
সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এ কথা শুনলে তো আর কোন কথাই নেই । এই ভয়াবহতার কথা
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও জাতিসংঘ , খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একযোগে স্বীকার করেছে ।
দুর্ভিক্ষ কি - ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এ সর্ম্পকে জানতে আমার পোস্ট টি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।





সারা বিশ্বের প্রায় ২0 কোটি মানুষের জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে ।
এফ এ ও এবং ডাবলু এফ এর যৌথ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে । দুর্ভিক্ষের কবলে বেশি
পড়বে আফ্রিকার দেশগুলো। তাহলে আসুন এবারে আমরা জেনে নিই দুর্ভিক্ষ কি২০২৩
সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত ।


পোস্ট সূচিপত্র ঃদুর্ভিক্ষ কি- ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও  বাংলাদেশ 













দুর্ভিক্ষ কি



সারা বিশ্বের প্রায় ২0 কোটি মানুষের জরুরী খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হতে পারে
। এফ এ ও এবং ডাবলু এফ এর যৌথ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়েছে । দুর্ভিক্ষের কবলে
বেশি পড়বে আফ্রিকার দেশগুলো। তাহলে আসুন এবারে আমরা জেনে নিই দুর্ভিক্ষ কি
২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত ।


যখন কোনো দেশ বা এলাকায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় তখন তাকে দুর্ভিক্ষ
বলা হয় ।





দুর্ভিক্ষ শব্দটি শুনলেই যেন মন চমকে উঠে তাইনা ! মানুষের যে পাঁচটি মৌলিক
চাহিদা রয়েছে খাদ্য তার মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে রেখেছে । আমাদের মনে আজকে
প্রশ্ন উঠেছে দুর্ভিক্ষ কি ? পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহের ঘাটতির কারণে কোন এলাকার
মানুষের অনাহার জনিত সমস্যার নাম দুর্ভিক্ষ ।



দুর্ভিক্ষের ইতিহাস



ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে দুর্ভিক্ষ ছিল ।
তবে যে দুর্ভিক্ষ গুলো বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার মধ্যে কয়েকটি
উল্লেখযোগ্য  ছিল । এর মধ্যে১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ
দেখা দিয়েছিল ইংরেজি ১৭৭০ সালে হলেও  বাংলায় ছিল এটি১১৭৬ সন । বাংলায়
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে অভিহিত করা হয় ।  সেই সময় অতি বৃষ্টি ও
বন্যার কারণে কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় যার ফলস্বরূপ দেখা
দেয় দুর্ভিক্ষ । 



আরও পড়ুন ঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা জানুন- ঘরে বসে কোটিপতি  হোন 



আবার বাংলা ১৩৫০   সালে  অর্থাৎ১৯৪৩ সালে ও বাংলাদেশ একটি
ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় ।  আর এই দুর্ভিক্ষ ১৩৫০ সালে হয়েছিল বলে
একে পঞ্চাশের মন্বন্তর নামেও অভিহিত করা হয় । এই দুর্ভিক্ষের
ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে পৃথিবীর মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি । স্মরণ করে রেখেছে
এই দুর্ভিক্ষের কথা । তারা জানে দুর্ভিক্ষ কি-আবার আসতে চলেছে ২০২৩ সালের
দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ ।



দুর্ভিক্ষ কেন হয়


দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ  ও  বাংলাদেশ কথাটি মনে
আসলে জানতে ইচ্ছে করে দুর্ভিক্ষ কেন হয় এর কারন কি। সাধারণত অতিবৃষ্টি,
অনাবৃষ্টি ,খরা,  বন্যা এসব কারণ কে  দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে
অভিহিত করা হয় । এছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা, খাদ্যের বাজারে
দালালের দৌরাত্ম্যের ফলে যখন অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে তখন
দূর্ভিক্ষ হয় । এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহের ফলে যখন খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত
হয় তখনও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় 



দুর্ভিক্ষের কারণ



দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এই কথাটি মনে আসলেই আমাদের আগে
সঠিকভাবে বুঝতে হবে দুর্ভিক্ষের কারণ গুলো ।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য
উর্দ্ধ গতির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয়
খাদ্য কিনতে পারছে না । আগামী বছর অর্থাৎ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ এক ভয়াবহ রূপ
ধারণ করতে পারে । তার চেয়েও ভয়াবহ খবর হলো খুব সহজেই দুর্ভিক্ষ কেটে যাবার
কোনো সম্ভাবনা নেই ।





বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি প্রধান বলেন বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে যার মূল
কারণ হলো যুদ্ধ এবং সারের সংকট । আর এই সংকট এত বেশি পরিমাণ হবে যে এর আগে
কখনো  কেউ দেখেনি । রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর আফ্রিকান
ডেভলপমেন্ট ব্যাংক বলেছেন ,আফ্রিকা মহাদেশের খাদ্য উৎপাদন ২0% কমে যাবে ।
চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও বলেছেন২০২২ সালের
দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে এই পরিস্থিতি আরো
খারাপ হতে পারে ।



৪৫ টি  দেশের দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে  যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে
তা হলো ঃ




  1. জলবায়ু পরিবর্তন 

  2. রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

  3.  করোনা মহামারী 

  4. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি




 সমগ্র বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ গম উৎপাদিত হয়  রাশিয়ায়
। শুধু তাই নয় প্রায় ৭০ ভাগ সূর্যমুখী তেল এই অঞ্চল থেকে আসে । বিশ্বের
সবচেয়ে বেশি সার উৎপাদন হয় রাশিয়ায় । এরমধ্যে নাইট্রোজেন সার ২৫ শতাংশ ,
অ্যামেনিয়া  সার ২২ শতাংশ , ইউরিয়া সার ১৪  শতাংশ এবং ফসফেট সার
১৪%  ।যুদ্ধের কারণে এইসব সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে । শুধু তাই নয়
প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশে খাদ্য উৎপাদন কমে
গেছে ।



২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ২০২৩ সালে বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বে ব্যাপক ভাবে দুর্ভিক্ষ তথা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে । সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেছেন, প্রতিটি মানুষ যেন তাদের এক ইঞ্চি জমিও ফেলে না রাখেন । জাতিসংঘের সম্মেলন শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী এই উদাত্ত আহ্বান জানান । তিনি বলেছেন আমার জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে সবাই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে ।


আরও পড়ুন ঃ   কম দামে ভালো মানের মোবাইল কিনুন 



রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে সারা বিশ্বের
মানুষ কষ্ট পাচ্ছে । করণ মহামারীর পর আসলো যুদ্ধ যার কারণে আজকে শুধু
বাংলাদেশ নয় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষই কষ্ট পাচ্ছে ।  নিত্যপণ্যের
দাম বাড়ছে , মূল্যস্ফীতি বাড়ছে , বিদ্যুৎ , গ্যাস এবং জ্বালানি প্রত্যেকটা
জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে  । এতে উন্নত দেশগুলো  ও হিমশিম খাচ্ছে ।
বাংলাদেশ  মতো উন্নয়নশীল দেশে ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ
প্রেক্ষিত সবাইকে সচেতন হতে হবে ।






দুর্ভিক্ষ প্রতিকারের উপায়



দুর্ভিক্ষকে ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ এই প্রেক্ষিতে বলতে গেলে প্রথমে
আমাদের এর প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করতে হবে । জনো নেত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন , আমাদের মানুষ আছে ,আ মাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর , কোন জমি  যেন
অনাবাদি না থাকে । তিনি আরো বলেন যে যা পারেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে সঞ্চয়
বাড়াতে হবে । পানি , বিদ্যুৎ্গ্যা‌ স সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে ।
ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমাদের এখন থেকেই  কাজ করে যেতে হবে ।



দেশের পরিস্থিতি দিনের পর দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে  । বিশ্বের
অধিকাংশ দেশে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব । সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করেন ২০২৩
সালে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের খাদ্য সংকট ।



শেষ কথা


তনানা  অবস্থার কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে । এমনই মন্তব্য
করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএফএম ও বিশ্ব ব্যাংক । সিআইএফ এক বিবৃতিতে
জানিয়েছেন , বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে ৩৫ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে
। এই সংস্থাটি  আরো বলেন ৪৮ টি দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে
আছে ।



সবশেষে আমরা একথা বলতে পারি যে , আমরা যদি নিজেরা ভালো থাকতে চাই এবং দেশকে
ভালো রাখতে চাই তাহলে  আমাদের জানতে হবে দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের
দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ । আমাদের সব বিষয়ে মৃত   ব্যয়ী  হতে হবে




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url