দুর্ভিক্ষ কি - ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ জেনে নিন বিস্তারিত
আপনারা হয়তো জানেন দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশে সহ মোট ৪৫ টি দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে । দুর্ভিক্ষ কি শুনলেই আমরা চমকে উঠি । আর ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এ কথা শুনলে তো আর কোন কথাই নেই । এই ভয়াবহতার কথা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও জাতিসংঘ , খাদ্য ও কৃষি সংস্থা একযোগে স্বীকার করেছে । দুর্ভিক্ষ কি - ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এ সর্ম্পকে জানতে আমার পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
দুর্ভিক্ষ কি
দুর্ভিক্ষের ইতিহাস
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীর সূচনা লগ্ন থেকে দুর্ভিক্ষ ছিল । তবে যে দুর্ভিক্ষ গুলো বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছিল । এর মধ্যে১৭৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল ইংরেজি ১৭৭০ সালে হলেও বাংলায় ছিল এটি১১৭৬ সন । বাংলায় ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামে অভিহিত করা হয় । সেই সময় অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় যার ফলস্বরূপ দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ ।
আরও পড়ুন ঃ ইউটিউব মার্কেটিং কি - ইউটিউব মার্কেটিং করে কিভাবে সফল হবেন জানুন
আবার বাংলা ১৩৫০ সালে অর্থাৎ১৯৪৩ সালে ও বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় । আর এই দুর্ভিক্ষ ১৩৫০ সালে হয়েছিল বলে একে পঞ্চাশের মন্বন্তর নামেও অভিহিত করা হয় । এই দুর্ভিক্ষের
ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে পৃথিবীর মানুষ এখনো ভুলতে পারেনি । স্মরণ করে রেখেছে এই দুর্ভিক্ষের কথা । তারা জানে দুর্ভিক্ষ কি-আবার আসতে চলেছে ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ ।
দুর্ভিক্ষ কেন হয়
দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ কথাটি মনে আসলে জানতে ইচ্ছে করে দুর্ভিক্ষ কেন হয় এর কারন কি। সাধারণত অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ,খরা, বন্যা এসব কারণ কে দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে অভিহিত করা হয় । এছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা, খাদ্যের বাজারে দালালের দৌরাত্ম্যের ফলে যখন অর্থনৈতিক অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে তখন দূর্ভিক্ষ হয় । এছাড়াও বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহের ফলে যখন খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয় তখনও দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়
দুর্ভিক্ষের কারণ
দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ এই কথাটি মনে আসলেই আমাদের আগে সঠিকভাবে বুঝতে হবে দুর্ভিক্ষের কারণ গুলো ।বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্য উর্দ্ধ গতির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশের মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য কিনতে পারছে না । আগামী বছর অর্থাৎ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে । তার চেয়েও ভয়াবহ খবর হলো খুব সহজেই দুর্ভিক্ষ কেটে যাবার কোনো সম্ভাবনা নেই ।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি প্রধান বলেন বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে যার মূল কারণ হলো যুদ্ধ এবং সারের সংকট । আর এই সংকট এত বেশি পরিমাণ হবে যে এর আগে কখনো কেউ দেখেনি । রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর আফ্রিকান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক বলেছেন ,আফ্রিকা মহাদেশের খাদ্য উৎপাদন ২0% কমে যাবে । চলতি বছরের জুন মাসে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও বলেছেন২০২২ সালের দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করার অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং ২০২৩ সালে এই পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে ।
৪৫ টি দেশের দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে যেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো ঃ
- জলবায়ু পরিবর্তন
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
- করোনা মহামারী
- দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি
সমগ্র বিশ্বের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ গম উৎপাদিত হয় রাশিয়ায় । শুধু তাই নয় প্রায় ৭০ ভাগ সূর্যমুখী তেল এই অঞ্চল থেকে আসে । বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সার উৎপাদন হয় রাশিয়ায় । এরমধ্যে নাইট্রোজেন সার ২৫ শতাংশ , অ্যামেনিয়া সার ২২ শতাংশ , ইউরিয়া সার ১৪ শতাংশ এবং ফসফেট সার ১৪% ।যুদ্ধের কারণে এইসব সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে । শুধু তাই নয় প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশে খাদ্য উৎপাদন কমে গেছে ।
২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ
আরও পড়ুন ঃ মোবাইলে ফ্রিল্যান্সিং করার উপায় - জেনে নিন
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে সারা বিশ্বের মানুষ কষ্ট পাচ্ছে । করণ মহামারীর পর আসলো যুদ্ধ যার কারণে আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষই কষ্ট পাচ্ছে । নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে , মূল্যস্ফীতি বাড়ছে , বিদ্যুৎ , গ্যাস এবং জ্বালানি প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে । এতে উন্নত দেশগুলো ও হিমশিম খাচ্ছে । বাংলাদেশ মতো উন্নয়নশীল দেশে ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত সবাইকে সচেতন হতে হবে ।
দুর্ভিক্ষ প্রতিকারের উপায়
দুর্ভিক্ষকে ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ এই প্রেক্ষিতে বলতে গেলে প্রথমে আমাদের এর প্রতিকারের উপায় খুঁজে বের করতে হবে । জনো নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন , আমাদের মানুষ আছে ,আ মাদের মাটি অত্যন্ত উর্বর , কোন জমি যেন অনাবাদি না থাকে । তিনি আরো বলেন যে যা পারেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে সঞ্চয় বাড়াতে হবে । পানি , বিদ্যুৎ্গ্যা স সবকিছু ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে । ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমাদের এখন থেকেই কাজ করে যেতে হবে ।
দেশের পরিস্থিতি দিনের পর দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে । বিশ্বের অধিকাংশ দেশে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব । সংশ্লিষ্টদের অনেকেই মনে করেন ২০২৩ সালে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের খাদ্য সংকট ।
শেষ কথা
নানান অবস্থার কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে এমনই মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএফএম ও বিশ্ব ব্যাংক । সিআইএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন , বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ শুরু হলে ৩৫ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়বে। এই সংস্থাটি আরো বলেন ৪৮ টি দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ খাদ্যসংকটে আছে ।
সবশেষে আমরা একথা বলতে পারি যে , আমরা যদি নিজেরা ভালো থাকতে চাই এবং দেশকে ভালো রাখতে চাই তাহলে আমাদের জানতে হবে দুর্ভিক্ষ কি ২০২৩ সালের দুর্ভিক্ষ বাংলাদেশ । আমাদের সব বিষয়ে মৃত ব্যয়ী হতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url